নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিয়া হাসান

এইটা আমার ব্লগ।

ম্যঙ্গোপিপল

সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu

ম্যঙ্গোপিপল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসুল এর ইজ্জত রক্ষা ? না সংখ্যাগুরুর দেমাগ ?

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

সংখ্যালঘু শব্দটা নিয়া নন মুসলিমদের আপত্তি আছে।

আমি যদি আজকে ভারতের বাসিন্দা হইতাম এবং হিন্দু ধর্মের লোক যদি আমাকে সংখ্যালঘু বলে আইডেন্টিফাই করতো তো সেই ডাকে আমিও মাইন্ড করতাম।

কারন একটা দেশে যেই খানে মানুষকে তার ধর্ম পরিচয়ের কারনে হামলার স্বীকার হতে হয় এবং এই পরিচয়টা নিয়া মনের মধ্যে ভয় এ ভয় এর থাকতে হয় যেই খানে এই পরিচয়টা ক্ষমতার পালাবদলের গুটি হিসেবে ব্যবহার হয় এবং যেই খানে সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী সর্বদা তার সংখ্যাগুরু হওয়ার দেমাগ দেখানোর জন্যে মুখায় থাকে সেই খানে আমারে সংখ্যালঘু বললে আমি মাইন্ড করতাম , আমার সেন্সিটিভিটিতে আঘাত লাগতো এবং আমার ইনসিকিউরিটি আমার চিন্তা চেতনাকে ড্রাইভ করতো ।

আপনি স্বীকার করেন না করেন এখনও ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান কোথাও এই অবস্থার ফান্ডামেন্টাল কোন পরিবর্তন হয় নাই।



এই জন্যে একটা দেশ কিভাবে চলবে সেই প্লানটা করার সময় নীতিনির্ধারকরা ধর্মীয় এই সেন্সিটিভিটিটাকে এড্রেস করতে আলাদা কিছু প্রটেকশান দেয়।


এবং এই জন্যে আপনি যারে সংখ্যালঘু বলতাছেন তাদের রাইট এবং তার উপর আঘাতের সেন্সিটিভিটি বেশি হওয়ার কারনে তাদেরকে একটু বেশি রাইট/প্রটেকশান দিতে হয়। কারন, সংখ্যাগুরুদের কোন ভয় নিয়ে চলতে হয়না কিন্তু সংখ্যালঘুদের চলতে হয়। এবং সংখ্যালঘুদের বেশি রাইট দেয়ার মাধ্যমেই তথাকথিত সংখ্যালঘু আর গুরুদের মধ্যে সমতা আসে।



আমাদের দেশে অনেক কিসিমের মুসলমান আছে । এবং আমার দেখা মতে, এই দেশের অধিকাংশ মুসলিম নন মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার এবং সম অধিকার এর ব্যপারে আন্তরিক । কিন্তু অনেক এইটা বুঝেন না যে, নন মুসলিমরা যে বাই ডিফল্ট মাইনরিটি হওয়ার কারনে একটু বেশি অধিকার/প্রটেকশান এর দাবী রাখেন। কারন, আবার বলছি আপনার সংখ্যা গুরুর অবস্থান টাই তাকে থ্রেটেন করছে এবং আপনার ইতিহাসে সেই থ্রেট থেকে তার উপর আঘাত এর অনেক গুলো ঘটনা আছে ।



এবং এই বিল্ট ইন থ্রেট টাকে উইথড্র করার ১০০% দায় আপনার এবং রাষ্ট্রের। এইটা আপনি বুজবেন আপনি যখন একটা রাষ্ট্রে নিজে তথাকথিত সংখ্যালঘু হবেন




ধর্মীয় পরিচয় এর কারনে আঘাত, জাতিয়তার পরিচয় এর কারনে আঘাত –খুব সেনসিটিভ । আমাদের ডিএনএ সেই ভাবে ডিজাইন করা ।


