![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu
রামপালে কাজ শুরু হয়ে গেছে
রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র স্হাপন নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক আর্গুমেন্ট আসছে | আর্গুমেন্ট গুলো আলাদা আলাদা ভাবে বোঝা যেমন ইম্পর্টান্ট তেমনি এক সাথে হোলিস্টিকলি দেখাটাও জরুরি| কারণ এই ধরনের একটা জটিল ইস্যুতে দেখা যায় যে , আলাদা আলাদা ভাবে আমরা যেই সব উত্তর পাই, এক সাথে দেখতে গেলে অনেক ক্ষেত্রে ভিন্য উত্তর আসে |
নেচার কনজারভেশন এর সাথে ডেভেলপমেন্ট এর বিরোধ ক্ষেত্র প্রায়শই তৈরী হয় |
এই বিরোধের কনটেক্সট টা, অনেক সময় পুরো মানব জাতির অস্তিত্বের , কনটেক্সটা অনেক সময় অত্যন্ত লোকাল | অনেক সময় কনটেক্সট টা উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য |
আমাদের ক্ষেত্রে ইস্যুটা অনেক সিরিয়াস |
কারণ সুন্দরবন শুধুমাত্র রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর বাসস্থান -একটি বন নয়, এইটা বাংলাদশের সম্পূর্ণ দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চল কে রক্ষা করে উত্তাল সমুদ্র ,সাইক্লোনে আর বন্যা থেকে |
এইটা ছাড়াও সুন্দরবন কে রক্ষার প্রশ্নে, আমাদের একটা গভীর ইমোশন কাজ করে |
পৃথিবীতে আমরা কিসে ইউনিক এই প্রশ্নের উত্তরে অনেক চিন্তা করে দেখা যায়, এক মাত্র রয়েল বেঙ্গল টাইগার এই পৃথিবীতে আমাদের সব চেয়ে নিজস্ব পরিচয় এর জিনিষ | আমাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিতে তাই বলা হয়, বেঙ্গল টাইগার এর দেশ | ক্রিকেটে যদি কোনো দিন আচমকা কোন বড় দল কে হারিয়ে দেই , তো সারা দুনিয়াতে হেডলাইন হয়, টাইগাররা আপসেট ঘটাইছে| আমরা নিজেরাই বুঝি, ক্রমাগত জনসংখা বৃদ্ধিতে, দেশের সব বনাঞ্চলের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন | কিন্তু সুন্দরবন এর যেই অংশ টুকু আছে, তাকে ধ্বংশ হয়ে যেতে দেখলে আমাদের মধবিত্ত চেতনার মর্মমূলে আঘাত লাগে | তাই, সুন্দরবন এর উপর একটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মান এর বিরোধিতায় পুরো জাতি সর্ব সম্মিলত ভাবে একাত্ততা প্রকাশ করেছে |
একই সাথে
বাংলাদেশের মত একটা দেশ যার ৬০% মানুষ এখনো বেসিক বিদ্যুত এর সুবিধা পায় নাই, যেই দেশে বিদ্যুত না থাকার কারণে, মানুষের চাকুরী, ভাত আর রুটির অধিকার হুমিকর সম্মুখীন এবং এবং যেই দেশে পৃথিবীর সব চেয়ে কম পার ক্যাপিটা বিদ্যুত উত্পাদন হয় সেই দেশের প্রথম লার্জ স্কেল ইম্পোর্ট করে আনা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র কে, এনভায়রনমেন্টাল ইসুতে বাদ দিতে হলে, সেই ইস্যু গুলো কে অবশ্যই কড়া স্ক্রুটিনির সম্মুখীন সম্মুখীন হতে হবে |
আমি স্বল্প জ্ঞানে, একটু স্টাডি রিসার্চ করে, পক্ষ বিপক্ষের সব ইসু গুলোকে কনটেক্সটচুয়ালায়জ করার চেষ্টা করছি |
