![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu
এই আন্দোলন টা শুরু থেকেই ৩০০ মানুষের হত্যার দোষে দোষী সাব্বাস্ত কাদের মোল্লার যাবৎ জীবনের ফলে -বিচার ব্যবস্থার যে গর্ভপাত ঘটেছে তার প্রতিবাদে একটা আন্দোলন। এই আন্দোলন এ কখনও ধর্মীয়, বা আন্টি ধর্মীয়ে চরিত্র ছিল না।
মাঝ খানে অতি ধর্মনিরপেক্ষ বাদি একটা পক্ষ কোন ওয়ার্নিং ছাড়া মিডিয়া তে ঘোষণা দেয় যে, এই টা ধর্মীয় রাজনীতি নিধিদ্ধের জন্যে আন্দোলন। এর অন্য দিকে আমার দেশ গং আর বাঁশের কেল্লা পার্টিও দেখাতে চাইছে, এইটা আসলে বাংলাদেশে ইসলাম এর বিরুদ্ধে বাম পন্থি নাস্তিক দের হাতে আওয়ামী লীগ এর প্রক্সি আন্দোলন।
আন্দোলন এর মূল অর্গানাইযার রা মানুষের অভূত পূর্ব পারটীসিপেশান এ আত্মহারা হয়ে টের পাচ্ছেন না এই দুই টা পক্ষই, তাদের নিজেদের অবস্থান টাকে আন্দোলনের মূল মেসেজ হিসেবে ডিফাইন করছে।
রাষ্ট্র থেকে ধর্ম কে বিজুক্ত করার যে বিতর্ক টা একটা প্রয়জনিয় বিতর্ক। ইতিহাস বলে, নিকট অতিত এর সব উদাহরণ বলে, ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র কে চালালে সেই রাষ্ট্র ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠে। এইটার পক্ষেও আবার অনেক যুক্তি আছে। কিন্তু এইটা একটা সেন্সিটিভ ইস্যু। বাংলাদেশের রাজনিতিতে বিগত ২০ বছরে এই ইস্যু তে, এত বেশি অসততার ও এত বেশি পলিটিকাল গোল দেয়ার প্রবনতা দেখা গেছে যে , যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রস্নের সাথে এই প্রশ্ন টাকে না আনাটাই বিচার নিশ্চিত করার জন্যে মঙ্গলজনক।
কাদের মোল্লার যাবতজীবন রায় হওয়ার প্রাথমিক যে ক্ষোভ এবং তা থেকে উদ্ভূত গণজাগরণে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ সাড়া দিসে, এইটা আমাদের জাতির জীবনে আনপ্রেসিডেন্টেড। কোন নেতা ছাড়া, কোন রাজনইতিক দলের ব্যানার ছাড়া মানুষ কখনও এভাবে রাস্তায় নেমে আসে নাই। এই ক্ষোভ এর দিসেক্সান করলে দেখা যাবে ৩০০ মানুষ হত্যার দেয়ে অভিজুক্ত ব্যাক্তির যাবতজীবন রায় এর ফলে প্রকাশ পাওয়া অবিচার এবং পলিটিকালী মোটিভেটেড জাজমেন্ট এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করাটা ছিল মানুষ এর অন্নতম প্রধান চাওয়া। প্রাথমিক ভাবে এই টাই ছিল আন্দোলন এর প্রধান স্পিরিট।
এই টা এই জন্যে বলছি, আজ থাবা বাবার দুঃখ জনক হত্যা কান্ডের পর আবার এই দুই পক্ষ যথেষ্ট রসদ পাবে তাদের নিজেদের পক্ষে। থাবা বাবা একজন খুব্ই radical, নাস্তিক ছিলেন। আজ তার মৃত্যুতে, তার অনেক লেখা সামনে আসবে যেটা দেখে সাধারণ ধর্ম প্রাণ, মুসলমানেরা আৎকে উঠবে এই চিন্তা করে, আসলেই তো সোনা ব্লগ এর বাঁশের কেল্লা গ্রুপ বা আমার দেশ তো ঠিক ই বলেছিল।
অন্য দিকে, ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পক্ষের ব্যক্তিরা বলবে, যারা বিরুদ্ধ মত এর মানুষ কে এভাবে জবাই করে, তাদের কে প্রতিহত করা জরুরী। ওদের দেখা মাত্র গুলি করতে হবে।
এবং এই এই আস্তিকতা এবং নাস্তিকতা বিতর্ক, এবং এই ধর্ম পক্ষ ও ধর্ম নিরপেক্ষতার বিতর্ক এখন এই আনদোলনের সাথে আর গভির ভাবে সংযুক্ত হবে, যেইটা ছিল সোনাব্লগ গ্রুপ আর আমার দেশ গ্রুপ এর প্রধান চাওয়া।
অথচ, এই আন্দোলনে কখনও কোন ধর্মীয় চরিত্র ছিলনা। এই টা বিচার হীনতার বিরুদ্ধে, জাস্টিস এর রাজনিতিকরন এর বিরুদ্ধে, ৪১ বছর ধরে না হওয়া একটা বিচার কে অবিতর্কিতভাবে, সঠিক রায় দিয়ে সমাধান করার জন্যে একটা আন্দোলন।
অন্য এক দিক থেকে যদি দেখি, এই টা আমাদের টোটাল বিচার বেবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের অনাস্থার প্রকাশ। শাহবাগ আন্দোলনকে, বানলাদেশের প্রেক্ষাপটে আদালত অবমাননাও বলা যাই। আমাদের জাসটিস সিস্টেম, সারা প্রিথিবির সব চেয়ে নিকৃষ্ট বলে, মতামত দিয়েছে বেশ কিছু আন্তরজাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
যদিও এখন কেও এই নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়, এবং এই নিয়ে তেমন কোন কথা আসে নাই , কিন্ত শাহবাগ আন্দোলনের একটা অন্তরনিহিত চাওয়া হল, আইনের শাসন এবং ফেয়ার জাস্টিস সিস্টেম এর প্রতি আমাদের আকুতি প্রকাশ। যেটা নাই বলেই, আজ কাদের মোল্লার ফাসি চেয়ে আমাদের রাস্তায় নামতে হইসে। যেই বিচার বেবস্থা ঠিক থাকলে, কাদের মোল্লার অবশ্যই ফাঁসি হতো। যেটা নাই বলে, আজ এই ভাবে একজন মানুষ, সে ব্লগার হক, নাস্তিক হক, বা আস্তিক হক- এভাবে বাড়ির সামনে জবাই হয়ে যেতে পারে এবং নিশ্চিত ভাবে যার কোন বিচার হবেনা।
এই হত্যাকাণ্ড সকল দিক থেকে আন্দলনের জন্যে একটা বড় আঘাত। এবং এর লং টার্ম ইমপ্লিকেসান সকল দিক থেকে অশুভ। এই হত্তাকাণ্ডের কারনে, অনেকেই অনেক ফাদ পাতবে। আন্দোলনের অরগানাইযারদেরকে এই ট্র্যাপ গুলো কে দেখে, পথ চলার এবং পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে সতর্ক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ করছি।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪০
নীলকন্ঠ. বলেছেন: যাহার ইচ্ছা নাস্তিক হওয়ার তিনি নাস্তিক হইয়া যাইতে পারেন। কিন্তু নাস্তিক্যগিরি প্রকাশ করিতে গেলে কেন ইসলামকে আক্রমন করিতে হইবে? ইসলামকে আক্রমন না করিলে নাস্তিক্যের পরিপূর্ণতা ঘটে না এই জন্য? নাস্তিক হিসেবে কদর পাওয়া যায়না এই জন্য? আমাদের বিশিষ্ট শাহবাগী থাবা বাবা (রাজীব) নাস্তিক হিসেবে কদর পাওয়ার জন্য যে সব লিখিলেন নাস্তিকরা কোন মস্তিষ্কে ইহাকে সঠিক বলিয়া মানিয়া নেয়?
আমরা দাবী জানাইতেছি, থাবা বাবা গ্রুফ মৃত্যুর পর তাদের সৎকার কীরূপে হইবে - এই বিষয়টা খোলসা করিয়া দিক।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯
গরিব বলেছেন: *কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভালো লিখেছেন। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কোন বিশেষ গোষ্ঠী এদেশের মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করে হিংস্ত্র অবস্থায় মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চাচ্ছে। যার বাস্তবায়ন হলে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের জন্য আরেকটি সম্ভাবনাময় বাজার তৈরী হয়
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: একটা শতস্ফুর্ট আন্দোলনকে সবাই চাচ্ছে নিজ নিজ উদ্যেশ্য হাসিলের স্বার্থে ব্যবহার করতে। কেউ কেউ পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এই আন্দোলনকে ব্যার্থতায় পর্যবসিত করতে।
৯০ এর পরে এই রকম একটা আন্দলন গড়ে তুলতে লেগেছে ২১ বছর এবারে আমরা ব্যর্থ হলে পরের গনজাগরনটা গড়ে তুলতে আর কত বছর অপেক্ষা করতে হবে বিধতাই ভাল বলতে পারবেন।
আপনার পোষ্ট টি সুন্দর হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভালো লিখেছেন। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কোন বিশেষ গোষ্ঠী এদেশের মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করে হিংস্ত্র অবস্থায় মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চাচ্ছে। যার বাস্তবায়ন হলে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের জন্য আরেকটি সম্ভাবনাময় বাজার তৈরী হয়!