![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu
আমার একজন ফ্রেন্ড এই কমেন্ট টা করছিল।আমার এই ফ্রেন্ড কে আমি চরম বাঙালি জাতীয়তাবাদী বলে জানতাম। তার কাছ থেকে এই লেখা টা আমার কাছে অপ্রত্যাশিত মনে হইছিল।
“আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু, গত কদিনের ঘটনা প্রবাহে আমি যেটা বুঝতে পারলাম- আমার এই চাওয়ার সাথে দেশের অতি বড় একটা জনগষ্ঠী একমত নন। এই পরিমাণ জীবনের বলিদান দিয়ে যদি এই বিচার করতে হয়, তাহলে বুঝতে বাকি থাকেনা যে মানুষ এটি চায় না।আর যদি চেয়েও থাকে তবে এতো প্রাণের আত্মদানের সাথে এই চাওয়ার যৌক্তিকতা বিনষ্ট হয়ে গেছে। অন্তত আমি আজ তাই মনে করি। আজ আমি অত্যন্ত ব্যথিত। আমি এদেশের নাগরিক হিসেবে আর গর্ববোধ করতে পারছিনা। দয়া করে এই বিচার বন্ধ করেন। বন্ধ করেন জীবন দেওয়া আর নেওয়ার এই অমানবিক দুঃখজনক খেলা। সেই বিপ্লব আমি চাইনা, যে বিপ্লব আমার এবং আমার পরিবারের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে, যে বিপ্লব জাতিকে গৃহযুদ্ধ সুলভ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিবে। আমি আমার আত্মিক, আদর্শিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতাকে আজ হত্যা করলাম। সরকারকে, জামাত শিবিরকে, বি এন পি কে .. সবার কাছে আমার করজোর বিনতি- আপনারা এই সব বন্ধ করেন। প্রয়োজন পরলে, ট্রাইব্যুনাল বাতিল করেন। সমগ্র জাতি যেদিন একত্রিত হতে পারবে, সেইদিন বিচার করবেন; অন্যথা অফ যান”----------------------
এইটার উত্তরে আমি এই লেখা টা লিখছি।
তোমার বক্তব্যের সাথে দ্বিমত করলাম।
ন্যায় এর শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যে এই বিচার হওয়াটা খুব জরুরি।
৩০ লক্ষ মানুষের হত্যার জন্যে যারা দায়ী তাদের কে অবশ্যই বিচার এর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, শাস্তি পেতেই হবে । নইলে রাষ্ট্রের নৈতিকতার ভিত্তি থাকেনা। অনেকে এই বিচার কে ইমোশন এর ভিত্তিতে দেখেন । কিন্তু আমি এই বিচার কে শুধু মাত্র নৈতিকতার ভিত্তিতে দেখি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সময় ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণ হানির এবং ১৪ ডিসেমবার জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার জন্যে যারা দায়ী, তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি কাম্য।
শাহবাগের গণ জোয়ার প্রমাণ করে এই চাওয়া টার ব্যাপারে দেশের অধিকাংশ মানুষ একমত।
সমস্যা হচ্ছে, যারা বিচার টা করছেন তাদের নিয়তে বড় সমস্যা আছে।
তারা এই বিচার টা এমন ভাবে করতে চান যাতে তাদের সব অন্যায় দুর্নীতি অবিচার ঢাকা পরে যায় এবং এই বিচার এর ধুয়া তুলে দেশকে বিভাজন করে তারা যাতে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারেন। এবং এই লক্ষ অর্জনের জন্যে তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্য গুটি চাল্তাসেন, এমনকি তারা যুদ্ধাপরাধীদের সাথেই আতাত করতাসেন। বিচার নিয়ে তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপের প্রেক্ষাপটে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবজেকটিভলি এবং এবসলুটলি ফেয়ার হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন । সন্দেহ টা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয়েছে যখন - কাদের মোল্লা যে ৩০০ মানুষ হত্যার অপরাধে পরিষ্কার ভাবে কন্ভিক্তেড ছিল তার রায় ফাঁসি না হয়ে যাবত জীবন হয় যেখানে তার আগের বাচ্চু রাজাকার তার থেকে হালকা অপরাধে ফাঁসি পায় ।