আমার রিসার্চ এর বেসিস হচ্ছে পাবলিকলি এভায়লাবেল ডকুমেন্টস, গুগল এবং অল্টারনেটিভ সার্চ ইঞ্জিন এবং বর্তমান বিতর্কে আসা বিভিন্য জনের একজিসটিং রিসার্চ | আমি আগেই স্বীকার করে নিচ্ছি -আমার চেষ্টা টায় অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী টাইপ একটা ব্যাপার আছে | আমি এই লাইনের লোক না, আমি ইঞ্জিনিয়ার ও না |ফলে আমার এনালিসিস গুলোতে কিছু ভুল হতে পারে, কিন্তু আমি এইটা বলতে পারি কোনো ধরনের ডগমা, আইডিয়লোজি, বিশ্বাস থেকে এই খানে কোনো কনক্লুশান টানা হয়নাই | আমার সার্চ (দি খোজ :p) আমাকে যেই খানে নিছে , আমি তাই এই খানে বিবৃত করছি |
রামপাল এর আলোচনা কে, আমরা মোট ছয় ভাগে ভাগ করবো |
একটা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র কেমনে চলে|
কয়লা ভিত্তিক থার্মাল পাওয়ার এর পরিবেশ গত রিস্ক কি কি |
কয়লা ভিত্তিক থার্মাল প্লান্ট এর রিস্ক গুলোর আলোকে রামপাল এর অভিযোগ গুলোকে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিটে ফেলানো এবং মূল অভিযোগ গুলোর বক্তব্য/সরকারী কাউন্টার /আসল কাহিনী বিশ্লেষণ| যার ভেতরে আসবে
পরিবেশ গত ইস্যু
পরিবেশ বহির্ভূত ইস্যু
বিতর্কের মূল উত্স - ইসিএ এনালিসিস এর এনালিসিস |
আমাদের এনার্জি পলিসি , আমাদের এনার্জি মিক্স, এনার্জি সিকিউরিটি, এনার্জি প্রাইভেটাইজেসন এবং ইন্ডিয়া ইসু নিয়ে কিছু কথা বার্তা.
ভারতের হাতে আমাদের এনার্জি সেক্টর তুলে দেয়ার সমস্যা কি
সমাপ্তি ( দি এন্ড) এবং ফাইনাল পেচাল
প্রথমে আমরা একটু দেখি একটা কয়লা ভিত্তিক কেন্দ্র কেমনে চলে
এইটা বোঝা জরুরি । কারন, রামপাল নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে তাতে আপনি যদি অরিজিনাল মেকানিজিম না বোঝেন তাইলে যে আপনাকে যা বোঝাবে আপনাকে তা বুঝতে হবে । আপনাকে সত্য, মিথ্যা জাজ করতে আপনার বেগ পেতে হবে। তার চেয়ে বরং আমরাই বুঝে নাই, আসল কাহিনি কি ।
একটা কয়লা ভিত্তিকবিদ্যুত কেন্দ্র কেমনে চলে
১ |কয়লা সাপ্লাই
টারবাইনের ব্লেড গুলো ঘুরে এবং যা জেনারেটরের রোটর কে ঘুরিয়ে ইলেকরিসিটি উত্পাদন করে |
২ |কয়লা পালভেরাইজার
পালভের্রায়জার কয়লা কে ভেঙ্গে একদম গুড়া গুড়া করে ফেলে
৩ | বয়লার
বয়লারে কয়লাকে পরে এবং তাপ উত্পন্য করে এবং উত্পন্য তাপ পানি কে জলীয় বাষ্পে পরিনত করে অনেক উচ্চ চাপ ইং উচ্চ তাপে |
৪| পার্সিপেটেটর এবং স্ট্যাক
কয়লা যখন পোড়ে কয়লা থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইডএবং নাইট্রাস ডাই অক্সাইড সহ আরো কিছু দূষণ উত্পন্য হয়| এই গ্যাস কয়লার ছাই এর সাথে বাতাসে উড়িয়ে দেয় হয় অনেক উপর দিয়ে স্ট্যাক এর সাহায্যে (যেই দেখতে ইট বানানোর চিমনির মত) | কিন্তু স্ট্যাক দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার আগে , এই পর্যায়ে ইলেকট্রিক পার্সিপেটেটর বলে একটা জিনিস ব্যবহার করা হয় যা বাতাসে সেই সব ছাই উড়ে তাকে ক্যাপচার করে | অন্য দিকে বয়লার এর ছাই , বটম এশ হিসেবে বয়লার এর নিচে থেকে সংগৃহিত হয় |
