নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপেক্ষাতে ক্লান্ত আমি নষ্ট সারা বেলা

তোমায় আমায় অন্তমিল বৃথাই খুঁজেফেরা।।

শরীফ ফখরুজ্ জামান

তোমার হৃদয়ের করুণা পাবে কি অপদার্থ ভবঘুরে জঞ্জাল এ জীবন, একটাই বর চেয়েছিলাম আমি, আজীবন শুধু তোমায় ভালবেসে যাবার। অমৃত সুধা পান করবো বলে তীর্থর কাক হয়ে রইলাম বসে, সারাটি জীবন, ভীরু কাপুরুষ যা খুশী বল, একবার স্বীকারকর ভালবাস আমায়।।

শরীফ ফখরুজ্ জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক মিনিটে আপনি কি কি করতে পারেন আল্লাহ কে খুশি করার জন্য

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য

{সংশোধন , পরিবর্ধন ও পরিমার্জন যোগ্য }

{আমাদের অফিসে বা কাজ এর স্থান এ আমাদের জন্য আল্লাহর উপাসনা করা, সৎ কাজ এর জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় বিশেষত পশ্চিমা বিশ্বে , অমুসলিম দেশগুলোতে। যে অল্প সময়গুলো আমরা পাই তাতে আমরা কি কি করতে পারি আল্লাহ র সন্তুষ্টি লাভ এর জন্য ?}

সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না - এ প্রবাদ টি আমরা ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি। কিন্তু লক্ষ করার জিনিস হলো কতজন আমরা জানা সত্ত্বেও সময়ের যথাযত মূল্য দিতে পারি ? কত সময় এ না নষ্ট হয়ে যায় অপ্রয়োজনীয় কাজে। বিজ্ঞ লোক তিনি এ যে কিনা সময়ের প্রকৃষ্ট ব্যবহার করেন , নিজেকে নিয়োজিত রাখেন সেই সব কাজে যা কিনা আল্লাহতায়ালা কে খুশি করে। প্রত্যেকটি মুহূর্ত এ সঠিক ভাবে কাজে লাগানো গেলে ব্যাক্তিগত ভাবে যেমন লাভবান হওয়া যাবে তেমনি সামগ্রিক ভাবে মানব জাতির প্রতি ও কল্যানকর জিনিস সম্পাদন করা সম্ভব হবে। প্রত্যেক এ উচিত অলস অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট না করা।
আসুন আমরা চিন্তা করি মাত্র ১ মিনিট সময়ে আমরা কি কি কাজ করতে পারি যা কিনা আল্লাহ র কাছে খুব পছন্দনীয় (দান সাদাকা , কুরআন আত্মস্থ করা, ভালো কাজ করার ইচ্ছা করা, কারো উপকার করা আরো অন্যান্য। .), অনেক নেকি লাভ করা সম্ভব এবং খুদভীরুতা লাভ সম্ভব (আল্লাহ র উপর তাকওয়া )।

সূরা ফাতিহা পাঠ :
এক মিনিটে আপনি সূরা আল-ফাতিহা পরে ফেলতে পারবেন কমপক্ষে ৩ বার, মনে মনে দ্রুত পড়ার মাধ্যমে । কোনো কোনো ইসলামিক চিন্তাবিদ এর মতে একবার সূরা ফাতিহা পথ করলে ৬০০ সওয়াব (সৎ কর্মের জন্য পুরস্কার )পাওয়া যায়। সুতরাং মাত্র এক মিনিটে এ আপনি ১৮০০ সওয়াব অর্জন করতে পারবেন তও মারতো ১ মিনিটে।

সূরা ইখলাস পাঠ :
এক মিনিটে আপনি সূরা ইখলাস পরে ফেলতে পারবেন কমপক্ষে ২০ বার, মনে মনে দ্রুত পড়ার মাধ্যমে । হাদিসে আছে ৩ বার সূরা ইখলাস পড়া আর একবার কুরআন শরীফ খতম দেবার সওয়াব পাওয়া যাবে। সতুরাং ২০ বার পড়ার মাধ্যমে আপনি ৭ বার কোরাআন খতম দেবার সওয়াব লাভ করতে পারবেন তও মাত্র ১ মিনিটে। ধরুন আপনি প্রোটিন দিন ১ মিনিট করে ২০ বার সূরা এখলাস পড়বেন - মাসে আপনি ৬০০ বার পড়বেন এবং বছরে ৭২০০ বার , যা কিনা ২৪০০ বার কোরান খতম দেবার সমমানের সওয়াব হাসিল করা হবে।