এই কারনে সিরিয়াতে বাশার আল আসাদ প্রায় ১ লক্ষ মুসলমান মারছে তাতে আপনার যেই আঘাত লাগে তার থেকে বেশি আঘাত লাগে পালেস্টাইনে যদি ইসরায়েলিরা যদি দুইজন পালেস্টাইনিকে হত্যা করে।



আমি সিরিয়ার কনফ্লিক্ট কে ছোট করছিনা, জাস্ট বলতে চাচ্ছি ধর্মীয় পরিচয় এর কারনে যদি আপনার উপর হামলা হয় এবং কোন গুন্ডা যদি আপনার সম্পদ দখলের জন্যে আপনার উপর হামলা করে – আপনি প্রথমটায় আঘাত বেশি পাবেন।



এই সেন্সিটিভিটি মাথায় রেখে, আপনি যদি বাংলাদেশের যদি মুসলমান সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর লোক হয়ে থাকেন তো আপনাকে নন মুসলিম সংখ্যালঘুদেরকে রক্ষা করা এবং ধর্মীয় পরিচয় এর কারনে, কোন রকম ভাবে নিগৃহীত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে বেশি প্রটেকশান এবং রাইটস দিতে হবে , তাদের ইনসিকিউরিটি এড্রেস করতে হবে।



এই ইন্সিকিউরিটিটা যখন আপনি দুর করতে পারবেন, আপনি তখন তার সাথে ইকুয়াল হবেন। যতক্ষণ আপনি এই ইন্সিকিরিটি এড্রেস না করতাছেন ততক্ষণ যদি ইকুয়াল রাইটও দেন আপনি মুলত তার উপর থ্রেট বজায় রাখতাছেন।



আপনি বলতে পারেন, আপনি রাসুল এর অপমানে ক্ষুব্ধ হইছেন। আপনি নবিরে ভালবাসেন। আপনি বলতে পারেন, তাদের সাহস দেখছ, আমার রাসুল কে অপমান করে ? বাংলাদেশ থেকে কি মুসলমান উঠে গেছে ?




ওয়েট এ সেকেন্ড প্লিজ।



একটু হাদিস কোরান ঘেটে দেখেন। কোথায় বলা আছে, রাসুলরে অপমান করলে, যারা অপমান করবে তাদের ঘরবাড়ি পোড়াই ফেলতে হবে।

আপনি জানেন। নাই। কোথাও নাই।



আপনি জানেন, রাসুল (সাঃ ) উনার জিবতদশায় ছিলেন সব চেয়ে মানবিক ব্যক্তি । যেই বুড়ি উনার হাটার পথে কাটা ঢেলে দিত, সেই বুড়ি একদিন কাটা না বিছানোতে পথে কাটা না পেয়ে উনি কন্সারন হয়ে গেছলেন এবং চিন্তা করছিলেন বুড়ির বোধহয় কোন অসুখ হইছে। সেই চিন্তা থেকে উনি বুড়ির বাসায় গিয়ে বুড়ির সেবা যত্ন করে,বুড়িরে সুস্থ করছেন। এই হচ্ছে আপনার রাসুল। তিনি এমন একটা মানবিকতার এবং সাম্যাতার আদর্শ ছড়ায় দিছেন, তা যুগে যুগে মানুষ একসেপ্ট করছে বলেই আজকে ১৩০০০ মেইল দূরে বাংলাদেশে এসে আপনি বাঙ্গালি মুসলমান হইছেন।



এই গল্প আপনি জানেন। কিন্তু তার পরেও আপনি রাসুল এর অপমান এর ঘটনায় ঘর বাড়ি পোড়াইছেন। তাইলে দেখা যায়, রাসুল এর ইজ্জত বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য না। আপনার উদ্দেশ্য আপনার সংখ্যাগুরুর চেত দেখানো।

আপনার বক্তব্য হইলো, আমি সংখ্যাগুরু, তোমার এত বড় সাহস আমার নবীরে অপমান কর। এই খানে আসলে ইসলাম রক্ষা আপনার চেতনা না, আপনার চেতনা হইলো আপনি যে সংখ্যাগুরু তার দেমাগ দেখানো।





তাইলে আপনি বলতে পারেন, যদি কেও আমার নবীরে অপমান করে তাইলে আমি কি করবো ?



