নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের’
ঘুম থেকে জাগার মাঝে একটা সময় আছে, এবং ঘুমতে যাওয়ার আগেও, একে বলা হয় তন্দ্রা,ঘুমের একটা আস্তরণ। পৃথিবী বড় হচ্ছে, বিশ্বায়ন। মানুষ বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে, কমছে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে, বর্ণ বৈষম্যের বাজারে মন্দা কিঞ্চিত দেখাগেলেও, ধর্ম বৈষম্য এবং ধনী-গরীবের বৈষম্য এখন টাটকা। সুখ-অসুখ পরিমাপের একমাত্র একক যখন মুদ্রা, তখন চাহিদা আর অভাবের মধ্যেকার ফাড়াকটা দিন দিন উর্ধ্বমূখী,যোগানের ব্যাপারে মাথা ঘামাতে হয় না।
এইসব গুরুত্ববহ সব সমস্যাদির মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে যোগাযোগ, যোগাযোগ আজ হাতের মুঠোতে! এর প্রতিফলন ঘটে সম্পর্কের ওপর আর তার আগে আসে সম্পর্কের আস্তরণ, যেমন তৈরির আগেও আসে, তেমনি ভেঙে যাওয়ার পরেও আসে। পন্যবাদ, ধীরে ধীরে গ্রাস করছে মানব সম্প্রদায় কে, বাস্তব পৃথিবীর ব্যাপ্তি প্রায় দ্বিগুণ করেছে পন্যবাদের অভিনব সৃষ্টি অলিক বাস্তবতা। পৃথিবীতে আরেক পৃথিবী, অলিক বাস্তবতার পৃথিবী, বাস্তবতার এক পরিমার্জিত সংস্করণ, যা থেকেও নেই। এই থাকা না থাকার সমীকরণে অনেক সম্পর্ক রুপ নিচ্ছে এক অলিক বাস্তবতার সম্পর্কে। কিছু দিন আগে যে মানুষটা চোখের সামনে ছিল বাস্তবে , সে হয়তো আজ শুধুই তার অস্তিত্ব ধরে রখেছে প্রতিবিম্ব এবং শব্দ হয়ে, মাঝখানে থাকছে দুরত্ব এবং সময়ের বৈষম্য। ক্ষণস্থায়ী ভাবে বা চিরতরে বন্দী হয়েছে সে অলিক বাস্তবতার জগতে । কেউ হয়তো আর বাস্তব পৃথীবিতে নেই , কিন্তু তাকে এবং তার সময়কে বন্দী রাখা হচ্ছে প্রতিবিম্ব রুপে , স্থির বা চলমান প্রতিমা করে । সময় ,ছায়া ধরা পড়ছে অলিক বাস্তবতার জগতে , যেখানে অতীত বর্তমান লীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আঙ্গুলের টোকাতে সম্পর্ক তৈরী হচ্ছে, হচ্ছে পুরানো সম্পর্ক নতুন করে উজ্জীবিত , কয়েক মিলিমিটারের কিছু অক্ষরের জন্য পরিবর্তন হয় সম্পর্কের আস্তরণ , এখানে সম্পর্ক মানে কিছু অক্ষর,কিছু প্রতিবিম্ব। মানব অনুভূতি নির্ভরশীল হয়ে পরছে অলিক বাস্তবতার সাথে । নিজের এক পরিমার্জিত সংস্করণ করছে অলিক বাস্তবতার পৃথিবিতে ।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
নিলু বলেছেন: লিখে যান
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪
নীল আতঙ্ক বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।