![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu
গত চাইর বছরের তেমন কোন রেফেরেন্স ছাড়া রাশিয়ার সাথে হঠাৎ এত ঘনিষ্ঠতা আমি আওয়ামি লিগ বা শেখ হাসিনার আনপ্রেডিক্টেবল আচরন বলবোনা।
আনপ্রেডিক্টেবল কথাটা অনেক সময় মেধাবীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। তারা খারাপ পারফর্র্মেনসের মধ্যে হঠাৎ এমন একটা কাজ করে যে সবাই কে চমকে যায়। আমি বরং এটাকে বলব খামখেয়ালীপনা। ইচ্ছা হৈল করলাম টাইপের আচরণ।এই খানে কোন বুদ্ধি, মেধা আর প্রজ্ঞা তো দুরের কথা সিম্পল কমন সেন্সও নাই।
বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় রাশিয়ার তেমন কোন স্টেক নাই। ফলে রাশিয়া কোন ইস্যুতে আমাদেরকে জেনুইন সাপোর্ট দিবেনা। যতখন পর্যন্ত ব্যাবসা আছে ততক্ষণ ওরা আমাদের তেলাবে, সাংসদিয় কমিটির জয়েন্ট মীটিং ডাকবে। আর আমাদের উহিমসিকাল প্রধানমন্ত্রী গলা ফুলিয়ে বলবে, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে সুফল রেখে গেলাম।
বাল ।
এই অঞ্ছলে, জেনুইন স্টেক আছে চিন এর। চিন বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় বিপদে আছে। ইন্ডিয়ার সাথে তাদের অবিশ্বাসের সম্পর্ক। ইন্ডিয়ার সাথে তাদের যুদ্ধ হইছে কয় এক দশক আগে এবং নতুন বিশ্বের প্রতিযোগিতায় এরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী । মিয়ান্মার চিন এর বলয় থেকে বেরিয়ে ধীরে ধীরে ঘেষে যাচ্ছে আমেরিকা এর ইন্ডিয়ার দিকে।
আরও দক্ষিণে গেলে স্ত্রেইট অফ মাল্লাকার চিন এর জন্যে প্রচণ্ড ভাবে স্ত্রেটেজিকালি গুরুত্তপুর্ন। ওই টা দিয়ে পৃথিবীর এক ত্রতিয়াংশ তেল পাস হয় ডেইলি। ওইটা চিন এর অর্থনীতির ব্লাডলাইন। কিন্তু দক্ষিন চিন সমূদ্রে দাদাগিরি ফলানোর এর কারনে ইস্ট এশিয়ার সব দেশ চিন এর উপর চরম খাপ্পা। ফলে মাল্লাকার স্ট্রেট এর পাশের দেশ ইন্দোনেসিয়া, মালায়সিয়া বা সিঙ্গাপুরে চিনকে আর বিশ্বাস করেনা। স্ট্রেট অফ মাল্লাকার থেকে বেরিয়েই খোলা বঙ্গোপসাগর বা ইন্ডিয়ান ওশেন। তাই এই জাগায় বাংলাদেশ বাদে আর কেও চিন কে প্রশ্রয় দিবেনা।
পৃথিবীর আর কোন দেশ আমাদের চাইর আনাও পুছেনা। কিন্তু এক মাত্র চিন এর ই বাংলাদেশ কে দরকার। এবং আমাদের ও চিনকে দরকার। কারন চিন অথনৈতিক, রাজনৈতিক সকল দিক থেকেই চিন আমাদেরকে একটা ব্যাপক সাপোর্ট দিতে পারে। চিন এর হাতে আছে, ইনভেসট করার মত ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ান ডলার এর এক্সট্রা রিজার্ভ। যেই টা তারা আফ্রিকাতে গিয়েও ইনভেস্ট করছে। চিন কে, আরো কাছে টানলে, আমরা তার সুফলও পাব। আমাদের কাছ থেকে জেনুইন বন্ধুত্ত পাওয়ার বিনিময়ে পদ্মা সেতূর মত পাঁচ টা সেতু করে দেয়া চিন এর জন্যে কোন বেপার না।
এই টা কোন জটিল আনালিসিস না। ভূ রাজনীতি খেয়াল করে, এমন একটা ক্লাস টেন এর ছেলের ও এইটা বুঝার কথা। কিন্তু আমাগো নেতারা, সেই চিনরে ফালায়া দিয়া রাশিয়ার রসিয়া বন্ধু হইলেন, এত হাজার কোটি টাকা দিয়া অস্ত্র নিলেন, পারমানবিক বিদ্যূত এর চুক্তি করে আসলেন আর আমরা রাশিয়া পন্থি হইলাম। কি আনন্দ।
মাঝে মাঝে মনে হয়, দেশ হিশেবে আমরা ক্রমাগত গর্দভ হয়ে পড়ছি আর একটা ধারাল কুড়াল দিয়ে ক্রমাগত নিজের পায়ে বাড়ি দিচ্ছি।
Click This Link
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: হাসিনারে এত বেক্কল ভাইবেন না। এইখানে আপনের দেওয়া হিসাব বাদে আরো হিসাব আছে।
মায়ানমার আমেরিকার সাথে হাত মিলাইছে মানে যে চিনরে ছাইড়া দিছে ভাবলে ভুল। মায়ানমার সবসময়ই চিনপন্থী থাকবে, আমেরিকা শুধু একটা ধুয়া। দেখাইল খালি যে তারা আম্রিকার সাথে আছে। মায়ানমারে শুধু আমেরিকার কিছু কোম্পানি আইসা কিছুটা ব্যাবসা করব, এর বেশী কিছু হবে না।
আমাদের হুমকি দুইটা, মায়ানমার আর ভারত। মায়ানমারের কারনেই চিনের সাথে থাকা সম্ভব না। যে কোন যুদ্ধাবস্থায় চিন মায়ানমারকে সরাসরি সহায়তা করব।
ভারত রাশিয়ার বড় মিত্র। কিন্তু যুদ্ধাবস্থায় রুশরা ভারতরে সরাসরি সহায়তা করবে না। আর ভারত রাশিয়ারে যে চোখে দেখে আমেরিকারেও সেই চোখে দেখে। ভারতের সাথে রাশিয়ার এখন পুরোই বানিজ্যিক সম্পর্ক, আগেই সেই আত্মিক সম্পর্ক নাই।
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি যদি রাশিয়া কইরা দিয়া যায়, অনেক এগিয়ে যাবে আমাদের অবস্থা।
আর বাংলাদেশ এখন আর আগের অবস্থায় নাই। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ এখন অন্য কোন বড় শক্তির মুখাপেক্ষী থাকতে রাজি না। নিজেরাই এখন স্বয়ংস্মপূর্ণ হতে চায় বাংলাদেশ।
ভারত আর পাকিস্তান যেমন গলাবাজী করে আমরা তেমন গলাবাজি করি না। আমরা তো কাগজে কলমে নিম্ন আয়ের দেশ। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ। ভারত পাকিস্তানের মত আমরা যা আছে তার থেকে বেশী বাড়িয়ে নিজেকে বড় করে দেখাই না। বরং কম কম কইরা দেখাই। এতে অনেক সুবিধা আছে। যা করার তলে তলে করে বাংলাদেশ। দেখাইয়া দেখাইয়া না।
পদ্মা সেতু করার টাকা সরকারের ঠিকই আছে। কিন্তু সরকার ঐদিকে যাইবো না। সরকার বাংলাদেশরে নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে গরীব দেশ হিসেবেই দেখাইব। এতে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। বিশ্বব্যাংকরে কি ভাল প্রতিষ্ঠান মনে করেন? যে দুর্নিতীর কারনে তারা ঋণ দিব না? বিশ্বব্যাংক হইল রক্তচোষা সংগঠন। এরা এইসব দুর্নিতীর ধার ধরে না। এরা কোন দেশরে সুবিধা দিয়া সুবিধা নেয়। আবুলরে তো পদত্যাগ করাইল। তারপরেও তো বিশ্বব্যাংক টাকা দিতে রাজী হইল না কেন? কারণ তারা জানে বাংলাদেশের টাকা আছে, কিন্তু খরচ না কইরা বিশ্বব্যাংকের টাকা দিয়া কাজ করব। আর নিজেগোর টাকা অন্য কাজে লাগাইব। বিশ্ববাংক বুঝছে এইখানে খেলোয়াড় তারা নিজেরা না, এইখানে খেলোয়াড় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এইখানে বিশ্বব্যাংকরে নিয়া খেলতাছে। তাই তারা পিছাইয়া গেছে।
আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব করা আর খাল কাইটা কুমির আনা একই কথা। চিটাগাং এ যদি আমেরিকারে বাংলাদেশ ঘাটি বসাইতে দেয়, আমেরিকা মাগনা বিশটা এফ-১৫ বিমান দিয়া যাইব বাংলাদেশরে। কিন্তু ঐ পথে পা বাড়াইলে আমাদের ভবিষ্যত পাকিস্তানের মত হবে। ঐদিকে যাওয়া যাবে না।
হিসাব মতে রাশিয়ার সাথেই সম্পর্ক করা ঠিক আছে। আরেকটু দাড়াইয়া নিক বাংলাদেশ নিজের পায়ে তখন আর বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানি হবে না, নিজেরাই বানাবে। শুধু অপেক্ষা করেন এখন।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭
ইন২বাংলা বলেছেন: রাশিয়া ওখন একটা অচল মাল বিশ্ব বাজারে। সেই রকম অচল রাশিয়ার মালগুলিও। গত আওয়ামী টার্মে হাসিনার কেনা রাশিয়ান মিগগুলা এখন আকাশে উড়ে না। ওগুলা দিয়া শুধু হাসিনার জ্বালা মিটানো ছাড়া আর কোন কাম হয় না।
চীনই একমাত্র বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে। কারন চীনের সাথে ভারতের ঐতিহাসিক শত্রুতা আছে। আর চীন মায়ামমারকে এখন বেশী ভালো পায় বাংলাদেশের (আসলে আওয়ামীলীগের) সাম্প্রতিক ভারতের কোলে বসে আদর খাওয়ার নীতির কারনে।
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
ইন২বাংলা বলেছেন: রাশিয়ান টেকনোলজি দায়া বাংলাদেশে পারমানবিক প্লান্ট বসাইলে সেইটার অবস্থা চেরনোবিল হইতে বেশী সময় লাগবো না...
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন:
আমার ঘরের জানালা দিয়া দেখা পারমাণবিক প্লান্ট। এইডার বিদ্যুৎ শহরের লোকজনে খায়। এইমাত্র ছবি তুললাম। চাইর বছর ধইরা দেখতাছি, এখনও চেরনোবিলের মত ধ্বংস হয় নাই। বাইচা আছি এখনও।
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
কলাবাগান১ বলেছেন: @ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি; সহমত
উপরের জামাতিগুলা শুধু বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছে.. লজিকের ধারে কাছে নাই...। আজ যদি ভারত থেকে অস্ত্র কিনত, তাহলে এরাই আবার বলা আরম্ভ করত যে রাশিয়ার অস্ত্র কান কিনল না........। যদিও আমি মনে করি না যে বাংলাদেশের এখন অস্ত্র কিনা প্রায়োরিটি
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২২
শার্লক বলেছেন: সময় রাশিয়ারও আসবে। কেন জানি মনে হয় ওরা একসময় আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে। তখন আমেরিকার এই দাপট থাকবে না।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: @ কলাবাগান১, অস্ত্র এখনও দেখছেন কি, আরো বাকী আছে। ২০২১ সাল আসতে দেন। সামরিক শক্তি আধুনিকায়ন তো মাত্র শুরু করল। মাত্র ১ বিলিয়ন ডলার ঢালছে, সামনে আরও ঢালবে। বিমান বাহিনীর আরও আধুনিকায়ন হবে।
মিয়ানমার ইদানিং বড় বাড়া বাড়ছে। মিয়ানমাররে জাতা দিতে সামান্য কিছু অস্ত্রই কিনছে। সেনাবাহিনী প্রাক্টিসে থাকুক। বিমানবাহিনীরে ইয়াক দিছে, কারণ আমাদের ভাল প্রশিক্ষণ বিমান নাই। প্রশিক্ষণ নিতে অন্য দেশে যাইয়া অনেক টাকা খরচ করতে হয়। শুধু শুধু মিগ কিনলে তো হবে না, পাইলটদের মিগ চালানির জন্য ভাল প্রশিক্ষণ বিমানও লাগে। হাসিনা সামনে ভারতরেও জাতা দিবে। সমুদ্রসীমা নিয়া কিন্তু হাসিনা ভারতের সাথে সমঝোতা করতে রাজী না। ঐদিকে খালেদা কিন্তু রাজী। হাসিনা সামনে ভারতরেও বাশ দিবে। সমরশক্তি বা অস্ত্রের দরকার আছে। মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজগুলি বাংলাদেশের সমুদ্রে ঢোকার সাহস পায় কোথা থেকে? ভারত বা মিয়ানমার যেন বাংলাদেশের সাথে দাদাগীরি করার সাহস না পায় সে জন্য শক্ত সামরিক বাহিনী দরকার। দেশ সামরিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়লে তখন মিয়ানমার আর ভারত লাই পেয়ে যায়। এগুলো সাদা চোখে ধরা পড়ে না। তাই আমরা অনেকে না বুঝেই অস্ত্র কিনার বিরুদ্ধে লাফাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
উদাসীফাহিম বলেছেন: dude........ami apnar sathe ekmot..........hoy amader americar sathe thakte hobe na hoy chine gesha hote hobe.russia ar ek number ba dui number economomic b supper power hote parbena...........