তাইলে আপনি কোর্ট এ যাবেন। আপনার ধর্মীয় অনুভুতিকে প্রটেক্ট করার জন্যে কোর্ট আছে।





এই জাগায় এসে ধান্দাবাজ মৌলবাদী লিবারেল এবং সেকুলাররা চেইতা যায়। কি ?? আমার ফ্রিডম অফ স্পীচ এর উপর আঘাত ! এইটা কোন মতেই কোর্ট এর যাইতে পারেনা !!আমাদের ফ্রিডম অফ স্পীচ মানে- নবী বা রাসুলদের, বিভিন্ন ধর্মের ধর্মপ্রনেতাদের গালাগালির স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।



আপনার পজিশন ভুল মাই ডিয়ার।

ফ্রিডম অফ স্পীচ এর সীমানা কোথায় তা নিয়া আপনি যদি ফ্রিডম অফ স্পীচ এবং ফ্রি সোসাইটির মুল তাত্ত্বিক স্টুয়ারট মিল এর বেসিক তত্ত দেখেন, তাইলেও দেখবেন সে বলছে, সামাজিক ভাবে অগ্রহনযোগ্য বিষয় যা মানুষকে ক্ষতি করে তাই ফ্রিডম অফ স্পীচ এর সীমানা।



এখন বাংলাদেশের প্রেক্কাপটে যদি আপনি দেখেন, তাইলে দেখবেন বাঙ্গালি মুসলমান- মুসলমান হিসেবে অত্যন্ত দুর্বল প্রজাতির মুসলমান । সে তার বাঙ্গালিয়ানা এবং ২০০০ বছর এর কালচার নিয়ে গড়ে ওঠা হাইব্রিড মুসলমান। কিন্তু, সে তার নবীর প্রতি আক্রমন এবং অবমাননার ব্যাপারে অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল এবং নবীকে নিয়ে নংরামি তাকে শুধুমাত্র মানসিকভাবে আঘাত করেনা বরং তাকে এত ভাবে ক্ষুব্ধ করে যে তার ফলে সমাজের ভারসাম্য এবং স্টাবিলিটি নষ্ট হয়। এবং এই জন্যে তার এই অনুভুতিটার জন্যে প্রটেকশানের দরকার আছে। এই নিয়ে একটা ডিটেল আলোচনা এই নোটে আছে। http://goo.gl/pOy1vt



ফলে, আপনি যদি ফ্রিডম অফ স্পীচ এর নামে তার এই অনুভুতির আইনি প্রটেকশানকে খারিজ করে দেন, তাইলে আপনি ফ্রিডম অফ স্পীচ এর মুল একটা টেনেন্টকেই বাতিল করে দিলেন।



কিন্তু আমি এই সীমানা নিয়া আলচনা এখন যাবনা। কিছু কিছু সময় বাংলা পরিক্ষার দিন বাংলা পরিক্ষা দিতে হয় ।




আজকে তেমন একটা দিন।



আমাদের দেশের সাথিয়াতে হিন্দু ধরমালম্বিরা তাদের ধর্মীয় পরিচয় এর কারনে সংখ্যাগুরু মুসলমানদের দারা আক্রান্ত হইছে। আজকে হচ্ছে, নিশঙ্কচিত্তে সেই ঘটনার নিন্দা জানানোর পরিক্ষার দিন।

এই পরিক্ষায় আপনাকে ১০০ তে ১০০ পেয়ে পাশ করতে হবে।

আপনার তাদের বোঝাইতে হবে, এই দেশে কোন সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু নাই।আপনি তাকে ১০০% সময়ে ১০০% ক্ষেত্রে নিগৃহীত হওয়ার থেকে প্রটেকশান দিবেন। এবং আজকে আপনি যদি আপনার এই নন মুসলিম ভাইটার ইনসিকিউরিটি দুর করতে পারেন তাইলেই আপনি রাসুল (সাঃ) এর আদর্শের সত্যিকার এর অনুসারি হইলেন। আপনার রাসুলের আইনে কোথাও নাই, রাসুল রে অবমাননার জন্যে আপনার দেশের ননমুসলিমদের ঘর বাড়ি পুড়াই ফেলতে হবে।

