![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu
১. বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই লং মার্চ প্রথম কোন লং মার্চ কর্মসূচি নয়।লং মার্চ করলেই যে হাতি, ঘোড়া মেরে ফেলবে, ঢাকা অবরুদ্ধ হয়ে যাবে, সরকার পতন হয়ে যাবে তাতো না। কিন্তু, হেফাজত এর মত, পূর্ব পরিচয় হীন একটা দল কে ঠেকানর জন্যে , এতো গুরুত্ব দিয়ে, আনপ্রেসিডেন্টেড ভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম শুক্রবারে হরতাল, পরিবহন ধর্মঘট -কর্মসূচি এবং পালটা কর্মসূচির মাধমে একটা জাতীয় ক্রাইসিস সৃষ্টি করার কারণ কি ? এর ফলে তাদের শক্তি এবং গ্রহন যোগ্যতা কি আরো সংহত হল না ??
২. হেফাজত এর দাবি গুলোর ডিকে তাকালে দেখবেন, এর মধ্যে নতুন কিছু নাই। এই গুলো গড়পড়তা বাংলাদেশের সব ইসলামিক দল গুলোর স্ট্যান্ডার্ড দাবি। এই দাবি গুলোর মধ্যে কিছু রাজনৈতিক, কিছু সামাজিক । বাংলাদেশের গোঁড়া ইসলামপন্থী জনগোষ্ঠীর মধ্যে রাজনৈতিক দাবি গুলো নিয়ে কিছুটা সমর্থন থাকতে পারে । কিন্তু সামাজিক নিয়ন্ত্রণ এর দাবি গুলো নিয়ে বাংলাদেশ এর সাধারণ মানুষ তো বাদ দিলাম এমন কি গোঁড়া মুসলমানদের মধ্যেও সামান্যতম সমর্থন নাই। ফলে একটা, পূর্ব পরিচয় হীন একটা দল যদি হঠাৎ করে, ইসলামিক দলের উয়িশ লিস্ট কম্পাইল করে একটা তালিকা বানিয়ে সরকার কে দাবি জানায়-তো বাংলাদেশ আফগানিস্তান হয়ে যাবে কেন ??
৩. এবং এই লিস্ট দেখেই একটা গ্রুপ যে অসম্ভব প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে - বাংলাদেশ আফগানিস্তান হয়ে গেল বলে, সরকার এর মুখপাত্ররা যে ফিয়ার মঙ্গারিং করতেছে –তা তাদের ধর্মীয় উন্মাদনার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া জীয়ে রেখে, ইলেকশন ইয়ার এ দেশ এ একটা ডিভাইড এন্ড রুল গেম খেলার একটা গুটি চাল মাত্র। একে এত গুরুত্ত দেয়ার মত কিছু এখন হয় নাই কারন এইটা কোন গ্রাস রুট লেভেল এর দল না, এইটা একটা আনকোরা গ্রুপ -এদের গুরুত্ত দিলেই বরং এদের শক্তি সঞ্চয় হবে। এত দিন পাখির মত মানুশ মেরে, অস্থিরতা সৃষ্টি করে, এখন সরকারি এদের অপ্রয়োজনীয় গুরুত্ত দিয়ে এদের মেইনস্ত্রিম করে দিচ্ছে।
৪ . কিসের ভিত্তিতে সরকার হেফাজত এর সাথে সমঝোতা করে ব্লগারদের গ্রেপ্তার করতেছে।মৌলবাদী দের দেয়া লিস্টি ধরে ধরে তাদের ক্রিমিনাল এর মত পাবলিক এর সামনে এনে ছবি তুলে অপদস্থ করতেছে। এই ধরনের দাবি, লং মার্চ, তো আর আসবে। পরে যদি এরা দাবি তুলে ,সকল ব্লগার দের জন সমক্ষে কতল করা হোক-তো সরকার কি তখন সবাই কে দেখিয়ে ব্লগার দের কতল করবে ?