শাহবাগ মুভমেন্ট এর দুই টা জায়গায় আমি চরম ভাবে দ্বিমত করি।
একটা হলো তারা বলেছে যে, এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে প্রশ্ন করা যাবেনা। তাতে বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এবং যারা ওই প্রশ্ন করবে তারাও রাজাকার যেখানে শাহবাগের জন্ম হইসে, আঁতাতের রায় এর প্রতিবাদ করে।
বেপার টা এমন হলো যে, কেও রেপ করলো। তখন বলা হচ্ছে, রেপ এর প্রতিবাদ করা যাবে , কিন্তু শিশ্ন কোন ভুল করে নাই এবং যে মানুষ টা রেপ করসে তাকেও আমি দোষ দিতে পারবেনা- যেইটা একটা হাস্যকর প্রস্তাবনা।
যেখানে স্কাইপ কেলেঙ্কারি তে ক্লিয়ারলি এসেছিল সরকার কিভাবে ট্রাইব্যুনাল কে মোটিভেট করতাসে। এমনকি বিচারক রায় দিলে, সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ পাবে এমন সব চরম কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট টাইপের কথাও আসছে। কিন্তু আমাদের মেডিয়া ইস্যু গুলো বাইপাস করে গেছে। এবং বিচার পন্থী একটিভিস্টরা এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করাকে ব্লাসফেমি হিসেবে দেখাইসেন ।
এইটা কিন্তু এই বিচার এর বিরোধীদের মরাল পজিশন কে শক্ত করসে।
এইটা তাদের কাছে প্রুফ করসে, এই বিচার এর পক্ষের লোকেরা তাদের সুবিধার জন্যে যেকোনো রকম অসত্যের আশ্রয় নিতে পারে।j তারা কিন্তু এই আর্গুমেন্ট কে বাইপাস করে নাই তাদের মনে প্রথিত হইসে যেইটা আমার দেশ গ্রুপ প্রচার করতেসিলো - নিরপরাধ মানুষ কে সরকার রাজনৈতিক কারণে ফাঁসি দিচ্ছে। এবং এই আর্গুমেন্ট গুলো দিয়ে তারা তাদের সাপোর্ট বেজ কে ফেনিয়ে তুলতে পারছে।
থাবা বাবা কে নিয়েও বিচার পন্থী একটিভিস্টদের কে ,ব্যাপক মিথ্যাচার করতে দেখসি আমি নিজেই। দেখো যখন একটা অন্যায় এর বিরুদ্ধে লড়বো তখন তোমার মরাল পজিশনে এক বিন্দু মিথ্যার স্থান দিতে পারবা না। তাহলে তোমার মূল মরাল পজিশন টাই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
আরও একটা ইম্পরট্যান্ট বিষয় হইলো , সায়েদির প্রশ্নটা এই রায়ে ইসলাম কে নিয়ে আসছে, তার আগে কিন্তু এই বিচারে ইসলাম কোনও বিবেচ্য এঙ্গেল ছিলনা।
সায়েদির ইস্যুটা সব চেয়ে কমপ্লিকেটেড। কারণ সায়েদির জামাত পরিচয় এর আগের একটা পরিচয় আছে - সায়েদি সারা বাংলাদেশে ঘুরে বেড়ানো খুবই জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা, তার নিজস্ব একটা ফলওয়ার গ্রুপ আছে। । তার এক একটা ওয়াজে এক দেড় লক্ষ লোক আসা কোন বেপার না । এবং সবার মধ্যে এই সায়েদির বিচার প্রসেসে অনেক ইস্যু আসছে,যেই গুলো স্কাইপ কেলেঙ্কারি তে উঠে এসেছিল- যেই গুলো অনেক প্রশ্নের জন্ম দিসে। প্রশ্ন গুলো কিন্তু কেও উত্তর দেই নাই।