এইটা যদি করেন, তাইলে আপনি এমন একটা দেশের বাসিন্দা হইলেন যেই দেশকে আদরশিক দন্দ দিয়ে বিভাজন করে, কেও দাবায় রাখতে পারবেনা।



আজকে তাই বলেন, সাথিয়ার হিন্দু ধরমালম্বি ভাইদের উপর হামলার ঘটনায় নিশঙ্ক চিত্তে নিন্দা জানাইলাম এবং প্রমিজ করলাম এমন ঘটনা আমার দেশে আর আমি হইতে দিবনা ।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দীর্ঘদিন পর চমৎকার একটা লেখা পড়লাম। আপনার প্রায় প্রতিটি কথাই গ্রহনযোগ্য এবং যুক্তিক। ব্লগে এই ধরনের লেখা এখন খুব কমই আসে।

শুভেচ্ছা রইল।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

একজন বাংলার ছেলে বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ব্যতীপাত বলেছেন: ভালো লাগলোপড়ে ।
কিন্তু মুসলমান মাত্রই কেন এত সহজেই উত্তজিত হয়-এ কি তার তার ধর্ম বিশ্বাসের কোন দুর্বলতা ? তার একটু কাঁপে না নিরপরাধ মানুষগুলোর জানমাল ক্ষতি করতে-মিথ্যে রটনা দিয়ে ?

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

উযায়র বলেছেন: সাথিয়ার হিন্দু ধরমালম্বি ভাইদের উপর হামলার ঘটনায় নিশঙ্ক চিত্তে নিন্দা জানাইলাম - আমিও

নিরীহ হিন্দু ভাইদের রক্ষার দায়িত্ব প্রথমত আমার , তারপর রাষ্ট্রের এবং সবার । আর কেউ ধর্মীয় উষ্কানীমুলক কাজ করলে তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকার ও রাষ্ট্রের । ব্যাক্তির দায়িত্ব নয় আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া । এতে সমাজে অশান্তি বিশৃংখলা বাড়ে, কমে না । বাড়ি ঘর জালানোর কথা ইসলামের আইনেও নেই, দেশের আইনেও নেই ।

তবে ব্যাক্তি ওসমাজের দায়োত্ব নিয়মতান্ত্রিক ভাবে যে কোন অন্যায় -অপকর্ম - উষ্কানীর প্রতিবাদ করা । আবার সেটার অধিকারও নিশ্চত করতে হবে সরকার ও রাষ্ট্রকেই ।


একটু হাদিস কোরান ঘেটে দেখেন। কোথায় বলা আছে, রাসুলরে অপমান করলে, যারা অপমান করবে তাদের ঘরবাড়ি পোড়াই ফেলতে হবে। এখানে আপনি একটি বিষয় পাশ কাটিয়ে গেছেন । রসুলের যুগে কে্য রসুলকে অবমাননা করলে মুসলমানরা তাকে হত্যা করে ফেলত, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বা ব্যাবস্হাপণায় । কাজেই বাড়িঘর জালানোর কোন বিষয়ই ইসলামে ছিল না এখণও নেই। ইসলামের প্রচলিত আইনে রসুল অবমানণার কঠোর শাস্তি ও এর প্রয়োগ ছিল । বর্তমানে দেশের সংখ্যা গড়িষ্ঠ মুসলমান এতটা কঠোর শরীয়া আইনের বাস্তবায়নের দাবীতে সোচ্চার না হলেও, এতটুকু তারা চায় সরকার উষ্কাণীমুলক কাজগুলো কঠোর ভাবে না হলেও কমপক্ষে দক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে । আর তা না হলে সামজিক অস্হিরতা তৈরী হলে ক্ষতিগ্রস্হ সবাই হবে, আর বেশী ক্ষতি হবে সংখালঘু বা সামাজিকভাবে যারা দূর্বল যারা তাদের । আর সামাজিক স্হীতিশীলতা ও দুর্বলদের জান মাল রক্ষা সরকারের জন্য কঠিন কিছু নয় । এর অন্যথা হলে জনমনে ক্ষোভ তৈরী হয় আর সমাজ ও মানবতা ক্ষতিগ্রস্হ হয়।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

