নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক যান্ত্রিক পাগল। যান্ত্রিক তবে যন্ত্র নই। অনুভূতিগুলোতে জং ধরে গেলেও আবেগটা রক্তে মিশে আছে। জীবনের ছোট ছোট দুঃখগুলো আমার কাছে বড় বড় আনন্দ হয়ে ধরা দেয়।

যান্ত্রিক পাগল

কিছু অসমাপ্ত ভাঙা গল্পের পার্শ্বচরিত্র হতে চাই

যান্ত্রিক পাগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পালটে যাওয়া, পালটে দেয়া

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচ মানেই অন্য রকম এক উত্তেজনা। মূলত আইসিসির কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ফলেই দু'দেশের জনগণের মধ্যে একরকম অলিখিত যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এ যুদ্ধ চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ফেইসবুক, টুইটারসহ নানা সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। একজন আরেকজনকে ব্যঙ্গ করে নানা মতামত, উক্তি-পাল্টা উক্তি, বিভিন্ন ব্যঙ্গচিত্র বা ভিডিও তৈরি করছে।
আসলে আমরা বাংলাদেশিরা খুবই আবেগপ্রবণ। পাগল জাতি হিসেবেও আমাদের পরিচিতি বহুদিনের। ক্রিকেটটা এখন আমাদের আবেগের সাথে মিশে গেছে। মিশে গেছে রক্তের সাথে। হয়ত এই আবেগের বশেই আমরা বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচে ভারতের ঘোর বিরোধী হয়ে যাই। আসলেই কি তাই? আসলেই কি আমরা ভারতের বিরোধীতা করি?
যদি তাই হয় তবে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটা কোন বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলে না দেখে কেন স্টার স্পোর্টসে দেখি? বলিউড মুভিগুলো রিলিজ হবার পর থেকে না দেখা পর্যন্ত কেন ছটফট করি? কোন অনুষ্ঠানে হিন্দি গান না বাজানো পর্যন্ত কেন মনে হয় যে অনুষ্ঠানটি পূর্ণতা পেল না?
আইপিএলের জুয়ার আসর বাংলাদেশের অলিতে গলিতেও কেন বসে?
আমরা কি জানি, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ৫ম বৃহৎ উৎস এই বাংলাদেশ। ভারত প্রতি বছর প্রায় ১০ বিলিয়ন ইউ এস ডলার সমপরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশে। অথচ বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। কি বিশাল একটা আমদানি-রপ্তানি বৈষম্য। আমাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই ওদিকে। টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, মোটরকার, বিদ্যুৎ, পোশাক, কসমেটিক্স ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিসের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত ভারতের মুখাপেক্ষী হই। অথচ এই পাখি ড্রেস কিংবা শাহরুখ খান পাঞ্জাবি না পরলেও আমাদের দিন হেসে খেলেই কাটবে। তবুও এগুলো আমরা কেন ব্যবহার করি? যেখানে ভারতে বাংলাদেশি কোন একটা টিভি চ্যানেলও প্রচারিত হতে পারে না সেখানে আমাদের দেশে ভারতীয় চ্যানেলের সংখ্যা প্রায় সত্তর!!
এতকিছুর পরও কেন আমরা শুধু একটা খেলাকে (বিনোদনের মাধ্যম) কেন্দ্র করে এভাবে কাঁদা ছুড়াছুড়ি করি? তারচেয়ে বরং জাতীয় ইস্যুগুলোতে নজর দেই। তাতে নিজেদেরই লাভ। গড়ে তুলি নিরক্ষর, দুর্নীতি মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, বৈষম্যহীন, নিরাপদ একটি বাংলাদেশ। যেখানে থাকবে না কোন ধর্ষণ, যৌন হয়রানি। যেখানে নিরাপদ থাকবে প্রতিটি নারী।
খেলাটাকে শুধুই বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে দেখি। আনন্দের খোরাক হিসেবে নিই। আবেগকে এর থেকে দূরে রাখি। ঠিক যেক্ষেত্রে আবেগটাকে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ সেক্ষেত্রেই আবেগি হই। আবেগি হই বাংলা ভাষার সুষ্ঠু ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বিরোধীতা করি দুর্নীতির। প্রতিবাদ করি ধর্ষণের, হত্যার।
নিজেকে পালটাই। পালটে দেই দেশটাকে। চল পালটাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.