প্রশ্ন গুলো হয়ত ভুল, কিন্তু উত্তর না দেয়াতে রায় এর বিরোধী দের আর্গুমেন্ট আরও শক্ত হইসে যে, এইটা একটা ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিচার। এই এঙ্গেল টা আমার দেশ গ্রুপ অনেক খুঁচিয়ে বড় করে তুলছে। আমার দেশ কিন্তু জাতীয়তাবাদী গ্রুপ, ইসলামিক গ্রুপ না। এই কথা টা এই খানে বলার উদ্দেশ্য, ধর্ম পন্থী উপ দল গুলো কে এই বিচার যে ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিচার তার বিষয়ে খুঁচিয়ে তুলেছে আমার দেশ গ্রুপ, তাদের রাজনৈতিক এবং ভোটের পলিটিক্স এর অবস্থান এর কারণে।
বাচ্চু রাজাকার এর রায় এর পর কিন্তু এই বিক্ষোভ হয় নাই, কিন্তু সায়েদির রায় এর পর হইসে। এইটা নিশ্চিত ভাবে জামাতি আর শিবির এর অর্গানইজে করা কিন্তু দেশ যে লক্ষ লক্ষ লোক এখন বিক্ষোভ করতাসে এদের বড় একটা অংশ ইসলামিক আদর্শের অনুসাযাদের যাদের তৌহিদী জনতা বলাটাই সহজ। তারা কিন্তু জামাত নন। বাংলাদেশে এত বড় বিক্ষোব ঘটানোর মত সমর্থন জামাতের নাই বলেই আমরা জানি।
এই তৌহিদী জনতা তাদের বিক্ষোভ কে বাংলাদেশে নাস্তিক দের হাত থেকে ইসলাম কে রক্ষার করার লড়াই হিসেবে দেখসে
যারা গনহত্তা , ধর্ষণ সহ আরো ভয়াবহ অন্যায় এর সাথে যুক্ত ছিল তাদের সমর্থন নিয়ে বাংলার জনপদ বিভক্ত হবে ইটা আমি বিশ্বাস করিনা। দল মে কুচ কালা হেয়। আমার দেশ এবং অন্যান্য মিডিয়াতে ট্রাইবুনাল নিয়ে এবং স্কাইপ কেলেঙ্কারী নিয়ে যে বিষয় গুলো এসেছে তাতে তারা এখন বিশ্বাস করে এই ট্রাইবুনাল ফেয়ার নয়। সায়েদির মত একজন ইসলামিক বক্তা যাকে তারা একজন আলেম হিসেব জানে তাকে মুক্ত করার ঈমানী দায়িত্ব থেকে ভাংচুরে অংশগ্রহণ করসে। এইটা তাদের কাছে জিহাদ এর সমতুল্য।
গত কয় এক দিন অনেক স্থানে পুলিশের উপর হামলা হইসে, সংখ্যা লঘু দের উপর হামলা হইসে, এবং মন্দির ভাংচুর হইসে, থানা পুলিশ লুটপাট হইসে। এইটা নিশ্চিত ভাবে একাত্তরের প্রেতাত্মা জামাত এবং শিবিরের কাজ। তাদের উদ্দেশ ছিল ধর্মীয় বিদ্বেষ ফেনিয়ে তোলা। কিন্তু এই তৌহিদী জনতা বলতে যাদের বোঝাচ্ছি, তারা কিন্তু জামাত শিবির এবং আমার দেশ গ্রুপ এর প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত হয়ে নামসে। এরা এত সরল যে, অনেকেই বিশ্বাস করে, সায়েদির চেহারা চাঁদে দেখা দিসিলো।
এর পর সেকুলার মিডিয়া অনেক জায়গায় তাদের বিক্ষোভ মিছিলে গুলি হওয়ার পর এত গুলো মৃত্যু কে পুলিশের উপর হামলার পর পুলিশের আত্মরক্ষার হামলা বলে জাস্টিফায় করছে , সেইটা তাদের দিনে দিনে আরো ক্ষুব্ধ করসে। সরকার মিডিয়া ফেসবুকার সবাই এই এঙ্গেল টা কালেক্তিভলি বাইপাস করতাসে।
আমি বিশ্বাস করি এই গ্রুপ টা একটা ফেয়ার ট্রায়াল হলে সায়েদির হয়ে রাস্তায় নামত না।
[
স্বাধীনতার ৪২ বছরেও, ৩০ লক্ষ শহীদের হত্যার দায়ে অভিযুক্তযুদ্ধপরাধী দের বিচার না হওয়া টা আমাদের জাতির জন্যে একটা কলঙ্ক ।
এই কলঙ্কর দায় মুক্তির যে ঐতিহাসিক দায়িত্ব সরকার নিছে জন্যে সাধুবাদ আওয়ামী লিগ কে দিতে হবে। বাংলাদেশের বেশির ভাব মানুষ এই বিচার চায়। আয়ন পরীক্ষার দিন আয়ন পরীক্ষা দিতে চায়। কিন্তু আমরা দেখেছি, সরকার তাদের সব দুর্নীতি, সব অন্যায় কে, এই বিচার এর ঢাল দিয়ে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছে। তবুও বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ এই বিচারে সরকার এর সাথে ছিল । স্কাইপ কেলেঙ্কারি