বহুব্রীহি বলেছেন: ফেসবুকে পড়েছি। আপনি সামুতে আছেন এটা জানতাম না।
----
আপনি বলতে চাইছেন উত্তেজিত হইয়ো না বাঙ্গালী কোর্টে দৌড়াও, ঠিক কিনা।

কিন্তু কথা হল এংরী মবকে কখনো কোন দেশে কোন সময়ে ঠান্ডা কথায় শান্ত করা যায় নাই। যাবেও না।

আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন যেসব হিন্দুদের উপরে আক্রমণ হয়েছে তাদের জমি জিরাত এর উপর স্থানীয় গড ফাদারদের আগেই চোখ ছিল।

মিষ্টি কথায় হয়ত শহুরে মধ্যবিত্তদের বোঝানো যায় কিন্তু রিমোট এরিয়াতে যেখানে অস্ত্রই একমাত্র আঈন সেখনে আঈন দেখিয়ে কোন লাভ নাই।

আপনার সব কথাই মেনে নিয়েছি। কথ সত্য। কিন্তু এই বাস্তব ফ্যাক্ট গুলাও সত্য।

তুর্কিরা যখন ইসলাম নিয়ে আসল এই উপমহাদেশে তারপর বহুবার বিভিন্ন ভাবে খুনাখুনি হইছে ঈশ্বরের নামে।

ভারতে গুজরাটে হত্যাকান্ডে সাজা হইছে আসামীর।

বাংলাদেশে ২০০১ এর ঘটনার কোন সুরাহা হয় নাই।

এই কারণেই হিন্দুরা যখন দেশ ছেড়ে চলে যায় আমি কোন কথা বলি না।

সব মানুষের ভালো থাকার রাইট আছে।

হয়ত কোন ইউটোপিয়ায় ভাইয়ে ভাইয়ে মারপিট কইরা রক্ত ঝড়বে না।

তবে আমার মনে হয় না রেসিজম জিনিশটার মৃত্যু ঘটবে।

এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য না সব দেশের সব মানুষের ক্ষেত্রে সত্য।

যতদিন পলিটিশীয়ান নামক এলিট শ্রেনী থাকবে ততদিন পসিবল না।

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ম্যঙ্গোপিপল' এর পোষ্ট আর কিছু বিকল্প ভাবনা

৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। তবে বাস্তবে ২২ কোটি মানুষের ৮০% অশিক্ষিত লোকের দেশে এসবের প্রতিকার প্রায় অসম্ভব।

৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১

দিশার বলেছেন: আরে ভাই টেনশন মাত লিজিয়ে, কিসু মালাউন এর ঘর বাড়ি পুরাইসে তো কি হইসে? ওরা কবে ভালো ছিল এই বাংলাস্থান য়ে? . গুরুত্বপূর্ণ বেপার হচ্ছে নবীজির ইজ্জত তো ঠিক থাকলো, জোরে বলেন সুবাহান্ল্লাহ। সাহস কত মালাউন গুলার, ফেসবুক য়ে নবীকে অকমান!! মর্দে মুসলমান আমরা বেছে থাকতে তা হতে পারে না . যদিও প্রতি মিনিটে ইসলাম এর পুঙ্গা মেরে যাচ্ছি।
(যাদের মাথায় নিরেট গোবর, ইহা একটি ফান রিপ্লাই)

৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০

রাজীব দে সরকার বলেছেন: আমারো সেইটাই কথা!
কোর্টে যাওয়ার কি দরকার? সরকারেই বা স্টেপ নেবার কি দরকার?

