নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিয়া হাসান

এইটা আমার ব্লগ।

ম্যঙ্গোপিপল

সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu

ম্যঙ্গোপিপল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লাসফ্লেমি নিয়া ক্যাচাল -চা নিয়া , পান চাবাইয়া বসেন। লম্বা কথা আছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৮

ব্লাসফ্লেমি ব্লাসফ্লেমি ব্লাসফ্লেমি -এখনটক অফ দা টাউন।

গত ৬ এপ্রিল হেফাযতে ইসলাম ঢাকায় যে শো ডাউন করল, তাতে ব্লাসফেমি আইন নিয়ে বিতর্কটা দেশের পলিটিকাল ল্যান্ডস্কেপ এর সামনের সারিতেনিয়ে আসছে।

যদিও হেফাজতের ১৩ দফা দাবী, তবুও ৬ তারিখে বক্তাদের কথা শুনলে বুঝা যায়, বেশীর ভাগ বক্তা রাসূলের অবমাননাকে সব চেয়ে গুরুত্ব দিছেন। লিস্টিঅনুসারে মুল দাবিটার ভাষা ছিল, এই রকম

“আল্লাহ্‌, রাসুল (সা) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবংমুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধানরেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।“



অন্য দিকে, ৮ তারিখ প্রধান মন্ত্রী বিবিসিকে স্বাক্ষাৎকারেবলেছেন, ব্লাসফ্লেমি আইন করা হবেনা। এরপর, আজ ৯ এপ্রিল, হেফাজত একটা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছে্‌যে দাবি তারা আদায় করে ছাড়বে। হেফাজত ঢাকায় ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ এর মত জন সমাবেশ করছে আর প্রধানমন্ত্রি গন প্রজাতন্ত্রের প্রধান। ফলে সিচুয়েশান টা যথেষ্ট ক্রিটিকাল। অবস্থা দৃষ্টেমনে হচ্ছে, ইস্যুটা নিয়ে দেশে পরিস্থিতি আরো সহিংস পরিস্থিতিসৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থায় ব্লাসফেমি আইনএবং এই সম্পর্কে একটা বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন আছে।



চা নিয়া, পান চাবাইয়া বসেন। এইটা লম্বা ক্য্যাচাল।



ব্লাসফেমির সংজ্ঞা ও সীমানা:-

প্রথমে দেখি। ব্লাসফেমি কি জিনিস।

ব্লাসফ্লেমি টা একচুয়ালি ইউরপিয়ান ইম্পোরট।কিন্তু আমি ওই দিকে যাবনা।



যুগে যুগে দেশে দেশে ব্লাসফেমিকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ট্রিট করা হইছে। আল্লাহর বিরুদ্ধে কথা বলা,রাসূলের সমালোচনা করা, নিজেকে রাসূল হিসেবে দাবী করা, রাসূলেরছবি আঁকা সহ বিভিন্ন আচরণ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে ব্লাসফেমীর আওতায় পড়ছে।

কোন কোন দেশে আবার কোরআনকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা দেয়া, মুসলমানদের সমালোচনা করা, নামাযেরসময় শীস দেয়া, মেক আপ করা বা সাজা, যোগ ব্যায়াম চর্চা করা, নন মুসলিমদের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া, নাস্তিকতারচর্চা করা, জুয়া খেলাসহ অনেক কার্যক্রমও ব্লাসফেমির আওতায় পড়ছে।



আমাদের দেশ এর প্রেক্ষাপটে ব্লাসফেমির সংজ্ঞা প্রদান ও সীমানা নির্ধারণ :-

ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মকে সমালোচনা করা , আমাদেরসোসাইটিতে খুব অস্বাভাবিক কোন প্রবণতা নয়। আমাদের সমাজে মৌলবাদী, নরমপন্থী, চরমপন্থীসবার মধ্যেই ধর্মকে সমালোচনামূলক আলোচনার একটা এক্সেপ্টেনস আছে এবং সোস্যাল স্পেসের বিভিন্ন পর্যায়ে, নিয়তই ধর্ম নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হয়ে থাকে। ফর এক্সাম্পল,জাকির নায়েকের টিভি প্রোগ্রামগুলো আমাদের দেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়।সেখানে ধর্ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এবং বিভিন্ন সময় ভিন্নধর্মীদের হাজির করে ধর্ম কে নিয়ে খুবই চরম বিতর্ক, সমালোচনা এবং পর্যালোচনা করা হয়। এই প্রগ্রাম গুলো আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। সেইগুলোকে কখনও ব্লাস্ফেমাস আচরণ হিসেবে ধরা হয়না।



কিন্ত‍ু, ইসলাম আর নবী-রাসূল মোহাম্মাদ (সা)কে নিয়ে কুটনা এবং রাসূলের জীবনকে নিয়ে ব্যেঙ্গ এবং বিষোদগার – আমাদের সমাজে অফ লিমিট এবং অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।এই বিষয়গুলোই নেট থেকে খুঁজে নিয়ে আমার দেশ পত্রিকা হাইলাইট করে, যা সাধারণ মুসলমানদেরকে খেপিয়ে তুলছে এবং এইটা থেকেই মূল ক্ষোভটার উ‍ৎপত্তি হয়ে একটা বিস্ফোরণ ঘটছে।

ফলে, দেখা যাচ্ছে নবীকে বিষোদগার এবং কুৎসাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ক্ষোভের মূল কারণ।তাই, আমি এই আলোচনায় বাস্ফেমির স্কোপ শুধুমাত্র রাসূলকে নিয়ে সমালোচনা এবং রাসূলের জীবন নিয়ে কুৎসা রচনা করারমধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবএবং ব্লাসফেমি শব্দটা শুধুমাত্র এই অর্থে ব্যবহার করব। যুগে যুগে , দেশে দেশে ব্লাসফেমি রস্কোপ এক এক ভাবে নির্ধারিত হইছে। তাই এই লেখায় যদি ব্লাসফেমিকে শুধু মাত্র রাসূলকে নিয়ে কুটনা গাওয়াতে সীমাবদ্ধ করা হয়, সেইটা ভুল হবেনা।

ফ্রিডম অফ স্পিচের প্রেক্ষাপটে, এই সীমানাটা নির্ধারণের একটা তাত্ত্বিক ভিত্তি আছে। সেই ভিত্তি টাকে বোঝার জন্যে, আমি জন স্টুয়ার্ট মিলের হেল্প নিব।

স্টুয়ার্ট মিল রে মুক্ত সমাজের ধারণার প্রধান তাত্ত্বিক হিসেবে ধরা হয়।

স্টুয়ার্ট মিল বলেছেন,

” একজন ব্যক্তির যে কোন বিষয়ে আলোচনা করার, মতামত দেয়ার এবং পর্যালোচনা করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকতে হবে, তা যতই অনৈতিক হোক।“



মিল থিউরাইজ করেন যে,

"সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিলে একটা যুক্তি তার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতারসীমা পেরিয়ে, তার যৌক্তিকতার শেষ সীমায় পৌঁছায়।"





আমরা স্টুয়ার্ট মিলের সাহায্য নিয়ে, রাসূল (সা) কে নিয়ে ব্যক্তিগত কুৎসা এবং নোংরা কদর্য রচনাকে , সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পেরিয়ে যৌক্তিকতার শেষ সীমায় পৌঁছে কদর্য আক্রমনে রূপ নিছে বলে ধরে নিতে পারি।

আমরা পরবর্তীতে দেখব, এই সীমানা অতিক্রম করার লাইনটাকেই, পশ্চিমা বিশ্বের ফ্রি সোসাইটি এবং মুক্ত বুদ্ধির তাত্ত্বিকরা, ফ্রিডমঅফ স্পিচ এর বাউনডারি হিসেবে বেঁধে দিছেন।



কেন এই আলোচনটা প্রয়োজন ?

কিছু প্রতিক্রিয়াশীল গ্রুপ এর হাতে বিছিন্ন ঘটনা বাদে, বাংলাদেশের সমাজ এবং রাষ্ট্র ইসলাম বা অন্য ধর্ম চর্চার ব্যাপারে তেমন কোন গোঁড়ামি দেখায় না।

বাঙালি মূল্যবোধের সাথে, ইসলামী অনুশাসনের মিথস্ক্রিয়াতে বাঙালি সমাজে একটা ইউনিক ধর্ম চেতনা ঘড়ে উঠেছে, যা অনেক সহনশীল এবং আপোষকামী। সেই আপোষকামী মনোভাবে মৌলচেতনার দলগুলো অনেক ক্ষেত্রে চরমপন্থা আনার চেষ্টা করেছে। কিন্ত‍ু সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি কখনো তাদেরকে মূল ধারায় আসতে দেয়নি। এই জন্যেই , আমাদের দেশে এখনো দুই জন মহিলা পালাক্রমে দেশ চালাচ্ছেন (যদিও খুবই বাজে ভাবে চালাচ্ছেন ) কোন ধরনের ধর্মীয় প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীননা হয়েই।



কিন্ত‍ু শাহবাগ এর উত্তাল দিনগুলোর সময় রাজিবের হত্যাকাণ্ডের পর রাজিবকে দ্বিত্বীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে ব্রান্ড করাসহ অন্যান্য কর্ম কান্ডে,জাতীয়তাবাদী পত্রিকা আমার দেশ - বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামাতকে রক্ষা করার জন্য, থাবা বাবার নোংরা এবং কদর্য লেখাগুলো দিয়ে পুরো শাহবাগ মুভমেন্টকে ডিলিটিমাইজ করার স্ট্রেটেজি নেয় এবং তারা থাবা বাবার লেখাকে রাজনীতিকিকরন করে।

দিনের পর দিন তারা একটা ভয়ঙ্কর পলিটিক্যাল গেম খেলেছে, নেটের কোনায়- কানায় পরে থাকা, জিরো হিট,জিরো একেসেপট্যাবল লেখা গুলো দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় বোধ কে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে।



থাবা বাবার লেখাগুলো ছিল চরম ঘৃণ্য এবং কদর্য।

গোড়া ধর্মীয় মৌলবাদীদের কথা বাদ দিলাম, সাধারণ মুসলমান এর কাছেই থাবা বাবার নামে লেখা গুলো টলারেবল ছিলনা। ফলে,আমার দেশের এই প্রোপাগান্ডাতে বিভিন্ন মৌলিক ইসলামী দলগুলোর মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া হয়, তার বিস্ফোরণ ঘটে ৫ এপ্রিল, যখন প্রায় ৫ হতে ১০ লাখ লোকের শোডাউন হয় ঢাকার রাস্তায় এবং সারাদেশে, যেখানে তারা ১৩ দফা দাবী পেশ করে।



তাদের এই বিক্ষোভ বাংলাদেশের জন্মের পর, এরশাদ বিরোধী বিক্ষোভকে বাদ দিলে সর্ববৃহৎ বিক্ষোভহিসেবে ধরে নেয়া যায়। সংখ্যার একটা ওজন আছে। ফলে এতো দিন ফ্রিঞ্জ লাইনে থাকা এই গ্রুপ গুলোর দাবী-দাওয়াকে এখন সিরিয়াসলি পর্যালোচনা করার প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে। কারণ এই ব্যেপক জন সমাবেশ করার পর, তারা এখন সরকারের উপর, রাষ্ট্রের উপর, সমাজের উপর বড় একটা প্রেসার গ্রুপ হিসেবে আবর্তিত হয়েছে।



এই অবস্থায় তাদের দাবীকে আওয়ামী লীগ এর কায়দায় ডিনাই করা সম্ভব কিন্ত‍ু তাদের উপেক্ষা করা সম্ভব নয় এবং তাদের কে কনফ্রন্ট করার প্রয়োজন রয়েছে।




সমস্যা হচ্ছে, ব্লাস্ফেমি আইন এর এই আলোচনটার ইন্সস্টিগেটর চরম প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মীয় মৌলবাদী হওয়ার কারণে এবং তাদের দাবীগুলো চরম এক্সট্রিম হওয়াতে এবং তাদের বেশীর ভাগ দাবী গুলো আমাদের সমাজের চেতনায় সম্পূর্ণ ভাবে অগ্রহণযোগ্য হওয়াতে, সত্যিকার এবং মিথ্যাকার উভয় শ্রেণীর প্রগতিশীল তাদেরকে কোন ভাবেই প্রশ্রয় দিয়ে তাদেরকে দাবী গুলো গুরুত্ব দিতে সম্মত নয়।

তাদের ১৩ টা দাবী নিয়ে আমি কোন আলোচনায় যাবনা। আমি শুধু আলোচনা করবো তাদের মূল দাবী নিয়ে যেটা থেকে এই ক্ষোভ এবং বিক্ষোভের জন্ম, সেইটা হলো



“আল্লাহ্‌, রাসুল (সা) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবংমুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধানরেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।“



এমনকি মৌলিক ইসলাম এর পারস্পেক্টিভ এইটা একটা অন্যায্য দাবী।

কারণ আমরা পরবর্তীতে আলোচনায় দেখব, যে ইসলামের ভিত্তিতে তারা এই দাবী গুলো তুলছে, সেই ইসলামের মূল গ্রন্থ আল-কোরআনে -ব্লাসফেমি আচরণে কখনোই মৃত্যুদন্ড তো দূরের কথা, এমন কি শাস্তির কথাও বলা হয় নাই। এই নিয়ে খুব পরিষ্কার পরিষ্কার আয়াত রয়েছে। ফলে এমনকি কোরানের আয়াত উপেক্ষা করে তাদের এই দাবী গুলো পরিষ্কার যুক্তি তে আলোচনা করা দরকার এবং তাদেরকে মোকাবেলা করার জন্যে সঠিক যুক্তি গুলো তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া দরকার।

তাছাড়া তাদের এই দাবী, মুক্ত বুদ্ধির চর্চার ক্ষেত্রে এবং সত্যিকার এর প্রগতিশীল সমাজ এবং রাষ্ট্র গড়ার পথে চরম একটা বাধা সৃষ্টি করবে, কারণ যুগে যুগে দেখা গেছে এইধরনের আইন সৃষ্টি করে,রাষ্ট্র এবং সমাজের মৌল অংশ টুকু অপশাসন, কু শাসন এবং আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে মূলত তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতাকেই সংহত করে এবং সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে। এইটাও দীর্ঘ আলোচনায় আসবে।



অন্যদিকে আছে চরমপ্রতিক্রিয়াশীল, তথাকথিত মুক্তবুদ্ধির ধারকেরা।

তারা এই বিষয়ে কোন আলোচনাই করতে রাজী না। তাদের কাছে,এই ডিসকাশন করাটাই হইলো বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যাওয়া।



শেখ হাসিনারে কটুক্তি করলে, বাংলাদেশে আইন থাকতে পারে, বঙ্গবন্ধুরে কটুক্তি করলে বাংলাদেশে আইন থাকতে পারে, কিন্ত‍ু রাসূলকে নিয়ে যা ইচ্ছে তা বলা যাবে এবং এই নিয়ে কোন আলোচনা করতে গেলে সেটা ফ্রি স্পিচের জন্য বাধা হিসেবে ট্রিট করে তারা।



মুক্ত আলোচনায় তাদের ইনটলারেন্স লেভেল, গোঁড়া মৌলবাদীদের থেকে কম নয়।



এই জন্য, পুরো প্রশ্নটাকে ধর্মীয় মৌলবাদ আর ভণ্ড প্রগতিশীলদের পারস্পেকটিভ টাকে মাইনাস করে, মুক্ত সমাজ, ফ্রিডম অফ স্পিচ এর মৌলিক আইন এবং কোরানে কি বলা আছে তার টেকনিক্যাল মেরিট আলোচনা করার প্রয়োজন আছে এবং আমি অল্প জ্ঞান নিয়েও তার একটা অক্ষম চেষ্টা করব।


এখানেআমি স্বীকার করে নিই। মুক্ত চর্চা, ফ্রিডম অফ স্পিচ,লিবার্টি আমার নিজস্ব ইন্টারেস্ট এর জায়গা। কিন্ত‍ু থিওলজি আমারি এরিয়া অফ ইন্টারেস্ট না। ফলে এইটা নিয়ে আমাকে নিজস্ব রিসার্চ করতে হইছে। এবং আমি যেহেতু কোরআনের তাফসীর না। ফলে,ধর্মীয় বিষয়ে আমার এ্যানাইসিস এ কোন ভুল থাকলে, আমি আগে থেকে তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।





