![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন সবারই থাকে। হোক সে দরিদ্র একজন ফুল বিক্রেতা কিশোরী, কিংবা কোনো অভিজাত পরিবারের সন্তান। কেউ অল্পতেই ভীষণ তৃপ্ত, আর কেউ বা যত পায় ততই চায়। সত্যিকার হাসির মাঝে জীবনের স্পন্দন খুঁজে পাওয়া যায়। একদিন এ ছোট স্বপ্ন হতে পারে জীবনের আলোকিত কোনো অধ্যায়। প্রতিটি জীবিকার প্রতি আমাদের সন্মান থাকা উচিত। কারণ সৃষ্টিকর্তার কাছে একই মানুষ সবাই
তারিখ:১২/০৪/১৫ ইং
বরাবর,
কন্যার বাপ,
মেয়ের বাড়ি,বাংলাদেশ।
বিষয়ঃআপনার মেয়েকে বিবাহ করার জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে,আমি আপনার মেয়েকে বিবাহ করার জন্য একজন আগ্রহী বর ! আমি গত তিন বছর ধরে আপনার মেয়েকে পছন্দ করে আসতেছি। আপনার মেয়েকে কোন রকম বিরক্ত না করেই বুঝাতে চেয়েছি আমি তাকে বিবাহ করতে চাই। ভালবাসা নামক অভিনয়ে আমি কোন রকম ধোঁকাবাজি করতে আগ্রহী নই। কিন্তু আপনার মেয়ে আমার কথা জানতে পেরে সরাসরি আপনাকে বলার জন্য অনুরোধ করেছে। তাই চিঠি লিখতে বাধ্য হলাম।এই চৈত্রের খোরা রোদে তৃর্ষ্ণাতো কাকের ন্যায় আমি আপনার মেয়েকে পানির মত চাই। বিড়ি আর দিয়াশলাইয়ের মতই ভালবাসবো আপনার মেয়েকে! মাছ আর পুকুরের মতই রাখবো আপনার মেয়েকে আপন করে। বিশ্বাস করেন, তরকারি ছাড়া যেমন ভাত খাইতে কষ্ট হয় তেমনি আপনার মেয়েকে না পেলে অনুরুপ কষ্ট আমারও হবে। আপনি কন্যার বাপ হিসেবে বিষয়টা ক্ষতিয়ে দেখবেন বলে আশা করছি। তবে এই বিষয়টাও আপনাকে অবহিত করা প্রয়োজন যে,আমি আপনার মেয়েকে সারাজীবন অনেক সুখেই রাখার চেষ্টা করবো, আর বিয়েতে কোন ধরনের যৌতুক নেওয়া থেকে বিরত থাকিবো।
অতএব,এমতাবস্থায় আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে,আমার জন্য এই মূল্যবান উপকারটুকু করে আমাকে চিরদিনের জন্য আপনার জামাই করে স্মরণীয় করে রাখতে সচেষ্ট হবেন। আমার আকুল আবেদন, আপনার মেয়েকে আমার সাথে বিবাহ দিতে জনাবের মর্জি হয়!
নিবেদক
নামঃ মিঃ পিঁপীলিকা
(বিঃদ্রঃ কেউ আবার ভাবিয়েন না বিয়ে করবো)
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫১
মিঃ পিঁপীলিকা বলেছেন: ভাই এর থেইকা ভালো ঠেলা গাড়ির নিচে পইরা মরি
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২৬
ৈতয়ব খান বলেছেন: সূত্রঃ বিকজআপ/তাং- ১২-০৪-২০১৫
বরাবর
কন্যার প্রেমিক
ভবঘুরে নিবাস, ফকিরাপুল
বিষয়ঃ প্রাপ্তি স্বীকার বিষয়ক।
প্রিয় বৎস
আপনার আবেদনের পে্রক্ষিতে আমি যারপরনাই অতিশয় আনন্দিত হইয়াছি। আমার ছ্যাদামুখি মেয়েটাকে আপনি পছন্দ করিয়া তাহার পাণি গ্রহণ করিতে যে আশা পোষণ করিয়াছেন তাহাতে আমার কোনপ্রকার আপত্তি নাই। আপনার হবু শাশুড়ির সাথে বিষয়টি লইয়া আলোচনা করিয়া দেখিলাম, ইহাতে তাহারও কোন প্রকার দ্বিধা নাই। আমার কন্যার মুখেও আনন্দে কোন প্রকার বাক বাহির হইতেছে না। কেননা, জন্ম হইতেই সে কোনরূপ কথা কহে না। তাই সে বিষয়টিকে অত্যন্ত হর্ষচিত্তে গ্রহণ করিয়াছে। কেননা যখন সে জানিয়াছেন যে আপনি তাহাকে বিবাহ করিতে একপায়ে খাড়া আছেন, তখনই সে অনুমান করিয়া লইয়াছে যে, আপনি ছোটবেলায় পোলিওতে একপা হারাইয়াছেন।
আরেকটি খুশির সংবাদ, আপনি এই বিবাহে কোনপ্রকার যৌকুক লইয়া কৌতুক করিয়ে চাহেন নাই। কিন্তু কথা হইতেছে, মুসলিম বিবাহ মতে মেয়েকে মোহরনা দিতে হইবে। এখন আপনি এই বিষয়টি কিভাবে কি করিবেন, তাহা আপনার আবেদন পত্রে বিস্তারিত লিখেন নাই। বিধায় কন্যার মাতা চিন্তিত আছেন। তিনি আশা পোষণ করিতেছেন, আপনি সম্ভবত খুব শিঘ্রই তাহার কৌতুহল দমনে সচেষ্ট হইবেন।
অতএব, এই পত্র পাওপর পর আপনার অনুভূতি জানিতে চাহিতেছি।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ আমি মাত্র এক বছর হয় বিবাহ করিয়াছি। বিধায় আমার কন্যার জন্য আপনাকে কমপক্ষে উনিশ বছর অপেক্ষা করিতে হইবে। বলা যায় না, কন্যার মুখে তখন কথা ফুটিতে পারে। আপনি ঠকিবেন না।
নিবেদক
আপনার শ্রদ্ধেয় শ্বশুড়
(পা বাড়াইয়া রাখিয়াছি, এক সময় কদমবুছি করিয়া যাইবেন।)