স্ট্যাক এর মধ্যে আর একটা জিনিস থাকে অনেক প্লান্ট এ যাকে বলে স্ক্রাবার বা FGD | এই স্ক্রাবার এর মাধ্যমে ৯০% দুষিত পদার্থ কাপচার করা সম্ভব| কিন্তু মূল্য বেশি হওয়ার কারণে এই স্ক্রাবার বা FGD সব প্লান্ট এ বসায় না|
৫ |টারবাইন এবং জেনারেটার
জলীয় বাস্প অত্যন্ত উচ্চ গতি এবং চাপে টারবাইন কে ফ্যান এর মত ঘোরায় | টারবাইন এর সাথে টারবাইনের ব্লেড গুলো ঘুরে যা জেনারেটরের রোটর কে ঘুরিয়ে ইলেকরিসিটি উত্পাদন করে ফেরাডের প্রিন্সিপাল অনুসারে | |
৬. কন্ডেনসার এবং কুলিং টাওয়ার
জ্বলীয় বাস্প টারবাইন থেকে বেরিয়ে কিছু টিউব এর ভেতর দিয়ে যায়, যার মাধ্যমে জলীয় বাস্পকে ঠান্ডা করে পানিতে রূপান্তর করা হয় হয় | এই পানি কে আবার বয়লারে পাঠিয়ে দেয়া হয় | ফলে, একই পানি বার বার ব্যবহার হতে থাকে |
এই জন্যে একে বলে ক্লোস্জড সাইকেল |
যদিও ক্লোজ সাইকেলেও কিছু জলীয় বাস্প লস হয়,যার জন্যে নতুন করে পানি ইন করতে হয় |
একই সময় আবার এই কনডেনসার কে ঠান্ডা রাখার জন্যে, নদী বা অন্য জলাশয় থেকে পানি নিয়ে আসা হয়| এই ঠান্ডা পানি টা যখন গরম হয় তখন তাকে আবার নদী বা জলাশয়ে ফেরত পাঠানো হয় |
এই কন্ডেনসার কে ঠান্ডা করতে যে পানি টা গরম হয় তা বিশাল বরং কুলিং টাওয়ার এর উপর দিয়ে খুব চিকন পাইপের ভেতর দিয়ে ফোটা ফোটা করে ছাড়া হয় এবং কুলিং টাওয়ার এর নিচ থেক বাতাস উপরের দিকে ছাড়া হয়| এই পানির কিছু অংশ জলীয় বাষ্প হয়ে উপর দিয়ে চলে যায় এবং কিছু অংশ ঠান্ডা হয়ে নিচে নেমে আসে যা আসে পাসের জলাশয়ে রিলিজ করা হয় |
একটি থার্মাল প্লান্ট এর পানির প্রধান চাহিদা এই কন্দেন্সার কে ঠান্ডা করার জন্যেই|
৭. ওয়াটার পিউরিফিকেশন
বয়লার এর মধ্যে যে পানি টা যায় তা বয়লার এর মধ্যে যেই সব টিউবের ভেতরে পানি থাকে তাকে মরচে ধরাতে পারে| এইটা রোধ করার জন্যে বয়লার এর মধ্যে যে পানি যায়, তাকে আগে পিউরিফিকেশন করে তারপর পাঠানো হয় |
৮. এশ সিস্টেম
বয়লার থেকে এবং স্ট্যাক থেকে যেই এশ বা ছাই জোগাড় করা হয় তা, এশ পন্ডে রাখা হয় ভেজা অবস্থায় | এবং এই খান থেকে এশ অন্য কোথাও ব্যবহারের জন্যে পাঠিয়ে দেয়া হয় |
৯. ট্রান্সফরমার আর ট্রান্সমিশন লাইন
ট্রান্সফরমার ইলেক্রিসিটির ভোল্টেজ বৃদ্ধি করে এবং ট্রান্সমিশন লাইন ইলেকট্রিসিটিকে ব্যবহারের জন্যে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেয়| আমি এখন একটা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটা ছবি দিব |
এবং এই ছবিতে দুইটা জিনিশের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাখবো | একটা হইলো ৪ নাম্বার এর স্ট্যাক আর একটা হইলো ৬ নাম্বার এর কুলিং টাওয়ার | এই দুইটা জিনিষ, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে যা যা বায়ুমন্ডলে বের হয় তার দুই টা নির্গমন এর রাস্তা |
মেন্টাল ইমেজ টা খুব ইম্পর্টান্ট জিনিষ এবং পরিবেশ এর উপর প্রভাব কি পরবে তার আলোচনায় এই দুইটা টা জিনিস পরে আসবে | স চিনে রাখা ভালো |
এই মেন্টাল ইমেজ টা সৃষ্টি করার স্বার্থে রামপাল এর EIA থেকে পাওয়ার প্লান্ট এর প্রস্তাবিত লেআওউট টাও দিলাম|