হাতের কাছে হিন্দু দোকান-বাড়িঘর আর হিন্দু মন্দিরের কি অভাব আছে?
ইস্যু পাইলেই রাস্তায় নাইমা যাবেন

যারা এগুলো করেছেন তাদের নিশ্চয়ই বেহেস্তে জায়গা হবে

+

দিশার ভাই এর কমেন্ট
দিশার ভাই সবচেয়ে ভালো বলেছেন

১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: উযায়র ভাইয়ের সাথে একমত , ব্যাপারটা পাসকাটানো ঠিক হয় নাই !!!!

১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

নাজ_সাদাত বলেছেন: বহুব্রীহি বলেছেন গুজরাট দাঙ্গাকারীদের সাজা হয়েছে যেটা ১০০% নির্ভেজাল মিথ্যাকথা। একজনের ও সাজা হয়নি। ভারতে আজ পর্যন্ত মুসলিম হত্যার জন্য কাউকে সাজা পেতে হয়নি। গুজরাটে তো নয়ই।

দাঙ্গা হাঙ্গামার চিরায়ত ঐতিহ্য বহন করে হিন্দু আর ইহুদীরা, ওরা ওটা করবেই কিন্তু মুসলিমরা যখন ওদের মত কাজ করে তখন তাঁদের আর মুসলিম বলা যায় না।

১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৩

অপরাজিতা মুন্নি বলেছেন: কোন ধর্মই সহিংসতার কথা বলেনা অথচ ধর্ম নিয়ে সহিংসতার শেষ নেই । খুব ভালো লিখেছেন । বাঙ্গালি মুসলমান- মুসলমান হিসেবে অত্যন্ত দুর্বল প্রজাতির মুসলমান । একদম সহমত । আমরা সারাদিন কুকর্ম করে বেড়ালেও ইসলাম অবমাননা হয়না,কিন্তু কে কোথায় ধর্ম নিয়ে কিছু একটা বলল, তো অমনি সহিংস হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লাম ধর্ম উদ্ধারে !

১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৯

জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: এসব জিনিস বুঝেনা দেইখাই মানুষ জামাত করে।
ভালা পোস্ট। পড়ে ভাল পাইসি।

১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২৯

দুরন্ত সাহসী বলেছেন: @রাজিব দে সরকার লেখক নিশ্চিৎ মুসলিম ।. তিনি মুসলিম হয়েও অন্য মুসলিমদের অপরাধ নিয়ে বলেছেন এবং তা অন্য মুসলিমরা এবং আমিও একমত হয়েছি। হতে পারে দুই একজন ক্রেজি মুসলিম এটা নিয়ে একটু টানা হেচড়া করবে সেটা হাতে গোনা দুই একজন আছেন। এরা সীল মারা আমাদের কাছে। বস্তুত ওদের মুর্খতাই ওদের একমাত্র শত্রু কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখানে আপনি একটু সাধারন মন্তব্য করা ভালো ছিলো প্রায় দেখা যায় আপনি যথেষ্ট ভালো লেখক হয়েও ধর্মের জায়গায় আপনিও আমাদের কাঠ মোললাদের মত কট্টর আচরণ করেন এবং এই নিয়ে আপনি ব্লগার কর্তৃক আক্রমনের শিকার হয়েছেন বহুবার তাই আপনাকে বলবো এই ব্লগে অনেল ম্যঙ্গপিপল আছেন যারা নিরপেক্ষ চিন্তা করেন আপনিও তেমনটি থেকে আপনার মুল্যবান মন্তব্য উপহার দিবেন

লেখককে ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য

১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

রাজীব দে সরকার বলেছেন:
@দুরন্ত সাহসী
জামায়াত শিবিরের ছাগু গুলা ব্লগার হইলো কবে থেকে?
ট্র্যাক চেঞ্জ কইরেন না


'আপনিও কাঠ মোললাদের মত কট্টর আচরণ করেন'
সেরকম আমার জানা মতে আমি করি নাই
তবে কি জানেন তো ভাই, ৩৫০ মসজিদ তো ভাঙ্গা হয় নাই
তখন কতো সুশীল ব্লগার কাঠ মোল্লা হয়ে যেতো তার হিসাব থাকতো না !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.