নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিয়া হাসান

এইটা আমার ব্লগ।

ম্যঙ্গোপিপল

সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu

ম্যঙ্গোপিপল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফটিকছড়ির ঘোলা জলে স্ফটিক ছড়িয়ে দেখা

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৮

গত কাল ফটিকছড়িতে একটা নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, মৌলবাদী দের হাতে। জামাত শিবির নাকি হেফাজত একে ইন্সটিগেট করেছে, তা পরিষ্কার ভাবে আসেনি কিন্তু স্পষ্ট ভাবে যেটা এসেছে এই ঘটনায় গ্রাম এর সাধারণ মানুষ, পেশাজিবি এবং নিম্ম বিত্তের পার্টিসিপেশান ছিল। এইটা একটা ভয়ঙ্কর ট্রেন্‌ড।



কারণ,এই পার্টিসিপেশান ধর্মীয় বাতাবরণের নীচে একটা শ্রেণী চরিত্র নিয়ে আসে যাকে একটু ডিপলি আলোচনা করা প্রয়োজন।



অহর্নিশ অস্তিত্বের সঙ্কটে থাকা, নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে , সত্য মিথ্যে যাচাই না করে, এই ধরনের একটা হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা বিশাল বড় একটা পট পরিবর্তন কে নির্দেশ করে।



ফর্‌হাদ মাজহার এর ইসলামিক বিপ্লব তত্ত্বের সব চেয়ে বড় দুরবলতা হচ্ছে,তিনি নিম্ন বিত্ত গোষ্ঠীর ধর্ম চেতনা কে অনেক বাড়িয়ে দেখিয়ে, একটা ইসলামিক বিপ্লব এর স্বপ্ন দেখেন।



যেই খানে, আমাদের নিম্ন বিত্ত জনগোষ্ঠীর, ধর্ম চেতনা এবং রাজনৈতিক চেতনা উভয় ই, স্বাভাবিক ভাবেই খুব্‌ই কম। কারণ তাদের ডাল ভাত লড়াই এ, প্রতি মূহুর্তে ব্যস্ত থাকতে হয়। বাস্তবতা হচ্ছে, এই দেশে, দুইটা ডাল ভাত এর সংগ্রাম সব চেয়ে কঠিন সংগ্রাম। ওই সংগ্রামে যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় ,তাদের ধর্ম নিয়ে বেশি ক্ষন কন্সারন্ড হওয়ার সুযোগ থাকেনা । তারা সৃষ্টি কর্তা কে ভয় পান এবং সমাজের ধর্মগুরু দের ভক্তি ও সন্দেহের চোখে দেখেন। এই ভয় টাকেই, উপজীব্য করে ইস্লামিক বিপ্লব এর ডাক দিচ্ছে হেফাজত।



এতো দিন এই এদ্ভান্টেজ টা নিয়েছিল, আওয়ামী লীগ, বি এন পি।


নিম্ন বিত্তের একজন প্রতিনিধি রুলিং ক্লাস এর সাথে নিজের ক্লাস দিস্টেন্স টাকে আকাশ সম এবং অলঙ্ঘনীয় বলে মনে করেন। হাসিনা খালেদা কে, তারা মধ্য যুগ এর রাজা বাদশাহ দের মত ঐশরিক ক্ষমতার অধিকারি মনে করেন । নইলে হাসিনা খালেদার মত দুর্বিত্ত রাজনীতিবিদ যদি, কোন গ্রাম এ যায় জনসভা করতে তো তার ২০/২৫ মাইল দূর থেকে, মানুষ এসে হামলে পরার কথা না। এবং এই কারণেই রেগুলার প্রতারণার স্বীকার হয়েও তারা এদের কে, তারা এদের ভোট দিয়া গেছেন বছর এর পর বছর। ভোট এর সমীকরণে, পশ্চিমা রাজনৈতিক পরিভাষায় এরা ক্লিয়ারলি সুউইং ভোটার ।



তাদের ভোট এবং ফিলিংস খালেদা থেকে সুইং করে হাসিনা তে এবং তার পরে এখন পুরো এস্টাব্লিশমেন্ট এর বিপক্ষে সুইং করতেছে, ধর্ম গুরু দের কথায়। এইটা ক্লিয়ার্লি, একটা রাজনৈতিক ব্যার্থতা।

রাজনীতি আমাদের এতো বেশী হতাশা, এতো লুটপাট এবং এতো ভন্ডামী দিছে, তার বিরুদ্ধে এনটি এস্টাব্লিশমেন্ট একটা মূভেমেন্ট হওয়া টা অসম্ভাবি ছিল।



প্রথমে এইটা ছিল শাহবাগ। কিন্তু, সানি লিউনে উপর স্খলনে ব্যস্ত মধ্যবিত্ত আপোষ কামী মনোভাব নিয়ে মাত্র ১২ দিনেই এস্টাব্লিশমেন্ট এর কাছে আত্মসমর্পণ করে । এবং তার পর এই পরাজয় কে অসীকার করে, সেই পরাজয় কেই বিজয় হিসেবে দেখিয়ে প্রচার চালাইছে। ফলে এখন, সত্যিকার এর শাহবাগ কে এস্টাব্লিশমেন্ট এর পোষা শাহবাগ এর সাথে আলাদা করে চেনা যাচ্ছেনা ।