নেট এর নেট এনিনমিটির সুযোগে কিছু কিছু ব্লাস্ফেমাস কথা বারতা হয়। কিন্তু এইটার স্পেস এতো লিমিটেড যে , এইটাকে এতো গুরুত্ব দিয়ে একটা রাষ্ট্রীয় লেভেল এর ক্রাইসিস সৃষ্টি করার কোন মানে হয়। এই টা আমার দেশ গং এর গোল- কিন্তু সরকার কেন সেই তালে ডুগডুগি বাজাচ্ছে।
৫। এই টা কি সিভিলাইযদ দেশের মত হ্যান্ডল করা যেত না ?? ফর এক্সামপল তথ্য মন্ত্রণালয় চাইলে , ব্লগ এর এডমিন, সিনিয়র ব্লগার, নেট একটিভিস্ট , উলেমা, ল ইয়ার, আইন প্রণেতারা সহ এক সাথে বসে এই ইস্যু গুল নিয়ে একটা ব্রড ডিসকাশন করতে পারত না ?? সাইবার স্পেস এ ব্লাস্ফেমি ছাড়াও আর কিছু ইস্যু আছে যা একটা ইনফরমড ডিবেট এর দাবি রাখে। যেমন পর্ণগ্রাফি, বুলিং, শিশুদের দের উপর এবিউয, ফ্রড, সোশ্যাল ডিস্রাপষণ এবং ফ্রিডম অফ স্পিচ এর সীমা পরিসীমা নিয়ে একটা সিরিয়াস ইনফরমড ডিবেট এর প্রয়োজন হয়ে আছে দশ বছর ধরে, কিন্তু ধাক্কা না খাইলে আমরা প্রয়জন উপলব্ধি করিনা ।
এমন একটা সিরিয়াস এবং সিনসিয়ার ডিসকাশন করেন, দেখবেন যাদের ধরে নিছেন অনেক প্রিমিটিভ মৌলবাদী-তারাও কি সুন্দর ভাবে বিষয় টা বুঝে নিয়ে একটা কনস্ট্রাকটিভ প্রসেস এ পার্তিসিপেট করে।
নেট এর ডায়নামিকস টা না বুঝে, দমন এবং নিপীড়নের কায়দায় মুর্খের মত সরকার, যে ভাবে লিস্ট ধরে ধরে ওইচ হান্টিং করছে তা মধ্য যুগের ইউরোপের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, এবং তা আওয়ামী সরকার এর বিংশ শতকের নতুন চালেঞ্জ গুলোক বুঝে নেয়ার অযোগ্যতা কে প্রকাশ করে ।
৬. আমার দেশ পত্রিকা, ব্লগোস্ফিয়ার এর খুব মার্জিনালিজ্দ কিছু ইস্যু কে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সামনে এনে ব্লগোস্ফিয়ার এর বিরুদ্ধে, সাধারণ ধর্ম প্রাণ মুসলমান কে যেভাবে খুঁচিয়ে তুলছে। তা নিঃসন্দেহে ভীয়লান্স ইনসাইট করার অপরাধের মধ্যে পড়বে।
ফ্রিডম অফ স্পিচ আর অন্যতম একটা খুঁটি হইলো, ইনসায়তেশান অফ ভীয়লান্স এবং ইন্সায়তেশান অফ রিলিজিয়াস হেট একটা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। আমার দেশ কে, অবশ্যই সেন্সর করে উচিৎ। কারণ আমার দেশকে সুনির্দিষ্ট অপরাধের এগেইনস্ট এ সেন্সর করে শাস্তির আয়তায় না আনলে, দেশে সুদূর প্রসারী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে ।
৭. গণজাগরণ মঞ্চ, সব সময় বলে এসেছে,এই প্লাটফর্ম থেকে যুদ্ধপরাধি দের ফাঁসির দাবি এবং জামাত শিবির নিষিদ্ধের দাবি বাদে অন্য কোন দাবি তোলা যাবেনা। বাংলা পরীক্ষার দিন শুধু মাত্র বাংলা পরীক্ষা দেয়া হবে।
ভালো। তাইলে মঞ্চ এখন কিসের ভিত্তিতে, হেফাজত ঠেকানোর কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছে ?
হেফাজত তো কউমী মাদরাসা ভিত্তিক গ্রুপ। জামাত শিবির না। জামাত শিবির আর মৌদুদীবাদ আর সাথে হেফাজত এর চরম একটা আইদীয়লোজিকাল দ্বন্দ্ব রয়েছে। যদিও দাবি দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা এক সূত্রে মিলিত হয়, সেইটা সকল মৌলিক ইসলামিক দলই হয়। কিন্তু মোদ্দা কথা হইলো, হেফাজত এর দাবি গুলোর মধ্যে জামাত শিবির কে রক্ষা করার দাবি নাই।এইটা তাদের গোল ও না।
ব্যাক্তিগত ভাবে মৌলবাদ ঠেকানোর বেপারে সবার নিজস্ব মতামত থাকতে পারে, পার্টিসিপেশন থাকতে পারে - কিন্তু মঞ্চের পক্ষ থেকে হেফাজত ঠেকানোর কর্মসূচীতে যোগদান কি সিগনাল দিল সারা দেশ কে ?
