নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিয়া হাসান

এইটা আমার ব্লগ।

ম্যঙ্গোপিপল

সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu

ম্যঙ্গোপিপল › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুনাখুনির হায়ার ম্যাথস এ ইনস্টিটিউশন এর সরল অঙ্ক

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

সুজন বখতিয়ার ভাই এর “খুনোখুনির বীজগণিত” এর প্রেক্ষিতে শ্রদ্ধেয় পিনাকি দার "খুনোখুনির বীজগণিত নয় এটা অনেক জটিল ক্যালকুলাস" এর প্রসঙ্গে আমার নোট্ "খুনাখুনির হায়ার ম্যাথস এ ইনস্টিটিউশন এর সরল অঙ্ক "

পিনাকি দা। ট্যাগিং এর জন্যে ধন্যবাদ। এই প্রথম একটা এনালাইসিস পেলাম এই বিষয়ে, যা রাষ্ট্রের বল প্রয়োগের নৈতিকতার ভিত্তি টা এক্সপ্লেন করেছে।



আমার সব চেয়ে বড় ভয় হচ্ছে যে, আপনার নোট টায় রাষ্ট্রের বল প্রয়োগের অধিকার টাকে বিচারহীন হত্যা এবং টর্চার এর অধিকার হিসেবে জাস্টিফাই করা হচ্ছে ।এই এঙ্গেল থেকে দেখলে র্রেব এর হাতে প্রতিটা খুন জায়েজ। আপনার এই লেখা টা , যুগে যুগে সকল স্বৈরাচারী শাসক কে নৈতিক শক্তি দিবে বিচার ব্যবস্থার বাহিরে থেকে হত্যা আর নির্যাতন করার।

আপনি হয়ত বলবেন, আমি তো শুধু মাত্র ফাসিবাদি শক্তি কে ঠেকানোর জন্যে ভাযলান্স জায়েজ বলসি। কিন্তু, এই খানেই আসে ডিলেমা টা।



আমাদের রাষ্ট্র যন্ত্র এত অত্যাচারী এবং এত নির্মম এবং এত মানবিকতাহীন, তাদের কে একটা রাইট কজ এও, ফ্রি স্টাইল ভাযলানস এর লাইসেন্স দেয়ার আগে আপনাকে চিন্তা করতে হবে, এই দুর্বিত্ত যন্ত্র আপনার দেয়ার অধিকার এর ৯০% অপ প্রয়োগ করবে কিনা । ইতিহাস কি বলে।



দাদা। কিন্তু, আপনার আর্গুমেন্ট টা রাইট। রাষ্ট্র কে ভায়লান্স এর অধিকার দেয়া হইছে। কিন্তু আপনি যেইটা মিস করসেন, সেইটা হইলো - সেই অধিকার দেয়া হইসে, ইনস্টিটিউশন মারফত এবং একটা সিস্টেম এবং স্ট্রাকচার এর ভেতরে।

গত তিন চার সপ্তাহের ঘটনায়, ইনস্টিটিউশন আছে -কিন্তু সিস্টেম এবং স্ট্রাকচার নাই। সিস্টেম এবং স্ট্রাকচার বাদে ইনস্টিটিউশন একটা ভয়ঙ্কর অত্যাচারী শক্তি হয়ে দাড়ায়। গত তিন চার সপ্তাহে যে কয় টা, গুলি চালানো হইসে এবং মানুষ মরসে তার প্রতি টা জায়েজ হইতে পারে যদি সেই টা সিস্টেম এর নিয়ম এর মধ্যে থেকে করা হয়ে থাকে, যদি পুলিশ তার এস ও পি মেনে থাকে, তার ডিউ দিলিজেনস মেনে থাকে থাকে। কিন্তু সেইটা কি করা হইসে, সেই প্রশ্ন টা এখন সব চেয়ে বড় প্রশ্ন। আমার অবাক লাগতাসে দেখে যে আমরা এত অন্ধ হয়ে গেসি, যে এই বেসিক প্রশ্ন টাও আজ কেউ উচ্চারণ করছেনা ।