অন্যে দিকে এস্টাব্লিশমেন্ট আর হাতে প্রত্তাখাত ,এবং অস্বীকৃত নিম্ন বিত্ত এখন উপায়ান্তর না দেখে ধর্ম গুরু দের মুভমেন্ট এ নিজের ফ্রাস্ট্রেশান ভেন্টিলেট এর জায়গা খুঁজে নিচ্ছে।

এবং ধর্ম গুরুরাও আপোষ কামী মধবিত্তের, এই জেনারাস উপহার টা মাথা পেতে নিয়ে নিম্নবিত্ত দের নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে ব্যবহার করছে। এবং অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান থেকে নিম্ন বিত্ত জনগোষ্ঠী ধর্ম গুরু দের প্রচণ্ড সন্দেহের চোখে দেখে।

অন্যদিকে নকল শাহবাগ, মুল শাহবাগের দাবী দাওয়া বাইপাস করে মুভমেন্ট টাকে , কালচারাল মূভমেন্ট এ রূপান্তর করেছে কারণ কালচারাল মূভমেন্ট এর আইকন গুলো দিয়া জনগোষ্ঠী কে একাত্ম করা যায় ।

ধর্ম গুরু রাও , তাদের মূভমেন্ট কে, ক্লাস ওয়ার আর দিকে নিয়ে যাবে সহজে বোঝা যায় এমন্ আইকন সৃষ্টির বাসনা থেকে ।তাদের ধর্মযুদ্ধ কে, এস্টাব্লিশমেন্ট এবং এনটি এস্টাব্লিশমেন্ট হিসেবে দেখাতে পারলে তারা ধর্ম যুদ্ধ টাকে অনেক ছড়িয়েদিতে পারবে । তাদের অস্ত্র হবে, মিথ্যাবাদি মিডিয়া যে ১০ লক্ষ লোক এর জনসমাবেশ এর সময় রান্নার প্রোগ্রাম দেখায়, মাহমুদুর রাহমান এর গ্রেপ্তার এবং গুলিরত পুলিশ এর ছবি।এনটি এস্টাব্লিশমেন্ট এর যে আন্দোলন মধবিত্তের হাতে হওয়ার কথা, সেই আপোষ কামী মধ্যবিত্ত যেখানে ব্যর্থ, সেই ভেকুয়াম টা ফিল আপ করছে আজ প্রতিক্রিয়া শীল ধর্ম গুরুরা। তারা আজ শক্তি সঞ্চয় করছে এবং একটা কিছু একটা দানা বেঁধে উঠছে।কান পাতলেই শুনতেপাবেন।



বাংলাদেশের রাজনীতি , এই ঘটনা প্রবাহ গুলোর মুখে আকস্মিক অপ্রত্যাশিত কোথায় যাবে কেউ বলতে পারবেনা।

কিন্তু, অস্থিতিশীলতায় নতুন একটা উপসরগ যোগ হল, সেটা নিশ্চিত। কাল আর ফটিকছরির ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ভাবে দেখার কোন সুযোগ নাই। কোন ধরনের বিশ্লেষণ এবং আনালিসিস বাদে, জামাত শিবির বা হেফাজত এর উসকানি তে শুধু মাত্র তান্ডব, তান্ডব বলে ভেড়ার মত চিৎকার করে গেলে অনেক গুলো nuance বা সূক্ষ্ম ইস্যু বাদ পরে যেয়।



আর এটা কোন তান্ডব ফান্ডব না, মব কে উস্কে দিয়ে এইটা একটা পিওরলি হত্যাকাণ্ড।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৮

এম আবু জাফর বলেছেন: যে হোন্ডা গুলি তারা ব্যাবহার করেছে তার সিংহভাগ সাধারন পাব্লিকের কাছ থেকে জোর করে কেডে নেওয়া হয়েছিল। তারমধ্যে বেশিরভাগ প্রবাসিদের সদ্যকেনা।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫০

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: আপনে প্রথম দিকে যে বলছেন নিম্ন বিত্তের ধর্ম এবং রাজনীতি সচেতনতা কম এইটা ঠিক। এইটাই গু্রুত্বপূর্ন। এইটাই এখনো বর্তমান আছে। রাজনীতির লুটপাট দূর্নীতি এগুলা নিয়া কথা কয় তো মধ্যবিত্ত রা। এগুলা দিয়া নিম্ন বিত্তরে বিপ্লবী করতে পারবে না।

নিম্নবিত্তরে বিদ্রোহী কইরা বিপ্লব টিপ্লব এইগুলা হওয়ার চান্স নাই বলে মনে হয় আমার। পোস্টের এক লাইন ধরেই কই "এই দেশে, দুইটা ডাল ভাত এর সংগ্রাম সব চেয়ে কঠিন সংগ্রাম" সেই সংগ্রামেই এরা ব্যস্ত হয়া পড়বে।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধিক্কার জানাই গর্হিত কর্মের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.