ব্লাসফেমি এবং ফ্রিডম অফস্পিচ :


ধর্ম এবং ধর্মীয় পুরুষদের ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করার নিষেধাজ্ঞার ধারণাটা মূলত লিবার্টি, ফ্রিডম অফ স্পিচ এবং ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশনের ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক। এইটা নিয়ে একটা ক্লাসিকেল ডিবেট হইছে এবং ডিবেটাটা মোটামুটি সেটেল্ড। কিন্তু আমরা এখন মুক্ত চেতনার বেসিক লেভেল এর পইরা আছি। তাই এইটা নিয়ে আমি একটু ডিপ এ যাব।

লিবার্টি, ফ্রিডম অফ স্পিচ,ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন যথেষ্ঠ আধুনিক কনসেপ্ট। মূলত ১৭০০ শতকের দিকে এই ধারণাগুলো পুর্ণতা পায় । তার আগে মানুষ এই ধারণাগুলোর ব্যাপারে সচেতন ছিলনা এবং এর প্রয়োজনীয়তাও খুব তীব্র ভাবে অনুভব করে নাই।

১৬০০ শতকের দিকে হবস, জন লক বা রুশো ঘরানার দার্শনিকেরা সোস্যাল কনট্রাকট বা সামাজিক চুক্তিকে ডিফাইন করেন।তারা দেখান যে, রাজার ঐশ্বরিক ক্ষমতা বলে কিছু নাই – রাজার যে ক্ষমতা তা মূলত জনগণের ক্ষমতার যোগফল। এবং তারা দেখান যে রাজার ক্ষমতা দিয়ে জনগণ পরিচালিত হয়না বরং জনগণের ক্ষমতা দিয়ে রাজা পরিচালিত হয়।

ফলে দার্শনিকদের ভাবনায়, রাজার ক্ষমতার বদলে ব্যক্তির ক্ষমতার উপর গুরুত্বটা চলে আসে । এই ধারণা থেকে, ব্যক্তি স্বাধীনতাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কনসেপ্ট হিসেবে আবির্ভূত হয়- এই সময়ে।

১৭৯৩ সালে ফরাসী বিপ্লব ব্যক্তির স্বাধীনতাটাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় এবং ফরাসী বিপ্লবের প্রবক্তারা, ডিক্লেরেশন অফ দ্যা রাইটস অফ মান এন্ড অফ দ্যা সিটিজেন অথবা ব্যক্তি এবং নাগরিকের সার্বজনীন ক্ষমতা নামের একটা সার্বজনীন ঘোষণা পত্র দেন যাতে,

মানবতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, নাগরিকের স্বাধীনতাসহ বেশ কিছু ঘোষণা দেয়া হয়-এই ঘোষণা পত্র টি বর্তমান লিবারটিয়ান পাশ্চাত্য সভ্যতার ভিত রচনা করে।



এই ব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক হলেন- জন স্টুয়ার্ট মিল। ১৮৫৯ সালে যার লেখা “ও লিবার্টি” নামের প্রবন্ধটি আধুনিক ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং ফ্রিডম অফ স্পিচ এবং ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশনের মূল ধারণা এবং সীমানাকে ঘোষণা করে।



জন স্টুয়ার্ট মিলকে চোখ বন্ধ করে পাশ্চাত্যের ফ্রি সোসাইটির মূল তাত্ত্বিক হিসেবে ধরা যায়।

ফ্রিডম অফ স্পিচের সাথে ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে স্টুয়ার্ট মিলের দুইটা ক্রিটিকাল এক্সিয়ম বা স্বতঃসিদ্ধ আছে ।

প্রথম স্বতঃসিদ্ধ হইলো-

first, that the individual is not accountable to society for his actions, in so far as these concern the interests of no person but himself. Advice, instruction, persuasion, and avoidance by other people, if thought necessary by them for their own good, are the only measures by which society can justifiably express its dislike or disapprobation of hisconducরাট

"একজন ব্যক্তি সমাজের কাছে তার আচরণের জন্যে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়। যতক্ষণ সে নিজের ইচ্ছায় শুধুমাত্র নিজের জন্যে কোন কাজ করা থাকে এবং শুধুমাত্র উপদেশ দেয়া,বোঝানো এবং এড়িয়ে যাওয়া বাদে সমাজ কোনভাবেই ব্যেক্তির আচরনের উপর জোর করতে পারবেনা ।"

Secondly, that for such actions as are prejudicial to theinterests of others, the individual is accountable, and may be subjected eitherto social or to legal punishments, if society is of opinion that the one or theother is requisite for its protection. (LV2)



এই প্রথম একজিওম টার লিমিট দেয়া আছে তার দ্বিতীয় একজিওমে। সেইখানে বলা আছে।

"যদি ব্যক্তির সেই কাজ বা আচরণ অন্যকারো কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে তো, ব্যক্তিকেসামাজিক বা আইনি শাস্তি দেয়া যেতে পারে, যদি সমাজ মনে করে, প্রথম ব্যক্তি বা দ্বিতীয় ব্যেক্তির কার্যকারণে অপর ব্যক্তির অধিকার রক্ষার জন্যে সামাজিক বা আইনি প্রতিরক্ষার প্রয়োজন দেখা দেয়।"



দ্বিতীয় স্বতঃসিদ্ধ টাকে, বর্তমানে সামাজিক কর্ত‍ৃত্বের তত্ত বলা হয়।


এ ইটা ইন্টারেস্টিং এই জন্যে যে, ফ্রি সোসাইটি বা ফ্রিডম অফ স্পিচের উপর বা ব্যক্তির উপর কর্ত‍ৃত্বের ক্ষমতা মিল, সমাজের উপর স্থাপন করতেছেন। সো শুধুমাত্র সমাজ যখন মনে করছে যে একটা আচরণ অন্যায়, তখনই সেটা অন্যায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে ।তাহলে পার্টিকুলার সমাজের গ্রহণযোগ্যতা, ফ্রিডম অফ স্পিচ বা ব্যক্তি স্বাধীনতার অন্যতম একটা ব্যরিয়ার।



এবং ব্যক্তির নিজের মতামত প্রকাশ বা ব্যক্তি স্বাধীনতার সীমানা হিসেবে মিল আরো একটা তত্তের জন্ম দেন,যাকে তিনি বলেন “হারম প্রিন্সিপাল" বা “ক্ষতির নিয়ম”


http://en.wikipedia.org/wiki/Harm_principle

হারম প্রিন্সিপাল এর মাধ্যমে মিল, ফ্রিডম অফ স্পিচ ও ব্যক্তি স্বাধীনতার সীমানা নির্ধারণ করে দেন । হারম প্রিন্সিপাল বলে, যতক্ষণ পর্যন্তনা অন্য একজন ব্যক্তি বা কমিউনিটির ক্ষতির সম্ভাবনা দাড়ায় ততক্ষণ পর্যন্ত একজন মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবেনা।



পরবর্তীতে মিলের হারম প্রিন্সিপালের কিছু দূর্বলতা বেরিয়ে আসে। কারণ দেখা যায় যে, কারো হারম করা বা ক্ষতি করার আগেই অন্য কোন ব্যক্তি বা কমিউনিটি ব্যক্তির আচরণের কারণে মানসিক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে এবং মানুষের মানসিক আঘাত অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক আঘাত থেকেও বড় হচ্ছে।

এই আইডিয়া থেকে ফ্রি সোসাইটিতে মিলের হারম প্রিন্সিপালটাকে এক্সপান্ড করা হইছে এবং



ফ্রিডম অফ স্পিচ এবং এক্সপ্রেশনের বাউনডারির সীমা হিসেবে যুক্ত হইছে নতুন একটা প্রিন্সিপাল যাকে বলা হচ্ছে অফেনস প্রিন্সিপাল যাকে আমি বাংলায় ভাব অনুবাদ করলে বলতে পারি, আঘাত এর নিয়ম।

http://www.mendeley.com/research/harm-principle-offense-principle-skokie-affair/

অফেনস প্রিন্সিপাল এর আইডিয়াটা হইলো ব্যক্তির কিছু আচরণ, কাজ,কথা যদি অন্য ব্যক্তিকে মানসিকভাবেও আহত করে, তবে তার বিরুধ্যে আইনের ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ থাকতে হবে । কিন্ত‍ু এও বলা হইছে, যেহেতু অফেনসিভ আচরণ, মানুষের ক্ষতি করার থেকে কম সিরিয়াস, তাই এর শাস্তির মাত্রা হারম প্রিন্সিপাল থেকে কম হওয়া উচিৎ।

কিন্ত‍ু এখন কোনটা অফেনসিভ, কোনটা অফেনসিভ না এটা কিন্ত‍ু সোস্যাল ভ্যালুজ এর উপর ডিপেন্ড করে এবং তার গুরুত্ব নির্ভর করে বক্তার উদ্দেশ্য, যে আঘাত প্রাপ্ত হইছে তার আঘাত এর মাত্রা, কত বড় জনগোষ্ঠীকে মানসিক আঘাত করা হইছে এবং সমাজের সামগ্রিক ইন্টারেস্ট এর উপর।

আরো দেখা গ্যেছে , কোন্ আচরণ বা কথা ক্ষতি বা মানসিক আঘাত হিসেবে বিবেচিত হবে সেটা সময়ের সাথে সাথে চেঞ্জ হয়। এই জন্য কিন্ত‍ু কনটেক্সটাকেও দেখতেবলা হইছে। এইটা একটা খুবই খুব্ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ব্লাসফেমি(রাসূল এর বিরুদ্ধে কটূক্তি) এবং ফ্রিডম অফ স্পিচ:

এইটাকে যদি আমরা ব্লাসফেমির কনসেপ্ট-এ ফালাই তাইলে দেখব, রাসূলের বিরুদ্ধে কটূক্তি ডাইরেক্টলি কারো হারম করেনা। কিন্ত‍ু অফেন্স প্রিন্সিপাল-এ এসে রাসুল এর বিরুদ্ধে কটুক্তি এবং কুৎসা কিন্ত‍ু একটা লিগাল প্রটেকশান দাবী করে এবং এই ব্লাসফেমি ধীরে ধীরে জমতে জমতে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে বিস্ফোরিত হয় এবং ৬ এপ্রিলের মতো একটা সামগ্রিক বিস্ফোরণ ঘটে ।

ফলে ক্লিয়ারলি অফেন্স প্রিন্সিপালের আইডিযা থেকে রাসূলের বিরুদ্ধে কটূক্তি করা, আইনের সীমানায় আসতে পারে, প্রাশ্চাত্বের গোঁড়া লিবার্টি এবং ফ্রিডম অফ স্পিচ এর তত্তের মধ্যেই। এইটা পিউর টেকনিক্যাল একটা কথা। এইখানে কোন বুগি জুগি নাই। তাত্তিক রা,ফ্রিডম কে এবসুলিট করতে বলেছেন এবং বলেই তারা বুঝেছেন এই স্বাধীনতা টা সবাই ঠিক মত ব্যবহার করবেনা, তাই তিনি এই স্বাধীনতার সীমানাটাও নির্ধারণ করে দিছেন।



অনেকে হয়তো অবাক হবেন। বলবেন, সারা রাত রামায়ণ পড়ে এখন বলছি সীতা কার বাপ। কিন্তু, ইন্ট্রেস্টিংলি মিল এর একজিওম অনুসারে ব্লগারদেরকে গ্রেপ্তার করাটা ভুল ছিল।কারণ,এই তত্ত অনুসারে তারা কোন লিগাল অফেন্স করে নাই।




ওয়েল এই জন্যেই ডিপ-এ যেতে হয়। মিল এর তত্ত দুটা সিম্পল কয়েককটা লাইন। কিন্ত‍ু, এর ইন্টাপ্রিটেশান অনেক অনেক গভীর।

একটু বলে নেই, যে ব্লগারদের গ্রেপ্তার করা হইছে, তাদের কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আমি চিনিনা এবং কারো লেখার সাথে পূর্ব পরিচিত নই। কোনো এক সময় আসিফ মহিউদ্দিন এর কিছু লেখা পড়েছি। কিন্ত‍ু, থিওলজি আমার ইন্টারেস্ট এর সাবজেক্ট না। ফলে তা কখনো স্টাডি করি নাই এবং রিলিজিয়াস ডিবেটগুলোতে কখনো আমি নিজেকে এংগেজ করি নাই। ফলে এই ব্লগাদের পার্সোনাল লেখার মেরিট বা ডিমেরিট সম্পর্কে মন্তব্য করার ব্যাপারে আমি যথেষ্ঠ জ্ঞান রাখিনা।



যাই হোক, দেখা যাক তাহলে কেন বলছি যদি কেউ অফেনসিভ কিছু লিখে লিবার্টির তত্ত অনুসারে যে ব্লগারদেরকে ধরা হইছে, তাদের অপরাধী বলা যাবেনা?



মিলের সেকেন্ড এক্সিয়মএ বলা হইছে, ইনডিভিজুয়াল যা ইচ্ছে তা করতে পারবে, এবং সেইটা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হলে, তা আইন এর মাধ্যমে বা সামাজিক ভাবে শাস্তিযোগ্য।



ধরে নিলাম একজন ব্লগার ব্লাসফেমাস কথা-বার্তা লিখছে, যেইটা আমাদের ইট পাথরের সমাজে সামাজিক ভাবে অগ্রহনযোগ্য এবং হারম প্রিন্সিপাল কিংবা অফেনস প্রিন্সিপাল অনুসারে শাস্তিযোগ্য।

এখন সামাজিক কর্তৃত্বের তত্ত অনুসারে আমাদের কিন্তু এইটাও দেখতে হবে, কোন সমাজে তার লিখাটা লিখসে? তারা কি, আমাদের ইট-পাথর এর সোসাল-এর স্পেসে এ লেখা গুলো লিখছে ?

এইটার উত্তর হইলো, না।তারা লিখছে, ভারচুয়াল ওয়ার্ল্ড এর জন্যে।

ভার্চুয়াল ওয়ার্লড, সম্পূর্ণ সেপারেট একটা সামাজিক প্রেক্ষাপট।সেইটার রিলেশনশিপ ডিফারেন্ট। সেইটারদাতা-গ্রহীতা ডিফারেন্ট। সেইটার গ্রহণযোগ্যতার সীমা এবং রাষ্ট্রের ভেতরে অবস্থিত সমাজের গ্রহনযোগ্যতা সীমা একই নয়।

ফলে, আমাদের ইট পাথরের সমাজের এর সামাজিক কর্তৃত্বে সমাজ যেইটা মেনে নেয়, ভার্চুয়াল ওয়ার্লড এর সামাজিক কর্তৃত্বে সেইটা কিন্তু এক্সেপ্টেবল হইতেও পারে। ফলে, মিলের তত্ত অনুসারে, আজ ব্লগারদের কোন লেখা যদি ভার্চুয়াল ওয়ার্লড-এ অফেনসিভ না হয়ে থাকে, তাকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভেতরের ইট-পাথরের সমাজের নিক্তিতে মাপাটা গ্রহণযোগ্য নয়।

কারণ, আবার বলছি। ভার্চুয়াল ওয়ার্লড-এ কি গ্রহণযোগ্য কি গ্রহণযোগ্য না, তার এক্সেপটিবিলিটি বাংলাদেশ-এর সামাজিক স্পেস থেকে ডিফারেন্ট। তাই, সামাজিক কর্তৃত্বের তত্ত অনুসারে , একজন ব্যক্তি কিছু একটা লিখে অপরাধ করছে কি করে নাই তা সে যেই জগতে লিখেছে সেই ভাচুয়াল জগতের গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে দেখতে হবে।

কিন্ত‍ু আবার, ভার্চুয়াল স্পেসেও যদি সেইটা গ্রহণযোগ্য না হয়ে থাকে এবং হারম বা অফেন্স প্রিন্সিপাল অনুসারে সেই স্পেসের মানুষদের জন্যে সেটা গ্রহন যোগ্য না হয়ে থাকে, একজন ব্লগার তার ব্লাসফেমাস লেখার কারণে শাস্তি পাওয়ার দাবী রাখেন । লিবারটি মানলে এইটা মানতে হবে।



এইখানে ক্রিটিক্যাল একটাবুঝার বিষয় হইলো। নেট-এর ব্লাসফিমাস লেখাগুলো মূলত ২০০৯ বা ১০ এর পূর্বের। যখন ফেসবুক মেইনস্ট্রিম হয় নাই।