কয়লা ভিত্তিক থার্মাল পাওয়ার কেমনে চলে সেইটা আমরা বুঝলাম এখন আমরা দেখি, একটা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে কি কি ধরনের দূষণ হয় |
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের চার ধরনের সমস্যা পরিবেশ গত সমস্যা হয় |
ক |বায়ু দূষণ |
কয়লা যখন ফার্নেসে পড়ানো হয় এবং পড়ানোর পর নির্গত পদার্থ গুলো যখন স্ট্যাক থেকে বের করে দেয়া হয় তখন তার সাথে কয় এক ধরনের পদার্থ যা বায়ুমন্ডলের সাথে মিশে পরিবেশ এর নানা ধরনের স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি করে | এই পদার্থ গুলো হলো
কার্বন মনো অক্সায়ড
সালফার ডাই অক্সাইড
নাইট্রজেন অক্সায়ড
মার্কারী
সাসপেন্ডেড পার্টিকেল
নন মিথেন হাইড্র কার্বন
খ |জলজ দূষণ
একটা কয়লা ভিত্তিক প্লান্ট থেকে দুই ভাবে পানি নির্গত হয় এবং এই দুইভাবেই জলজ দূষণ দুই ভাবে হতে পারে |
খেয়াল আছে , ৭ নাম্বারে আমরা দেখছি যে বয়লারে পানি নিয়ে যাওয়া হয় তাকে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট করা হয়| কারণ বয়লারে যে পাইপ গুলো আছে তাতে যাতে জং না ধরে বা বয়লারের ভেতরে কোনো ধরনের ডিগ্রেড না হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্যে | যদিও এই বয়লার এর পানি ক্লোজ সাইকেল মানে বার বার ঘুরে ঘুরে ব্যবহার হয় তবু বয়লার এর কিছুটা পানি সিস্টেম লস হয় যাকে সব সময় পুষিয়ে দিতে হয়| এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট এর কারণে, কিন্তু একটা বর্জ্য প্রস্তুত হয় | এই বর্জ্য টা যদি আবার পানিতে ফেরত যায় তা পরিবেশ এর জন্যে ক্ষতি করে |
দ্বিতীয় দূষণ টা হয় গরম পানি থেকে | কনডেন্সার ঠান্ডা করতে যেই পানি ব্যবহার করা হয় হয় তা আবার কুলিং টাওয়ার দিয়ে ঠান্ডা করে ফিরিয়ে আনা হয় জলাশয়ে | এই সময় পানি টা একটু হলেও গরম থাকে| ফলে এই গরম পানি যখন একটা নির্দিষ্ট এলাকায় বছর এর পর বছর ঢালা হয় তখন ওই নির্দিষ্ট এলাকার জলজ প্রাণীদের বিশেষত মাইক্রো অর্গানিজমদের উপর বিভিন্য ধরনের প্রভাব ফেলে| বিশেষত যদি, কুলিং ঠিক মত করা না হয় এবং অত্যন্ত গরম পানি নির্গত করা হয় তবে তার প্রভাব অনেক ক্ষতিকর হয় | এই সব নির্গত পদার্থের কারণে পানিতে অক্সিজেন এর মাত্রা কমে যেতে পারে এবং পানি বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে|
গ |ছাই থেকে দূষণ
কয়লা পড়ানো তে যে ফ্লাই এশ এবং বটম এশ তাকে কয়লা কেন্দ্রের কাছেই পুকুর সৃষ্টি করে স্টোর করা হয় | এই পুকুর গুলো থেকে, ছাই হতে নির্গত বিভিন্ন কেমিকেল মাটি চুইয়ে ভূগর্ভস্থ পানিকে দুষিত করে | যদিও এই ছাই ভেজা অবস্থায় রাখা হয়, তবুও এই ছাই বিভিন্য ভাবে আসে পাশে ছড়াতে পারে |
দূষনের ব্যাপারে যা জানলাম তার আলোকে রামপাল এর অভিযোগ গুলোকে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিটে ফেলানো এবং মূল অভিযোগ গুলোর ইসিএ বক্তব্য/অভিযোগ এর বক্তব্য -আসল কাহিনী বিশ্লেষণ
