![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু অসমাপ্ত ভাঙা গল্পের পার্শ্বচরিত্র হতে চাই
মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ে যখন জিন্স-টিশার্ট পড়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এবং সমাজ যখন সেটি সাবলীলভাবে গ্রহণ করে, তার মানে কি নারী স্বাধীনতা আজ বর্ণময়? হ্যা, বর্তমান সমাজে নারীর অবস্থান যথেষ্ট শক্ত হলেও সেটাকে স্বাধীনতা বলা যাবে না কোনভাবেই। এখনও যখন তনুর মত মেয়েরা স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে ধর্ষিত হয় তখন কি করে বলব যে নারী স্বাধীনতা মিলে গেছে? লিঙ্গ বৈষম্য ঘুচে গেছে?
আসলে এই বৈষম্যের আলোচনাতেই লুকিয়ে আছে বৈষম্য। লিঙ্গ বৈষম্য বলতেই আমরা বুঝি নারী-পুরুষ বৈষম্য। কিন্তু বাংলাদেশে স্বীকৃত লিঙ্গ যে তিনটা সেকথা আমাদের মাথাতেই আসে না। এই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা এতটাই অবহেলার স্বীকার যে বৈষম্যের আলোচনাতেও তাদের স্থান নেই।
উন্নত দেশগুলোতে এসব মানুষেরা যখন এমনকি মডেলিং পর্যন্ত করছে তখন আমাদের দেশে তারা ৫ টাকা ১০ টাকা ভিক্ষা তুলে খাচ্ছে। বাংলাদেশের জন্মই হয়েছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে কোটি বাঙালির প্রতিবাদী মনোভাবের কারণে। ত্রিশ লাখ শহীদের একটাই চাওয়া ছিল, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে উঠবে এ দেশে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও যখন একজন নারী শুধু রাতে কেন দিনেও রাস্তায় বেরোতে ভয় পায়, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলো যখন মানুষ হিসেবে নিজেদের মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হয়, নিচু শ্রেণীর মানুষগুলো যখন সমাজের উপর তলার মানুষগুলো দ্বারা প্রতিনিয়ত নিষ্পেষিত হয় তখন শহীদ মিনার কিংবা সৃতিসৌধে যেতে বড় লজ্জা লাগে। কারণ শহীদদের যোগ্য সম্মানটুকু দিতে না পারার গ্লানি আমাকে কুড়ে কুড়ে খায়। তাদের স্বপ্নটুকু বাস্তবে রূপ দিতে না পারার যন্ত্রণা আমার মনটাকে রক্তাক্ত করে।
তবুও আমি স্বপ্নবাজ মানুষ। স্বপ্ন দেখি। আশাহত হই না। হয়তবা আজ না হোক কাল কেউ আমার মত ভাববে। তাছাড়া জীবনের অন্তিম মূহুর্তে বিবেকের কাছে মাথা উঁচু করে বলতে তো পারব, আমিই জয়ী।
বিশ্বাস করি, "বদলে দেয়া নয়, বদলে যাওয়াটাই মুখ্য"।
©somewhere in net ltd.