তখন গুটি কয়েক মানুষ ব্লগ-এ বিচরণ করতো। এই সময় নেট ছিল একটা আইসোলেটেড জায়গা। একটা লুনী মানিয়্যাক, কীবোর্ড এর পেছনে বসে যা চায় তা লিখতে পারতো।

নেট ফানডামেন্টালি পরিবর্তন হয় , যখন ফেসবুক আসলো। তখন নেটের বিচরণ হয়ে গেল সোসাল। মানুষ ঘুমাইতে গেলেও স্ট্যাটাস দিয়া যায় , আমি ঘুমাইতে গেলাম। সবকিছু হয়ে গেল পাবলিক । আমাদের লাইফ হয়ে গেল পাবলিক প্রপার্টি।



এখন কেউ একটা মুভি দেখলেও সারা দুনিয়ারে জানান দেয় ,দেখ, আমি আতেল, আমি এই মুভিটা দেখছি। ফলে, নেটের স্পেসটার অনেক এক্সপানশন হইছে গত তিন বছরে। নেট যখন সোসাল হয়ে পাবলিক স্পেস হয়ে গেল তারপর আমার জানা মতে খুবই সীমিত পরিমাণ লোকজন তখন ব্লাসফেমাস লেখা লেখি করছে।



পয়েন্টটা কি ? পয়েন্ট টা এত খন যে বলছি তাই ? একজন যে, হারম বা অফেন্স প্রিনসিপ্যাল ভাঙ্গছে কিনা তা যাচাই করতে তার সোসাল স্পেসটা কনসিডার করতে হবে।


এইটা কনসিডার করলে দেখবেন, হাতে গোনা দু ইএকজন এই ধরনের লেখা লেখি করে। এমন কি আসিফ মহিউদ্দিন আমার জানা মতে ২০০৯ এর পরে আর লেখেই নাই। কারণ তার স্পেসের এক্সপানশন হইছে। সে দেখছে, এই স্পেসে সে যা আগে লিখছে , তা দেশের সার্বজনীন সামাজিক স্পেসে বা সোসাল মিডিয়া বা ফেসবুকের স্পেসে গ্রহণযোগ্য না।



এবং সাথে আর একটা বিষয় কন্সিডার করতে হবে। সেইটা হল - যেহেতু কোনটা অফেনসিভ, কোনটা অফেনসিভ না, সেইটা এক এক জনের কাছে এক এক রকম সেইজন্যে, কোন টা ঠিক কোন ঠিক না সেইটাকে আইনের আয়তায় আনতে হইলে সমাজকে এবং ইভেনচুয়ালি রাষ্ট্রকে সেইটা আগে থেকে ডিফাইন করতে হয়।




কিন্ত‍ু আমাদেরসমাজ/রাষ্ট্র, এই ডেফিনিশনটা দেয় নাই এবং এখনো দিচ্ছেনা। ফ্রি স্পিচের নামে, এই ডেফিনিশন ক্রিয়েট করার পথে আর্গুমেন্ট সৃষ্টি করা হচ্ছে, যেইটা ফ্রি স্পিচেরই পরিপন্থী।

ফলে, আপনি যেহেতু বাউন্ডারি টা ক্রিয়েট করেন নাই, তখন আপনি এক জন রে ধরতে পারবেন না এবং ধরে জেল এ ঢোকাতে পারবেন না। কোনটা অফেন্স এবং কোনটা অন্যায় সেইটা আপনাকে আগে ডিফাইন করতে হবে। নইলে, আপনি কিসের ভিত্তি কোন কাজ টারে অপরাধ বলবেন ??





আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ

পিওরলি ওয়ের্স্টান লিবারটিয়ান কনসেপ্ট এ, আমার দেশ কিন্ত‍ু প্রচন্ড অপরাধী হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ক্লিয়ারলি, নেটের কোনায় কাচায় পরে থাকা, কমিউনিটি তে অগ্রহণযোগ্য এবং মার্জিনালাইজড ব্যক্তিদের লেখাগুলোকে, সামনে প্রথম পাতায় বড় বড় লাল কালি দিয়ে ছেপে, দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে খেপিয়ে দেয়া ক্লিয়ারলি হারম প্রিন্সিপালের ভায়লেশান হবে।



কারণ লেখাগুলো পড়লে, লেখক হারম এর সম্মুখীন হতে পারে এবং এই লেখাগুলো সামাজিক অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়ে, সমাজকে ডিস্টাবলাইজডকরতে পারে এবং পরবর্তীতে তার থেকে বৃহৎ দাঙ্গা সহ আরো অনেক ক্ষতি হতে পারে যার ফলে অস্থিরতা থেকে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এই গুলো ডাইরক্টলি হারম প্রিন্সিপাল ভায়োলেশন ।

তারা ভারচুয়াল সমাজের চিপা থেকে একটা আইটেম তুলে এনে, একটা পাবলিক সমাজে নিয়ে আসছে, যেইগুলো কোন মতেই আমাদের ইট পাথরের সোসাইটিতে গ্রহন যোগ্য না। আমার দেশ গ্রুপ তখন খুব এই বড় একটা অন্যায় এর জন্যে দন্ডিত হওয়ার দাবী রাখে। কারণ তারা একটা জনগোষ্ঠীকে উসকানি দিচ্ছে, সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।



আজ তাই আইন প্রয়োজন। কিন্তু প্রবলেমটা আরো ডিপ।


ঠিক এই পারস্পেকটিভ থেকেই। আজ নেট ব্যবহার কারীদের জন্যেই রাসূলকে কটূক্তি শাস্তি যোগ্য অপরাধ করে, একটা আইন থাকতে পারে। কারণ, ফেসবুক আসার পর নেটের স্পেসটা সামাজিক স্পেসের সাথে মিশে গেছে। এখন আপনি যা ইচ্ছে তাই লিখলে অন্যদের অফেন্স হয় এবং ক্ষেত্রে বিশেষে হারম ও হয়।

আমার মনে হয় প্রবলেমটা আরো ডিপ।

বেসিক্যালি গত ১৫/২০ বছরে ডিসের আগমনের পর আমরা একটা আনপ্রিসিডেনটেড সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মুখে পড়ছি। আমাদের সমাজে ২০০/৩০০ বছরে একটা টলারেনসের চর্চা করে কী একসেপট্যাবল কি আনএকসেপট্যাবল সেই মাত্রাটা দাড়াইছে। কিন্ত‍ু হুট করে, এখন টিভি দেখার সময় ক্যাটরিনা, মালাইকা আারোরার জাওয়ানি চলে আসতাছে, বডি স্প্রে এড এর সময় গ্রুপ সেক্স এর প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে । এইটা আমরা কোন ডিবেট বাদ দিয়ে ঢুকতে দিছি।

এরপর আসলো ইন্টারনেট। এই খানে একটা ফেইক নিক নিয়া যেখানে সেখানে যা ইছে তা বলা যায়। কারো পছন্দ হইলনা, সে রাসূলরে নিয়ে, নেটের ইহুদি এবং খ্রিস্টান ক্রুসেড প্রপাগান্ডা পেজ এর রেফারেন্স কপি কইরা যা ইচ্ছা বলা শুরু করলো।



এইটা আমাদের ফ্রিডম অফ স্পিচের লিমিটটাকে টেস্ট করছে।

নাউ ওয়াট ? উই হ্যাভ টু কনফ্রন্ট দিস। ডিনায়েল কোন অপশন না, lডাকিং কোন অপশন না, কল্লা কাটা কোন অপশন না, ব্লগার দের গ্রেফতার কোন অপশন না, ব্যেক্তি স্বাধীনতা এবং ফ্রিডম অফ স্পিচ কে লিমিট করা তো কোন মতেই অপশন না।

তাই, এক দিকে যেমন আমাদের ফ্রিডম অফ স্পিচকে প্রটেস্ট করতে হবে, আরেক দিক থেকে আমাদের ফ্রিডম অফ স্পিচের সীমানা নির্ধারণ করে দিতে হবে।





আমাদের সোসাইটির থিংকাররা যখন পশ্চিমা বিশ্বের ভ্যালুজ গুলো ডাইরেক্টলি ইমপোরট করেন এবং সেইটারে ফ্রিডম অফ স্পিচ বা ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশান বলে চালিয়ে দেন। তখন কিন্ত‍ু তারা ফ্রিডম অফ স্পিচের মূল টেনেন্ট টাকেই বিরোধীতা করেন, না বুইঝা ।


কারণ, তারা ওইটা করার সময়, সামাজিক কর্তৃত্বের তত্ত অনুসারে সোসাল কনটেক্সটাকে উপেক্ষা করেন, এবং না বুঝে পশ্চিমা সোশিয়াল কন্টেক্সট টা আমাদের মত দেশে প্রয়োগ করতে জোরাজুরি করেন এবং হারম প্রিন্সিপাল বা অফেন্স প্রিন্সিপাল সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।

ফলে যেইটা হয়, ওয়েস্টার্ন ভ্যালুজের ডাইরেক্ট প্রয়োগে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।



মিলের এক্সিয়ম দুইটার জনপ্রিয়তার অন্যতম একটা কারণ এই গুলো প্রাকৃতিক তত্ত । এইগুলো কোন আবিষ্কারকের উদ্ভাবনের উপর ভিত্তিতে সোসাল এক্সপেরিমেন্টনা। এইগুলো, সোসাইটিতে মানুষের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে এক্সপ্লেইন করে মাত্র। তাই এইসব আইন আমেরিকাতে যেমন খাটে, বাংলাদেশের মতো আবদ্ধ দেশেও খাটে।



এই সব ন্যাচারাল ল কে বুঝতে পারার ব্যার্থতা এবং প্রাশ্চাত্ত থেকে ডাইরেক্টলি ভ্যালুজ ইমপোর্ট করে এবং ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে বিনা বাধায় ঢুকতে দিয়ে যুগে যুগে গড়ে ওঠা ভ্যালু স্টাকচার ভেঙ্গে দেয়াটা, আমাদের জন্যে যে কি ক্ষতি করছে এবং কী পরিমাণ অশান্তি এবং অস্থিরতার জন্ম দিছে তার চাক্ষুষ প্রমাণ ৬ এপ্রিলের বিস্ফোরণ।



আজকে তাই রাসূলকে নিয়ে কটূক্তি করাতে আইন সৃষ্টি করার প্রয়োজন খুব ক্লিয়ার।কিন্তু অবশ্যিই সেইটা হেফাজতের দাবী অনুসারে নয় এবং আমাদের প্রয়োজন থেকেই।



হেফাযতীরাযে বলছে ,আল্লাহ খোদা কে নিয়ে কটূক্তি করলে, তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে, সেইটা স্টুয়ার্ট মিলের তত্ত বাদ দিলাম ইভেন আমাদের শরিয়া পরিভাষায় গ্রহণযোগ্য নয়।



দ্বিতীয় পর্বে যা থাকবে

ইসলামে আল কোরানে রাসূলকে নিয়ে কটূক্তি কারিদের উদ্দেশ্যে কী বলে। এই বিষয়ে ডিটেইল আলোচনা আমি দ্বিতীয় পর্বে করব। আমরা দেখব, আল-কোরআন ও হাদিসের ডাইরেক্ট রেফারেন্স অনুসারে ব্লাসফেমি নিয়ে কি বলা হইছে এবং হেফাজতের দাবীর সাথে তা কতটা সাংঘর্ষিক।



আরো আলোচনা করব, রাসূলকে নিয়ে কটূক্তি করে আইন সৃষ্টির সাথে সেকুলারিজম এর সম্পর্ক কতটুকু আছে কত টুকু নাই। যারা গেল গেল বলে রব তুলছেন, তাদের জন্যে থাকবে ২০০৭ সালে, জার্মানি তে হলকাস্ট ডিনায়াল এর কারনে এক ব্যেক্তি কে, ৫ বছরের জেল দেয়ার একটা রেফারেন্স। এবং ব্লাস্ফেমি আইন এর অপ প্রয়োগ নিয়ে পাকিস্তানে, মালাহি নাম এর একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ১৪ বছরের ক্রিশ্চিয়ান কিশোরীর জেল এ যাওয়ার পর বিশ্ব ব্যাপি নিন্দা হওয়ার বিবরণ।আমি আরো আলোচনা করবো ইকুয়ালিটির সাথে রাসূলকে নিয়ে স্পেসিয়াল আইন জারির একটা সত্যিকার এর বিরোধ আছে এবং এই দ্বন্দ্ব টা নিয়ে দ্বিত্বীয় কিস্তীতে বিশদ আলোচনা থাকবে।





সেইটা প্রায় ৪০০০ ওয়ার্ড এর আলোচনা তো, চা বিস্কিট রেডি রাইখেন।

মন্তব্য ১০৩ টি রেটিং +৩৭/-০

মন্তব্য (১০৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ভাল লাগলা১ম+++

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং পোষ্ট। পোস্ট পর্যবেক্ষণে রইল।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪২

ফারজানা শিরিন বলেছেন: সমালোচনা !

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫১

আঠারো বছর বয়স বলেছেন: কঠিন লেখা। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২৮

জেনো বলেছেন: ভালো বিশ্লেষন। প্রিয়তে।
চা- বিস্কুট রেডি।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: এতো প্যাচানোরতো কিছু নাই, তাইনা, এইটা পড়ুন

রাসূল(সঃ) এর প্রতি কটুক্তিকারি কবি কাব বিন আশরাফ হত্যার ঘটনা
Click This Link

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: এবং ধর্মীয় বিষয়ে বিতর্ক করার মত যথেষ্ট ওয়াকিবিহাল নই। কিন্তু আমি যেই সব হাদিস পরেছি, তাতে আমি দেখেছি আমাদের রাসুল, যে বুড়ি তার পথে কাটা ছিটিয়েছিল সেই বুড়ি যেই দিন কাটা ছেটায়নি সেই দিন, উদ্দিগ্ন হয়ে সেই বুড়ির বাসায় গিয়েছেন এবং তার সেবা করে তাকে সুস্থ করেছেন। ইসলাম নাম এর অর্থই হচ্ছে, পিস।
তবুও যখন আপনি হাদিস রেফার করলেন, তখন আমি করনের উধৃতি দেই।
"
"And the servants of (Allah) Most Gracious are those who walk on the earth in humility, and when the ignorant address them, they say, "Peace!";(Surah 25:63)

নেট এ বেশ কিছু আলোচনা দেখেছি তাতে, এই আয়াত টাকে আল্লাহ এবং রাসুল এর সমালোচনার বিরুদ্ধে সব চেয়ে পরিষ্কার আয়াত হিসেবে রেফার করা হয়েছে।

আপনি কিসের ভিত্তিতে, কোরানের এই আয়াত ডিনাই করবেন।
ভুল করলে, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: "And when they hear vain talk, they turn away therefrom and say: "To us our deeds, and to you yours; peace be to you: we seek not the ignorant.(Surah 28:55)

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

শিরোনাম বলেছেন: কথার মাঝখানে লিখেছেন - এবং আমি যেহেতু কোরআনের তাফসীর না। ফলে,ধর্মীয় বিষয়ে আমার এ্যানাইসিস এ কোন ভুল থাকলে, আমি আগে থেকে তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

কিন্তু এই লিখার পরে কোরআনের কোন উদ্ধৃতি না দিয়ে লিবার্টি, ফ্রিডম অফ স্পিচ এবং ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশনের ধারণা দিলেন। স্টুয়ার্ট ল পশ্চিমা বিশ্বে কিভাবে ফ্রিডম অফ স্পিচ ডিফাইন করছে সেগুলোর বর্ণনা দিলেন।

ব্লগারদের বিভ্রান্ত করার টেকনিকটা চরম পছন্দ হইছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৮

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: ভাইয়া।এইটা অনেক বড় একটা লেখা। আমি এইটায় শুধু ফার্স্‌ট পার্ট লিখছি। সেকেন্ড পার্ট এ, বাকি আলোচনা গুলো থাকবে। এইটা আমি লাস্ট পারেতে লিখছি।