কোরান এর একটি পাতা পাঠ করুন :
এক মিনিটে আপনি কুরআন শরীফের একটি পৰ পরে ফেলতে পারবেন।নিদেন পক্ষে একটি ছোট আয়াত মুখস্ত করে ফেলতে পারবেন। অবশ্যই অর্থ সহ।

শাহাদা শরীফ পাঠ করুন:
এক মিনিটে আপনি কমপক্ষে ২০ বার শাহাদা শরীফ পাঠ করতে পারবেন। "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মূলক, ওয়া লাহুল হামদ , ওয়া হুয়া আলা কুল্লি সাইয়িন কাদীর "(আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই , আল্লাহ এক তার কোনো শরিক নেই , সকল জিনিস এর উপর তার আধিপত্য এবং সমস্ত প্রশংসায় তার , এবং তার যা ইচ্ছা তিনি তা করতে পারেন ) . প্রত্যেক বার শাহাদা পাঠে আপনি ৮ জন দাস মুক্ত করার সওয়াব লাভ করবেন।

সুবহানাল্লাহ পাঠ করুন :
এক মিনিটে আপনি কমপক্ষে ১০০ বার "সুবানাল্লাহ ওয়া বেহামদিহি " (আল্লাহ সুবহানওয়াতায়ালা সমস্ত দোষ ত্রুটি মুক্ত এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর ) পাঠ করতে পারবেন। দৈনিক যদি আপনি এ তাসবী পড়েন তাহলে রোজ হাসরএ অপনার সমস্ত দোষ ত্রুটি মাপ হয়ে যাবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমান ও হয়। (অবশই সগীরা গুনাহ। )

জবান (ঠোঁট ) এর জ্যোতি :
এক মিনিটে আপনি পড়তে পারেন "সুবানাল্লাহ ওয়া বেহামদিহি, সুবানাল্লাহিল আজীম " কমপক্ষে ৫০ বার। তাসবীহ তার অর্থ হোলো (আল্লাহ সুবহানওয়াতায়ালা সমস্ত দোষ ত্রুটি মুক্ত এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ সুবহানওয়াতায়ালা সমস্ত দোষ ত্রুটি মুক্ত আল্লাহ তায়ালা সুমহান )। হাদিসে আছে (বুখারী এবং মুসলিম ) এ দুটি বাক্য হলো ঠোঁট (জবান) এর জ্যোতি , খুব এ ওজনদার (অনেক বেশি সওয়াব ) আমল আর আল্লাহ তালায়ার কাছে খুবই প্রিয়।

রাসূল ( সা: ) এর খুব বেশি প্রিয় তাসবীহ :

রাসূল ( সা: ) বলেন " আমি যখন বলি সুবহানআল্লাহ , ওয়াল হামদুলিল্লাহ , ওয়া লা ইলাহা ইল্লাহঃ , আল্লাহু আকবার , (আল্লাহ সুবহানওয়াতায়ালা সমস্ত দোষ ত্রুটি মুক্ত, সমত প্রশংসায় আল্লাহর , আল্লাহ ছাড়া কোনোউপাস্য নেই , আল্লাহ সুমহান ), এ তাসবী আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় তদপেক্ষা যার উপর সূর্য উদিত হয় (অর্থ : সমস্ত দুনিয়া এবং এর সম্পদ এর থেকে ও প্রিয় ) "। এক মিনিটে আপনি কমপক্ষে ১৮ বার পড়তে পারেন। এ শব্দ গুলো আল্লাহ সুবাহানাওয়াতায়ালা কাছে সবচেয়ে প্রিয় , দুনিয়াতে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট শব্দ , খুব এ ওজনদার (অনেক অনেক অনেক বেশি সওয়াব ) আমল।

দুয়া (আল্লাহ কাছে প্রাথণা ) করুন:

এক মিনিটে আপনি আল্লাহ কাছে হাত তুলে দুয়া করতে পারেন। যে কোনো দুআ। দুয়া র বই থেকে ও পড়তে পারেন। যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাতাও ওয়া কিনা আজাব্বান্নার " (হে আল্লাহ আপনি আমাকে দুনিয়াতে পুরস্কৃত করুন (সৎ কর্মের প্রতিদান দেন ) এবং আখিরাতে ও পুরস্কৃত করুন (সৎ কর্মের প্রতিদান দেন ) এবং দোজখ এর আগুন/ আজাব হতে রক্ষা করুন ) । "আল্লাহুমা আজিরনি মিনান নার " (হে আল্লাহ আমাকে দোজখ এর আগুন হতে রক্ষা করুন। ) আরও অনেক অনেক দুআ আছে।

নেক কাজ এর পুরস্কার বহুগুন বৃদ্ধির তাসবীহ :

আপনি এক মিনিট এ পড়তে পারেন নিম্নবর্ণিত তাসবীহ ১৫ বার , যা কিনা নেক কাজ এর পুরস্কার বহুগুন বৃদ্ধই করে দিবে। " সুবহান আলাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি , আদাদা খালক্বিহী , ওয়া রিজা নাফসিহি , ওয়া জিনাতা আরশিহী , ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি"। (আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা পুত পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসার মালিক , {আমি আল্লাহর প্রশংসা করছি} -তাঁর সমস্ত সৃষ্টির সমান অথবা তার থেকে ও বেশি , সেই পরিমান যা তাকে খুশি করে তার থেকে ও বেশি , তার আরশের যত ওজন সেই পরিমান অথবা তার থেকে ও বেশি , তার কিতাব লিখতে যে পরিমান কালি প্রয়োজন তার সমপরিমান অথবা তার থেকে ও বেশি। )। এ তাসবীহ পাঠ নন সব তাসবী থেকে বহু গুন্ বেশি সওয়াব লাভ করা সম্ভব (সহি হাদিস থেকে বর্ণিত ) ।

আল্লাহ র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন :
আপনি এক মিনিট এর মধ্যে ১০০ বার "আস্তাগফিরুল্লাহ " (হে আল্লাহ আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি) পাঠ করতে পারেন। আস্তাগফিরুল্লাহ তাসবী পথ এর গুণাবলী কারো অজানা নয় , এ তাসবী পথ এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার করুনা লাভ সম্ভব হয় এবং জান্নাত প্রাপ্তি সহজ হবে এবং দুনিয়াতে সুন্দর জীবন হবে , বান্দার আধিপত্য হবে (সৎ কাজ এর জন্য নেতৃত্ব দানকারী ) , বিপদ দূর হবে , কর্ম সম্পাদন সহজসাধ্য হবে, বৃষ্টি আনবে (অনাবৃষ্টি খরা দূর করবে ), সম্পর্ক বৃধ্ধি এখন নেক সন্তান লাভ করবে এবং আরো অনেক - আল্লাহতালা জানেন ভালো ।

কুরআন পড়ুন :

আপনি এক মিনিট এর মধ্যেই কোরান এর একটি পাতা অথবা কিছু অংশ পড়তে পারেন।

রসূল (সা: ) প্রতি দরূদ পাঠ করুন:

আপনি এক মিনিট এর মধ্যে রসূল (সা: ) প্রতি দরূদ পথ পথ করতে পারেন। ৫০ বার নিম্নোক্ত দূরদ সহজেই পাঠ করা সম্ভব "সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম " (আল্লাহ তায়ালা তাঁর উপর রহমত করুন এবং তাকে শান্তি প্রদান করুন। ) এর প্রতিদান এ আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা ৫০০ গুন্ সওয়াব দান করবেন আপনাকে। কারণ এক বার দরূদ পাঠ ১০ টি নেকীর (সৎ কর্ম / সওয়াব ) সমান মর্যাদা লাভ করা যায়।

