![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু অসমাপ্ত ভাঙা গল্পের পার্শ্বচরিত্র হতে চাই
আমার এক বন্ধু কোন একটা সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে তাকে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে দেখা যায়। কখনওবা রক্তদান, কখনও আবার পথশিশুদের শিক্ষাদান। কাজগুলো অবশ্যই প্রশংসনীয়।
যাই হোক, কিছুদিন আগে, ঠিক করে বলতে গেলে ঈদের কাছাকাছি সময়ে সে ফেবুতে কিছু ছবি পোস্ট দেয়। তার সংগঠনের পক্ষ থেকে কোন এক বস্তিতে পথশিশুদের মাঝে সে ঈদের নতুন জামা বিতরণের জন্য গিয়েছিল। ছবিগুলো মূলত সেটারই। ছবিতে তাকে কিছু হাস্যোজ্জ্বল ছেলেমেয়ের মাঝে নতুন জামা বিতরণ করতে দেখা যাচ্ছিল।
তো, সেই পোস্টে কেউ একজন কমেন্ট করেছে দেখতে পেলাম। কমেন্টটা অনেকটা এরকম,
"শো অফ কর?"
ভালো একটা প্রশ্ন।
দেখুন, প্রতিটা মানুষই (কিছু ব্যতিক্রম বাদে) চায় তাকে কেন্দ্র করে একটা বৃত্ত রচিত হোক। তাকে সকলে চিনুক। সবার পরিচিত মুখ হয়ে উঠতে চায়। সোজা করে বলতে গেলে সবাই নিজের ব্র্যান্ডিং করতে চায়। এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।
নিজেকে সকলের কাছে পরিচিত করাকে আপনি যে নামেই ডাকুন না কেন, হতে পারে ব্র্যান্ডিং কিংবা শো অফ, অথবা হতে পারে পাবলিসিটি কিংবা মার্কেটিং, আমি এতে দোষের কিছু দেখি না। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে আমাদের সামাজিক জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা অনেক।
তাহলে সমস্যাটা কোথায় দাঁড়ায়?
সমস্যা দাঁড়ায় আপনি আপনার পরিচিতি ঠিক কি উপায়ে করছেন।
এইতো কিছুদিন আগে ঘটে গেল 'জুনায়েদ-নুরুল্লাহ' incident. এরপর আবার কমার্স কলেজ ও রাজউকের ছেলেমেয়েদের প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন কিংবা চুমুর দৃশ্য- এসব কিছুও কিন্তু শো অফ, পাবলিসিটি, পরিচিতি বৃদ্ধির চেষ্টা।
এ ধরনের শো অফ করে তারা আবার সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বেশ ঝড় তুলছেন। কেউ কেউ তো আবার "পাতি সেলিব্রেটি"ও হয়ে যাচ্ছেন।
এখন একটু ভেবে দেখুন তো। শো অফ বা পাবলিসিটি হিসেবে কোনটা better?
পথশিশুদের হাসিমুখ?
নাকি রাস্তায় একটা ছেলেকে শুধু শুধু পেটানো?
better কোনটা?
সেচ্ছাসেবী হিসেবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিনামূল্যে বাচ্চাদের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো?
নাকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে খোলামেলাভাবে কাউকে প্রোপোজ করে নিজেকে আধুনিক পরিচয় দেয়া?
আসলে সবকিছুরই ভালো ও মন্দ দুটো দিকই আছে।
নির্ভর করে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর। আমরা কোনটা বেছে নিই তার উপর।
আমরা ভালোটাও বেছে নিতে পারি, আবার অপ্রয়োজনীয় দিকটাও উন্মুক্ত।
সার্ফ এক্সেলের একটা বিজ্ঞাপন আছে,
দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয় তবে দাগই ভালো।
তেমনি মনে করি,
"শো অফ থেকে যদি সমাজের কিছুটা মঙ্গল হয়, তবে শো অফই ভালো।"
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭
যান্ত্রিক পাগল বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০০
সম্রাট৯০ বলেছেন: আপনার ভাবনার সাথে সহমত, আমার কথা হলো আপনি একটা ক্ষুধার্ত মানুষকে একবেলা পেট ফুরে খাইয়ে তাকে দিয়ে ১০০ টা ছবি উঠান এবং সেটা সারা পৃথিবীতে ছড়ান, কোন সমস্যা নেই, আপনি যেই নিয়তেই এই কাজ করেননা কেন সেটা আপনার ব্যপার, একটা ক্ষুধার্ত মানুষ খেতে পেরেছে এটাই মুল কথা, একটা নগ্ন শরীর আপনার দেয়া জামায় ঢাকা পড়েছে এটাই সত্য, মানুষ যেই জন্যই করুক অন্যজন লাভবান হচ্ছে কিনা আমরা সেটাকেই ফোকাস করিনা কেন? দিকনা ফেইস বুকে ছবি আপলোড করে,সমস্যা নেই, যে কোন ছলে গরীব অসহায় মানুষ উপকৃত হোক,এটা থেকে কারো মুখ ফিরিয়ে দেয়া বা রুখে দেয়া কোন ভাবেই উচীৎ হবেনা।
ধন্যবাদ
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯
যান্ত্রিক পাগল বলেছেন: খুব ভাল কথা বলেছেন দাদা।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
আহলান বলেছেন: মানুষকে উপকার করাটাই মূখ্য ... শো অফ হলে হোলো ... তাতে ঐ ব্যাটার কি ? জ্বলে ??
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০০
যান্ত্রিক পাগল বলেছেন: ঠিক। উপকার করাটাই মূখ্য।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
বাংলার জামিনদার বলেছেন: সমস্যা হলো যারা কিছুই করবেনা, তারা আর কারোর কিছু করা সইতে পারবেনা। ভাল কিছু যদি হয়, তাহলে যেভাবেই হোক, সমস্যা নাই।
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০২
যান্ত্রিক পাগল বলেছেন: উচিৎ কথা। তাদের জ্বলে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:১৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল বলেছেন। একমত। মঙ্গল করাটাই মুখ্য।