রামপাল এর প্রথম অভিযোগ টা হচ্ছে , সুন্দরবন থেকে দুরত্ব নিয়ে |
এইটা নিয়ে দুইটা প্রবলেম এর কথা আসছে,যে ভারত সুন্দর বন এর ১৪ কিমি এর মধ্যে রামপালে তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মান করছে, সেই ভারতের ওয়াইল্ড লাইফপ্রটেকশন এক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী বিদ্যুত কেন্দ্রের ১৫ কিমি এর মধ্যে এবং ভারতের পরিবেশ মন্ত্রনালয় এর গাইড লাইন অনুসারে সংরক্ষিত অঞ্চলের ২৫ কিমি এর মধ্যে এই ধরনের কোনো স্থাপনা করা যায় না|
এই ব্যাপারে রেফারেন্স দেয়া হয়েছে দুইটা কেস এর |
জনবসতি সম্পন্ন এলাকায় কৃষিজমির উপর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্রহনযোগ্য হতে পারে না বলে ভারতের কেন্দ্রীয় গ্রীন প্যানেল মধ্যপ্রদেশের ঝিকলি এবং তুমরা গ্রামে ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন ১৩২০ মেগাওয়াট এর একটি উত্পাদন প্রকল্প অনুমোদন দেয় নাই ।
এবং আর একটা একজাম্পল আসছে রাজীব গান্ধী নেশনাল পার্কে পিচাভিরাম মানগ্রভ ফরেস্ট এর কারণে কাড্ডালোর এর থার্মাল প্লান্ট বাতিল হইছে | যদিও জাতীয় কমিটির বক্তব্যে, এই দুই টা উদাহরণ হিসেবে এসেছে বোঝানোর জন্যে, একটি কয়লা ভিত্তিক কেন্দ্র ভারতে যদি অনুমোদন বাতিল হয় তো বাংলাদেশেও হতে পারে |
কিন্তু, এই উদাহরণ দুটো অনেকে কনক্লুসিভ এভিডেন্স হিসেবে ব্যবহার করেছে যে, ভারতে কোন মতেই সংরক্ষিত বনের ২৫ কিমি এর মধ্যে বিদ্যুত কেন্দ্রের পারমিশন দেয় না |
তাদের আর্গুমেন্ট টা হচ্ছে, ভারতে যেটা করতে পারবেনা এনটিসিপিসি সেটা বাংলাদেশে করছে |
সরকার এর বক্তব্য কি ?
ইন্টেরেস্টিংলি রামপাল এর বিষয়ে সরকার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খুব স্পেসিফিক বক্তব্য দেয় নাই | এই ইস্যুতে বিডিনিউজে প্রকাশিত আঞ্জুমান ইসলাম এর বক্তব্যতে বাংলাদেশের এনার্জি অ্যাডভাইজার ড |তৌফিক-ই-এলাহীর রেফারেন্স থাকায় আপাতত এইটাই সব চেয়ে ডাইরেক্ট রেফারেন্স | সেই খানে আঞ্জুমান ইসলাম লিংক দিছেন যে, ভারতের স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে সংরক্ষিত এলাকার ১০ কিমি দূরত্বের মধ্যে বিদ্যুত কেন্দ্র করা যায়| এইটার সাপোর্টে আঞ্জুমান ইসলাম একটা লিংক শেয়ার করছেন |
http://envfor.nic.in/assets/fc-guidlines-1.pdf
আসল কাহিনী কি
আসল কাহিনী অনেক জটিল |
আঞ্জুমানে ইসলাম এর এই লিংক টা অত্যন্ত অসততাপূর্ণ , কারণ এই লিংকে শুধু মাত্র সংরক্ষিত এলাকার ১০ কিমি এর বাহিরে যে বন আছে, সেই বন কাটা যাবে কিনা সেই ব্যাপারে বলা আছে | এই লিঙ্কের কোথাও টা ভারতীয় আইনে ১০ কিমি এর মধ্যে বিদ্যুত কেন্দ্র করা যাবে, তার কোনো কথাই নাই | ভারতের এনভায়রনমেন্ট মিনিস্ট্রির ওয়েব সাইটে একটা গাইড লাইন দেয়া আছে,
Click This Link
এই গাইড লাইনের ভিত্তি হইলো ভারতের এনভায়রনমেন্ট কনজারভেশন একট ১৯৮০ | এই আইনের ২৫ কিমি এর আরো রেফারেন্স ভারতের পরিবেশ অধিদপ্তর এর ওয়েব সাইট
