![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu
আজ ছুটির সারা দিন, সব কাজ কাম বাদ দিয়া টিভির র সামনে গ্লু হয়ে ছিলাম আর ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস মারছি। পেইন লাগলেও কিছু অবজার্ভেশান।
ক। মঞ্চে বক্তব্যের টোন হেফাজত হোক, আওয়ামী লীগ হোক- বঙ্গবন্ধুর সেট করে দেয়া স্টাইল টাই এখনও স্ট্যান্ডার্ড।
খ। হেফাজত এর নেতাদের বক্তব্য শুনে আমার ফিলিংস হইলো, তাদের অজ্ঞানতা অবিশ্বাস্য রকম ভাবে স্থূল। শুধু মাত্র আমার দেশ পড়ে, তাদের পুরো ধারণা ফর্ম হইছে। তারা কখনও ব্লগ এ ঢুকে যাচাই করেন নেই ব্লগার, আস্তিক, নাস্তিক, ধর্ম বিদ্বেষী এবং ব্লাস্ফেমার দের পার্থক্য। এতো অল্প জ্ঞান নিয়া,এতো গভীর অজ্ঞানতাকে ধারণ করে, এতো বড় একটা সমাবেশ ডাক দিয়ে এই ভাবে বিদ্বেষ উস্কে দেয়া একটা বিশাল বড় ইরেস্পন্সিবিলিটি ।
গ। যদিও ১৩ টা দাবী আছে কিন্তু ব্লাস্ফেমি টাই আজকের সব বক্তাদের মূল ক্ষোভ। এইটা নিয়া সরকার এর কিছু একটা করে, এই ক্ষোভ টাকে প্রশমিত করা উচিৎ। মুসলমান দের জন্যে, রাসূল কে নিয়া নোংরামি অফ লিমিটস। বাংলাদেশ এর মতো ৯০% মুসলমান এর দেশে, এই ব্যাপারে আইন থাকা উচিৎ। শেখ হাসিনা কে নিয়া কটূক্তি করলে,যদি শাস্তি যোগ্য অপরাধ হয়ে থাকে, তো রাসূলকে নিয়া কটূক্তি করলে শাস্তিজজ্ঞ অপরাধ হতে অসুবিধা কি। ফ্রী স্পিচ এর সীমায় , আমি এই ধরনের আইন এর সাথে কোন কনট্রাডিকশন দেখিনা। ওয়েস্ট এ, হলকাস্ট ডিনায়েল এখনও শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
ঘ। এরশাদ তুমি কার ? কে তোমারে চালায় ? এরশাদ কি, হেফাজত এর জন্যে সরকার এর ইমরান ট্রোজান? ভাইরে ভাই। নিউট্রন বোমা বুঝি ,এরশাদ বুঝিনা।
ঙ। ব্লগার দের কে একটা সেপারেট এনটিটি হিসবে ট্রিট করা হচ্ছে। দিস ইয ইন্তেরেস্টিং। কারন আমার দেখা মোস্ট ব্লগার রা মূলত, একজিস্টিং পলিতিকাল পার্টি দের এলাইন্মেন্ট অনুসারে চলে। রাষ্ট্র, মেডিয়া, পলিটিকাল পার্টিরা এখন ব্লগারদেরকে, আলাদা একটা এন্টিটি হিসেবে ট্রিট করাটা একটা বিশাল বড় মিসড অপারচুনিটিকে নির্দেশ করে। রাজিব হত্যার পর, তারে ব্রান্ডিং করে ব্লগার রা যে ভুল টা করছে, তা না করলে আজ তারা একটা অল্টার্নেটিভ ফোরস হিসেবে দাড়াতে পারতো।