খুব সম্ভব ২০০৫ এ একটা টেররিস্ট ঘটনা ঘটছিল লন্ডন এ, টিউব এ বোমা ফুটায়সিলো আল কায়েদা এবং প্রায় ১০ জন মারা গেসিলো মনে হয় ।

ওয়ার অন টেরর তখন চরমে। ইউ কে তে পুলিশ /মিডিয়া/রাষ্ট্র সবাই হাইপার। এই সময় এক টা সন্দেহভাজন লোক কে ফলো করার সময়, লোক টা টিউব স্টেশন এর গেট টপকে পালিয়ে যায়, এবং চেজ এর সময় পুলিশ তাকে গুলি করে মারে।

তিন চার দিন ঠিক ছিল। এরপর বের হয়ে আসল, লোক টা অপরাধী ছিলনা। এরপর যেন লন্ডন মেট পুলিশ এর উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। প্রতি দিন ওই লোক টারে নিয়া লিড নেউজ। সে কি খায়, কি গায়ে দেয়, কি কাজ করে, পালিশ কেমনে মারলো, ঘটনা কেমনে ঘটলো , ওই সময় গুলি করা প্রয়োজন ছিল কিনা, তাকে গুলি না করে কেন আটকানো হইলোনা। কি হট্টগোল রে বাবা।



এর পর পুলিশ এর ইনভেস্টিগেশন এ অনেক হোমরা চোমরা পদত্যেগ করসে। মেট পুলিশ- অস্ত্র কেরি করার সিস্টেম এ কিছু চেঞ্জ আনসে এবং পুলিশ এর গুলি ছোরার নিয়ম রিভিউ করা হইসে এবং সেইটা নিয়ে সারা দেশের পুলিশ কে ট্রেনিং দেয়া হইসে এবং ব্রিটেন পরবর্তিতে তার আইন ও সংস্কার করসে এই ঘটনায়। এখনো আমি ব্রিটিশ পেপার খুললে ওই ঘটনার রেফারেন্স পাই।



দিস ইজ অহাট এই আম টকিং এবাউট।



আর এই দেখেন বাংলাদেশ এর পুলিশ

Click This Link



আপনি যে বলছেন, পুলিশ শুধু মাত্র আক্রান্ত হলেই মেরেছে, সেইটা একটা কালেকটিভ লাই। কে কোন টা বিশ্বাস করছে তাতে বোধ হয় পক্ষ বিপক্ষ নির্ধারিত হয়। তাই আমি ওই বিতর্কে যাবনা কিন্তু ট্রুথ ইস দিস

Click This Link



আর ১৫০ টা ঘটনা বাদ দিলাম। এই একটা ঘটনা তো ভিডিও তে প্রভেন। এইটার কি বিচার হইসে ? শাস্তি হইসে ?

এমন কি বি এস এফ ও বাংলাদেশী যুবক কে পেটানোর ভিডিও পাবলিশ হবার পর, ওই জওয়ান দের এগেইনস্ট এ শাস্তিমূলক বেবস্থা নিসিলো। কিন্তু হয়ত আমাদের কালেকটিভ কন্সায়ন্সে ওই ধরনের ল লাইফ, ফকিন্নির পুত লোকদের একটা ঘরে নিয়া গুলি করলে তেমন আলোড়ন হয় না কারণ সে আমাদের সুশীল সমাজের পার্ট না। এমন কি সে যে মৌলবাদী জামাত, সেই টাও প্রুভ হওয়ার দরকার পরে না।

এই টায় না হয় ভিডিও আছে। বাকি গুলোর তো ভিডিও নাই। এই রাষ্ট্র যন্ত্র এবং এই পুলিশ বাহিনীর পূর্বের ট্রাক রেকর্ড জানা সত্তেও কেন সবাই মিলে মনে করতাসি, প্রতি টা ক্ষেত্রে পুলিশ আক্রান্ত হলেই গুলো ছুড়েছে, বা শুধু মাত্র ইসলামিক মৌলবাদী দের হাতে ভিন্ন ধর্মের নাগরিক দের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের সময়ের হওয়ার ঘটনা তেই পুলিশ গুলি করসে?