ফ্রিডম অফ স্পিচ এমন একটা ভ্যালু যা আপনার আমার কথা বলার স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। এই ল টাতেই কিন্তু রাসুল এর বিরুদ্ধে কুত্সা রচনা করা টা ,শাস্তি যোগ্য হয়। এই এক্সট্রিম টা বর্ণনা করতে হইছে, কাও কে বিভ্রান্ত করার জন্যে নয়, বরং এই টা দেখানোর জন্যে জে,এমন কি পশ্চিমা ফ্রিডম অফ স্পিচ এর ধারনায় সামাজিক কত্রিত্তের ধারনা মোতাবেক রাসুল কে নিয়ে কুৎসা রচনা একটা আইন এর আয়তায় আসতে পারে। এবং এর সীমা টাও, আবার মিল এর তত্ত অনুসারে পশ্চিমা সমাজ নয়, আমাদের সমাজের গ্রহন যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।
এই গুলো নেচারাল ল। আলাসকা তে যান, ইরান এ যান, ইন্ডিয়া তে যান - এই নেচারাল ল ঐ সমাজ এমন এক ভাবে প্রটেকশান দিবে, যা ওই সমাজের জন্যেই প্রযোজ্য হবে। মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

মুিকত খান বলেছেন: http://islamqa.info/en/ref/22809

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১২

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন:
"And when they hear vain talk, they turn away therefrom and say: "To us our deeds, and to you yours; peace be to you: we seek not the ignorant.(Surah 28:55)

ভাইয়া। আমি যত টুকু পরছি, তাতে এই লিঙ্ক এ যে ইউনেনিমিটি এর কথা বলছে ,তা পাই নাই।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

মুিকত খান বলেছেন: Ruling on one who insults the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him)
http://islamqa.info/en/ref/22809

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

শিরোনাম বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ
পিওরলি ওয়ের্স্টান লিবারটিয়ান কনসেপ্ট এ, আমার দেশ কিন্ত‍ু প্রচন্ড অপরাধী হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ক্লিয়ারলি, নেটের কোনায় কাচায় পরে থাকা, কমিউনিটি তে অগ্রহণযোগ্য এবং মার্জিনালাইজড ব্যক্তিদের লেখাগুলোকে, সামনে প্রথম পাতায় বড় বড় লাল কালি দিয়ে ছেপে, দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে খেপিয়ে দেয়া ক্লিয়ারলি হারম প্রিন্সিপালের ভায়লেশান হবে।



সামহোয়্যারইন কতৃপক্ষের ভাষায় প্রায় দেড় লক্ষ রেজিস্ট্রেশান ইউজারের এই প্লাটফর্ম কোন চিপা-চাপা না। এইখানে বছরের পর বছর ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে। আল্লাহ-নবী-রাসূলকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। সাধারণ ব্লগারদের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। ব্লগাররা রিপোর্টের উপর রিপোর্ট করেছে।
সেই জিনিসটা আমার দেশ পত্রিকা প্রাকাশ্যে এনেছে। দেশের আপামর ধর্মপ্রাণ জন সাধারণ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। আর এইজন্যই আজকে অনলাইনে এগুলো নিয়া আইন করার কথা আসছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: আপনার কিছু অংশ মানি। পুরো টা না। যেইটা মানি, তার সহমত এই পারা তে আছে।
"কিন্ত‍ু আবার, ভার্চুয়াল স্পেসেও যদি সেইটা গ্রহণযোগ্য না হয়ে থাকে এবং হারম বা অফেন্স প্রিন্সিপাল অনুসারে সেই স্পেসের মানুষদের জন্যে সেটা গ্রহন যোগ্য না হয়ে থাকে, একজন ব্লগার তার ব্লাসফেমাস লেখার কারণে শাস্তি পাওয়ার দাবী রাখেন । লিবারটি মানলে এইটা মানতে হবে।"

আপনার কথা আমি মানি,কারন আপনি আমি এই সসিয়াল স্পেস এর বাসিন্দা। আপনি যে ব্যাঙ্গাত্তক লেখায় ক্ষুব্ধ হইছেন- তার জন্যে আপনাকে অফেন্স প্রিন্সিপাল এর আয়তায় প্রটেকশান দেয়ার কথা এই লেখায় বলা হইছে।

কিন্তু, আমার দেশ কি করছে । তারা এই লেখা গুলো, এমন একটা স্পেস এ নিয়ে গেছে, যারা ব্লগ কি সেটাই যানেনা ?

এবং তাদের কে এমন ভাবে প্লেস করা হইছে যে, তারা সেইটা থেকে পুরো নেট কমিউনিটি সম্পরকে ভুল ধারনা করছে। এবং এই ভুল বোঝা থেকে তারা সম্পূর্ণ নেট কমুনিটি সম্পর্কের একটা ধারনা করে নিছে। এইটা তাদের প্রচন্ড ভাবে হার্ট করছে যেইটা থেকে অনেক সামাজিক সমস্যা হইতে পারে।

একটা লেখা পরছিলাম ফেসবুকে । হেফাজত এর মিছিলে এক অংশ গ্রহন কারি এক ব্যেক্তি, মিছিলের খবর কোন অনলাইন পেপার কি ভাবে কাভার করছে তা দেখার জন্যে মোবাইলে ব্লগে ঢুকে -এমন সময় পাচ ছয় জন উকি দিয়ে সে কি করতাছে দেখে - এই ব্লগার ব্লগার বলে তারে মাইর দেয়।


এইটা মিথ্যাও হতে পারে। কিন্তু এমন হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক না। এখন এই লোক টা যদি সেদিন পিটুনি খেয়ে মারা যেত ?? তার ফামিলির কি হত ? এর দায় কি আমার দেশ নিত ?

আমি ব্যেঙ্গকারি দের দিফেন্ড করছিনা। কিন্তু, আমার দেশ যেইটা করেছে সেই ভাবে উস্কানি দিয়ে সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি করা টা অপরাধ।

দেখেন ব্লগারদের হাতে শাহবাগ এর জন্ম হয়েছে বলে ব্লগ গুরুত্ত পেয়েছে। কিন্তু পুরো দেশের প্রেক্ষাপটে ব্লগ এর স্পেস টা খুব খুব খুব ছোট।

আপনি আমি একটা ছোট পাড়াতে, কি নিয়ে ঝগড়া করি - সেটা নিয়ে রাষ্ট্রয় লেভেলে রাজনৈতিক কারেন একটা যুদ্ধ পরিস্থিত সৃষ্টি করা টা কোন মতেই মানার মত নয়। দেশ অনেক বড় একটা এন টি টি।

আজ কয়টা ব্লগার এর সিলি কথার জন্যে পুরো দেশে ধর্মীয় মৌলবাদ কে জাগিয়ে তুলল আমার দেশ। অথচ কয় জন ব্লগার এই ধরনের কথা লিখছে ??

আমার দেশের কাজ এর ফলাফল অনেক অনেক সুদুর প্রসারি। চেতনা ব্যবসায়ী দের হাতে, মুক্তিজুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ প্রশ্নে ৪০ বছরে ধরে দেশ বিভাজিত। আজ এমন একটা প্রশ্নে দেশ আরেক দফা বিভাজন হল, যা আর ৫০ বছর আমাদের মোকাবেলা করতে হতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিক প্রগতি এই ধরনের একটা ইডিওউলজিকাল অন্তরদন্দে পিছিয়ে যেতে পারে, আর ১০০ বছর। এবং এই ধরনের মৌলিক ইডিওলজিকাল প্রশ্নের কোন সমাধান নাই। কারন, এই গুলি ভুল আর সত্যের বিষয় না-পজিশনের ব্যেপার।
এক আসিফ মহিউদ্দিন এত গুরুত্ত দাবী করেনা।

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

ছাত্তির ইন্জিনিয়ার বলেছেন:

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

চোরাবালি- বলেছেন: আপনার মূল বক্তব্য হচ্ছে হেফাজতের বিরোধিতা।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫০

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: না আমার মুল বক্তব্য এইটা

"শেখ হাসিনারে কটুক্তি করলে, বাংলাদেশে আইন থাকতে পারে, বঙ্গবন্ধুরে কটুক্তি করলে বাংলাদেশে আইন থাকতে পারে, কিন্ত‍ু রাসূলকে নিয়ে যা ইচ্ছে তা বলা যাবে এবং এই নিয়ে কোন আলোচনা করতে গেলে সেটা ফ্রি স্পিচের জন্য বাধা হিসেবে ট্রিট করে তারা।

মুক্ত আলোচনায় তাদের ইনটলারেন্স লেভেল, গোঁড়া মৌলবাদীদের থেকে কম নয়।

এই জন্য, পুরো প্রশ্নটাকে ধর্মীয় মৌলবাদ আর ভণ্ড প্রগতিশীলদের পারস্পেকটিভ টাকে মাইনাস করে, মুক্ত সমাজ, ফ্রিডম অফ স্পিচ এর মৌলিক আইন এবং কোরানে কি বলা আছে তার টেকনিক্যাল মেরিট আলোচনা করার প্রয়োজন আছে এবং আমি অল্প জ্ঞান নিয়েও তার একটা অক্ষম চেষ্টা করব।"

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

শিরোনাম বলেছেন: একটা জিনিস পরিষ্কার করে বলতে চাই - আমরা কোনভাবেই কোন ধর্মকে হেয় করে কেউ কিছু বলুক, কারো অনুভূতিতে আঘাত দেক তা চাইনা।

আটককৃত ব্লগারদের আত্নউপোলব্দির সুযোগ দেওয়া হোক। সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হোক।

তাই বলে হেফাজত ইসলামকে পচাঁনোর চেষ্টাটাকেও পছন্দ করিনা।

আজকে হেফাজত ইসলাম ফ্রন্টলাইনে না আসলে কোনভাবেই এগুলো নিয়ে আইন করার চিন্তা আসতোনা। মুক্তচর্চার নামে নবী-রাসূলদের কুৎসা রটনা করা রহিত করা যেতোনা।

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

চোরাবালি- বলেছেন: আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তা হলে আল্লাহ এই নির্দেশটি অবশ্যই মনেরাখনে - তোমরা দুনিয়ার বুকে ফেৎনা ফেসাদ ছড়াবে না, নিঃসন্দেহে ফেৎনা ফেসাদ জঘন্য অপরাধ।
তালগাছও আপনার বিচারও আপনার

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

মৈত্রী বলেছেন:
জীবনে প্রথমবারের মত একসাথে দুইজন অনুসারিত ব্লগারের পোস্ট স্টিকি হল.....

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

মামুন রশিদ বলেছেন: পোস্টে ভাববার মতো অনেক ব্যাপার আছে । পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।

১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্তির ইন্জিনিয়ার বলেছেন: [img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/118639/small/?token_id=b47e7dd8aeb5766942d2f73230810d2c
সূরা আল ইমরান

১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

ছাত্তির ইন্জিনিয়ার বলেছেন:

১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

বিডি আমিনুর বলেছেন: আজকে তাই রাসূলকে নিয়ে কটূক্তি করাতে আইন সৃষ্টি করার প্রয়োজন খুব ক্লিয়ার।কিন্তু অবশ্যিই সেইটা হেফাজতের দাবী অনুসারে নয় এবং আমাদের প্রয়োজন থেকেই।


এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার দেশ যদি রিপোর্ট প্রকাশ না করত এবং হেফাজতে ইসলাম যদি গন বিস্ফোরণ না ঘটাতো তা হলে কি আপনি এ ব্যাপারে কোন আইন সৃষ্টি করার প্রয়োজন অনুভব করতেন ?
উত্তর : না :( :(
যুগ যুগ ধরে চলতে থাকতো, কুৎসা রতনা , ভ্রান্ত পথে পা বাড়াত অনেক তরুন , চলতে থাকত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫২

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: উপরের একটা উত্তর থেকে কপি করলাম। ভাল থাকবেন।

কিন্তু, আমার দেশ কি করছে । তারা এই লেখা গুলো, এমন একটা স্পেস এ নিয়ে গেছে, যারা ব্লগ কি সেটাই যানেনা ?

এবং তাদের কে এমন ভাবে প্লেস করা হইছে যে, তারা সেইটা থেকে পুরো নেট কমিউনিটি সম্পরকে ভুল ধারনা করছে। এবং এই ভুল বোঝা থেকে তারা সম্পূর্ণ নেট কমুনিটি সম্পর্কের একটা ধারনা করে নিছে। এইটা তাদের প্রচন্ড ভাবে হার্ট করছে যেইটা থেকে অনেক সামাজিক সমস্যা হইতে পারে।

একটা লেখা পরছিলাম ফেসবুকে । হেফাজত এর মিছিলে এক অংশ গ্রহন কারি এক ব্যেক্তি, মিছিলের খবর কোন অনলাইন পেপার কি ভাবে কাভার করছে তা দেখার জন্যে মোবাইলে ব্লগে ঢুকে -এমন সময় পাচ ছয় জন উকি দিয়ে সে কি করতাছে দেখে - এই ব্লগার ব্লগার বলে তারে মাইর দেয়।


এইটা মিথ্যাও হতে পারে। কিন্তু এমন হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক না। এখন এই লোক টা যদি সেদিন পিটুনি খেয়ে মারা যেত ?? তার ফামিলির কি হত ? এর দায় কি আমার দেশ নিত ?

আমি ব্যেঙ্গকারি দের দিফেন্ড করছিনা। কিন্তু, আমার দেশ যেইটা করেছে সেই ভাবে উস্কানি দিয়ে সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি করা টা অপরাধ।

দেখেন ব্লগারদের হাতে শাহবাগ এর জন্ম হয়েছে বলে ব্লগ গুরুত্ত পেয়েছে। কিন্তু পুরো দেশের প্রেক্ষাপটে ব্লগ এর স্পেস টা খুব খুব খুব ছোট।

আপনি আমি একটা ছোট পাড়াতে, কি নিয়ে ঝগড়া করি - সেটা নিয়ে রাষ্ট্রয় লেভেলে রাজনৈতিক কারেন একটা যুদ্ধ পরিস্থিত সৃষ্টি করা টা কোন মতেই মানার মত নয়। দেশ অনেক বড় একটা এন টি টি।

আজ কয়টা ব্লগার এর সিলি কথার জন্যে পুরো দেশে ধর্মীয় মৌলবাদ কে জাগিয়ে তুলল আমার দেশ। অথচ কয় জন ব্লগার এই ধরনের কথা লিখছে ??

আমার দেশের কাজ এর ফলাফল অনেক অনেক সুদুর প্রসারি। চেতনা ব্যবসায়ী দের হাতে, মুক্তিজুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ প্রশ্নে ৪০ বছরে ধরে দেশ বিভাজিত। আজ এমন একটা প্রশ্নে দেশ আরেক দফা বিভাজন হল, যা আর ৫০ বছর আমাদের মোকাবেলা করতে হতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিক প্রগতি এই ধরনের একটা ইডিওউলজিকাল অন্তরদন্দে পিছিয়ে যেতে পারে, আর ১০০ বছর। এবং এই ধরনের মৌলিক ইডিওলজিকাল প্রশ্নের কোন সমাধান নাই। কারন, এই গুলি ভুল আর সত্যের বিষয় না-পজিশনের ব্যেপার।
এক আসিফ মহিউদ্দিন এত গুরুত্ত দাবী করেনা।

২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:

চমৎকার বিশ্লেষণ করছেন। পোষ্টে +++


দ্বিতীয় কিস্তি'র অপেক্ষায় ...

