নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের\'

যাযাবর জোনাকি

‘আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের’

যাযাবর জোনাকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরানো বাড়িঃ একটি কল্পনা বা স্বপ্ন

২৬ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

প্রায় বৃষ্টিস্নাত স্বন্ধ্যাগুলোয়, চিকন সর্পিল রাস্তা দিয়ে

রিক্সায় করে যেতে যেতে,

চোখ আটকে যায় পুরানো বাড়িগুলোয়।

একটার গায়ে আরেকটা হেলান দিয়ে থাকে অসহায়ভাবে,

পলেস্তরা খসে গেছে,লোনা ধরা দেয়ালে

সাদা চুনকাম কালো দাগগুলোর মাঝে উঁকি দিয়ে আছে কোথাও,

অবহেলায় আগাছা গুলি বৃক্ষের রুপ নিয়েছে।

নীচতলার জানালাগুলি নতুন ইট দিয়ে বন্ধকরা,

উপরতলার চারটি লোহার গরাদ টানা কুচুটে জানালা,

মলিন রং কালচে হয়ে গেছে,

কোনএক কালে গাঢ় সবুজ রং করাছিল হয়তো,

ভেতর থেকে ইলেক্ট্রিক বাল্বের হলুদ আলো আসছে।

কল্পনা নিয়ে যায়,সন্ধ্যার ম্লান আলোয়

চাপা স্যঁতস্যঁতে বড় বড় ধাপের সিঁড়ি দিয়ে উপরে।

একটা কুচুটে দরজা,দুইটি পাল্লা মলিন সবুজ রং,

তাতে দুইটি জং ধরা কড়া।

কড়া নাড়তেই খুলে যায় দরজা,

ভেতরে একটা লম্বা ঘর,হলুদ আলো,

মোটা লোনা ধরা দেয়াল,ধূসর সাদা।

ছাদে পুরনো কালো কড়ি কাঠ।

ঘরের বাম পাশে একটা খাবার টেবিল,

অপর পাশে বাসনপত্র সাজানো,

বাইরের টানা বারান্দায় ভেজা কাপড় নেড়ে দেয়া।

ডানপাশে পুরানো সোফাসেটে,ময়লা চেপ্টা গদিগুলো,

পেছনে সেই খোলা দুইটি লোহার গরাদ টানা কুচুটে জানালা,

বসার ঘর থেকে ডানে আর একটা কুচুটে দরজা।

এই দরজা খুলেতেই স্বপ্ন নিয়ে যায়,

কোন এক দুপুরবেলায়,আষাঢ়ের মেঘে যখন আকাশ কালো হয়ে আছে।

অবশিষ্ট দিনের আলোয় দেখা যায় বাকি দুইটি জানালা,

একটা শোবার ঘর,একটা জানালায় একটা ছোট টেবিল,

অন্যটায় একটা পুরানো উঁচু বড় খাট,শীতল পাটি বিছানো,

দুইটি বালিশ,বালিশে মাথা রাখতেই,

কেউ পাশে এসে শোয় নিঃশব্দে।

হাত স্পর্শ করে,

তার গাঢ় সবুজ আঁচলের নিচে,আগে থেকে আলগা করে রাখা

শঙ্খের মত মসৃন,উষ্ণ,নরম দুইটি ভালোবাসার নীড়।

নাকে এসে লাগে তার ঘাড় ও চুলের গন্ধ

হাতের আঙ্গুল আবিস্কার করে,

তার দুই ঊরুর মাঝখানে উতপ্ত,স্যঁতস্যঁতে,বুনট ভালোবাসা।

তারপর,লোহার গরাদ টানা কুচুটে জানালাটা দিয়ে দেখা যায়,

আকাশের ঘন কালোমেঘ আরও ভারী হয়ে আছে,

যেকোন মুহুর্তে বৃষ্টি নামবে।

আরও কিছু পুরানো দালানের মাথার উপর দিয়ে,

দেখা যায় উজ্বল লাল কৃষ্ণচূড়া।

এরপর আর কিবা হতেপারে,

আদিম ও অকৃত্রিম ভালোবাসা ছাড়া।

ঘরটির একপাশে ছোট্ট দরজার কপাটহীন স্নানঘর,

তেল চিটচিটে ময়লা মেরুন রঙের পর্দা ঝুলছে তাতে।

ভেতরে কলের নিচে বড় লোহার বালতি,

এককোনে একটা দড়িতে গামছা রাখা,

দেয়ালের কুলুংগিতে রাখা সাবান,

ভেজা,ঈষৎঅন্ধকার,শীতল স্নানঘর।

বাস্তবতা থেকে কল্পনা,

কল্পনা থেকে স্বপ্ন।

স্মৃতিপটে তো সবই স্মৃতি হয়ে থাকে।

-২৬/০৫/২০১৪,কাজাং।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সুন্দর

২| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
কল্পনা নাকি স্মৃতি মিলেমিশে একাকার ৷

স্বপ্নকথন চিত্রকল্পময় ৷

৩| ১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৭

যাযাবর জোনাকি বলেছেন: বাস্তবতা,কল্পনা এবং স্বপ্ন ,এইসবই এক সময় স্মৃতি হয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.