![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu
বর্তমান বাঙালি/বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক চেতনার একটা প্রান্তে আছে ইন্টারনেট এর উচ্চ মূল্য কমানোর দাবী আরেক প্রান্তে আছে, যুদ্ধাপরাধ এর বিচার দাবী।
তাতে দোষের কিছু নাই, কিন্তু দুর্বৃত্ত রাজনীতির হাতে নিয়ত ধর্ষিত হতে হতে এবং কর্পো-পলিটিকো-মিডিয়া-সিভিল-মিলিটারি দের দারা ঘটিৎ একটা এলিট এস্টাব্লিশ্মেন্ট এর কাছে তার সব সম্ভাবনা কে লুণ্ঠিত হতে দেখেও নিজের অধিকার আদায় উচ্চকিত হতে তার যে ব্যর্থতা তাই তার সব সুযোগ এবং স্বপ্ন কেড়ে নিচ্ছে।
ফলে যে পরিনতির দিকে সে আগাচ্ছে তার দায় তাকেই নিতে হবে।
আজকে থেকে ৪০ বছর আগের একটা তরুণ প্রজন্ম একটা নৃশংস সশস্ত্র বাহিনীর ট্যাঙ্ক আর মেশিন গান এর গুলির মুখে, ৩০ লক্ষ প্রাণ বলি দিয়ে বাংলাদেশ নাম এর ভূখণ্ড টা আমাদেরকে উপহার দিয়েছে, যেখানে আমরা গর্ব করে হাটতে পারি, নিজের ভাষায় কথা বলতে পারি।
আজকে থেকে ২০ বছর আগের একটা প্রজন্ম, মিছিলে তুলে দেয়া বাস এবং পুলিশ বা বেসরকারি অস্ত্রধারী দের গুলির মুখে বিশ্ব বেহায়া এরশাদ কে মসনদ থেকে কান ধরে নামিয়ে গণতন্ত্রের রাস্তা খুলে দিছে।
কিন্তু, একটা দুর্বিত্ত রাজনৈতিক শক্তির হাতে পথে ঘাটে মাইর খাইতে খাইতে যখন মনে হলো আমাদের মাজা বাঁকা হয়ে গেছে, তখন কাদের মোল্লার রায় এর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করতে তরুন দের হাতে যে রেভিউলিশান এর জন্ম নিল, সেই খানে দাঁড়িয়ে আজকের তরুণ নির্বোধ এর মতো বলে উঠল, উহু, আমি শুধু বাংলা পরীক্ষা দিব, আর কোন আলাপ করে যাবেনা, মানুষের মুক্তির কথা বলে যাবেনা, এই দুর্বিত্ত সিস্টেম আর কথা বলা যাবেনা, এবং যারা বলবে তারা দালাল। এবং এই একটি মাত্র ঘোষণার মাধ্যমে সে তার প্রজন্মের সম্ভাবনাকে লটকায়ে দিল কলা গাছে ।
এবং তারপর মাত্র ১৩ দিনের মাথায় প্রাণ নাশের হুমকির মুখে নীরবে সেই রেভুলিশান কে প্রথাগত শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করতে দিছে । এবং তারপর থেকে সে নিজেই এস্টাব্লিশমেন্ট এর ক্রীড়নক হয়ে দুর্বৃত্ত এস্তাব্লিশ্মেন্ট কেই রক্ষা করার যুদ্ধে নামছে । এস্টাব্লিশমেন্ট যে সময়, তার রেভুলউশান কে নিয়ে নাচার দরকার নাচছে এবং যখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল করার দরকার তখন তাকে রাস্তায় নামাইছে এবং যখন মনে না করছে দরকার নাই, তখন তার আন্দোলন কে টয়লেট টিসুর মতো ছুড়ে ফেলে দিছে, মুছে নিয়ে ।
গ্রাম বাংলায় একটা কথা আছে না কাঁদলে মায়েও দুধ দেয় না। এখন নিজের অধিকার এর আসল চাওয়া টা যদি, আমরা চাইতে না পারি, তাইলে রাষ্ট্রের সব সম্পদ কে নির্বিঘ্নে ভোগ করছে যে কর্পো-পলিটিকো-মেডিয়া-সিভিল-মিলিটারি শক্তি তারা কখনোই একটা সমতা ভিত্তিক সমাজ বা অর্থনইতিক সিস্টেম এবং দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্র গড়ে দিবেনা।
এই বোধ যদি তরুণ দের না আসে তো সিস্টেম এর দাস হয়ে ধুকে ধুঁকে বেচে থেকে, ক্লীব জীবন যাপন করে, ফরমালিন খাইতে খাইতে ৫০ বছরেই টেঁসে যাবো সবাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:২৬
মাসুমডুয়েট বলেছেন: জিয়া ভাই, সামনে পাইলে পা ধইরা সালাম করতাম। ধন্যবাদ। এতদিন ভাবতাম আ্মিই বোকা। আপনার লেখা পইড়া বুঝলাম, আমি একা না। সংখ্যা কমপক্ষে দুই।