২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

অচিন.... বলেছেন: আপনি তো মিথ্যাবাদী। যে বলে ব্লগের ধর্মবিদ্বেশি লেখা গুলো ০৮/০৯ সালের, তার কথা কি বিশ্বাস করার প্রয়োজন আছে? যেখানে আসিফ এই সেদিনও মসজিদ ভেঙ্গে টয়লেট বানানোর দাবী জানাইলো। ফেসবুকে মোহাপেট নামে নোট লেখলো।
-
মানুষের আবেগ এতো তত্ত্ব দিয়ে চলেনা। অপরাধ অপরাধই, তা সে যেকোনো মাধ্যমে হোক। এবং তার বিচার হতে হবে। আবারো বলছি, যে মাধ্যমেই অপরাধ হোক, তার বিচার হতেই হবে।
-
আর আরেকটা কথা, ২০০৮/০৯ সালেই হোক, আর ১৯৭৫ সালেই হোক, তার বিচার হবেনা কেন? অনেক আগের অপরাধ কি বিচার যোগ্য না?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৩

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: আমি যতটুকু জানি এবং দেখেছি, তার ভিত্তিতে এই কমেন্টস টা করছি। ফেসবুক এর স্পেস এ রাসুল কে নিয়ে ব্যেঙ্গাত্তক লেখা আমি বেশি দেখি নাই, যা আমি ব্লগ এ দেখছি। এই কমেন্টস টা জেনেরালাইড এবং গ্রস যুক্তি টাকে বোঝাতে চাইছে যে, ফেসবুকের কারনে যখন নেট এর স্পেস টা সসিয়াল হইছে তখন হাতে গোনা কিছু লোক এই ধরনের কথা লিখছে।


২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: যে জাতির মধ্যে মানবিক বিবেকবোধই নাই , তার ধর্ম অনুভূতি। বাংলাদেশে সম্পূর্ণ অপ্রাসাঙ্গকি একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। সভ্য সমাজ গঠন করতে চাই মানবিক বিবেকবোধ। পড়ার আহবান।
ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড (পর্ব-১)
Click This Link

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৫

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: পরলাম। অনেক কথার সাথেই এক মত।

২৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: যারা কটুক্তিমূলক রচনা লিখেছেন তাদের আমি সমর্থন করি না। তবে তাদের কঠোর সাজা হোক সেটাও চাই না। সবাইকে একটু সভ্যভাবে চিন্তা করার আহবান্
Click This Link

২৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

লেখোয়াড় বলেছেন:
++++++++++++

২৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: এতো প্যাচানোর কোন দরকার দেখছিনা, সারকথা তো একটাই আমারদেশ হারম লঙ্ঘন করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আপনার এই লম্বা পোষ্ট ছাড়াও বহুবার এই কথাটা এখানে বলা হয়েছে।

কারণ ক্লিয়ারলি, নেটের কোনায় কাচায় পরে থাকা, কমিউনিটি তে অগ্রহণযোগ্য এবং মার্জিনালাইজড ব্যক্তিদের লেখাগুলো
এইটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা আপনার পরবর্তী বক্তবব্যই স্পষ্ট
ফেসবুক আসার পর নেটের স্পেসটা সামাজিক স্পেসের সাথে মিশে গেছে। এখন আপনি যা ইচ্ছে তাই লিখলে অন্যদের অফেন্স হয় এবং ক্ষেত্রে বিশেষে হারম ও হয়।
লেখাগুলো সবই ফেসবুক আসার অনেক পরেই লেখা। এবং নেটের কোনায় পড়ে থাকা নয়। এই লেখাগুলোর জন্য অনেক আগেই কোর্টে মামলা হয়েছে এবং হাইকোর্ট এ ইউজারদের ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যা সরকার করেনি। এই লেখা গুলোর বিরুদ্ধে পাঠক আগে থেকেই সোচ্চার ছিল।

সমাজে বিরুপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে ভেবে একটি সত্যকে জনসম্মুখে তুলে আনা যাবে না, আমি ব্যাক্তিগতভাবে তা মানি না।
আজকে যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন ৪০ বছর ধরে হৃস্ট-পুষ্ট হওয়ার পর তাদের নেতাদের অপরাধের বিচার শুরু হলো, সরকার কি জানতো না ৪০ বছর ধরে ফুলে ফেপে উঠা এই সংগঠনের কর্মীরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে। তাহলে তো সরকারের উচিত ছিল হারম লঙ্ঘন হওয়ার ভয়ে চুপ করে থাকা।

আমাদের দেশে আইনের যে ভয়াবহ অপপ্রয়োগ দেখি তাতে নতুন কোন আইনের কথা আসলেই ভয় হয়। প্রচলিত আইনে যেহেতু এসমস্ত অপরাধের বিচার করা সম্ভব সেহেতু কোন ব্লাসফেমির প্রয়োজন দেখিনা।

২৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

পোকেমোন০০৭ বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা।অনেক কিছু জানতে পারলাম। কিন্তু আপনি তাত্ত্বিকভাবে মত প্রকাশের স্বাধিনতার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সব সমাজের জন্য সার্বজনিন নয়। বাংলাদেশর মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ অনেক গভীর। তাই যে মাধ্যমে যত ক্ষুদ্র পরিসরে এর অবমাননা হোক না কেন তা আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানবে।
আপনি লিখেছেন আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ
পিওরলি ওয়ের্স্টান লিবারটিয়ান কনসেপ্ট এ, আমার দেশ কিন্ত‍ু প্রচন্ড অপরাধী হয়ে দাঁড়ায়। আমারদেশের পাঠক সংখ্যার চেয়ে বর্তমানে ব্লগ ও ফেবু ব্যবহারকারী অনেক বেশি। তাহলে দিনের পর দিন এই সব মাধ্যমে ধর্মের অবমাননা কিভাবে স্টুয়ার্ট মিল রে মুক্ত সমাজের ধারণার তত্ত্বকে সমর্থণ করে?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১০

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: রিকুয়েস্ট করব। আরেক বার কষ্ট করে পড়তে। ঠিক এই প্রশ্ন টার উত্তর খোজা হইছে। এবং ফাইনাল উত্তর যেইটা আসছে, সমাজ যদি না চায় তো, সমাজের কাছে অগ্রহন যোগ্য বিষয় আইনের আয়তায় আসতে পারে। কিন্তু সেইটা হেফাজতি টারম ে নয়।

২৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। স্টিকি দুটো পোস্টই খুব পছন্দ হৈসে।

২৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

কে বা কারা বলেছেন: আপনি ইউনিভার্সিটিতে পড়ার পরও আপনি জংলীদের মতো নগ্নতাকে সমর্থন করছেন না? আপনার জন্য আমার বড়ই আফসোস।

আপনি ২০১৩ সালে বাস করেও কেন পাঁচ হাজার বছর আগের মূর্তি সংস্কৃতিকে ধারণ করতে পারছেন না? আপনি তো মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণা পোষণ করছেন।

আকাশ সংস্কৃতির যুগে এসেও কেন আপনি পশুর মতো বন্ধনহীন বহুগামিতাকে গ্রহণ করেন না? আপনি তো অনুভূতিহীন।

তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ থাকার পরও কেন আপনি ইসলামে রাজনীতি আছে কি না, পর্দা কী জিনিস, আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে নিতে হবে কি না–এসব নিয়ে কোরআন-হাদিস না পড়েই দোদুল্যমানতায় ভুগে বিতর্কে লিপ্ত হচ্ছেন না? আপনি তো প্রচণ্ড গোঁড়া লোক।

সভ্যতার এই উৎকর্ষের সময়েও কেন আপনি ভিন্নমতালম্বীদের বিশ্বাস নিয়ে যত খুশি কুৎসা রটাবো; কিন্তু নিজের ব্যাপারে সামান্যতম দোষের কথাও সহ্য করবো না–এই নীতিতে স্থির হতে পারছেন না? আপনি তো মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী নন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১২

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: আপনার পোস্ট টা আমার কাছে প্রাসঙ্গিক মনে হয়নি। একটু বুঝিয়ে বলবেন কি ?

২৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অসাধারন পোস্ট এবং স্টিকি!! পোস্ট এ প্লাস সহ প্রিয়তে, অনেক কিছু জানা হল।

আর হেফাজত এর সমর্থকদের ম্যাতকার!? বুলশিট!

৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

চলতি নিয়ম বলেছেন: নতুন অনেক কিছু জানতে পারলাম।

৩১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

এম আর সুমন বলেছেন: হু...ম, আমার দেশের বিরুদ্ধে আপনাদের আক্ষেপ থাকারই কথা।

আপনারা তো মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে !!! মধ্যযুগে তো আবার যেতে চাচ্ছেন না।

কেন জানিনা, লজ্জা জিনিসটাই আমাদের সমাজ থেকে উঠে গেছে !!!!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৪

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: আমার দেশ কি করছে । তারা এই লেখা গুলো, এমন একটা স্পেস এ নিয়ে গেছে, যারা ব্লগ কি সেটাই যানেনা ?

এবং তাদের কে এমন ভাবে প্লেস করা হইছে যে, তারা সেইটা থেকে পুরো নেট কমিউনিটি সম্পরকে ভুল ধারনা করছে। এবং এই ভুল বোঝা থেকে তারা সম্পূর্ণ নেট কমুনিটি সম্পর্কের একটা ধারনা করে নিছে। এইটা তাদের প্রচন্ড ভাবে হার্ট করছে যেইটা থেকে অনেক সামাজিক সমস্যা হইতে পারে।

একটা লেখা পরছিলাম ফেসবুকে । হেফাজত এর মিছিলে এক অংশ গ্রহন কারি এক ব্যেক্তি, মিছিলের খবর কোন অনলাইন পেপার কি ভাবে কাভার করছে তা দেখার জন্যে মোবাইলে ব্লগে ঢুকে -এমন সময় পাচ ছয় জন উকি দিয়ে সে কি করতাছে দেখে - এই ব্লগার ব্লগার বলে তারে মাইর দেয়।


এইটা মিথ্যাও হতে পারে। কিন্তু এমন হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক না। এখন এই লোক টা যদি সেদিন পিটুনি খেয়ে মারা যেত ?? তার ফামিলির কি হত ? এর দায় কি আমার দেশ নিত ?

আমি ব্যেঙ্গকারি দের দিফেন্ড করছিনা। কিন্তু, আমার দেশ যেইটা করেছে সেই ভাবে উস্কানি দিয়ে সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি করা টা অপরাধ।

দেখেন ব্লগারদের হাতে শাহবাগ এর জন্ম হয়েছে বলে ব্লগ গুরুত্ত পেয়েছে। কিন্তু পুরো দেশের প্রেক্ষাপটে ব্লগ এর স্পেস টা খুব খুব খুব ছোট।

আপনি আমি একটা ছোট পাড়াতে, কি নিয়ে ঝগড়া করি - সেটা নিয়ে রাষ্ট্রয় লেভেলে রাজনৈতিক কারেন একটা যুদ্ধ পরিস্থিত সৃষ্টি করা টা কোন মতেই মানার মত নয়। দেশ অনেক বড় একটা এন টি টি।

আজ কয়টা ব্লগার এর সিলি কথার জন্যে পুরো দেশে ধর্মীয় মৌলবাদ কে জাগিয়ে তুলল আমার দেশ। অথচ কয় জন ব্লগার এই ধরনের কথা লিখছে ??

আমার দেশের কাজ এর ফলাফল অনেক অনেক সুদুর প্রসারি। চেতনা ব্যবসায়ী দের হাতে, মুক্তিজুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ প্রশ্নে ৪০ বছরে ধরে দেশ বিভাজিত। আজ এমন একটা প্রশ্নে দেশ আরেক দফা বিভাজন হল, যা আর ৫০ বছর আমাদের মোকাবেলা করতে হতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিক প্রগতি এই ধরনের একটা ইডিওউলজিকাল অন্তরদন্দে পিছিয়ে যেতে পারে, আর ১০০ বছর। এবং এই ধরনের মৌলিক ইডিওলজিকাল প্রশ্নের কোন সমাধান নাই। কারন, এই গুলি ভুল আর সত্যের বিষয় না-পজিশনের ব্যেপার।
এক আসিফ মহিউদ্দিন এত গুরুত্ত দাবী করেনা।

৩২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

কালো পতাকার খোঁজে বলেছেন: এমন কি আসিফ মহিউদ্দিন আমার জানা মতে ২০০৯ এর পরে আর লেখেই নাই

আপনার এই তথ্যে ভুল আছে।

ওদের বিচার চাই। তবে বেশী টেনশন নিয়েন না। এই সরকার মনে হয়না বিচার করবে।

৩৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

হেমায়েতপুরী বলেছেন: ভাইজান দেখি বঙ্গবন্ধুর ইসলাম এ বিশ্বাসই। ইসলাম একটাই মোহাম্মদ এর প্রচার করা ইসলাম। বঙ্গবন্ধুর ইসলাম বলে কিছু নেই.।.।.।।।

৩৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

অন্তহীন বালক বলেছেন: ব্লাস্পফ্লেমি সম্পর্কে আগে জানতাম না!
তাই নতুন কিছু জানলাম।।
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।।

৩৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

কমল ২০১০ বলেছেন: ব্লাসফেমি চায় না হেফাজত

" হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবির মধ্যে কোথাও ব্লাসফেমি আইনের কথা উল্লেখ নেই। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোথায় পেলেন এই দাবি, কারা তার কাছে এই দাবি জানিয়েছে আমরা জানি না।"

৩৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

ফারিয়া বলেছেন: আপাতত ওয়াচে থাকলো....

৩৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

দখিনা বাতাস বলেছেন: চা পান নিয়া বইসা লম্বা কথার দরকার নাই। হেফাজতের ১৩ দফা নিয়া একটা গনভোটের আয়োজন করা হোক। হুজুরগো এতবড় সমাবেশ। সবাই খুব ফাল পাড়তাছে। গনভোটটা হোক, ১৩দফা বাস্তবায়ন হবে, কি হবেনা? সোজা কথা।

দেশে ৪ কোটি মহিলা ভোটার। আমগো লাগবো না, মহিলাগো ভোটের ধাক্কায় হেফাজত বাতাসে উইড়া যাইবোগা। এরপরে শাপলা চত্বর আর ব্লগে কিছু লোকের ফালাফালি যদি একটু কমে।

৩৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

নিকষ বলেছেন: বহু আগে থেকেই (২০০৬/০৭) সাইবার স্পেসে কি করা যাবে কি করা যাবে না, কোনতা নীতিসিদ্ধ, কোনটা নীতিবিরুদ্ধ - স্পষ্ট বলা আছে।

তারা যা করেছে, পুরাই গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন ভঙ্গ করেছে।

৩৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

মিতক্ষরা বলেছেন:
"আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ"

তাজ্জব বিষয়! যারা লিখল তাদের কোন দোষ নেই, যারা সেসব প্রকাশ করল (মুক্তমনা, সামহোয়ার ইত্যাদি) তাদেরও দোষ নেই। আর সেই একই প্রকাশিত লেখা যখন আমার দেশে আসল তখন দোষ শুধু আমার দেশের! আমার দেশ আইন ভংগ করেছে!! কি তামাশা!!!

একদল অসুস্থ বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তিবর্গ ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে নিজেদের বিকৃতিকে লালন করে সমাজকে অসুস্থ করবে - তা হতে দেয়া যায় না। আমার দেশ সঠিক কাজটিই করছিল। এসব বিষয়ে বার বার মডারেটরদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কোন লাভ হচ্ছিল না। হেফাজতের গনসমাবেশে শেষতক লাভ হয়েছে, সবাই নড়ে চড়ে বসছে। এটার নাম বাংলাদেশ - যেখানে শক্তি না দেখালে কোন কিছুই সম্ভব হয় না, কোন যুক্তিই খাটে না।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৫

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: আমার দেশ কি করছে । তারা এই লেখা গুলো, এমন একটা স্পেস এ নিয়ে গেছে, যারা ব্লগ কি সেটাই যানেনা ?

এবং তাদের কে এমন ভাবে প্লেস করা হইছে যে, তারা সেইটা থেকে পুরো নেট কমিউনিটি সম্পরকে ভুল ধারনা করছে। এবং এই ভুল বোঝা থেকে তারা সম্পূর্ণ নেট কমুনিটি সম্পর্কের একটা ধারনা করে নিছে। এইটা তাদের প্রচন্ড ভাবে হার্ট করছে যেইটা থেকে অনেক সামাজিক সমস্যা হইতে পারে।

একটা লেখা পরছিলাম ফেসবুকে । হেফাজত এর মিছিলে এক অংশ গ্রহন কারি এক ব্যেক্তি, মিছিলের খবর কোন অনলাইন পেপার কি ভাবে কাভার করছে তা দেখার জন্যে মোবাইলে ব্লগে ঢুকে -এমন সময় পাচ ছয় জন উকি দিয়ে সে কি করতাছে দেখে - এই ব্লগার ব্লগার বলে তারে মাইর দেয়।


এইটা মিথ্যাও হতে পারে। কিন্তু এমন হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক না। এখন এই লোক টা যদি সেদিন পিটুনি খেয়ে মারা যেত ?? তার ফামিলির কি হত ? এর দায় কি আমার দেশ নিত ?

আমি ব্যেঙ্গকারি দের দিফেন্ড করছিনা। কিন্তু, আমার দেশ যেইটা করেছে সেই ভাবে উস্কানি দিয়ে সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি করা টা অপরাধ।

দেখেন ব্লগারদের হাতে শাহবাগ এর জন্ম হয়েছে বলে ব্লগ গুরুত্ত পেয়েছে। কিন্তু পুরো দেশের প্রেক্ষাপটে ব্লগ এর স্পেস টা খুব খুব খুব ছোট।

আপনি আমি একটা ছোট পাড়াতে, কি নিয়ে ঝগড়া করি - সেটা নিয়ে রাষ্ট্রয় লেভেলে রাজনৈতিক কারেন একটা যুদ্ধ পরিস্থিত সৃষ্টি করা টা কোন মতেই মানার মত নয়। দেশ অনেক বড় একটা এন টি টি।

আজ কয়টা ব্লগার এর সিলি কথার জন্যে পুরো দেশে ধর্মীয় মৌলবাদ কে জাগিয়ে তুলল আমার দেশ। অথচ কয় জন ব্লগার এই ধরনের কথা লিখছে ??

আমার দেশের কাজ এর ফলাফল অনেক অনেক সুদুর প্রসারি। চেতনা ব্যবসায়ী দের হাতে, মুক্তিজুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ প্রশ্নে ৪০ বছরে ধরে দেশ বিভাজিত। আজ এমন একটা প্রশ্নে দেশ আরেক দফা বিভাজন হল, যা আর ৫০ বছর আমাদের মোকাবেলা করতে হতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিক প্রগতি এই ধরনের একটা ইডিওউলজিকাল অন্তরদন্দে পিছিয়ে যেতে পারে, আর ১০০ বছর। এবং এই ধরনের মৌলিক ইডিওলজিকাল প্রশ্নের কোন সমাধান নাই। কারন, এই গুলি ভুল আর সত্যের বিষয় না-পজিশনের ব্যেপার।
এক আসিফ মহিউদ্দিন এত গুরুত্ত দাবী করেনা।

৪০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৮

আশীষ কুমার বলেছেন: কোন কিছুই অ্যাবসলিউট না। একজন যা কে সত্য ভাবছে আরেকজন তা ভাবছে না। যখন কোন মতবাদ প্রচার হয় তখন [ একই বিষয়ে ] অন্য মতবাদের বিরোধিতা করেই তা হয়। কারণ দুইজন পরষ্পর ভিন্ন সৃষ্টিকর্তা সম্ভব নয়। কিন্তু এই আপাত অসম্ভব বিষয়টিই টিকে আছে।

কীভাবে টিকে আছে? ভেবেছেন? এখানে গড কিন্তু দুইজন না। আরো আছেন। দু একটা ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে প্রায় প্রতিটি ধর্মেরই গড আছেন। একেকটা ধর্ম যখন আবির্ভূত হয়েছিল তখন কিন্তু ঐ ধর্মের লোক নিয়ে আবির্ভূত হয়নি। লোকেরা নতুন এই ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে পুরনো ধর্ম ত্যাগ করে। আকৃষ্ট হবার এই প্রক্রিয়া কেমন ছিল বলে আপনাদের মনে হয়? সেখানে কি অন্য ধর্মের/কমিউনিটির বিপক্ষে কিছুই ছিল না? সেখানে কি বিরোধিতা করা হয়নি পুরনো/প্রচলিত ধর্মের/আচারের?

একজন বিধর্মীকে নিজ ধর্মের দিকে আকৃষ্ট করার প্রক্রিয়ায় সেই বিধর্মীকে কী বোঝানো হতো? এটাই কি বোঝানো হতো না যে সে যা করে আসছে তা ভুল, পরম সত্য অন্যখানে!! তাকে বোঝানোর এই প্রক্রিয়া কেমন ছিল? যারা জন্মগতভাবে ধর্ম পেয়েছেন তাদের ব্যাপার আলাদা। তারা সেটা দেখতে দেখতে বুঝেছেন, লালন করেছেন, পালন করেছেন, সত্য বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু এর বাইরেও ব্যাপার আছে...

এখানেই আসছে ব্লাসফেমি আর মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপার। ব্যাপারটা সহনশীলতার। কতটুকু হলে সহনশীল হবে সেটা বুঝতে হবে। কি প্রক্রিয়ায় আপনি মানুষকে বোঝাবেন সেটা বুঝতে হবে। এর ব্যতয় হলে আপনাকে সামাজিক ভাবে হেয় হতেই হবে।

আপনার মত প্রকাশে/প্রচারে আপনাকে কৌশলী হতেই হবে। এর বিকল্প নেই। শুধু নিজ ধর্মের গুণ বর্ণনা করে আপনি আকৃষ্ট করতে পারবেন না। আপনাকে তার বর্তমান ধর্মের ভুলগুলোও ধরিয়ে দিতে হবে। সেটা আপনি সরাসরি বলে মাইর খেতেও পারেন। আবার কৌশলে বুঝিয়ে তাকে আপনার দলেও টেনে নিতে পারেন।

[গ্যালারিতে বসলাম।]

৪১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১১

আল ইফরান বলেছেন: লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
প্রচুর হোমওয়ার্ক করে লেখা তথ্যবহুল পোস্ট। :) :) :)
নতুন অনেক কিছু জানলাম।
আইনের ছাত্র হিসেবে শুধু একটা জিনিস পরিস্কার করতে চাই যে আমাদের ব্লাসফেমী আইনের প্রয়োজন নেই।
দন্ডবিধি আর সাইবার ক্রাইমস এক্টের আন্ডারে বেসিক প্রভিশানগুলোর লিগ্যাল ইন্টারপ্রিটেশানই যথেস্ট বলে আমি মনে করি।
সমস্যা ঐ একটা জায়গায় যে এই কথাগুলো উচ্চস্তর পর্যন্ত যায় না অথবা দেশের হর্তা-কর্তারা তা বুঝেও বুঝতে চায় না তাদের অসৎ রাজনৈতিক ইচ্ছা চরিতার্থ করার জন্য। /:) /:) /:)

৪২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৭

আলাপচারী বলেছেন: গুরু চন্ডালি বাংলিশ ভাষায় না লিখে কষ্ট করে শুদ্ধ লিখলে বোঝা যেতো বিষয়টি আপনার আত্মগত।
লেখা পড়ে বোঝা গেলো আপনার উপলব্ধি থেকে আসেনি, আতলামি করার খায়েশে এই লেখা।
তবুও ধন্যবাদ।

৪৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৫

আসফি আজাদ বলেছেন: আপনি আপনার লিখিত নিম্ন অংশটুকু ভালোমত পড়েন -

"ধরে নিলাম একজন ব্লগার ব্লাসফেমাস কথা-বার্তা লিখছে, যেইটা আমাদের ইট পাথরের সমাজে সামাজিক ভাবে অগ্রহনযোগ্য এবং হারম প্রিন্সিপাল কিংবা অফেনস প্রিন্সিপাল অনুসারে শাস্তিযোগ্য।
এখন সামাজিক কর্তৃত্বের তত্ত অনুসারে আমাদের কিন্তু এইটাও দেখতে হবে, কোন সমাজে তার লিখাটা লিখসে? তারা কি, আমাদের ইট-পাথর এর সোসাল-এর স্পেসে এ লেখা গুলো লিখছে ?
এইটার উত্তর হইলো, না।তারা লিখছে, ভারচুয়াল ওয়ার্ল্ড এর জন্যে।
ভার্চুয়াল ওয়ার্লড, সম্পূর্ণ সেপারেট একটা সামাজিক প্রেক্ষাপট।সেইটার রিলেশনশিপ ডিফারেন্ট। সেইটারদাতা-গ্রহীতা ডিফারেন্ট। সেইটার গ্রহণযোগ্যতার সীমা এবং রাষ্ট্রের ভেতরে অবস্থিত সমাজের গ্রহনযোগ্যতা সীমা একই নয়।
ফলে, আমাদের ইট পাথরের সমাজের এর সামাজিক কর্তৃত্বে সমাজ যেইটা মেনে নেয়, ভার্চুয়াল ওয়ার্লড এর সামাজিক কর্তৃত্বে সেইটা কিন্তু এক্সেপ্টেবল হইতেও পারে। ফলে, মিলের তত্ত অনুসারে, আজ ব্লগারদের কোন লেখা যদি ভার্চুয়াল ওয়ার্লড-এ অফেনসিভ না হয়ে থাকে, তাকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভেতরের ইট-পাথরের সমাজের নিক্তিতে মাপাটা গ্রহণযোগ্য নয়।
কারণ, আবার বলছি। ভার্চুয়াল ওয়ার্লড-এ কি গ্রহণযোগ্য কি গ্রহণযোগ্য না, তার এক্সেপটিবিলিটি বাংলাদেশ-এর সামাজিক স্পেস থেকে ডিফারেন্ট। তাই, সামাজিক কর্তৃত্বের তত্ত অনুসারে , একজন ব্যক্তি কিছু একটা লিখে অপরাধ করছে কি করে নাই তা সে যেই জগতে লিখেছে সেই ভাচুয়াল জগতের গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে দেখতে হবে।"

এইবার অনুগ্রহ করে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে বাধিত হব।

১। এই ২০১৩-তে আপনি ভার্চুয়াল জগতটাকে আমাদের পরিচিত সামাজিক চৌহদ্দি থেকে কিভাবে সম্পূর্ণ পৃথক করে ফেলছেন?
২। আপনি কি বলতে চাইছেন ভার্চুয়াল জগতের সাথে ইট-পাথরের কাঠামোয় গড়া সমাজের কোন পারস্পরিক লেন-দেন নেই?
৩। আপনি কি সত্যিই বলতে চাইছেন এই দুই জগতের দাতা-গ্রহীতা (সর্ব অর্থে) ভিন্ন!!!
৪। আপনার কেন মনে হল এই দুই জগতের গ্রহণযোগ্যতার সীমা আলাদা?
৫। আপনি কি বলতে চাইছেন ভার্চুয়াল জগতে রক্ত-মাংসে গড়া মানুষের নিত্যদিনের রক্ত পানি করা উপার্জন উদ্ভূত লেনদেন আদতে কোন লেনদেন নয়? [যদিও সোজা অর্থে পুরোপুরি অর্থনৈতিক ভাবনা সংক্রান্ত প্রশ্ন কিন্তু সামাজিক বিষয়টিও ধর্তব্য]
৬। ভার্চুয়াল জগতে যারা লিখেছেন তাদের অস্তিত্ত্বও কি ভার্চুয়াল? অথবা তারা কি অন্য কোন ভিন্ন জগতের বাসিন্দা যারা আমাদের যে কোন প্রকার ধরা-ছোয়ার বাহিরে (সর্ব অর্থে)?
৭। আপনি কি আরও বলতে চাইছেন, ২০১৩ সালে এই ভার্চুয়াল জগতের আমাদের নিত্য দিনের আবহমানকালের কাঠামোগত সমাজের উপর কোন প্রভাব নেই?

আপাতত এই পর্যন্তই। আশা করি উত্তরগুলো পাব। ধন্যবাদ।

৪৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৬

সাবু ছেেল বলেছেন: নাদিয়া শারমিনের সৎ সাহসকে আমরা শ্রদ্ধা করি তবে "একটু সামলে,আপু মণি!!"

৪৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

সৌমেন্দ্র বলেছেন: নতুন কিছু পেলাম পরবর্তী পোস্টে আরও পাব আশা করি

৪৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪০

আশফাক সুমন বলেছেন: মিতক্ষরা বলেছেন :
"আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ"

তাজ্জব বিষয়! যারা লিখল তাদের কোন দোষ নেই, যারা সেসব প্রকাশ করল (মুক্তমনা, সামহোয়ার ইত্যাদি) তাদেরও দোষ নেই। আর সেই একই প্রকাশিত লেখা যখন আমার দেশে আসল তখন দোষ শুধু আমার দেশের! আমার দেশ আইন ভংগ করেছে!! কি তামাশা!!!

একদল অসুস্থ বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তিবর্গ ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে নিজেদের বিকৃতিকে লালন করে সমাজকে অসুস্থ করবে - তা হতে দেয়া যায় না। আমার দেশ সঠিক কাজটিই করছিল। এসব বিষয়ে বার বার মডারেটরদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কোন লাভ হচ্ছিল না। হেফাজতের গনসমাবেশে শেষতক লাভ হয়েছে, সবাই নড়ে চড়ে বসছে। এটার নাম বাংলাদেশ - যেখানে শক্তি না দেখালে কোন কিছুই সম্ভব হয় না, কোন যুক্তিই খাটে না।
-----
সহ মত ১০০ ভাগ ।

৪৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫০

মেকগাইভার বলেছেন: ব্লগে ইসলাম কে নিয়া গালাগালি কোনমতেই সাপোর্ট করা যায় না। যা নাকি ব্লগের নিয়মে ক্লিয়ার করে লেখা আছে।

তবে ব্লাসফেমি আইন করাটাও একটু মান্ধাতা আমলের। আমাদের একটা মধ্য পথ খুজে নিতে হবে।

তবে ক্যাচাল ভালো লাগলো। চায়ের সাথে বিস্কুট নিয়া বসছি। দেখি ক্যাচাল কতদূর যায়।

৪৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

মেকগাইভার বলেছেন: পোস্ট ভালো কইরা পইরা আপনার পাংখা হইয়া গেলাম। স্যালুট বস।

৪৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০১

রাজর্ষী বলেছেন: ভালো লেখা। প্রিয়তে নিলাম।

৫০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৭

অজানা এক আমি বলেছেন:
আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ
পিওরলি ওয়ের্স্টান লিবারটিয়ান কনসেপ্ট এ, আমার দেশ কিন্ত‍ু প্রচন্ড অপরাধী হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ক্লিয়ারলি, নেটের কোনায় কাচায় পরে থাকা, কমিউনিটি তে অগ্রহণযোগ্য এবং মার্জিনালাইজড ব্যক্তিদের লেখাগুলোকে, সামনে প্রথম পাতায় বড় বড় লাল কালি দিয়ে ছেপে, দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে খেপিয়ে দেয়া ক্লিয়ারলি হারম প্রিন্সিপালের ভায়লেশান হবে।


হা হা হা ... কি নির্লজ্জ্ব ভাবে বিশাল এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্যটা প্রকাশ হয়ে গেল। :(

ঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে সোজা বাংলায় বললেই হয়, চুরি করার থেকে চুরির ঘটনা প্রকাশ করাটাই বড় পাপ।

আমার দেশ থাবাবাবা'র লেখা প্রকাশ করে যে মুসলমানদের যে উপকারটা করেছে সেটা হলো আগে ব্লগে ব্লগে যুক্তিবিহীন ইসলাম বিদ্বেষী কুৎসিৎ পোস্টের রাজত্ব ছিল। দেখা যেত বিভিন্ন ব্লগ মডারেটররাও সেই সমস্ত লেখাকে পেট্রোনাইজ করত। এমনকি সামুর ব্যাপারেই এই অভিযোগ ছিল। আর এখন ইসলাম বিদ্বেষীরা নতুন কুৎসিত লেখা তো দূরের কথা, তাদের আগের লেখাই গোপনে ড্রাফট করে। তাও যদি দু' একটা লেখা আসে ব্লগ মডারেটররা বুঝার আগেই সরিয়ে ফেলে।

বাংলা ব্লগজগৎকে ইসলাম বিদ্বেষীদের হাত থেকে পরিচ্ছন্ন করার কাজে সহযোগীতা করায় আমারদেশ পত্রিকাকে অভিনন্দন।

৫১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩০

চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
কোরআনের আয়াত ও হাদিস দিয়ে কোনো রেফারেন্স দিলেন না। পশ্চিমা ষ্টাইলের কিছু উদ্ভট থিওরী দিয়ে ইসলামের ব্লাস্ফেমী আইন নিয়ে অনুসিধান্তে পৌছে গেলেন?

আর কোনা কাঞ্চায় কার লেখা পড়ে ছিলো? ইন্টারনেটে নাস্তিক ও মুরতাদ ব্লগাররা বছরের পর বছর ইসলাম অবমাননা করে গেছে। সামুর মডারেশোন প্যানের প্রত্যক্ষ ভাবে মদদ দিয়েছে। তখন কই ছিলেন? নাকি মুরতাদ ও মালাউনেরা জেলে গেছে বইলা ব্লাসফেমী আইনে যাতে না মরে সেই প্রচেষ্টায় এই পোষ্ট দিছেন?