মনে মনে প্রাথণা করুন:
আপনি এক মিনিট মন থেকে আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন। (এ কাজ টি বলা যত সহজ হলো করা ততটা সহজ নয়। পরিপূর্ণ ভাবে আল্লাহ র উপর বিশ্বাসী না হলে এটা করা কঠিন। তবুও আমরা চেষ্টা করবো।) মনে মনে আমরা ধন্যবাদ দিতে পারি আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা কে আমাদের এ সুস্থ জীবন এর জন্য , হালাল জীবিকার জন্য, ভবিষৎ এর সফলতার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে পারি , নেককার সন্তান এর জন্য, কোনো সৎ কাজ এর জন্য সাহায্য চাইতে পারি , আরো অনেক কিছু - সব কিছুর জন্য । যখন আমাদের সব কিছু এ আল্লাহ র থেকে চাওয়া হবে, সব কিছু প্রাপ্তির জন্য আল্লাহ র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস হয়ে যাবে এ পর্যায় কে হয় "উবুদিয়াহ " (আল্লাহর প্রতি সমর্পিত বান্দা /দাস ) । একজন দাস সমস্ত কিছুর জন্য (ভালো মন্দ) তার মালিক এর উপর রাজি খুশি হবে। আর আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা ও সেই বান্দার উপর খুশি হবেন।

উপকারী বই পড়ুন :

আপনি এক মিনিট এর মধ্যেই কোনো উপকারী বই এর ২ পাতা পরে ফেলতে পারেন । জ্ঞান বিজ্ঞান কে কোনো সাকার বই হতে পারে।

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখুন :
এক মিনিট সময় আছে ? টেলিফাহনে এ খোঁজ খবর নেনে আত্মীয়দের। দেশে ফোন করে কথা বলুন বাবা মা'র সাথে।

সালাম দেন :
আপনি অনেক মানুষ কে সালাম দিতে পারেন এবং মুসাফা করতে পারেন এক মিনিট এর মধ্যেই।

নিষেধ করুন :
আপনি এক মিনিট এর মধ্যেই কোনো খারাপ কাজ করতে ব্যারন করতে পারেন অথবা নিষেদ করতে পারেন।

সংযুক্ত হউন :
আপনি এক মিনিট এর মধ্যেই কোন ভালো কাজ এর সাথে নিজেকে যুক্ত করতে পারেন।

উপদেশ প্রদান করুন :
আপনি এক মিনিট এর মধ্যেই কোনো ভাই কে সৎ উপদেশ প্রদান করে পারেন। অথবা কোনো অবিশ্বাসী কে ইসলাম এর দাওয়াত দিতে পারেন।

দুঃখ প্রকাশ করুন :
আপনি কারো প্রতি সমর্মিতা অথবা সহানুভূতি প্রকাশ করতে পারেন এক মিনিট এর মধ্যেই।

কষ্টদায়ক জিনিস অপসারণ করুন:
আপনি রাস্তা থেকে কোনো কষ্ট দায়ক জিনিস অপসারণ করতে পারেন এক মিনিটের মধ্যেই।

আপনি আপনার এক মিনিট যথাযত ভাবে ব্যবহার করতে পারেন যা কিনা নষ্ট হতে পারে নানা কাজে। এক মিনিট এর যথাযত ব্যবহার অভ্যস্ত (আয়ত্ত ) করে নিজের সামগ্রিক সময় সুস্থ সুন্দর ভাবে ব্যবহার করার প্রতি আপনি যত্নবান হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ।

একটি প্রচলিত শায়েরি (অনু কাব্য ) বলে শেষ করবো

"হায় আমি দুঃখ করি না এ জন্য যে
রাত আয়েশে শেষ হয়ে যায় ঘুমে আর
আমার জ্ঞান ও উন্মেষ মোটে ও ঘটে না তাতে ।
এ জন্য কান্না করি, ঘুম ও যে আমার জীবনের অংশ
বিনা কাজে এ যায় শেষ হয়ে। " (অনূদিত : লেখক অজানা )

সময় একেবারে শেষ হবার আগে এ আমরা সময়ের যথাযত প্রয়োগ শিখি, আল্লাহ র পছন্দনীয় কাজে নিজেকে নিয়োজিত করি , শুধু ব্যাক্তিগত জীবন এ নয় সামাজিক এবং সামগ্রিক জীবনে ইসলাম এর প্রয়োগ ও প্রচার এ নিয়োজিত হই।

[রেডিয়েন্ট ড্রপ অফ ইসলাম - সাইট থেকে গ্রহণকৃত এবং অনূদিত ]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

বিজন রয় বলেছেন: +++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.