![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু অসমাপ্ত ভাঙা গল্পের পার্শ্বচরিত্র হতে চাই
পরশুদিন ফেসবুকে ঢুকে দেখি আমার জনৈক শুভাকাঙ্খী মেসেজ পাঠিয়েছেন, "কি ভাই, বেশ কয়দিন ধরে লেখা পাই না কেন?"
ওনাকে আর কোন রিপ্লাই পাঠাইনি। কি আর পাঠাব? সর্বশেষ একটা লেখা পোস্ট করেছিলাম। "শুধুই গল্প নয়" এই শিরোনামে। দুষ্টু প্রেমের মিষ্টি গল্প। গল্পটা ছিল অনেকটা এরকম যে মেয়েটা তার প্রেমিকের কাছে ১২টা গোলাপ দাবি করে। সাধারণত আমি আমার লেখাগুলো শুধু ব্লগেই পোস্ট করি। তবে ইদানীং ব্লগের সাথে সাথে ফেসবুকেও শেয়ার করছি। আর এতেই ঘটে গেছে সকল বিপদ। লেখাটা শেয়ার করে রাতে আরামের এক ঘুম দিয়েছি। পরদিন বন্ধ। আহ! সেই ফুরফুরা মন নিয়ে স্বপ্ন দেখতে দেখতে ঘুমাচ্ছি, হঠাতই ফোনের বিকট শব্দে ঘুম গেল ভেঙে। উঠে দেখি তিনি ফোন দিয়েছেন। রাত বাজে দেড়টা।
-"হ্যালো।" (ঘুম ঘুম স্বরে বললাম)
-"ঘুমাচ্ছ?"
-"এটা কেমন প্রশ্ন? রাত দেড়টার সময় ঘুমাবো নাতো কি তাইরে নাইরে করব?"
-"এমন গন্ডারের মত সবসময় রেগে থাক কেন?"
-"বাহ! এত কিছু জানো তুমি?"
-"মানে?"
-"মানে এই যে, গন্ডার সবসময় রেগে থাকে এটা জানো। আমি কিন্তু জানতাম না। জানানোর জন্য ধন্যবাদ।"
-"ওই দেখ! একদম ইয়ার্কি মারাবা না আমার সাথে। কখনো কিছু বলি নাতো। তাই লাই পেয়ে আকাশে উঠছ।"
-"হুম। হইছে ছাড়। তা কি জন্য ফোন দিছ এত রাতে?"
-"ওমা! আমি তোমাকে এত রাতে ফোন দিতে পারি না?''
-"না। পারো না। কারণ আমি চোর না। আমি রাত বারোটার পর ঘুমাই। অফিস করতে বের হই না।"
-"কি বলতে চাচ্ছ তুমি? আমি চোর? যারা একটু লেট করে ঘুমায় তারা চোর?"
-"আমি কি করে বলব কার মনে কি ঘুরে?"
-"সাংঘাতিক রকমের বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।"
এবার তার গলার ঝাঝটা সত্যিই একটু বেশি ছিল। তাই আমি আমার ঝাঝটা কমিয়ে দিলাম।
-"আচ্ছা বল। কি জন্য ফোন দিছ। কি হইছে আবার এত রাতে?"
-"কি হইছে বুঝ না? প্রেম-ভালোবাসার গল্প লিখে তো একদম ফাটায় ফেল। কই আমাকে তো কোনোদিন একটা গোলাপও দিলা না। আবার গল্প লিখ বারোটা গোলাপের। সবার সামনে আমার হাত ধরে হাটতে তোমার লজ্জা লাগে, অথচ গল্পে পারলে কিসিং সিনও ঢুকায় দাও।"
-"আরে ভাই! গল্প গল্পই। এখন এটা নিয়ে ঝগড়া করবা রাত দুপুরে?"
-"ঝগড়া আমি করছি? আমি?"
-"না না। আমি করছি। আপনি তো মিষ্টি কথার ফুলঝুড়ি ছুটাচ্ছেন।"
-"তোমার মত বেরসিক বেরোমান্টিক মানুষ আমি আর দুইটা দেখি নাই। তুমি আর কোনদিন আমারে ফোন দিবানা। আজ থেকে তোমার জন্য আমি মরে গেছি।"
এই বলে লাইন কেটে দিলেন তিনি। আমিও আর ঘুরিয়ে ফোন না দিয়ে তিরিক্ষি মেজাজ নিয়েই ঘুমের দেশে আবার ডুব দিলাম। পরদিন সকালে ঘুম ভাঙল এগারোটায়। প্রতিদিন তিনিই আমাকে আটটায় ফোন দিয়ে ডেকে দেন। কিন্তু আজ দেননি। বুঝতে পারলাম রাগ সিরিয়াস পর্যায়ের। তবে তার অভিযোগগুলো কিন্তু খুব একটা মিথ্যা নয়। আসলেই তাকে আজ পর্যন্ত একটা গোলাপও দেয়া হয়নি। তার হাত ধরে হাটাও হয়নি কোনদিন।
বের হলাম বাসা থেকে..........
(চলবে)
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
যান্ত্রিক পাগল বলেছেন: শীঘ্রই আসবে।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গোলাপ দিয়ে ফেলুন!
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
যান্ত্রিক পাগল বলেছেন: ঘটনা প্রবাহ চলমান। ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৬
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ভালই লাগছিল পড়তে।
লাল গোলাপের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চলুক।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৭
যান্ত্রিক পাগল বলেছেন: তবে তাই হোক।
জেনে খুশি হলাম যে ভালো লেগেছে আপনার। :-)
৪| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯
জনতা-২০১৬ বলেছেন:
বাংলাদেশে জীবন সিনেমার মত হয়ে গেছে?
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৮
যান্ত্রিক পাগল বলেছেন: সিনেমার কাহিনিগুলো তো জীবন থেকেই নেয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ভাল লাগছে । পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম