নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিয়া হাসান

এইটা আমার ব্লগ।

ম্যঙ্গোপিপল

সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu

ম্যঙ্গোপিপল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রদায়িক বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে মুভমেন্টের জন্যে গরীব কিছু মানুশের বাসি কথা-প্লিয গাইল দিয়েন না।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

আমি আপসেট ফিল করতেছি। অনেক আপসেট।

আজকের ঘটনাপ্রবাহ আন্দোলনের জন্যে বিশাল একটা আঘাত। এইটা কাম্য ছিলনা।

আমাদের ফেসবুক একটিভিজম এবং ব্লগিং এর একটা গোল আছে। আমরা প্রচলিত রাজনৈতিক শক্তির বাহিরে নতুন প্রজন্মের উত্থানে স্বাধীনতার যে মৌলিক চেতনা তার পুনরুত্থান আশা করি । এবং আশা করি এই ঘুণে ধরা পঁচা রাষ্ট্রে আর এই জাগরণ পরবর্তীতে একটা সামগ্রিক পরিবর্তনের জোয়ার নিয়ে আসবে।

আশা করার কারণ ও ছিল।

কারণ আজ থেকে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে যেই অভূতপূর্ব ভাবে সারা দেশের সকল পেশার, সকল ধর্মের, সকল শ্রেণির সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, সে এক অসামান্য ঐক্য নির্দেশ করে। সেই ঐক্যে কোন আস্তিক, নাস্তিক, হিন্দু, মুসলমান প্রশ্ন ছিলনা।

সেই ঐক্য টা অনেক ইনস্পায়ারিং। অনেক অনেক স্বপ্ন দেখায় সেই ঐক্য। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা একলা একলা টেবিল টক, আর চায়ের কাপ এ রাজা উজির যতই মারি, আমরা আমজনতা পলিটিকাল এস্টাব্লিশ্মেন্ট এর কাছে মাইর খাইয়াই যাবো। কিন্তু আমরা যখন ১ লক্ষ লোক এক সাথে শাহবাগে দাঁড়িয়ে একই চাওয়ার কথা বলি, তখন পলিটিকাল এস্টাব্লিশ্মেন্ট আমাদের ডরায়, আমাদের কথা শুনতে বাধ্য হয়।



যদিও সেই ঐক্যে শুধু কাদের মোল্লার ফাঁসি চাওয়ার ডাক ই শোনা গেছে কিন্তু সেই ঐক্য পুরো দেশের একটা সামগ্রিক পরিবর্তনের ডাক দেয়। কান পাতলেই সেই ডাক পরিষ্কার ভাবে শোনা যাচ্ছিল।



আমি বেশ ক একজনকে দেখেছি যাদের আমি বি এন পি মনা বলে জানি, কিন্তু তারা তাদের চার পাঁচ বছর এর বাচ্চাকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গণজাগরণ মঞ্চে গেছে। এই গণজোয়ার এই ধরনের সংশয়বাদী অনেককেই, চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল, তাদের সমর্থনের ভুলটাকে। তারাও বুঝতে পারছিল, আমাদের স্বাধীনতার সূর্য সৈনিকদের হত্যার বিচার হওয়া প্রয়োজন। এবং দেশের আপামর জনতা সেটা চায়। আওয়ামী লিগ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে রাজনীতি খেলে বলে, সেই দাবিটা খেলো হয়ে যায় না। একই সাথে সেই ঐক্য দিয়ে আমরা সকল সংকীর্ণতার খপ্পর থেকে, জয় বাংলা স্লোগান কেড়ে এনেছিলাম। সেইটাও তো অনেক বড় একটা পাওয়া, যার মহিমা লিখতে গেলে আরেকটা নোট লিখতে হবে। এক মাত্র সমাজের সব শ্রেণির মানুষের ঐক্যের কারণেই এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছিল। এর পূর্বে দেশ ছিল বিভক্ত, জয় বাংলা স্লোগান দিতে একজনকে চিন্তা করতে হতো, সে কোন দলের পক্ষ নিচ্ছে নাকি।



আমাদের উভয় পলিটিকাল পার্টির জন্যে দেশকে বিভক্ত করে মানুষের মধ্যে বিভিন্য রকম আইডলজিকাল ডিবেট জিইয়ে রাখাটা খুব ইম্পরট্যান্ট।



এই ক্ষেত্রে দুই দলের দুই রকম স্ট্র্যাটেজি। একদল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষের শক্তির ডিভিশান করে, আরেক দল ভারতের দালাল এবং ইসলাম এর পক্ষ বিপক্ষ শক্তি হিসেবে দেশটাকে বিভক্ত করতে চায়।

এই আইডিয়লজিকাল বিতর্কটা টিকিয়ে রেখে, তা দিয়ে মানুষকে বিভক্ত করে উভয় দল দুর্নীতিকে আড়াল করে পালাক্রমে রাষ্ট্রকে লুট এবং দেশের শেষ কড়ি বর্গা, সব টেন্ডার, কন্ট্রাক্ট, তেল গ্যাস, রাস্তাঘাট সহ সব কিছু নিজেদের নেতা কর্মিদের মাঝে বণ্টন করে নেয়ার একটা সফল স্ট্র্যাটেজি চালু রেখেছে।



এই আইডিয়লজিকাল ডিবেট দুইটার বাহিরে তাদের কোন পার্থক্য নাই। তাদের ইকনমিক পলিসি একই, তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি একই। তারা এক বারে বসে এক সাথে মাল খায়, নিজেদের মধ্যে ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেয়, এক সাথে ব্যবসা করে, এক সাথে পার্লিয়ামেন্টারি সাব কমিটিতে বসে মন্ত্রণালয়ের সম্পদ গুলো ভাগ বাটওয়ারা করে নেয়।

তাই, এই দুই দল এর নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যখন মানুষের মঞ্চ দাঁড়াল। আওয়ামী লিগ এর রাশ ভারি নেতাদের যখন জনতা জুতা মেরে, মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিল তখন পুরো দেশে একটা স্বপ্ন জেগেছিল; এটা একটা নির্দলীয় মঞ্চ, ..... পলিটিকাল সিস্টেম এর বাহিরে সাধারণ মানুষের একটা মঞ্চ, আমাদের মঞ্চ ...... আমজনতার মঞ্চ।



সেই মঞ্চ যে আশা তৈরি করেছে, তাকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠে মানুষ। একটা দমবন্ধ, গুমোট পরিবেশ এর মধ্যে হঠাৎ মুক্ত বাতাস আসার মত প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিয়েছিল মানুষ। ঐ মঞ্চে আস্তিক নাস্তিক, হিন্দু , মুসলমান, ছাত্র, মোল্লা কোন পরিচয় মুখ্য ছিলনা। রাজনৈতিক সিস্টেমের বাহিরের এই মঞ্চকে তাই বলা হয়েছিল, সামাজিক শক্তি।



আজ আমি হতাশ কারণ, সেই ঐক্যের মঞ্চে খুব প্লান সহকারে একটা আস্তিক নাস্তিক ডিবেট তৈরি করে মানুষের মধ্যে ডিভিশন সৃষ্টি করা হয়েছে।



ওই ডিভিশনটা সব রাজনৈতিকই শক্তিই, কায়মনোবাক্যে, চাচ্ছিল। । পলিটিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট চেয়েছে, জন মানুষের মঞ্চ বিতর্কিত হোক, যাতে লাখে লাখে মানুষ এভাবে শাহবাগে এবং দেশের পাড়ায় পাড়ায় অরাজনৈতিক মঞ্চে ছুটে না যায় এবং এমন করে ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্নীতি এবং অন্যান্য লুটপাট কিংবা প্রথাগত রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে একটা প্রতি-শক্তি না হয়ে দাড়ায়। ডান আর প্রতিক্রিয়াশীল গ্রুপ ও চেয়েছিল এই মঞ্চ বিতর্কিত হোক এবং যুদ্ধাপরাধের দাবি জোরাল না হোক, যেন তাদের রাজনৈতিক মিত্র জামাতের সাথে ভোট এর সমীকরণে কোন আনসারটেইনিটি না আসে। এই জন্যে তাদের প্রোপাগান্ডা মেশিন ছিল সব চেয়ে বেশি চড়া।



তাদের এই চাওয়ার মুখে, জাগরণ এর ১৩ তম দিনে, রাজীব এর হত্যা ছিল পরিষ্কার একটা ফাঁদ।



থাবা বাবা এমন একটা চরিত্র যা কোন মুক্তবুদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে না। বরঞ্চ মনোযোগকামি বুদ্ধি প্রতিবন্ধীও বলা চলে, যার মূল উপজীব্য ছিল ধর্মীয় উসকানি আর সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানো।



আদতে থাবা বাবাকে কোন নাস্তিক বলা যায় না। আমাদের ইতিহাসে, কাজী নজরুল, কমরেড মোজাফফর, সাহিত্যিক আবুল ফজল বা প্রফেসর আসহাবঊদ্দিন সহ অনেক নাস্তিক আছে যারা জন মানুষের মনে ঠাই করে নিয়েছেন। মুক্তমনা কাশেম বা অভিজিত কে নাস্তিক বলা যায় কিন্তু থাবা বাবা কোন নাস্তিক ছিল না। থাবা বাবা একটা কুরুচিশীল, থার্ড ক্লাস ধর্ম বিদ্বেষী, সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা। যে কোন সাধারন নন প্রাক্টিসিঙ মুসলমান কেও থাবা বাবার লেখা আহত করবে। আর কাটমোল্লাদের কথা তো বলাই বাহুল্য।



একজন মৃত মানুষের সমালোচনা করা ঠিক না। কিন্তু আলোচনার খাতিরে প্রসংগটা আনতেই হল। তার হত্যাকারিদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত। একটা সুস্থ স্বাভাবিক দেশে লেখার জন্যে কেউ কাউকে গলা কেটে মেরে ফেলতে পারে না। এইটা মধ্যযুগের লক্ষণ এবং ঐ ধরনের অসহনশীল সমাজে যেন আমরা পরিণত না হই এবং এই ধরনের মেন্টালিটির কোন রাজনৈতিক শক্তি যেন আমাদের শাসন ব্যবস্থায় আসতে না পারে তা আমাদের সর্ব শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। এবং একই সাথে কোন অজুহাতে আমাদের ফ্রীডম অফ স্পীচ এবং ফ্রীডম অফ এক্সপ্রেশন এর উপর কেঊ যেন সামান্য ফুলের টোকাও দিতে না পারে তা নিয়ে আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।



কিন্তু ঐটা ভিন্ন ডিসকাশন। রাজীবরে মারা হইছে বেছে বেছে, খুব হিসেবে করে । রাজীব এমন কোন সিনিয়ার লিডার আছিল না। জাগরণ মঞ্চের, লক্ষ লক্ষ এক্টিভিস্ট দের মধ্যে রাজীব ছিল এক জন।



কিন্তু, সবার মধ্যে থেকে রাজীব কে বেছে নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যই ছিল মঞ্চ সম্পর্কে একটা মিথ কে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া, যেটা আমার দেশ গ্রুপ জাগরণের শুরু থেকেই প্রচার করছিল। সেটা হল- এই মুভমেন্ট নাস্তিকদের মঞ্চ, যারা প্রত্যেকেই থাবা বাবার মত ধর্মদ্বেষী এবং কাদের মোল্লার বিচার চাওয়ার আড়ালে তাদের উদ্দেশ্য হইল বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে দূর করা।



রাজিব এই ধরনের লেখালেখি করছে বেশ কয়েক বছর, কেউ পাত্তাও দিত না। নুরানিচাপার ওয়ার্ড প্রেস ব্লগটা প্রায় এক বছর আগের, সেই খানে এক বছরে একটাও হিট পড়ে নাই। কিন্তু এত দিন তাকে না ধরে, গণজোয়ার এর সময় তাকে টার্গেট করার উদ্দেশ্য ছিল খুব পরিষ্কার- গণজাগরণকে আস্তিক নাস্তিক দ্বন্দ্বে ফেলে, থাবা বাবার ঘৃণ্য এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উদ্রেক করার ক্ষমতা সম্পন্ন সেই লেখা গুলো সামনে এনে, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উস্কানি দিয়ে মুভমেন্টের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া এবং বাংলাদেশের মানুষকে আরেক এঙ্গেল থেকে বিভক্ত করা। এবং এই মুভমেন্টটাকে এক পক্ষের জন্যে মুক্তবুদ্ধি এবং অন্য পক্ষের জন্যে ইসলাম বাঁচানোর ডিবেটে পরিণত করা।



পরিষ্কার ভাবে সেই ফাঁদটা দেখা যাচ্ছিল। রাজীবকে নিয়ে নানা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুভমেন্ট ক্লিয়ারলি সেই ট্রাপ এ পা দিলো।



আমরা যারা কিছুটা হইলেও রাজিবের লেখার সাথে পরিচিত ছিলাম, আমাদের ভেবে অবাক লাগে, এইটা কে বুঝে নাই, রাজিব এর জানাজা হতে শুরু করে, রাজিব কে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে যেই ভাবে ব্রান্ডিং করা হইছে তাতে এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের সর্ব স্তরের মানুষ আস্তিক, নাস্তিক, হিন্দু, মুসলমান, ধনি, গরিব সব ধরনের মানুষের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় যে একটা মহা ঐক্যের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে- সেটা বিনষ্ট হবে।



যারা রাজীবকে হত্যা করছে, যেই উদ্দেশ্যে হত্যা করছে, রাজীব এর মৃত্যু পরের ঘটনা প্রবাহে যেই সব ডিসিসান নেয়া হইছে, তাতে তারা তাদের এক্সপেকেটেসান থেকে অনেক বেশি অর্জন করছে।



আজকে যে সাম্প্রদায়িক বিক্ষোভ হবে এটা আমি দিব্য চক্ষে দেখতে পাচ্ছিলাম । এবং আমরা অনেকেই নোট লিখেছি মুভমেন্টকে সতর্ক ডিসিসান নিতে। আমি নিজে ১৬ ফেব্রুয়ারি তে পোস্ট দিয়েছি, riot ahead....



শুক্রবারের বিক্ষোভটা যে, রসূল (সাঃ) এর নামে যা কুটনা গাওয়া হইছে, তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ- মুভমেন্টের জন্যে এইটা বোঝা খুব জরুরী।





এই শুক্রবারে সারা দেশে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তাতে অবশ্যই জামাত শিবির হাতেই লুটপাট ভাংচুর হয়েছে। কিন্তু ওই ভাঙচুরে যে, রাসুল (সঃ) কে অপমান করায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মুসলমানেরা অংশগ্রহণ করেছে সেইটা যদি কেউ অস্বীকার করে তো সে এই সোসাইটি কে ঠিক মতো বুঝতে পারে নেই। ইতি পূর্বে এর থেকে অনেক সামান্য সামান্য বিষয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভ হইছে, যাতে নিরীহ মানুষ মারা গেছে।





বাংলাদেশের মত দেশে যেখানে, এখন লিটারেসি ৪০% সেখানে কিছু ধর্মীয় উস্কানিমুলক লেখা দিয়ে সাধারন মানুষ কে বিক্ষুব্ধ করা খুব সহয। এই কাজ টা, আমার দেশ, সংগ্রাম এবং ইনকিলাব গত চার পাচ দিন ধরে করছে। এবং ফেসবুকের বিভিন্য গ্রুপে, থাবা বাবার লেখা হাযার শেয়ার পড়ছে। থাবা বাবার ব্লগ এর হিট, রাজীব হত্যার পর দিন শুন্য থেকে প্রায় ৪৫,০০০ গেছে এবং সম সংখ্যক শেয়ার হইছে। এবং গত চার পাচ দিন থাবা বাবার বিভিন্ন লেখা নিয়ে সিরিযাল রিপোর্ট করে আমার দেশ । তাদের রিপোর্টে এইটা ক্লিয়ার তারা তৌহীদি জনতার ক্ষোভ কে খুচিয়ে তুলেছে।



ফলে সাধারন ধর্ম প্রেমি মানুষ যাদের জামাত শিবিরের প্রতি কোন ফাসিনেশান নাই, তারা অনেকেই এই বিক্ষোভে সামিল হয়। এইটাকে শুধু জামাত শিবির, জামাত শিবির বলে ডাক দিয়ে আরেকটা নতুন মুক্তিযুদ্ধের সাথে তুলনা করলে, দেশের বাস্তবতাকে উপেক্ষা করা হয় ।



এবং এই বিক্ষোভ কে, জামাত শিবির নামে চালিয়ে দেয়া হলে অনেক সাধারন মুসল্লি, তাবলীগ জামাতের লোকজন এবং কউমি মাদ্রাসার ছাত্র যাদের সাথে জামাত শিবিরের আদর্শিক দন্দ্ব আছে - যারা শুক্রবারের দেশব্যাপী ভাঙচুর এবং বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে তারা মুভমেন্ট এর উপর আরো চেতবে।এবং তাদের মাথায় তাদের পারসেপশান টা আর শক্ত হবে যে, শাহবাগ মুভমেন্ট মুলত ইসলাম কে ধংসের একটা নাস্তিকিয় ষড়যন্ত্র। অথচ ১৭ দিন আগে এরা মুভমেন্টের সাথে ছিল এবং জুদ্ধাপরাধিদের বিচার চেয়ে কণ্ঠ মিলিয়েছিল, শাহবাগের জনতার সাথে।





আজকের আমরা জামাতের বিচার চাই এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ভুমিকার জন্যে তাদের ব্যেন করতে চাই। এই চাওয়া টায়, অন্যান্য ইসলামিক দল এবং গ্রুপ গুলো কে আদর্শিক ভাবে এক সাথে রাখা খুব ইম্পরট্যান্ট। এই জন্যে হিজবুত, তাবলীগ, কউমি মাদ্রাসা, বিভিন্য পীরবাদি গ্রুপ এবং সাধারন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে আদর্শিক পার্থক্য গুলো বোঝা টা খুব জরুরী।তাদেরকে যদি আমরা সাথে না রাখতে পারি, তাহলে জামাত- অন্যান্য ইসলামিক গ্রুপ ও দল গুলো কে রাসুল এর অপমান টাকে উপজীব্য করে এলায়েন্সে করে মুভমেন্টের বিরুদ্ধে ইউয করবে, যেমন করেছে এই শুক্রবারে ।তাই এই সকল গ্রুপ কে খুব ক্লিয়ার সিগনাল দেয়া উচিত যে, এই মুভমেন্টের যে কোন ধর্মীয় চরিত্র নাই। এইটা বাংলাদেশের পলিটিকাল এস্টাব্লিশ্মেন্ট এর বাহিরে সাদারন মানুশের মুভমেন্ট।



এই শুক্রবার- শহীদ মিনার ভাঙ্গা, জাতীয় পতাকা পোড়ানো, সাংবাদিক টার্গেট সহ বেশ কিছু সেন্সিটিভ কাজ এর মাধ্যমে ডেফিনিটলি জামাত আরো বড় ফাঁদ পেতেছে। এই ফাঁদে আবার পা দেয়াটা কিন্তু হবে আর একটা মস্ত বড় ভুল।



এখনো বড় একটা সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি হয়ে আছে যে স্বপ্নের মাধ্যমে দেশের, মোল্লা, ধর্মহীন,আস্তিক,নাস্তিক, ছাত্র, পেশাজীবী, ধনী, দরিদ্র, বুড়ো জোয়ান সবাই কে একটা একই সুতোর বাঁধনে বাধা সম্ভব।



সেইটা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধি রাজাকারদের বিচার চাওয়ার।



সেই ঐক্যটা আস্তিক নাস্তিক বিতর্কে যেন বিনষ্ট না হয়। আমি আবার বলছি, শুক্রবার যে জ্বালাও পোড়াও, এইটাও একটা ফাঁদ। রাজীব এর হত্যার চেয়ে বড় ফাঁদ। আপনারা কি সেই ফাঁদে পা দিয়ে ডিভাইসিভ পলিটিক্সে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়বেন নাকি স্ট্র্যাটেজিকালি একটু পিছু হটে বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে, ম্যাচিউর ফরোয়ারড থিঙ্কিং ডিসিশন নিবেন, সেই অপশন আপনাদের উপর।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

_শাহরিয়ার_ বলেছেন: ৯০ দশকের ম্যঙ্গোপিপলদের চিন্তার অনেক মিল আছে দেখি । আজকের দিনের ম্যঙ্গোপিপলদের দেখি চিন্তা ভাবনা ছাড়াই যা ইচ্ছা তাই বলে এবং করতে যায় ।



যায় দিন ভাল আসে দিন খারাপ-(

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

রবিউল ৮১ বলেছেন: আজকের আমরা জামাতের বিচার চাই এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ভুমিকার জন্যে তাদের ব্যেন করতে চাই। এই চাওয়া টায়, অন্যান্য ইসলামিক দল এবং গ্রুপ গুলো কে আদর্শিক ভাবে এক সাথে রাখা খুব ইম্পরট্যান্ট। এই জন্যে হিজবুত, তাবলীগ, কউমি মাদ্রাসা, বিভিন্য পীরবাদি গ্রুপ এবং সাধারন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে আদর্শিক পার্থক্য গুলো বোঝা টা খুব জরুরী।তাদেরকে যদি আমরা সাথে না রাখতে পারি, তাহলে জামাত- অন্যান্য ইসলামিক গ্রুপ ও দল গুলো কে রাসুল এর অপমান টাকে উপজীব্য করে এলায়েন্সে করে মুভমেন্টের বিরুদ্ধে ইউয করবে, যেমন করেছে এই শুক্রবারে ।তাই এই সকল গ্রুপ কে খুব ক্লিয়ার সিগনাল দেয়া উচিত যে, এই মুভমেন্টের যে কোন ধর্মীয় চরিত্র নাই। এইটা বাংলাদেশের পলিটিকাল এস্টাব্লিশ্মেন্ট এর বাহিরে সাদারন মানুশের মুভমেন্ট।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: বেশি বেশি ইসলামি বই এবং ইসলামকে জানতে হবে,তাহলে কেউ ইসলামকে নিয়ে ভন্ডমী করতে পারবে ন...
আর কে ভন্ড তাও বুঝা যায়....

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

Rain_in_Sydney বলেছেন: somoi upojugi post brother....Friday jara bikkhub korecen tader beshi bhag e non-jamat tader sathe jamat er akidar kunu mil nei...but govt er ei jinishta buja ucit chilo...tader kunu obostatei MASJID e attack korata uchit hoini infact atai boro turning point hote jcholce at this stage...rog kata rajakar jamat moja nicce ekhon....alreay singho bhag muslim shahbag er birudh hoeye gelo ei ghotona k kendro kore...koek jon koutta nastik totha ISLAM biddeshir jonno ajke sob andolon pani hote cholce..

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

জীবন্মৃত০১ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লেখা। সবার মনোযোগ আকর্ষণ করছি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.