৮। একটা যুক্তি আমি দেখেছি, তা হল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার । ফলে এখন মৌলবাদ এর উত্থানে রুখে ধারাতে হবে। আমার তাতে কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু আমার কাছে, মুক্তিযুদ্ধের সব চেয়ে বড় চেতনা, বিশ্বের বুকে বাঙ্গালী জাতির আত্মসম্মান নিয়ে, ভাত ও ছাদ আর অধিকার নিয়ে বেচে থাকার অধিকার। তাইলে, এত মানুষ যখন জোর হইছিল, তখন ঐটার জন্যেও সিস্টেম পরিবর্তন আর ডাক দেয়া তো জায়েজ ছিল । ওই ডাক দিতে তাইলে এত দিন ভয় পাইছেন কেন ? শুধু বাংলা পরীক্ষা দেয়ার জুজু দেখাইসেন কেন ? আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনারে যারা শুধু মাত্র, মৌলবাদ আর সাম্প্রদায়িকতার পক্ষ বিপক্ষের লড়াই এ আটকায় ফেলে, তাদেরকে সামগ্রিকভাবে পরিত্যাগ করার টাইম আসছে।
৯। গত দুই দিন কিছু লেখা পড়েছি, যাতে হেফাজত আর জামাত কে এক হিসেবে দেখানো হইছে । হেফাজত এর নেতারা যেমন ব্লগার দের মধ্যে, আস্তিক, সংশয়বাদী , নাস্তিক, ধর্ম বিরোধী দের পার্থক্য দেখতে পারেন না, ঠিক তেমনি দাঁড়ি ওয়ালা ইসলামিক একটিভিস্ট দেখলেই জামাত মনে করাটা , আমাদের আরবান সেকুলার মিডিয়া এবং ফেসবুকার দের একটা বৈশিষ্ট্য ।
এইটা হইলো, চাইনিজ সিন্ড্রোম । চীন গেলে, সবাই রেই একই লাগে -কে হান, কে ইউগুর , কে মঙ্গল তা একজন ইল ইনফর্মড মানুষের চোখে ধরা পরার কথা না ।
১০। সরকার যে, যুদ্ধাপরাধের দাবিতে জামাত কে নিষিদ্ধ করবেনা, সেইটা নিয়ে আমার স্টুডিও এর ইকুইপমেন্ট বাজি ধরছিলাম। বাজি টা এখনো বহাল। বরং হেফাজতের এই আন্দোলন এর প্রেক্ষাপটে, বাজির স্টেক টা আরো বাড়ায় দিলাম। জামাত নিষিদ্ধ করলে এখন আমার স্টুডিও ইকুইপমেন্ট বাদে আমার এক বছরের বেতনও বাজির স্টেক হিসাবে তোলা হইলো। কারণ, সরকার এখন দেখবে, জামাত কে নিষিদ্ধ না করে কন্টেন করে রাখা যায়, এবং পলিটিকাল এবং সোশ্যাল সব স্পেস যুদ্দপরাধ-মৌলবাদ গেম খেলা যায়, যাতে সুশীল রা পার্টি হয়ে হাডুডু করে -এবং তা দিয়া সব দুর্নীতি ঢেকে রাখা যায়। কিন্তু জামাত নিষিদ্ধ করলে, যুধপরাধের স্টিগমা হীন যে ইসলামিক রাজনৈতিক দল এর উত্থান ঘটবে, তাকে কন্টেন করা এত সহজ হবেনা। এবং দুই মনসার অল্টারনেটিভ হিসেবে তারা মেইনস্ট্রিম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম নয়।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
কালো পতাকার খোঁজে বলেছেন: জামাত জীবনেও নিষিদ্ধ হবেনা। তাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা (বর্তমানে এটাকে যেভাবে ব্র্যান্ডিং করা হইছে সেটার আলোকে বললাম ) বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
লং মার্চের পাল্টা কর্মসূচী অপ্রত্যাশিত। বিশেষ করে জাগরেণর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ব হলো তাতে।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২১
নষ্ট ছেলে বলেছেন: বিশ্লেষণধর্মী পোস্টে কমেন্টের হাহাকার দেখে অবাক হলাম
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: হমম