তে যে সব কথা এসেছে সেটা নিয়ে মানুষ চুপ করে ছিল। এমন কি কাদের মোল্লার আঁতাতের রায়ে ফলে সৃষ্ট শাহবাগ মুভমেন্ট এর স্ট্যান্ড ছিল -ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবেনা এবং ট্রাইব্যুনাল এর উপর সরকার এর হস্তক্ষেপ নিয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা, তাহলে ট্রাইব্যুনাল বিতর্কিত হবে এবং যুদ্ধাপরাধীদের হাত শক্ত হবে পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে । আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, কাদের মোল্লার বিচার এর রায়ের আগ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল এর ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার একটা জাস্টিফিকেশন ছিল। কিন্তু কাদের মোল্লার প্রহসনের রায়ের পর, সেই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে প্রশ্ন না তলার স্ট্যান্ড টা ঠিক ছিলনা।
গত কয় দিনের সহিংসতার প্রেক্ষাপটে, আমর অভিমত আরও দৃঢ় হয়েছে যে সেই স্ট্যান্ড টা ভুল ছিল।
কারণ এখন যে ক্ষোভ হচ্ছে তাদের মূল জায়গা হলো তারা কন্ভিন্স্ড যে বিচার নিরপেক্ষ নয়। এখন দেশ আরো বিভক্ত হয়েছে, এবং এই বিভাজনের মূল জায়গা হলো ট্রাইব্যুনাল সৃষ্ট নির্পক্ষতার বিতর্ক গুলো । অথচ দেশের ৯৭% মানুষ এর বিচার এর পিছনে ঐক্যবদ্ধ বলে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু যেই প্রক্রিয়ায় বিচার করা হইসে, তাতে অনেক বড় একটা গ্রুপ কে আজ মোটিভেটেড করা যাচ্ছে যে,এইটা একটা পলিটিকাল উদ্দেশ্যে বিচার। আমার দেশ গং এর এই প্রোপাগান্ডা হলে পানি পাচ্ছে কারণ যুক্তি গুলো একে বারে পানি তে ফেলে দেয়ার মত নয়।
যারা যুক্তি গুলো কি জানেন না, প্লিজ রিড ডেভিড বার্গমেন http://bangladeshwarcrimes.blogspot.com/ . আমাকে গালি দিয়েন না। আমি এই গুলো বলি নাই। বলতাসিও না। ডেভিড বার্গমেন একজন সুপরিচিত সাংবাদিক উনি ট্রাইবুনাল কে প্রথম দিন থেকে কভার করতাসেন। চ্যানেল ৪ এর বিখ্যাত ডকুমেন্টারী যেটা তে, বুদ্ধিজিবি হত্যায় নেতৃত্ব দান করি মইনুদ্দিন রাজাকার এর চেহারা উন্মোচন হইসে, সেইটা ডেভিড বার্গমেন এর তৈরী। ফলে তারে আপনি জামাতি পেইড বলে, বাতিল ও করে দিতে পারবেন না।
আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজ, এবং এমন কি আমাদের শাহবাগের হিরো রাও এই প্রশ্ন গুলো ইগনোর করে গেছে। ফলে, ডে বাই ডে আমরা যারা বিচার চাই, আমরা আওয়ামী লিগ এর গুটি তে পরিণত হয়েছি । আওয়ামী লিগ এখন কাটা দিয়ে কাটা তুলছে । আওয়ামী লিগ জে নেরেটিভ দিসে তার বাহিরে যে কোনো বক্তব্য কে আজ জামাত সিম্পেথায়জিং হিসেবে দেখা হচ্ছে। এবং ছাগু বা রাজাকার ডাকা হচ্ছে। ফলে বুঝতে পেরেও পারসোনাল এটাক এর ভয়ে অনেকে কথা গুলো বুঝেও বলতে পারছেনা।
আজকে সাম্প্রদায়িক হামলা , হিন্দুদের উপর আক্রমণ, মন্দিরে আক্রমণ, মিছিলে গুলি, বি এন পির জামাত এর হরতালে অংশগ্রহণ করা সহ অনেক গুলো ইস্যু তে সিচুয়েশন ক্রমেই জটিল হচ্চ্ছে। মূল প্রশ্ন গুলো আর ইম্পরট্যান্ট থাকছেনা –
এই সাব প্লট গুলো এখন নতুন নতুন কনফ্লিক্ট এর ক্ষেত্র তৈরি করছে আরো।