এই খানেই আমাদের সব চেয়ে বড় ভুল , আপনার আর্গুমেন্ট এর সব চেয়ে বড় দুর্বলতা। আমরা ইনস্টিটিউশন কে তার সিস্টেম এবং প্রসেস মানার বাধ্যবাধকতা নিয়ে জোর দিচ্ছিনা।

একটা প্রগতিশীল রাষ্ট্রে , রাষ্ট্রের হাতে যে কোনো খুন এর সর্বোচ্চ তদন্ত হওয়া উচিত। একটা মানুষের প্রাণ এই পৃথিবীর সব চেয়ে দামী জিনিস। এক ট্রিলিয়ন ডলার এর তেল ক্ষেত্রেও থেকেও একটা প্রাণ বেশি দামী। একটা প্রাণ এর একটা পরিবার থাকে, তার মা থাকে বাবা থাকে , অনাগত বা বর্তমান ছেলে থাকে, মেয়ে থাকে যাদের কাছে সে বাবা। হোক সে মৌলবাদী। কেও কারো থেকে এইটা কেড়ে নিলে সেইটা পৃথিবীর সর্বোচ্চ অপরাধ। এই জন্যই আমেনেস্টিরা, মৃত্যুদন্ড প্রতিরোধ করতে কেম্পাইন করে দেশে দেশে (আমি মৃত্যু দন্ডের পক্ষে) যাই হোক, সেইটা অন্য আলোচনা।



তাই রাষ্ট্র যদি বিচার বহির্ভূত ঘটনায় একটা প্রাণ কেড়ে নেয় - যাকে রক্ষা করার জন্যে রাষ্ট্র নামের এই প্রতিষ্ঠান এর জন্ম - সেই টার একটা সর্বোচ্চ তদন্তের প্রয়োজন। প্রয়োজনে সেইটা, ইন্টারনাল বা সিক্রেট হতে পারে। কিন্তু, অবশ্যই একটা তদন্ত হওয়া উচিত, যাতে রাষ্ট্র পর্যালোচনা করে দেখবে এই ঘটনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া হইসে কিনা এবং কিভাবে এই ধরনের ঘটনা আমরা আগামীতে এড়াতে পারি ।



এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সেই সিস্টেম আমাদের পুলিশ বাহিনীতে আছেও। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমরা পুলিশ কে ছাড় দিয়ে দিছি। ইনস্টিটিউশন কে ভেঙ্গে পরা কে এলাউ করছি, আমাদের আদর্শগত অবস্থান এর কারণে। এইটা একটা ভয়ঙ্কর ট্রেন্ড।



পুলিশ আক্রান্ত হইসে, ৭ জন পুলিশ মারা গেসে , ভিন ধর্মী দের উপর বিশেষত হিন্দু ধর্মালম্বী দের উপর জামাত আক্রমন করসে, ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দিসে- এই গুলো ভয়ঙ্কর অপরাধ। সেই ধরনের ঘটনায় ৭০ কেন, ৭০০০ লোক ও যদি পুলিশের গুলি তে মরে, তো একটা ইনভেস্টিগেশন এ সেটা যদি জাস্তিফায়দ হয় তো সেটাই ঠিক।



কারণ একটা প্রগতিশীল রাষ্ট্রের ধর্মীয় আইদেন্তিতীর কারণে, বিনা অপরাধে একটা একটা জনগোষ্ঠী আরেকটা জনগোষ্ঠির উপর হামলা চালাতে পারলে রাষ্ট্রের নৈতিকতার ভিত্তি ভেঙ্গে পড়ে। জামাত শিবির এই ধরনের কাজ চালাবে, তাদের চরিত্রই ইটা। সেটা যে কোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে। এই ধরনের ঘটনায়, ডিউ দিলিজেনস এর অধিক বল প্রয়োগ জাস্তিফায়েদ হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই কি সাম্প্রদায়িক হামলা ঠেকাতে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হইসে ? বা পুলিশ নিজের উপর রিস্ক আসছে বলে, গুলি করতে বাধ্য হইসে ?