Click This Link Power Plants_010910_NK.pdf http://envfor.nic.in/assets/fc-guidlines-1.pdf
কিন্তু এই খানেও আরো বোঝার বিষয় আছে, যেই গুলো না বললে এই আলোচনাটা অসম্পূর্ণ রয়ে যায় |
ভারতের এই ২৫ কিমি এর দুরত্ব টা মূলত একটা গাইড লাইন এবং এবং অনেকের লেখায় ভারতের যেই দুইটা পাওয়ার প্লান্ট বাতিলের রেফারেনস আসছে তাতে কিছু গাপ আছে | প্রথমে আসেন, ঝিকলি এবং তুমরা গ্রামে ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন ১৩২০ মেগাওয়াট এর একটি উত্পাদন প্রকল্প | ভারতের এপ্রভিং কমিটি এইটা প্রথমে বাতিল করছিল, তিন টা কারণে |
কোন টাই দূরত্বের কারণে না বা কাছে পিঠে বনের কারণে না |
তিনটা কারণের একটা ছিল, এইটা ডবল ক্রপ হয় এমন এলাকা, সেকেন্ড হইলো এইটা নার্মাদা নদী থেকে ৩২ কিউসেক পানি নিবে যেই খানে ওই নদীতে ইতিমধ্যে আরো বেশ কিছু থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট ইতিমধ্যে ছিল আর থার্ড হচ্ছে কাছেই গাদারওয়ারা শহর |
এই খানে মূল ইস্যু টা ছিল , ওই এলাকায় আরো থার্মাল প্লান্ট থাকাতে, কমিটি নতুন একটা ২৮০০ মেগাওয়াট এর প্লান্ট এর পারমিশন দিতে চায় নাই | পরে প্লান্ট টা আরো একটু ছোট করে করার ১২৪০ মেগাওয়াট পারমিশন দেয়া হয় এনটিসিপিসি কে লোকেশন টা আরো কয়লা ক্ষেত্রের দিকে সরিয়ে |
তাই বাস্তবতা হচ্ছে, এই পাওয়ার প্লান্ট টা পরবর্তীতে পারমিশন পাইছে |
লিংক Click This Link
এবং এই প্লান্টটার কনস্ট্রাকশন এখন চলতাছে
Click This Link
দ্বিতীয় একজাম্পল টা ভারতের রাজীব গান্ধী ন্যশনাল ফরেস্ট এর পিচাভিরাম মানগ্রভ ফরেস্ট এর কারণে কাড্ডালোর এর থার্মাল প্লান্ট ক্যানসেল হইছে বলে একটা আর্গুমেন্ট হ অনেক লেখায় দেখি, সেইটাতেও বোঝার বিষয় আছে |
এই লিংক এর রেফারেন্স দেয়া হইছে সব জায়গায় |
Click This Link
এই লিংক এর রেফারেন্স অনুসারে বলা হইছে, ভারতের জঙ্গলের ২৫ কিমিএর মধ্যে পাওয়ার প্লান্ট করা যাবেনা বলে কাড্ডালোর এর থার্মাল প্লান্ট কেনসেল হইছে , তাই রামপালে যেই প্লান্ট টা করা হইতাছে তা ভারতে করা যেত না |
এই খানে এই আইনের রেফারেন্স Click This Link Power Plants_010910_NK.pdf http://envfor.nic.in/assets/fc-guidlines-1.pdf
ইন্ডিয়ার wwf এর ওয়েবসাইট এ, এই পাওয়ার প্লান্ট বাতিল এর পুরো হিয়ারিং এর লিংক আছে | Click This Link
আমরা একটু লিংক অনুসারে হিয়ারিং টা এনালিসিস করি.
এই খানে মূলত দুইটা আর্গুমেন্ট |
একটা হলো এই প্রজেক্টটা, সিপকট কেমিকাল প্রজেক্ট এর খুব কাছে | ফলে এই কেমিকাল প্লান্ট এর কারণে, কয়লা কেন্দ্র এবং কেমিকেল কেন্দ্র মাইল লোকাল এনভায়রনমেন্ট এর উপরে সম্মিলিত প্রভাব হইতে পারে |
এবং সেকেন্ড টা হইলো, কাড্ডলোর এর ৮ কিমি এর মধ্যে, পিচাভিরাম মেনগ্রভ ফরেস্ট হওয়া সত্তেও ভারতের, মিনিস্ট্রি অফ এনভায়রনমেন্ট কাদ্দালোর পাওয়ার প্লান্ট এর জন্যে এনভায়রনমেন্টাল ক্লিয়ারেন্স দিছে, যেইটা সরকার এর এর আইনের ভায়োলেশন হইছে |
আমরা একটু দেখি জজ কি বলছে ?