চ। প্রতিটা মিডিয়া এখন কোন না কোন পক্ষের এক্তিভিস্ট এর ভূমিকা নিছে।এইটা খুব ভয়ঙ্কর একটা ট্রেন্ড। আজ বাংলাদেশে যা হইছে , তা হইলো ক্লাশ অফ সিভিলাইজেশান। এতো বড় একটা ঘটনা কে, আড়াল করে অধিকাংশ মিডিয়া রান্না, বান্না, সিনেমা, এর উচ্চাঙ্গ সংগীত দেখাইছে। যদি মিডিয়া এই ভাবে ক্রেডিবিলিটি হারায় ফেলে, অনেক বড় একটা জন গোষ্ঠীর কাছে তারা ইরেলেভেনট হয়ে যাবে। অলরেডি হয়ে গ্যেছে। ফলে প্রেসার গ্রুপ হিসেবে মেডিয়ার ক্ষমতা খর্ব হবে।
ছ। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আওয়ামী লীগ, সামনে একটা বলছে, পেছনে আরেকটা কাজ করছে। এবং মিটিং শেষে আরেকটা আলাপ দিচ্ছে। সমাবেশ শেষে আওয়ামি লিগ এর সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম হানিফ যা বলছে, তার সারমর্ম হল, হেফাজত ভাল, কিন্তু বি এন পি জামাত জোর করে ওদের এই গুল করাইছে। শেম।
জ। হেফাজত, জামাত শিবির কে প্রশ্রয় দিয়ে কোন বক্তব্য দিছে এমন শুনি নাই। ভেতরে অন্য কিছু থাকতে পারে কিন্তু সামনা সামনি তারা জামাত এর পক্ষ নেয় নেই। এই অবস্থায় গনজগরন মঞ্চ, হেফাজত ঠেকাও কর্ম সূচী তে পার্টিছিপেট করে , নিজেদেরকে অফিশিয়ালি হেফাজত এর প্রধান এনটি পার্টি হিসেবে এস্টাব্লিশ করলো। আজ, চুপ চাপ গ্যালারিতে বসে কি হয় তা অবজারভ করাটাই হইত ইন্টেলিজেন্ট ডিসিশান । কিন্তু জাগরন মঞ্চ এবং অনান্য তথাকথিত অরাজনইতিকদের নামিয়ে দিয়ে আওয়ামি লিগ চুপে ছিল গ্যালারিতে। এইটা ক্লিয়ার- আগামীতে হেফাজত এর প্রতিপক্ষ হিসেবে আওয়ামী লীগ জাগরণ মঞ্চ কে ইউজ করবে। ফলে জামাত নিষিদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধি দের বিচার এর গোল অর্জনে , মঞ্চের কি লাভ হইলো, তা যারা এই ডিসিশান নিছে তারাই বলতে পারবেন ।
ঝ। গত দুই মাসের আমার দেশের টানা প্রপাগান্ডা, ব্লাস্ফেমাস ব্লগ গুলো কে, হাই লাইট করে প্রতিবেদন এবং পুলিশের গুলিতে পাখির মতো মানুষ মারা যাওয়াতে একটা ব্যাপক ক্ষোভ জন্ম হইছিল । ফলে, যে কোন একটা নন জামাতি, ক্রেডিবল ইসলামিক প্লাটফর্ম ফ্রাসট্রেশান কে ভেন্টিলেট করে নিজের দিকে আনতে পারত। হেফাজত এই খানে নিমিত্ত মাত্র। আমি সিওর চরমোনাই এর পীর, আজকে চরম আফসোস করতাছে, কয় দিন আগে ডাক দেয়া মহাসমাবেশ কলড অফ করার কারনে।
ঞ. হেফাজত এর মতো একটা আঞ্ছলিক দলকে এই ভাবে মেইন স্ট্রিম করার ফুল ক্রেডিট আমি সরকার কে দিলাম।
ট। হেফাজত একটি চরম প্রতিক্রিয়াশীল দল। তারা আজ এক দিনেই, আন প্রেসিডেন্টেড শক্তি অর্জন করছে। Be afraid, be very very afraid.
©somewhere in net ltd.