![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu
লক্ষ লক্ষ তরুণ গ্রাজুয়েট পিতার টাকায় গ্রাজুয়েশন ও পোস্ট গ্রাজুয়েশান কমপ্লিট করে আজ ঢাকা সহ অন্যান্য শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একটা সম্মান জনক চাকুরী এবং নিজের পরিবার এর জন্যে দু মুঠো অন্ন যোগাড় করার আশায়, কিন্তু তাদের জন্যে পর্যাপ্ত সুযোগ নেই। অল্প যতটুকু আছে তাও দখল করে নিয়েছে প্রিভিলেজ আর কানেকশন ধারিরা। মেধার কোনো মূল্য নেই।
দেশের হাসপাতাল গুলো তে লক্ষ লক্ষ রোগী ঘুরছে নিজের এবং নিজের পরিবার এর কারো আরোগ্যের জন্যে। কিন্তু টাকা খরচ করেও সুচিকিতসা পাওয়া যায়না আর যাদের টাকা নেই, তারা মেনে নিচ্ছে কু চিকিত্সায় বা ভুল চিকিত্সায় তাদের আত্বীয়ের, সন্তানের, পিতার বা মার নিশ্চিত মৃত্যু বা আমৃত্যু দুর্ভোগ।
ফরমালিন এর মত একটা বিষ কে জেনে বুঝে তুলে দিছি আমাদের সন্তানের মুখে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া ট্রাক চালক পিষে মারছে ৪০-৫০ জন স্কুল গামী শিশু কে, এক ধাক্কায়।
বিশ্বের আর কোন দেশ আছে যেখানে মানুষ এই ধরনের অনাচার বিনা প্রতিবাদে মেনে নেয় ? নাকি মালথাস এর সূত্র কে স্বতসিদ্ধ প্রমানের সংকল্প করেছি আমরা ?
-"প্রকৃতি তার ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত জনসংখ্যা কে নিজেই প্রাকৃতিক নিয়মে মেরে ফেলে।"
হাজার হাজার যুবক এই দেশ থেকে বের হয়ে বিদেশে যাওয়ার জন্যে দালাল এর হাতে তুলে দিচ্ছে পরিবার এর শেষ সঞ্চয়। এক দল এর ডুবে মরার খবর জেনেও , আরেক দল পা দিচ্ছে ট্রলার এর পাটাতনে। বাচতে পারলে ভিন দেশে পৌছে পরিশ্রম করে করে টাকা পাঠাতে পারবে, তার মা এর কাছে -হয়তো তার বোন্ এর বিয়ের যৌতুক এর টাকা, হয়তো তার প্রতিবন্ধী ভাই এর চিকিত্সার টাকা । হলে হোক মরন , সুযোগ হীন একটা অক্ষম জীবন কাটিয়ে দেয়ার চেয়ে ১০% সম্ভাবনা থাকলেও মৃত্যুর চ্যালেঞ্জ নেয়া শ্রেয়।
কিন্তু, এই দেশের নাগরিক দের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম বাদ দিয়ে আমাদের ফরহাদ মাজহাররা মুক্তির পথ দেখাচ্ছে হেফাজত এর মাধ্যমে ধর্মের সামাজিক নিয়ন্ত্রনের ফতোয়াতে।
আর আওয়ামী পেটোয়া বুদ্ধিজীবিরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশ কে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ আর বিপক্ষের শক্তি তে বিভক্ত করে রাখছে। বিপক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে আরেকটা যুদ্ধ করে জেতার পর নাকি, দেশ গড়ার কাজে মনোযোগ দেয়া যাবে।
অথচ, এই জাতির একটাই করণীয়। সকল আইডিয়লোজিকাল দন্দ কে এড়িয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে জব ক্রিয়াশান এ মনোযোগ দেয়া। এবং ওই পলিসি গুলো ঠিক করা এবং মানুষের কর্মস্পৃহাকে মুক্ত করে, দেশে আইটি ইন্ডাস্ট্রি,ক্ষুদ্র এবং ভারি ইন্ডাস্ট্রি সহ একটা বিশাল কর্ম উদ্যোগ স্রস্টি করা এবং এই জন্যে সরকারি উদ্যোগে ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশানের জন্যে বড় বড় পাওয়ার প্লান্ট তৈরি করা এবং রাস্তা ঘাট, ব্রিজ সহ ইনফ্রাশ্ত্রাকচার ঠিক করা। এই কাজ গুলো করতে গিয়েও অনেক এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন হবে।
এই ধরনের কথা বললে, এক দল বলে আচ্ছা বলেন তো, আচ্ছা আপনিতো যুদ্ধাপরাধী দের বিচার চান না মনে হয়।
আরেক দল বলে, আচ্ছা আপনি তাইলে নাস্তিক দের পক্ষ নিচ্ছেন ? আপনি কি নাস্তিক ?