আগে সঠিক ভাবে কোরআন ও হাদিসের রেফারেন্স নিয়ে আসেন। জন লক বা রুশো ঘরানার বা ষ্টুয়ার্ট মিলের থিওরী বাংলার মুসলিমেরা মেনে নিবে না।

এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু আবারো নিজেকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করলো।

৫২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩২

শুভ জািহদ বলেছেন: মিতক্ষরা বলেছেন:
"আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ"

তাজ্জব বিষয়! যারা লিখল তাদের কোন দোষ নেই, যারা সেসব প্রকাশ করল (মুক্তমনা, সামহোয়ার ইত্যাদি) তাদেরও দোষ নেই। আর সেই একই প্রকাশিত লেখা যখন আমার দেশে আসল তখন দোষ শুধু আমার দেশের! আমার দেশ আইন ভংগ করেছে!! কি তামাশা!!!

একদল অসুস্থ বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তিবর্গ ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে নিজেদের বিকৃতিকে লালন করে সমাজকে অসুস্থ করবে - তা হতে দেয়া যায় না। আমার দেশ সঠিক কাজটিই করছিল। এসব বিষয়ে বার বার মডারেটরদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কোন লাভ হচ্ছিল না। হেফাজতের গনসমাবেশে শেষতক লাভ হয়েছে, সবাই নড়ে চড়ে বসছে। এটার নাম বাংলাদেশ - যেখানে শক্তি না দেখালে কোন কিছুই সম্ভব হয় না, কোন যুক্তিই খাটে না।

==============================================

অজানা এক আমি বলেছেন:
আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ
পিওরলি ওয়ের্স্টান লিবারটিয়ান কনসেপ্ট এ, আমার দেশ কিন্ত‍ু প্রচন্ড অপরাধী হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ক্লিয়ারলি, নেটের কোনায় কাচায় পরে থাকা, কমিউনিটি তে অগ্রহণযোগ্য এবং মার্জিনালাইজড ব্যক্তিদের লেখাগুলোকে, সামনে প্রথম পাতায় বড় বড় লাল কালি দিয়ে ছেপে, দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে খেপিয়ে দেয়া ক্লিয়ারলি হারম প্রিন্সিপালের ভায়লেশান হবে।



হা হা হা ... কি নির্লজ্জ্ব ভাবে বিশাল এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্যটা প্রকাশ হয়ে গেল।

ঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে সোজা বাংলায় বললেই হয়, চুরি করার থেকে চুরির ঘটনা প্রকাশ করাটাই বড় পাপ।

আমার দেশ থাবাবাবা'র লেখা প্রকাশ করে যে মুসলমানদের যে উপকারটা করেছে সেটা হলো আগে ব্লগে ব্লগে যুক্তিবিহীন ইসলাম বিদ্বেষী কুৎসিৎ পোস্টের রাজত্ব ছিল। দেখা যেত বিভিন্ন ব্লগ মডারেটররাও সেই সমস্ত লেখাকে পেট্রোনাইজ করত। এমনকি সামুর ব্যাপারেই এই অভিযোগ ছিল। আর এখন ইসলাম বিদ্বেষীরা নতুন কুৎসিত লেখা তো দূরের কথা, তাদের আগের লেখাই গোপনে ড্রাফট করে। তাও যদি দু' একটা লেখা আসে ব্লগ মডারেটররা বুঝার আগেই সরিয়ে ফেলে।

বাংলা ব্লগজগৎকে ইসলাম বিদ্বেষীদের হাত থেকে পরিচ্ছন্ন করার কাজে সহযোগীতা করায় আমারদেশ পত্রিকাকে অভিনন্দন।

আসলেই এটা একটা নির্লজ্জ পোষ্ট। সামু এখন তার পক্ষে যাওয়া পোষ্টগুলোকে ষ্টিকি করে জনসমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করতেছে। ঘটনার মোড় ঘুরানোর চেষ্টা করতেছে।

৫৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

শুভ জািহদ বলেছেন: চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
কোরআনের আয়াত ও হাদিস দিয়ে কোনো রেফারেন্স দিলেন না। পশ্চিমা ষ্টাইলের কিছু উদ্ভট থিওরী দিয়ে ইসলামের ব্লাস্ফেমী আইন নিয়ে অনুসিধান্তে পৌছে গেলেন?

আর কোনা কাঞ্চায় কার লেখা পড়ে ছিলো? ইন্টারনেটে নাস্তিক ও মুরতাদ ব্লগাররা বছরের পর বছর ইসলাম অবমাননা করে গেছে। সামুর মডারেশোন প্যানের প্রত্যক্ষ ভাবে মদদ দিয়েছে। তখন কই ছিলেন? নাকি মুরতাদ ও মালাউনেরা জেলে গেছে বইলা ব্লাসফেমী আইনে যাতে না মরে সেই প্রচেষ্টায় এই পোষ্ট দিছেন?

আগে সঠিক ভাবে কোরআন ও হাদিসের রেফারেন্স নিয়ে আসেন। জন লক বা রুশো ঘরানার বা ষ্টুয়ার্ট মিলের থিওরী বাংলার মুসলিমেরা মেনে নিবে না।

এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু আবারো নিজেকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করলো।
এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু আবারো নিজেকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করলো।
এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু আবারো নিজেকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করলো।
এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু আবারো নিজেকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করলো। এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু আবারো নিজেকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করলো।
এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু আবারো নিজেকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করলো। এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু আবারো নিজেকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করলো।

৫৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৬

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ভাল লাগলো....চা বিস্কুট তো এসে গেছে...পরবর্তী পোস্ট এখনও আসল না.....

৫৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৩

সাইফ বাঙ্‌গালী বলেছেন: দখিনা বাতাস বলেছেন: চা পান নিয়া বইসা লম্বা কথার দরকার নাই। হেফাজতের ১৩ দফা নিয়া একটা গনভোটের আয়োজন করা হোক। হুজুরগো এতবড় সমাবেশ। সবাই খুব ফাল পাড়তাছে। গনভোটটা হোক, ১৩দফা বাস্তবায়ন হবে, কি হবেনা? সোজা কথা।

৫৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১২

আমি বন্য বলেছেন: "জাকির নায়েকের টিভি প্রোগ্রামগুলো আমাদের দেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়।সেখানে ধর্ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এবং বিভিন্ন সময় ভিন্নধর্মীদের হাজির করে ধর্ম কে নিয়ে খুবই চরম বিতর্ক, সমালোচনা এবং পর্যালোচনা করা হয়। এই প্রগ্রাম গুলো আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। সেইগুলোকে কখনও ব্লাস্ফেমাস আচরণ হিসেবে ধরা হয়না।"


সেখাঙ্কার আলোচনা আর আসিফ মহিউউদিন সহ আরো এই টাইপের ব্লগারের লেখাকে আপনি কিভাবে এক করেন। সেখানে এক ধর্মের সাথে আরেক ধর্মের তুলনা করা হয়। মানুষ অনেক বিষুয়ে ক্লিয়ার হয়। আর এই সব ব্লগার কি করে আমাদের মহানবী স কে গালি দেয় আমাদের কূরাকে নিয়ে খারাপ কথা লেখা।

যুক্তি আর গালিকে আপ্নে কিভাবে এক করলেন !!!!

৫৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৬

এম আবু জাফর বলেছেন: আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ
পিওরলি ওয়ের্স্টান লিবারটিয়ান কনসেপ্ট এ, আমার দেশ কিন্ত‍ু প্রচন্ড অপরাধী হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ক্লিয়ারলি, নেটের কোনায় কাচায় পরে থাকা, কমিউনিটি তে অগ্রহণযোগ্য এবং মার্জিনালাইজড ব্যক্তিদের লেখাগুলোকে, সামনে প্রথম পাতায় বড় বড় লাল কালি দিয়ে ছেপে, দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে খেপিয়ে দেয়া ক্লিয়ারলি হারম প্রিন্সিপালের ভায়লেশান হবে।


হা হা হা ... কি নির্লজ্জ্ব ভাবে বিশাল এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্যটা প্রকাশ হয়ে গেল। :(

ঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে সোজা বাংলায় বললেই হয়, চুরি করার থেকে চুরির ঘটনা প্রকাশ করাটাই বড় পাপ।

আমার দেশ থাবাবাবা'র লেখা প্রকাশ করে যে মুসলমানদের যে উপকারটা করেছে সেটা হলো আগে ব্লগে ব্লগে যুক্তিবিহীন ইসলাম বিদ্বেষী কুৎসিৎ পোস্টের রাজত্ব ছিল। দেখা যেত বিভিন্ন ব্লগ মডারেটররাও সেই সমস্ত লেখাকে পেট্রোনাইজ করত। এমনকি সামুর ব্যাপারেই এই অভিযোগ ছিল। আর এখন ইসলাম বিদ্বেষীরা নতুন কুৎসিত লেখা তো দূরের কথা, তাদের আগের লেখাই গোপনে ড্রাফট করে। তাও যদি দু' একটা লেখা আসে ব্লগ মডারেটররা বুঝার আগেই সরিয়ে ফেলে।

বাংলা ব্লগজগৎকে ইসলাম বিদ্বেষীদের হাত থেকে পরিচ্ছন্ন করার কাজে সহযোগীতা করায় আমারদেশ পত্রিকাকে অভিনন্দন।

৫৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এক সত্য সবার উপকার করে। এক মিথ্যা হাজারো মিথ্যার জন্ম দেয়, শেষে সব কিছু লেজে গোবরে হয়ে যায়।

৫৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৭

রুপালী রাত বলেছেন: আপনাকে অভিনন্দন। !:#P ছমতকার লেখা। অনেকগুলো সত্য, গ্রহনযোগ্য কথার চিপায় চিপায় অসত্য, বদমাইশি জাতীয় কথা ঢুকিয়ে অসত্যর আবরনে সত্যকে বন্দী করার দারুন অপচেষ্টা। আসিফ মহিউদ্দিন, আল্লামা শয়তানকে গ্রেফতার করা ঠিক হইনি? আসিফের মত ইতর যে কিনা বুকফুলিয়ে বলতো "পারলে আমার একটা চুল ছিরে দ্যাখা"!!! আপনার জন্য পরামর্শ "ব্যাক টু দ্যা স্কুল", ওদের সব লেখা ভাল করে পরে আসেন।

ক্যাটরিনা, মালাইকা আারোরার জাওয়ানি, গ্রুপ সেক্স সৃষ্টির শুরু থেকেই ছিল, এগুলোর জন্য অ্যান্টিডোট ছিল আসবে, কিন্ত প্রিয় নবী যে একজনই ভাই। এদের কাছে মানুষ হাত জোড় করে বলেছে রাসুল(সাঃ) কে নিয়ে নোংরামি বন্ধ করেন।তখন এই পান চাবানো আলোচনা হয়নি যে "অফেন্স প্রিনসিপ্যাল ভাঙ্গছে কি না", এখন গালে দুটো থাপ্পড় পড়ার সাথে সাথে পানের পিক বের হয়ে আসলো??? B:-/ B:-/

আর জঙ্গলের চিপায় কোনায় কাচায় ধর্ষণ করে ফেলে রাখা বিবস্ত্র রক্তাত্ত লাশ দেখে মানুষজন খবর দেয়া কবে থেকে আইন ভঙ্গ হল? "আসিফ", "হোরাস", "আরিফুর" এগুলো সবার চোখের অন্তরালে ব্লগিং করতো??

ছোটোবেলায় ধুরন্ধর মানুষের চমৎকার আক্টা সংজ্ঞা পড়েছিলাম। এই জাতীও লোক সবসময় সত্যর সাথে হালকা হালকা মিথ্যা মিশিয়ে বলে যাতে পুড়ো ব্যাপারটা পচে যায়

৬০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মানুষকে ভালবাসা , সুখ দুঃখে পাশে থাকা , সাহায্য করা
একে অপরের মহব্বত বজায় রাখা মুসলমানদের জন্য জান্নাতের
সুসংবাদ । আর বর্তমান যামানা সম্পূর্ণ সামাজিক রিতি কি
এর বিপরিত নয় ?

৮ / ভাল কাজে সাহায্য , আদেশ এবং মন্দ কাজ হতে দূরে থাকার জানান দেওয়া ফরজ । কারন আল্লাহ পাক এত রহমত ও দয়াবান যে তিনি ইচ্ছা করলে বান্দার পাহাড় পরিমান গুনাহ
সামান্য একটি ভাল কাজের বিনিময়ে ক্ষমা করে দিতে পারেন ।

আর আইন করল কিন্তু নিজেরাই তা পালন্ করল না সেটা ইসলাম নয় ব্লাশফেমি ।

সুন্দর পোস্ট ধন্যবাদ

৬১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

অসাধারণ একখানা পোস্ট পড়লাম।

৬২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

হ্যাপিহ্যাপ০০৭ বলেছেন: চোর চুরি করেছে আপনার কথা হচ্ছে কেন চোর ধরা হয়েছে ? যে চোর ধরেছে তাকে শাস্তি দিতে হবে ।
আপনাদের কারনেই দেশে এত অশান্তি।

৬৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: আমাদের সোসাইটির থিংকাররা যখন পশ্চিমা বিশ্বের ভ্যালুজ গুলো ডাইরেক্টলি ইমপোরট করেন এবং সেইটারে ফ্রিডম অফ স্পিচ বা ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশান বলে চালিয়ে দেন। তখন কিন্ত‍ু তারা ফ্রিডম অফ স্পিচের মূল টেনেন্ট টাকেই বিরোধীতা করেন, না বুইঝা ।

এই অংশটা একটু এক্সপ্লেইন করতে পারেন?

৬৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

মুঘল সম্রাট বলেছেন: মিতক্ষরা বলেছেন :

একদল অসুস্থ বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তিবর্গ ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে নিজেদের বিকৃতিকে লালন করে সমাজকে অসুস্থ করবে - তা হতে দেয়া যায় না। আমার দেশ সঠিক কাজটিই করছিল। এসব বিষয়ে বার বার মডারেটরদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কোন লাভ হচ্ছিল না। হেফাজতের গনসমাবেশে শেষতক লাভ হয়েছে, সবাই নড়ে চড়ে বসছে। এটার নাম বাংলাদেশ - যেখানে শক্তি না দেখালে কোন কিছুই সম্ভব হয় না, কোন যুক্তিই খাটে না। -----

সহ মত ১০০ ভাগ ।

৬৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আওমি বাকশাল কায়েমের যরযন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ।
আমার দেশ কে ইরাক আফগান হতে দিতে চাইনা
********************************
বাকশাল কি
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক লিগ
এটা মাওলানা ভাসানিকে অপমান করে ভারতীয় ব্রিটিশ দালালদের
একটি দুরভিসন্দি
মাওলানা ভাসানির মজলুম দলের নাম ছিল
এটা , পরবর্তীতে মুজিব কে দিয়ে
আওমিলিগ বাকশাল সাজিয়ে রাজতন্ত্র নামকরনে মুলত কৃষক
শ্রমিক কেই দমন নিড়িপন করা হয়েছে ।
এবং যার পরিনতি ঘটে ৭৫ এ রক্ষি বাহিনী কর্তৃক মুজিব সহ ১৯
জন কে নির্মম ভাবে হত্তা ।

আমরা আর এসব চাইনা
জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে ঘৃণ্য ক্ষমতার লোভ থেকে
নিজেদের আখের ঘুছানই এখন মঙ্গল ।

৬৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

ম্যঙ্গোপিপল বলেছেন: পেপারে পড়লাম সরকার আমার দেশ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান কে গ্রেপ্তার করছে। আমি এর নিন্দা জানাই এবং তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবী জানাচ্ছি।
এই লেখার একটা অন্যতম কঙ্কলুশান হচ্ছে, আমার দেশ অফেন্ড প্রিন্সিপাল অনুসারে ভুল করছে। সোসিয়াল দিস্রাপসান করছে। এই কথা টা ঠিক।
কিন্তু, অফেন্ড প্রিন্সিপাল এর শাস্তি ফ্যেশিবাদ আর নির্যাতন নয়।

আমরা অনেক সময় নৈতিকতার প্রশ্ন থেকে যৌক্তিক আলোচনা করি। আর সরকার, সম্পূর্ণ বাকশালিয় কায়দায় ঐ নৈতিকতার প্রশ্রয় নিয়ে ফ্রিডম অফ স্পিচ এর কন্ঠরোধ করে।

৬৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

খিয়ারি বলেছেন: হুম। অনেক দেরীতে পড়লাম। এই পোস্ট থেকে আসল ব্লগিং কি তা জানতে পারছি। পরের পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।

৬৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২১

ধূসর পানিপোকা বলেছেন: স্টুয়ার্ট মিলের ব্যাখ্যাটা ভালো দিয়েছেন।তার জন্য সাধুবাদ ।প্রেস মিডিয়ার ব্যাপারে একমত ।তবে যেটুকু ব্যাখ্যার অভাব ছিল বলে মনে হয় তা হল "কটুক্তি" এবং "বাকস্বাধীনতা" এক নয় ।সমাজের জন্য ভালো নয়।সমাজের জন্য যৌক্তিক আলোচনা প্রগতির পথ।বিশ্বাস সত্যও নয় আবার মিথ্যাও নয়।
বিশ্বাস ব্যাক্তিগত ।আস্তিক বা নাস্তিক কারো উচিত নয় একে অপরকে আঘাত করা ।অনুভূতি রক্ষা করা নৈতিকতার অংশ ।আইন নয় ।

৬৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

নাঈম বলেছেন: দুর্দান্ত লেখা, শতকোটি স্যালুট আপনাকে।

৭০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

আস্তবাবা বলেছেন: ূর ভাই এত লম্বা লিখা লিখেন কেন? এত লম্বা লিখা সাব এডিটর কলামে পত্রিকায় পড়ি।

আপনার প্রথম অংশ পড়ে যতটুকু আমি বুঝেছি ব্লাস্ফেমির কাটছাট সংজ্ঞা দিয়ে আইন প্রণয়নের।
আমিও একমত আল্লাহ, আল্লাহর রসুল, উনার পত্নী ও ইসলামকে নিয়ে কুটূক্তি বন্ধকরার নির্দেশনা দিয়ে আইন করলেই খুশি। সাথে অন্য ধর্মের বিষয়ে উল্লেখ থাকুক। যাতে কোন ধর্ম নিয়ে কেউ চুলকানি না দেয়।

৭১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: ধর্ম অবমাননার জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রেখে আইন করা উচিত।
যাতে আর আসিফ মহিউদ্দিন জন্ম নিতে না পারে।
ভ্রন থেকে এই সব আসিফ মহিউদ্দিনকে উৎপাটন করতে হবে।

৭২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

আসফি আজাদ বলেছেন: কিছু প্রশ্ন করেছিলাম। উত্তর নিশ্চয়ই আশা করতে পারি!