এবং সাব প্লট গুলো মূল থেকে ব বড় বিভাজনের জায়গা করতাসে। এক দিকে পুলিশের হাতে বিক্ষোভকারী মানুষ মারা যাচ্ছে, যেইটা আবার মিডিয়া লুকিয়ে রাখতে চাইছে, ফলে রায়ের বিপক্ষের অংশের ক্ষোভ আরো বাড়ছে। অন্যে দিকে তাদের বিক্ষোভে জাতীয় পতাকা পুরছে, মন্দির পুড়ছে, পুলিশ কে মারা হচ্ছে -ফলে এক পক্ষ এই তাকে দেখছে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের এঙ্গেল থেকে দেশ কে ধর্মান্ধতা থেকে রক্ষা করার এঙ্গেল থেকে আমাদের বাঙালিত্ব কে রক্ষার এঙ্গেল থেকে, বাংলাদেশ কে পাকিস্তানে পরিনত হওয়া থেকে রক্ষা করার যৌক্তিকতা থেকে । ফলে অনেক গুলো মানুষের মৃত্যুতেও তারা নিশ্চুপ থাকছে।
এখন বিচার এর প্রশ্ন আর ইম্পরট্যান্ট থাকছেনা। অথচ বিচার টাই সব চেয়ে ইম্পরট্যান্ট ইস্যু। ঐটা ফেয়ারলি অবজেক্টিভলি না হওয়াটাই আজ সব কিছুর সোর্স। ফলে ঘুরে ফিরে এর জন্যে সরকার দায়ী, যে সরকার আমাদের এত বছরের দাবি যুদ্ধপরাধের বিচারকে পলিটিকাল গেম হিসেবে নিয়ে খেলতাসে।
এই বিচার এর সাথে অনেক মানুষের সেন্টিমেন্ট জড়িত। এবং অনেক মানুষ পুরো জিনিস টা সেন্টিমেন্টালি দেখতাসে । পক্ষে বিপক্ষে উভয় সাইড এই।
কিন্তু, এইটা জাস্টিস আর ন্যায় এর বিষয়। এইটা সেন্টিমেন্টের বিষয় না।
যারা সেন্টিমেন্ট এর দিক দিয়ে দেখতাসে তাদের এই বিচার এর সব কিছু সমর্থন করে যাওয়া বাদে অন্য কোনো উপায় থাক্তাসেনা ফলে তারা তাদের যুক্তি বুদ্ধি সরকার কে বন্ধক দিয়ে রাখসেন। সরকারী নেরেটিভ এর বাহিরে চিন্তা করতেও ভয় পাচ্ছেন, জামাত এর পক্ষে চলে যাচ্ছেন এই ভি থেকে। কিন্তু, এইটা জাস্টিস আর ন্যায় এর বিষয়। এইটা সেন্টিমেন্টের বিষয় না।
জাস্টিস আর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হলে, এই বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত। ৩০ লক্ষ্ মানুষের হত্যার বিচার হবেনা এইটা হতে পারেনা এবং এখনি সুযোগ, পরে টরে না। এখুনি। কিন্তু আবার ন্যায় বিচার নিশিচিত করতে হলে, ট্রাইব্যুনাল এর সব কিছু অন্ধ ভাবে মেনে নেয়া উচিত নয়। প্রশ্ন গুলো জবাব দেয়া উচিত, ইসু গুলো এড্রেস করা উচিত।
আমার কথা হইলো, দেশ কে যদি ইউনাইটেড করতে হয়, তো ফেয়ার ট্রায়াল এর প্রশ্নে অবিচল থাকতে হবে। তাহলে সব সমস্যা মিটে যাবে। অনেকে বলবেন, এইটা এত সিম্পল না, কিন্তু আসলে এইটা এতই সিম্পল। হনেস্টি, ইকুয়ালিটি এবং ন্যায় বিচার।
আর যদি পলিটিকাল পার্টির দাবার গুটি তে চলতে হয়, তো এখন যা হচ্ছে, তাই তো হওয়ার কথা ছিল।
তাছাড়া এমন কিছু মানুষ মারা যায় নাই। মাত্র ৫০। তাজরীন গার্মেন্টস এর আগুনে ১১২ জন শ্রমিক মারা গেছিল। একটা লঞ্চডুবিতেও বাংলাদেশে ৫০০ লোক মারা যায়। এতে তাদের কিছু যায় আসেনা। সো পলিটিকাল নেরেটিভে যদি বিশ্বাস কর এত আপসেট হওয়ার কিছু নাই। ঠিক এই সিচুয়েসান টাই তারা চেয়েছিল। তাদের গেম প্লান মতই খেলা চলছে।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নায়করাজ বলেছেন: জামাত শিবির এই রকম একটা সহিংসতা , অরাজকতা, তাণ্ডব, হিংস্রতা করবে - সেটাই তো স্বাভাবিক। যে সব অঞ্চলগুলোতে তারা দাঙ্গা করছে, সেখানে কেবল তারাই আছে সেটা তো না। এর সাথে মূল শক্তি হিসেবে জড়িত বিএনপি।
বিএনপির শক্তিতেই জামাত শিবির এত শক্তিশালী। আজ বিএনপি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলেই তারা শুয়ে পড়বে।
