![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এতিম, দরিদ্র, মুসাফির। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত এক গন্তব্যের উদ্দেশে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি একটি রাজ্যের মালিক, রাজা। রাজ্য পুনরুদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জনে চেষ্টিত। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।
জীবনটাকে এতদিন একভাবে বুঝতাম। কিন্তু ইদানিং পাখির মত মানুষ মারা, তা দেখে আমাদের বয়সেরই একটি প্রজন্ম উল্লাস করা, একপক্ষ আরেক পক্ষকে 'শেষ' করে ফেলার হুমকি দেয়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্নেডোতে মানবিক বিপর্যয় দেখে জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করলাম। হায়! জীবন বুঝি এমনই!!
আমি যদ্দুর বুঝি, দুই নেত্রী সংলাপে বসতে একান্তই আগ্রহী এবং রীতিমত উন্মুখ। কিন্তু সম্ভবত কোন অদৃশ্য শক্তি তাদের বসতে দিচ্ছে না। অথবা শরিক দলের চাপ, পারিপার্শ্বিক বাধা, ছোট হওয়ার কথিত লজ্জা-শরম এবং ব্যক্তিস্বার্থগুলো অতিক্রম করতে পারছেন না। এমতাবস্থায় তারা উভয়েই চান, কোন নিরপেক্ষ সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুক। আমার এ কথার সঙ্গে ব্যরিস্টার নাজমুল হুদারও মতের মিল রয়েছে। যদিও এ কথা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, দুই নেত্রীর সংলাপই সবকিছু নয়।
আমি বিশ্বাস করি দুই নেত্রীকে আলোচনার মাধ্যমে একত্রে বসানো সম্ভব এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ আমার কাছে কঠিন মনে হয় না। বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের অমীমাংসিত বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে মীমাংসায় উপনীত হওয়া মামুলী ব্যাপার। ইদানিং সংলাপের দাবিতে আরেকটি আন্দোলনের কথা শুনা যাচ্ছে। কিন্তু তারা সরকারকে শর্ত জুড়ে দেওয়ায় আন্দোলনটি মাঠে মারা যাচ্ছে। আসলে কখন কাকে নিষিদ্ধ করতে হবে না কি করতে হবে তা কোন বিশেষ পক্ষ বা গোষ্ঠীর আন্দোলন, টকশো ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের মতামত ও বিশ্লেষণকে প্রাধান্য দিতে হবে। আর যারা বর্তমানের কোন না কোন...........
©somewhere in net ltd.