![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু অসমাপ্ত ভাঙা গল্পের পার্শ্বচরিত্র হতে চাই
আজ একটা ভিডিও দেখলাম। কোন এক জিপিএ পাঁচ প্রাপ্ত ছেলেকে নেপালের রাজধানীর নাম জিজ্ঞেস করায় সে বলেছে, "নেপচুন।"
কিন্তু ভিডিওর কাউকে দেখে তো ঠিক রাখাল বালক মনে হল না।
তবুও কেন উত্তর, "নেপালের রাজধানী নেপচুন।"?
যে ছেলেটা নেপচুনের নাম জানে সে অবশ্যই নেপালের
রাজধানীর নামও জানবে। এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে?
আর কি, ভিডিওটা সম্পূর্ণ বানোয়াট। হ্যা, এটা আমিও মানি
জিপিএ পাঁচ পাওয়া বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েই জিপিএ পাঁচের
যোগ্যতা রাখে না। তবে এটাও ঠিক, যে ছেলেটা নেপচুনের
নাম জানবে সে অবশ্যই কাঠমান্ডু না বলতে পারলেও
কাটামুন্ডু হলেও উচ্চারণ করতে পারবে।
এগুলো সবই মিডিয়ার সৃষ্টি। তৈরি হয়েছে আমাদের মত
আহাম্মক জাতির জন্য। এবং আমরা গোগ্রাসে গিলছিও বটে।
আহাম্মক জাতি বলতে তথাকথিত নিউ জেনারেশন এর কথাই
বুঝাচ্ছি।
ওদিকে পার্বত্য এলাকার মানুষ না খেয়ে মরছে, তার কোনো
খবর নেই। অথচ এসব আলতু ফালতু ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে,
শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য।
আর আমরাও পারি বটে। রোয়ানুতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের
কোনো খোঁজ রাখি না। কিন্তু কোন পত্রিকায় মাহির বিয়ের
কথা ছাপা হয়েছে, মাহির আগে কয়টা বিয়ে হয়েছে, আগে
কয়জনের সাথে ঘুরেছে, কে বলল, "আই এম জিপিএ ফাইভ"- এসব
মনোরঞ্জক জিনিসপত্রের খোঁজের কোন অভাব নেই আমাদের
কাছে।
এই মনোরঞ্জক ভিডিওটি যারা আত্মবিশ্বাসের সাথে বিশ্বাস
করছে তারাই একদিন বিশ্বাস করবে, "পদ্মা সেতুর পিলারের
সাথে জেলে নৌকা ধাক্কা খাওয়ায় পদ্মা সেতু ভেঙে
পড়েছে।"
আমাদের অবস্থা এ পর্যায়েই পৌঁছাচ্ছে। ক্রমশ ঘুমিয়ে পড়ছি
আমরা। কারণ আমাদের আবেগের পালে হাওয়া বেশি, কিন্তু
যুক্তির হাল অত্যন্ত নড়বড়ে।
তবে হ্যা, এই আবগটাও কিন্তু আমাদের চালিকাশক্তি। এর
যথাযথ ব্যবহারেই কিন্তু মাত্র নয় মাসে দেশটাকে স্বাধীন
করা সম্ভব হয়েছিল। বর্তমানে এর যথাযথ ব্যবহারের বড়ই অভাব।
আবেগটাকে আমরা অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছি।
জেগে উঠতে হবে। ভেতরের আবগটাকে যথাযথভাবে ব্যবহার
করতে হবে। তবেই সম্ভব নিজেদের অবস্থান উঁচু থেকে আরোও
উঁচুতে নিয়ে যাওয়া।
২| ৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৯
যান্ত্রিক পাগল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :-) :-)
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪
বাঙ্গালীবাবু বলেছেন: আমি একমত ভাই