আর অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের গুলি করে মেরে ফেলা ছাড়া এই মুহূর্তে কিছু করার আছে বলে মনে করি না। যারা পুলিশ ফাড়ি বা থানার ভিতরে গিয়ে হামলা চালায়, তাদের গুলি করা ছাড়া আর কোন বিকল্প কিভাবে থাকে।
বরং আমার কাছে মনে হয়, খুব দ্রুত বিশেষ একটি অভিযান পরিচালনা করা দরকার। বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে জামাত শিবিরের সবগুলো নেতাকে ধরে ফেলা দরকার। এই ইস্যুতে সরকারের কঠিন হওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা নাই।
যারা মানবতা, মানবাধিকার ইত্যাদির ত্যানা প্যাচাচ্ছে, তারা পুলিশের উপর হামলা, মন্দিরে এবং সংখ্যালঘুদের হামলার ব্যাপারে কেন নিশ্চিুপ থাকে ? সুতরাং তাদের এই ত্যানা প্যাচানো পরিকল্পিত । তাদের দরদটা মানুষের প্রতি নয়, যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি। এদের ত্যানা প্যাচানিতে কান দিলেই ফাদে পড়া হবে।
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
অক্ষি বলেছেন: আমরা একটি দুষ্টচক্রে পড়ে গেসি ! মাথায় কিসুই আসছে না।। এর শেষ কোথায়?
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৭
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
যারা বিদেশে গেছে তারাই ভালো করেছে -এখন মনে হইতাছে --
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
অচেনা আগন্তুক বলেছেন: আমরা দেখেছি, সরকার তাদের সব দুর্নীতি, সব অন্যায় কে, এই বিচার এর ঢাল দিয়ে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছে। তবুও বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ এই বিচারে সরকার এর সাথে ছিল । স্কাইপ কেলেঙ্কারি তে যে সব কথা এসেছে সেটা নিয়ে মানুষ চুপ করে ছিল। এমন কি কাদের মোল্লার আঁতাতের রায়ে ফলে সৃষ্ট শাহবাগ মুভমেন্ট এর স্ট্যান্ড ছিল -ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবেনা এবং ট্রাইব্যুনাল এর উপর সরকার এর হস্তক্ষেপ নিয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা, তাহলে ট্রাইব্যুনাল বিতর্কিত হবে এবং যুদ্ধাপরাধীদের হাত শক্ত হবে পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে । আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, কাদের মোল্লার বিচার এর রায়ের আগ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল এর ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার একটা জাস্টিফিকেশন ছিল। কিন্তু কাদের মোল্লার প্রহসনের রায়ের পর, সেই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে প্রশ্ন না তলার স্ট্যান্ড টা ঠিক ছিলনা।
গত কয় দিনের সহিংসতার প্রেক্ষাপটে, আমর অভিমত আরও দৃঢ় হয়েছে যে সেই স্ট্যান্ড টা ভুল ছিল ...
আমার কথা হইলো, দেশ কে যদি ইউনাইটেড করতে হয়, তো ফেয়ার ট্রায়াল এর প্রশ্নে অবিচল থাকতে হবে। তাহলে সব সমস্যা মিটে যাবে। অনেকে বলবেন, এইটা এত সিম্পল না, কিন্তু আসলে এইটা এতই সিম্পল। হনেস্টি, ইকুয়ালিটি এবং ন্যায় বিচার।
আর যদি পলিটিকাল পার্টির দাবার গুটি তে চলতে হয়, তো এখন যা হচ্ছে, তাই তো হওয়ার কথা ছিল।
------শেষ কোথায়?