৭৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৫

নাওেয়দ বলেছেন: চা-পান একটাও খাই না।

এখন শর্টে বলেন তো, বামদের বাম ছোবল আওয়ামী রাজনীতি থেকে কবে সরবে?

আর ইলেকশন কবে হইতে পারে?

৭৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩০

রুদ্র মানব বলেছেন: ভাল পোস্ট +++++

৭৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

ব্ল্যাকমেটাল বলেছেন: "আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ"

যা বলার এক লাইনে বললেই পারতেন, ত্যানা পেঁচানোর দরকার কী।

"কিল দ্য মেসেঞ্জার" এটাই প্ল্যান তাই না?

৭৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

ব্ল্যাকমেটাল বলেছেন: ত্যানা পেঁচানোর পোস্টে আরেকটা কমেন্ট দিয়ে যাই।

ধর্ম নিয়ে হেইট স্পিচ দেয়া আর সমালোচনা করা এক জিনিস না।
যারা পানি ঘোলা করতে চান তারা দুইটাকে মিশিয়ে ফেলতে চান।

যেমন ঃ
ক্রিটিকের ধরন হলো কেউ যখন জিজ্ঞেস করে "নবী কেন একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন...?"
কিন্তু প্লেইন হেইট স্পীচ হলো নবীকে কোনো প্রাণীর সাথে তুলনা করা। আপনাদের প্রান প্রিয় ব্লগাররা এই কাজটাই করেছেন।

(ব্লাস্ফেমি না বলে হেইট স্পিচ বললাম, আপ্নারা ব্লাস্ফেমিতে যে পরিমাণ ত্যানা পেচিয়েছেন, তাতে আর হাত দিতে চাই না)

৭৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৫

আপেল বলেছেন: ব্ল্যাকমেটাল বলেছেন: "আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ"

যা বলার এক লাইনে বললেই পারতেন, ত্যানা পেঁচানোর দরকার কী।

"কিল দ্য মেসেঞ্জার" এটাই প্ল্যান তাই না?

এটাই যথেষ্ট ............ আর কিছু বললাম না !

৭৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৫৯

বিপ্লব06 বলেছেন: অনেক হোমওয়ার্ক করা লেখা। ধন্যবাদ।

আপনার কাছে একটা প্রশ্ন

এক গ্রামে একদল ধর্ষক থাকত। তারা গ্রামের সুন্দরীদের ধরে ধরে পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষন করে হত্যা করত। তাদের এতই দাপট ছিল যে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তাকে গ্রামছাড়া করা হত। মজার ব্যাপার হল দাপটের জোরে তারা সেই গ্রামে ধর্ষনকে বৈধ করে ফেলেছিল।

একবার হল কি, পাশের গ্রামের এক "বদলোক" সেই গ্রামে গিয়ে ধর্ষকদের বর্বর কর্মকান্ডগুলো দেখে সবাইকে বলে দিল(সেই বদলোকের আবার গ্রামের মাতব্বরের সাথে পূর্বশত্রুতা ছিল)। আশেপাশের সব গ্রামের লোকেরা তখন এই পৈশচিকতার বিচার চাওয়া শুরু করলো।

প্রশ্ন ১। সেই ধর্ষকদের শাস্তি হওয়া উচিত কি না?

প্রশ্ন ২। সেই ধর্ষকরা কি কোনো অজুহাতে বলতে পারে যে আমাদের গ্রামে আমরা যাই করি না কেন সেটা সবাইকে বলে আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেয়া "প্রচন্ড অপরাধ" এবং এর বিচার হওয়া চাই?

৭৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

জাবের তুহিন বলেছেন: Click This Link

৮০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

রিয়াদ চৌধুরী বলেছেন: ভালো লাগলো । পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ।

৮১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলাম শান্তির ধর্ম।

কিছু সংগবদ্ধ গোষ্ঠি ধর্মের নামে নিজেদের আদর্শ অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে সহিংসতা খুনখারাপি করলে তাদেরকে আর ধার্মিক বলা যায় না। বলতে হয় বর্বর জংগী!

৮২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

মাসুদ মারুফ বলেছেন: সহজ একটা প্রশ্ন করি?
*যখন এইসকল ফেতনা সৃষ্টিকারী ব্লগাররা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে যাচ্ছিল, আর সরকার তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল, তখন কেন স্টিকি পোষ্ট দেননি আপনারা সুশীল বাবুরা?
নাকি সরকার যানতনা কাদেরকে দলে সাপোর্ট দিচ্ছেন?
*মাহমুদুর রহমান দেশের কোন সাবজেক্ট ছিলনা, কেন তাকে এরেষ্ট করে হাইলাইট করা হল?
*আমাদের চাকরীর বেতন থেকে যে টাকাটা সেতুর নামে কাটা হয়েছে সেটা ফেরত পাব কি?
*এই হেফাজতের দাবী কেন সরকার এত ভাবছে? আমরা জনগন বহুদিন থেকেই বহু দাবী জানিয়ে আসছি,তার কোন কর্নপাত হয়না,অথচ তথাকথিত জামাতী লিয়াজোর হেফাজতকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন....কেন? অথচ দেশের বড় অংশের দাবী তত্বাবধায়ক,তানিয়ে খেলা করছেন.....একেই কি বলে যেমন কুকুরতেমনমুগুর?

৮৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

শাহীন ভূইঁয়া বলেছেন: সবকিছুর বিনিময়ে শান্তি চাই.......আর কিছু না.....

৮৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

তানি জী... বলেছেন: মিতক্ষরা বলেছেন:
"আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ"

তাজ্জব বিষয়! যারা লিখল তাদের কোন দোষ নেই, যারা সেসব প্রকাশ করল (মুক্তমনা, সামহোয়ার ইত্যাদি) তাদেরও দোষ নেই। আর সেই একই প্রকাশিত লেখা যখন আমার দেশে আসল তখন দোষ শুধু আমার দেশের! আমার দেশ আইন ভংগ করেছে!! কি তামাশা!!!

একদল অসুস্থ বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তিবর্গ ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে নিজেদের বিকৃতিকে লালন করে সমাজকে অসুস্থ করবে - তা হতে দেয়া যায় না। আমার দেশ সঠিক কাজটিই করছিল। এসব বিষয়ে বার বার মডারেটরদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কোন লাভ হচ্ছিল না। হেফাজতের গনসমাবেশে শেষতক লাভ হয়েছে, সবাই নড়ে চড়ে বসছে। এটার নাম বাংলাদেশ - যেখানে শক্তি না দেখালে কোন কিছুই সম্ভব হয় না, কোন যুক্তিই খাটে না।
...................................................................................

অজানা এক আমি বলেছেন:
আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ
পিওরলি ওয়ের্স্টান লিবারটিয়ান কনসেপ্ট এ, আমার দেশ কিন্ত‍ু প্রচন্ড অপরাধী হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ক্লিয়ারলি, নেটের কোনায় কাচায় পরে থাকা, কমিউনিটি তে অগ্রহণযোগ্য এবং মার্জিনালাইজড ব্যক্তিদের লেখাগুলোকে, সামনে প্রথম পাতায় বড় বড় লাল কালি দিয়ে ছেপে, দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে খেপিয়ে দেয়া ক্লিয়ারলি হারম প্রিন্সিপালের ভায়লেশান হবে।


হা হা হা ... কি নির্লজ্জ্ব ভাবে বিশাল এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্যটা প্রকাশ হয়ে গেল।

ঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে সোজা বাংলায় বললেই হয়, চুরি করার থেকে চুরির ঘটনা প্রকাশ করাটাই বড় পাপ।

আমার দেশ থাবাবাবা'র লেখা প্রকাশ করে যে মুসলমানদের যে উপকারটা করেছে সেটা হলো আগে ব্লগে ব্লগে যুক্তিবিহীন ইসলাম বিদ্বেষী কুৎসিৎ পোস্টের রাজত্ব ছিল। দেখা যেত বিভিন্ন ব্লগ মডারেটররাও সেই সমস্ত লেখাকে পেট্রোনাইজ করত। এমনকি সামুর ব্যাপারেই এই অভিযোগ ছিল। আর এখন ইসলাম বিদ্বেষীরা নতুন কুৎসিত লেখা তো দূরের কথা, তাদের আগের লেখাই গোপনে ড্রাফট করে। তাও যদি দু' একটা লেখা আসে ব্লগ মডারেটররা বুঝার আগেই সরিয়ে ফেলে।

বাংলা ব্লগজগৎকে ইসলাম বিদ্বেষীদের হাত থেকে পরিচ্ছন্ন করার কাজে সহযোগীতা করায় আমারদেশ পত্রিকাকে অভিনন্দন।

আসলেই এটা একটা নির্লজ্জ পোষ্ট। সামু এখন তার পক্ষে যাওয়া পোষ্টগুলোকে ষ্টিকি করে জনসমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করতেছে। ঘটনার মোড় ঘুরানোর চেষ্টা করতেছে।


এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু আবারো নিজেকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করলো।
এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু আবারো নিজেকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করলো।
এই পোষ্ট ষ্টিকি করে সামু আবারো নিজেকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করলো।

৮৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৭

তানি জী... বলেছেন: যখন মূর্তি ভাঙ্গে সেইটা যখন পত্রিকায় প্রকাশ করে তখন আইন ভঙ্গ হয় না..।তখন দেশে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায় না । আর যখন ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু শয়তানরা যা তা লিখে বেড়ায় সেইটা প্রকাশ করলেই আইন ভঙ্গ হয়ে যায় তাই না???? তলে তলে সয়তানি করবা আর সেইটা প্রকাশ করলে তোমাদের খারাপ লাগে তাই না???? তোদের এত সাহস তাহলে বুক ফুলিয়া জনসম্মুখে আসতে সাহস পাস না ক্যান ? কেন ভারচুয়াল জগতে যা লিখস সেটা জনসম্মুখে আনতে ভয় পাস । কি আর বলব । তোরা যেইসব কথা লিখসস সেগুলা পড়ে মুসলিম দের অন্তরে যে আঘাত লাগসে সেইটা একজন কে মেরে ফেলার থেকেও অনেক বেশি কষ্টের .।

৮৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আম্রিকা নিতি ২ ভাইকে লাগিয়ে দুটুকেই ধংশ করা
আর জঙ্গি নিতি মাইরা মরা
আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা রশি দিয়া বান্ধা
ভারতের তিন কোনা আর পাখিদের এক আজও লাগে আন্ধা
চিনে কয় আজও রাগ ঝারি
খেলার শেষে বাঙ্গাল খুজে পায়না মাঠ
রাজনীতি অসৎ
অদ্ভুদ হযবরল চুরির এক হাট ।

৮৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: : একটি বার্তা
****************


আম্রিকা নিতি ২ ভাইকে লাগিয়ে দুটুকেই ধংশ করা
আর জঙ্গি নিতি মাইরা মরা
আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা রশি দিয়া বান্ধা
ভারতের তিন কোনা আর পাখিদের এক আজও লাগে আন্ধা
চিনে কয় আজও রাগ ঝারি
খেলার শেষে বাঙ্গাল খুজে পায়না মাঠ
রাজনীতি অসৎ
অদ্ভুদ হযবরল চুরির এক হাট ।

হে বাঙ্গাল আর কত পরাধীনতার খুনে
বঙ্গ মাতা হবে লাল
এস সবে এক হই দেশ বাঁচাই কোন দল না চিনে ।

৮৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: একটি বার্তা
****************


আম্রিকা নিতি ২ ভাইকে লাগিয়ে দুটুকেই ধংশ করা
আর জঙ্গি নিতি মাইরা মরা
আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা রশি দিয়া বান্ধা
ভারতের তিন কোনা আর পাখিদের এক আজও লাগে আন্ধা
চিনে কয় আজও রাগ ঝারি
খেলার শেষে বাঙ্গাল খুজে পায়না মাঠ
রাজনীতি অসৎ
অদ্ভুদ হযবরল চুরির এক হাট ।

হে বাঙ্গাল আর কত পরাধীনতার খুনে
বঙ্গ মাতা হবে লাল
এস সবে এক হই দেশ বাঁচাই কোন দল না চিনে ।

৮৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

উযায়র বলেছেন: যদিও হেফাজতের ১৩ দফা দাবী, তবুও ৬ তারিখে বক্তাদের কথা শুনলে বুঝা যায়, বেশীর ভাগ বক্তা রাসূলের অবমাননাকে সব চেয়ে গুরুত্ব দিছেন। লিস্টিঅনুসারে মুল দাবিটার ভাষা ছিল, এই রকম
“আল্লাহ্‌, রাসুল (সা) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবংমুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধানরেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।“


- জী ভাই এই দাবী নিয়েই ৬ তারিখ শাপলায় গিয়েছি, ১৩ জানতাম না, এখনও ভাল জানি না।

৯০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

উযায়র বলেছেন: মিতক্ষরা বলেছেন :
"আইন টা ভঙ্গ করেছে মুলত আমার দেশ"

তাজ্জব বিষয়! যারা লিখল তাদের কোন দোষ নেই, যারা সেসব প্রকাশ করল (মুক্তমনা, সামহোয়ার ইত্যাদি) তাদেরও দোষ নেই। আর সেই একই প্রকাশিত লেখা যখন আমার দেশে আসল তখন দোষ শুধু আমার দেশের! আমার দেশ আইন ভংগ করেছে!! কি তামাশা!!!

একদল অসুস্থ বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তিবর্গ ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে নিজেদের বিকৃতিকে লালন করে সমাজকে অসুস্থ করবে - তা হতে দেয়া যায় না। আমার দেশ সঠিক কাজটিই করছিল। এসব বিষয়ে বার বার মডারেটরদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কোন লাভ হচ্ছিল না। হেফাজতের গনসমাবেশে শেষতক লাভ হয়েছে, সবাই নড়ে চড়ে বসছে। এটার নাম বাংলাদেশ - যেখানে শক্তি না দেখালে কোন কিছুই সম্ভব হয় না, কোন যুক্তিই খাটে না।
-----

আমি চুরি করব, তুই যদি মালিকরে কইয়া দেস, কল্লা ফালায় দিমু !
শু-- বাচ্চা, মালিকরে টেনশন দেস!


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.