![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu
আশির নব্বই দশকের আইয়ুব বাচ্চু, জেমস, মাইলস, আর্করা একবিংশ শতকের প্রথম দশকে ধিরে ধিরে হারিয়ে যাওয়ার একটা কারন প্রযুক্তি, পাইরেসি আর একটা কারন, তারা নিজেদেরকে কনভারট করতে পারে নাই।
আয়ুব বাচ্চু, জেমস, মাইলস কে সব সময় ১৯ বয়সের প্রেমে পড়া তরুনের জন্যে গান লিখতে হইছে।
কিন্তু, তার নব্বই দশকের তার “সেই তুমি” গান শুনতে শুনতে বিরহের চিঠি লেখা তরুন একবিংশ শতকে এসে দুই বাচ্চার বাপ হইছে। আয়ুব বাচ্চু বা জেমস বা মাইলসকে সব সময়ে ২০ বছরের তরুন তরুনির কাছে রিলেভেন্ট থাকতে হইছে। যেইটা তারা পারে নাই। পারার কথা না। নতুন প্রজন্মের মনের ভাষা, আকুতি , প্রকাশ ভঙ্গি পরিবর্তন হইছে –তারা চিঠি লেখে না, এসএমএস করে । একটা মেয়েরে পছন্দ করলে, না বলতে পারার আকুতি বিরহে পুড়তে থাকেনা,– জাস্ট গিয়া প্রপজ করে বসে,এরা ফেসবুকে প্রফাইল দেখে পিরিত করে । এদের অনুভুতি বরং বুজছে রিদয় খান।
এই অনুভুতি আমার হয় আমি যখন ডিলান শুনি। ৬০ এর প্রতিবাদি ডিলান,৭০ এর প্রেমিক ডিলান, ৮০র ক্রিসচিয়ান ডিলান থেকে একবিংশ শতকের ডিলান অনেক ডিপ, অনেক আত্মমগ্ন, নিজেকে খোজা মৃত্যুর অনেক কাছাকাছি একটা মানুষ। বিশেষত টাইম আউট অফ মাই মাইন্ড বা মডার্ন টাইমস এলবাম গুলো - ভাবনা, এরেঞ্জমেন্ট, প্রকাশভঙ্গি সব থেকেই – অনেক অনেক ডীপ। থম হয়ে বসে থাকবেন, মাথা কাজ করবেনা। একটা পর একটা অনুভূতিকে জালের মত বুনে, আপনাকে কনফিউজ করে দিতে থাকবে শুন্যতার বোধ এনে দিবে, এমন একটা জগতে নিয়ে যাবে যেই জগতে আপনি থাকতেও পারবেন না, ফিরতেও পারবেন না।
ডিলান নিজেও কিন্তু আয়ুব বাচ্চু, জেমস প্রবলেম এর ভেতর দিয়ে গ্যাছে। ডিলানের অটবায়গ্রাফি “ক্রনিকলস” যা আমার জিবনে পড়া সব চেয়ে সুখ পাঠ্য বই গুলোর একটা সেই খানে একটা ঘটনা আমার অসম্ভব মজা লাগছিল – ডিলান আশির দশকে ক্রিয়েটিভলি একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল সেই রকম একটা সময়ে সে তার প্রডিউসারকে খুব মন খারাপ করে বলেছিল “ম্যাডনার লাইক এর ভার্জিন “ গান টার মত একটা গান যদি সে লিখতে পারত। :p
কিন্তু, ডিলান এই সব প্রশ্ন করে নিজেকে খুজে পেয়েছে এবং তার গানকে তার সাথে পালটে নিয়েছে। ফলে তার স্রোতারাও বয়স বাড়ার সাথে সেথে ডিলানকে কানেক্ট করতে পারছে। কিন্তু, এই প্রসেসটা আমাদের মাইলস,এলএরবি, জেমস করে নাই।
ফলাফল যা হয়েছে তা হোল, আমরা দুই প্রজন্মের মানুষ আমাদের আইডলদের কে দেখলাম নাবালক রয়ে যেতে কিন্তু আমরা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে গেলাম।
এই জন্যে আমরা বাংলা গান শোনা বন্ধ করে দিলাম। কত আর ঘুম ভাঙ্গা শহরে শোনা যায়। মাইলস এর বিগত যৌবনা হামিন শাফিনের মুখে আজ তোমার জন্মদিন গান শোনা আমাদের জন্যে টর্চার এর মত লাগলো।
গুরুরা আমরা বড় হয়ে গ্যাছি, আপনেরাও বড় হন। আমরা এখনো আপনাদের গান শোনার অপেক্ষায় আছি। বড়দের গান, এডাল্ট গান :p
ডিলানের অটবায়গ্রাফি পরছিলাম।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে পুলকিত হলাম। এখনো সেই সময়ের গানগুলি শুনলে মনে শিহরণ জেগে উঠে। আমি সামুতে এখন লগইন করার পূর্বে তাজমহল এলবামের গান শুনছিলাম। এই মাত্র শুনলাম আমার প্রিয় গান "সুইটি তুমি আর কেঁদো না"। মনটাই শান্ত হয়ে যায় গানগুলি শুনলে।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৬
মহিদুল বেস্ট বলেছেন: দারুন বলেছেন
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৩
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। আসল কথা হলো, কথা আর সুর। আমরা কি মান্না দে, হেমন্ত, কিশোর, সতীনাথের গান শোনা বন্ধ করেছি!! না, করিনি। কারণ তাঁদের গানের কথা আর সুর আমাদের আত্মাকে স্পর্শ করেছে। তাই সেসকল গান বেঁচে থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বড়দের গান, এডাল্ট গান :p বলে দিলেনতো পেচগি লাগায়া
++++
এখন না আবার এলবামে ট্যাগিং করতে হয় ওনলি ফর ২৮+
দারুন বিষয় ধরেছেন। সশয়ের সাথে এগিয়ে যেতে পারাও একটা যোগ্যতা। একটা সাফল্য! লতা, আশা, কিশোর কুমার....বিগ বি;রা যা পেরেছেন অবলীলায়- কিন্তু অনেকেই আড়াল হয়ে গেছেন বা হারিয়ে গেছেন চিরতরে!!!!
টপিকে লেখায় সবকিছুতে