কিন্তু আমি নম্বর অফ ভিডিও দেখতাসি, চানেল এর রিপোর্ট দেখতাসি, পুলিশ আর্মার্ড পারসনাল ক্যরিয়ার এর ভেতর থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে যাচ্ছে।

বিক্ষোভ কারীরা , বাংলাদেশের এভারেজ মিছিল এর মত পাথর মারছে -আর প্রথম বার দেখছি দূর থেকে পালিশ লাইন ধরে অস্ত্র তাক করে গুলি করছে মিছিল এর দিকে। তাদের লাইফ থ্রেট আছে এই ধরনের মনে হচ্ছেনা। কিন্তু পুলিশ গুলি করছে। কোনো ধরনের জীবনের রিস্ক এর মধ্যে না থেকে পাখি মারার মত গুলি ছুড়ছে। খেত এর আইল এর মধ্যে মানুষ দৌড়াচ্ছে পুলিশ দূর থেকে গুলি ছুড়ছে। এই ধরনের ভিডিও হরদম দেখলাম। যে কোনো কমন সেন্স ওয়ালা মানুষের প্রশ্ন আসবে, তাহলে সরকারী নেরেটিভ টা কি ঠিক?

আমার এবং আমার মত অনেকের সব চেয়ে আপত্তির জায়গা টা এই খানে।

আমি এই ধরনের গণ হারে গুলি করার সিন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর কোনো বিক্ষোভে দেখি নাই। এমন না, এই আমাদের দেশের প্রথম কোনো বিক্ষোভ।

হা।। বেশ আমাদের নিকট ইতিহাসে কিছু ঘটনায় পুলিশ এর গুলি তে মানুষ মরছে, বাংলাদেশে এমন হইসে । কিন্তু সারা দেশের জায়গায়, জায়গায়, পুলিশ কে এই ভাবে গুলি ছুড়তে আমি কক্ষনো দেখি নাই। এইটা একটা ভয়ঙ্কর কালচার এর সুচনা করলো পুলিশ।



আপনার এনালাইসিস ইজ স্পট অন। রাষ্ট্রের বল প্রয়োগের অধিকার ছিল এবং সব সময় আছে। রাষ্ট্র কে ভীয়লান্স এর যে অধিকার দেয়া হয়েছে তা সিস্টেম , প্রসেস এবং স্ট্রাকচার এর মধ্যে থেকে করতে হবে।



প্রবলেম হইলো ডিউ দিলিজেনস ছাড়া, কোনো ইনভেস্টিগেশন ছাড়া এত গুলো হত্যা কে শুধু মাত্র মৌলবাদী মরসে বলে যদি জাস্তিফায়েদ করে ফেলি তখন আমরা এক এক জন ফাসিস্ট এ পরিনত হয়ে যাই ।এখন এমন অবস্থা দারায়সে এই পালিশ, বা রেব বা বি জি বি , যাকে তাকে মেরে এনে আমাদের পা এর সামনে লাশ ফেলে বলবে-এ ছিল জামাত, মৌলবাদী। এবং আমাদের সেইটা মানা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। এক দিন দেখবেন সেই লাশ এর মধ্যে আমার বা আপনার ভাই এর লাশ আছে।



লেখা শেষ করে দেখলাম এখনো এখনো ল, জাস্টিস এবং কোর্ট আনি নাই। যেই গুলো রাষ্ট্রের বল প্রয়োগের সিস্টেম এর অন্যতম পিলার।



আমি তাই ইনস্টিটিউশন এর পক্ষে দাড়ানো টা সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ মনে করি।

আমি বিশ্বাস করি, এই জায়গায় আপনি আমি 100% এক মত। ভালো থাকবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.