এই লিঙ্কে দেখা যায় , বলছে , তোমাদেরকে ২৫ কিলোমিটার এর মধ্যে যত ইন্ডাস্ট্রি আছে যেমন নাগার্জুনা অয়েল রিফাইনারী, সব গুলোর কিউমিলিটিভ এনালিসিস করতে হবে, যার ফলে পরিবেশ এর উপর যেই প্রভাব গুলো পরবে তাকে মিটিগেট করার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যায়. এবং কিউমিলিটিভ রিপোর্ট টা না পাওয়া পর্যন্ত, আপিল পার্শিয়ালি বহাল রাখছে |
প্লান্ট টা সম্পূর্ণ ক্যানসেল করে দেয় নাই |
আমাদের জন্যে এইটার এনালিসিস হইলো
যদি ইন্ডিয়ান ল অনুসারে ২৫ কিলোমিটার এর মধ্যে থার্মাল প্লান্ট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হইতো জজ এইটা পুরা বাতিল করে দিত, কিউমিলিটিভ রিপোর্ট এর জন্যে পাঠাতো না |
২০১২ সালে এই হিয়ারিং টা হইছে, একটু নেট এ একটু সার্চ করে দেখবেন , তারা কিউমিলিটিভ রিপোর্ট টা করেও ফেলছে Click This Link
হিয়ারিঙ হইছে কিনা জানিনা | সেইটা আসল পয়েন্ট ও না |
একটু ঘাটলে দেখবেন , এই কাড্ডালোরে আরো থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট আছে | সেপকো কোম্পানির ১২০০ মেগাওয়াট এর প্লান্ট আছে, যেইটা ২০১১ সাল হইতে অপারেসনাল
http://www.indiamart.com/company/4560414/
ইন্টারেস্টিংলি এই দেখেন, আর একটা কাড্ডালোর এর কয়লা ভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট, যার কাপাসিটি ১৯৮০ মেগাওয়াট | এইটা ২০১৫ সালে অপেরেসনাল হবে |
Click This Link
এইটা ইসিএ এনালিসিস দেখেন |
Click This Link
পিচাভিরাম মেনগ্রভ ফরেস্ট এর ১২ কিলোমিটার এর মধ্যে |
এইটা ইসিএ এর পেজ নাম্বার E-2 থেকে স্ক্রিনশট
তার মানে কি দাড়াচ্ছে ?
ইন্ডিয়া মানগ্রোভ ফরেস্ট এর ১২ কিমি এর মধ্যে কয়লা ভিত্তিক থার্মাল প্লান্ট এর পারমিশন দেয় আবার তাদের আইনেই বলা আছে বন ২৫ কিমি এর মধ্যে বড় ইন্ডাস্ট্রি যেমন পাওয়ার প্লান্ট করা যাবেনা |
তাহলে দেখা যাচ্ছে ইন্ডিয়া নিজেই নিজের আইন ভঙ্গ করে |তাইলে বিষয় টা কি ?
কি কারণে, ইন্ডিয়া এইটা এলাউ করে ?
কারণ, ইন্ডিয়ার ফরেস্ট কনজারভেশন রুলস ১৯৮০, বা তার পর এর আইন গুলো খুব হালকা |তারা ইচ্ছা করেই, ফরেস্ট এর ধরে কাছে ইন্ডাস্ট্রি করার ইস্যু টাকে শক্ত কোন শক্ত আইনের আন্ডারে ঢুকায় নাই |
২৫ কিমি টাকে তারা একটা একটা গাইড লাইন হিসেবে দিছে |যেই গাইড লাইন, EIA এনালাইসিস এর ভিত্তিতে এবং নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্ট এর জুরিসডিকশান এর ভেতরে পারমিশন নেয়ার প্রভিশান রেখে দেয়া হইছে |
এই বেপারে আমরা আর বেশি ঘাটতে চাই না, কারণ ইন্ডিয়া হইলো ইন্ডিয়া |ইন্ডিয়া হইলো বাংলাদেশের মত আর একটা ডেভেলপিং কান্ট্রি, যাদের পরিবেশ নিয়া কোনো মাথা ব্যথা নাই |যাদের দেশের রিলায়েন্স বা ভারতী গ্রুপ এর মত কোম্পানি রা প্রাইভেট সেক্টরে থার্মাল প্লান্ট বানায় এবং তারা মন্ত্রী মিনিস্টার আমলা দের কে পয়সা খাওয়াই এই সব আইন করা থেকে বিরত রাখে |
তাই ইন্ডিয়ার স্ট্যান্ডার্ড দিয়া বাংলাদেশের সিনেমা চলতে পারে |কিন্তু সুন্দরবন চলবেনা |আমাদের একটাই সুন্দরবন |
কিন্তু, এই টা যেন পরিষ্কার হয়, সরকার এর মুখপাত্র রা যেমন বলতাছে ইন্ডিয়ার আইনে ১০ কিমি এর বাহিরে পাওয়ার প্লান্ট করার পারমিশন আছে, সেইটা মিথ্যা কথা এবং বর্তমানে বিভিন্য আর্গুমেন্ট বলা হইতাছে , ইন্ডিয়াতে এই প্লান্ট করা যাইতো না তাও ভুল |