ওদের অনেক বার বলছি, একটার কাজ ইনস্টিটিউশন এর বা কোর্ট এর আরেকটার কাজ সমাজের এবং পরিবার এর।
কিন্তু তারা, মাথা নেড়ে আবার মেতে ওঠে তাদের বিভাজন এর পলিটিক্স এ। অনেক মানুষ, জেনে শুনে সেই বিভেদ এর পালে হাওয়া দেয়। এমন অজস্র ক্ষতিকর ব্যক্তি ইনোসেন্ট চেহারা নিয়ে আমাদের চারে পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। খুঁজে দেখেন - এদের সবার আরামদায়ক জীবন, প্রিভিলেজড ব্যাকগ্রাউন্ড।
এদের এই বিলাসিতা পোষায়। কিন্তু আম জনতার পোষায় না। কিন্তু আমজনতা যেন মার খেতে খেতে মেন্দা মেরে গেছে। দেখে। টিভির দিকে ফেলফেল করে তাকিয়ে থকে। তারপর নিজেদের মধ্যে তর্কে বিতর্কে মেতে ওঠে। সেটাই হয়ে ওঠে তার বিনোদন আর পাস টাইম এবং নিজের অজ্ঞাতেই সে এই বিভাজনের এর পলিটিক্স এর অংশ হয়ে ওঠে। তারপর আবার পরদিন নেমে পরে সে,সংগ্রামে।
অল্প প্রাপ্তিতেই তুষ্ট থাকে। ভাগ্য বলে মেনে নেয় এই সব কিছু হারিয়ে ফেলার আর না পাওয়ার অপূর্ণ জীবন যাপন কে। সারা বিশ্ব এগিয়ে যায়, কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের এই কারাগারে সাইকেলের মত আবর্তিত হয় ১৬ কোটি না পাওয়ার সংগ্রাম।
কোন পথে মুক্তি ? আমাদের মেসিয়া কবে আসবে খোদা ??
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
সোহানী বলেছেন: সহমত...
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কোন পথে মুক্তি ? আমাদের মেসিয়া কবে আসবে খোদা ??
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই জাতির একটাই করণীয়। সকল আইডিয়লোজিকাল দন্দ কে এড়িয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে জব ক্রিয়াশান এ মনোযোগ দেয়া। এবং ওই পলিসি গুলো ঠিক করা এবং মানুষের কর্মস্পৃহাকে মুক্ত করে, দেশে আইটি ইন্ডাস্ট্রি,ক্ষুদ্র এবং ভারি ইন্ডাস্ট্রি সহ একটা বিশাল কর্ম উদ্যোগ স্রস্টি করা এবং এই জন্যে সরকারি উদ্যোগে ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশানের জন্যে বড় বড় পাওয়ার প্লান্ট তৈরি করা এবং রাস্তা ঘাট, ব্রিজ সহ ইনফ্রাশ্ত্রাকচার ঠিক করা। এই কাজ গুলো করতে গিয়েও অনেক এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন হবে।
কিন্তু তবে যে সাম্রাজ্যবাদের ক্রীতদাস পাওয়া যাবে না! তাইতো তারা জেনে বুঝে আমাদের বিভক্ত করে তাদের ক্রীড়নক করার খেলায় মত্ত- আর তাতে ক্ষমতার লোভে সায় দিয়ে যায় নব্য শোষক ২২ হাজার/লাখ পরিবার!!!!!!
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
হিমরাজ ব্লগ বলেছেন: http://www.somewhereinblog.net/blog/Himraz
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
পথহারা সৈকত বলেছেন: কোন পথে মুক্তি ? আমাদের মেসিয়া কবে আসবে খোদা ??