এবং এর প্রতিপাদ্য হইলো সুন্দরবন ইসুতে, আমাদের সিদ্ধান্ত আমাদের নিজস্ব আন্ডারষ্টান্ডিং এর ভিত্তিতে হইতে হবে| ভারতের খুবই, লো বেঞ্চমার্ক গাইড লাইন অনুসারে না এবং এই বিষয়ে আমাদের ভারতের রেফারেন্স দেয়াটাও অপ্রয়োজনীয় | আমরা পরে দেখব,আমাদের যেইটা করা দরকার সেইটা আমরা এখনো করি নাই এবং সেইটার দাবিও আমরা এখনো তুলতাছি না |
সঠিক কাজটা কি তাহলে
পিচাভিরাম মানগ্রভ ফরেস্ট এর কারণে কাড্ডালোর এর থার্মাল প্লান্ট এর আপিল এ, জজ এর রায় টা খেয়াল আছে ? কিউমিলিটিভ এসেসমেন্ট | আজকে পশুর নদীর ধারে, মংলা পোর্ট এর উজানে এবং ভাটিতে সুন্দরবন এর ২৫ কিমি এর মধ্যে, সিমেন্ট প্লান্ট, এলপিজি প্লান্ট, শ্রিম্প প্রসেসিং প্লান্ট সহ অনেক ধরনের ফ্যাক্টরি হইছে
রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রে থেকে যে প্রভাব টা পর্বে, তার সম্মিলিত ভাবে পরবে|
স্পেশালী, সিমেন্ট প্লান্ট এর সাথে কয়লা প্লান্ট এর সমন্নিত যে দূষণ হবে তার সেপারেট কেমিকেল বিক্রিয়া হতে পারে , যেইটা এনালিসিস করা প্রয়োজন | আমি এই এলাকার ভ্হুমির ঘঠন দেখে বুঝলম, রামপাল এলাকায় একটা পাওয়ার প্লান্ট করলে, তার সাথে রোড কানেক্টিভিটি করা হবে, এর ফেলা বিদ্যুত কেন্দ্র এবং আসে পাশের এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইযেসেন হবে | এইটা মাস্ট | সরকার চাইলেও ঠেকায় রাখতে পারবেনা |
প্রশ্ন হচ্ছে, সুন্দরবন এর উপর তখন কি বিপর্যয় দাড়াবে |
তবুও পরের টা পরে, এখন আমাদের করণীয় একজিসটিং ফ্যাক্টরি যা আছে, সেই গুলো নিয়ে একটা কিউমিলাটিভ এসেসমেন্ট করা | যেমন করার রায় দিয়েছে জাজ পিচাভিরাম মানগ্রভ ফরেস্ট এর কারণে কাড্ডালোর এর থার্মাল প্লান্ট এর ইসিই বাতিল করার সময় |
এইটা আপাতত প্রথম পর্ব | পরবর্তী পর্বে, আমরা রামপাল নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে যেই সব অভিযোগ আনা হইছে তার সব এনালিসিস করে বোঝার চেষ্টা করবো আসল কাহিনী কি । আশা করি ততক্ষণ সাথে থাকবেন ।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: এটার কাজ সরকার চেঞ্জ হবার সাথে সাথেই বন্ধ হবে। এটা তৌফিক ই ইলাহির গোয়ার্তুমি আর কিছু না।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
হাফিজুর রহমান মাসুম বলেছেন: সুন্দরবন যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে ভালো রাখার সুযোগ আমরা নষ্ট করেছি। সুতরাং এই বনের কোন ক্ষতি মেনে নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
বিদ্যুৎ এবং শিক্ষা এই দুয়ের আলো ছাড়া সভ্যতা বিকশিত হতে পারে না। অতএব আমাদের বিদ্যুৎ চাই সবার জন্য। এখন সরকারকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে পরিবেশের বড় রকমের ক্ষতি না করে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দরবনের কিছু অংশতো ভারতে ও আছে দেখবেন।রামপাল মার্কা প্রজেক্টের কল্যানে ! ভারতের অংশটুকু অভয়ারন্যই থেকে যাবে আর আমাদের অংশটুকু থেকে প্রাণীরা পালিয়ে ভারতে অবস্থান নিবে।পরে রয়েল বেঙ্গল টাইগার হরিন ইত্যাদি দেখতে টিকেট কেটে ভারতে যাওয়া লাগবে।
কি আর বলব বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলা চলে ওনি আমাদের কথা রাখলেন না ওনি রাখলেন মানমোহন সিং এর কথা আর মনে রাখবা