নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিয়া হাসান

এইটা আমার ব্লগ।

ম্যঙ্গোপিপল

সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu

ম্যঙ্গোপিপল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সুন্দর পিচাই আর আমাদের গন জিপিএ ফাইভ

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩

সামু থেকে অনেক দিন দূরে ছিলাম। মনে হলো ভুল করেছি। আবার ফিরলাম। আশা করি নিয়মিত লিখবো।

৪৩ বছর বয়সী ভারতীয় সুন্দর পিচাই, গুগলের নতুন সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এই নিয়ে আজ অনেক আলোচনা দেখলাম। বিশ্বের অনেক প্রধান নিউজপেপারে নিউজটা বড় করে এসেছে।
আমাদের দেশ থেকেও বিশ্বের আইটি সেক্টরে সফল কয়েক জন ব্যক্তিত্ব আছেন, যেমন খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান খান বা যেমন জাওয়াদ করিম যিনি ইউটিউবের তিন জন, প্রতিষ্ঠাতার মধ্যে একজন। এই ধরনের আরও কয়েক জন ব্যক্তিত্ব থাকবেন।
পার্থক্য যেটা আমি দেখি, সেইটা হলো সুন্দর পিচাই ভারতের একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে, এসএসসি এইছ এস সি এবং গ্রাজুয়েশান করে, মাস্টারস করে সিলিকন ভ্যালিতে চাকুরি করেছে বা এন্ট্রিপ্রেনিয়ার হয়েছে।
আর আমাদের জাওয়াদ করিমরা, মূলত, সেকেন্ড জেনারেশান বাংলাদেশি। তাদের পিতামাতারা প্রাসচাত্যে সেটেল করেছেন, এবং সেই শিক্ষা ব্যবস্থায় লেখা পড়া করে সেই দেশের সুযোগ এভেল করে, এমন কিছু করেছেন, যাতে আমরা বাংলাদেশি অরিজিন হিসেবে তাদেরকে নিয়ে গর্বিত বোধ করছি। তাদের সাফল্যে আমাদের অবদান অল্পই।
ভারত, আমাদের থেকে সত্যি যেই খানে এগিয়ে সেইটা হইলো এডুকেশান। ভারতেরও আমাদের মত অঢেল মানুষ, অঢেল সমস্যা কিন্তু তারা দেশের বড় একটা জনগোষ্ঠীকে কোয়ালিটি এডুকেশান দিয়ে বিশ্বের বুকে, ভারতীয় রাষ্ট্রকে , তাদের অর্থনীতিকে তাদের সমাজকে এবং পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
বিবিসিতে সুন্দর পিচাই এর জীবন কাহিনী পড়লাম- যাতে দেখা যাচ্ছে সে অনেক নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। দুই রুমের একটা ঘরে, , একটা রুমের ফ্লোরে তার ভাইয়ের সাথে সে থাকতো। তাদের ঘরে একটা টেলিভিশানও ছিলোনা।
ভারতীয় রাষ্ট্র, ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা তাকে , গুগলের সিইও হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। সেই সুযোগ সে নিয়েছে।
কিন্তু, এলিট বড় হয়ে ওঠা এবং এলিট শিক্ষা ব্যবস্থা বাদে, আমাদের দেশে কয় জন, নিজের দারিদ্র্যকে ভেঙ্গে নিজের সিমানার বাউন্ডারি ভেঙ্গে, নিজের পরিবারকে নিজের সমাজকে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে? অনেকে, আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধানের কথা বলেন। উনি একজন উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম কারন উনি ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আমাদের রাষ্ট্রকেও আমরা প্রজাতন্ত্র বলি। আশা করি, আমরা জানি প্রজাতন্ত্রের মানে কি। প্রজাতন্ত্রের বা রিপাব্লিক মানে সেই রাষ্ট্র এবং সমাজ যেই খানে, এলিটিজম এবং গোত্রবদ্ধতা বাদে সমাজের সবার জন্যে সমান সুযোগ থাকবে। আমরা কি সত্যি রিপাব্লিক হতে পেরেছি ? নাকি, এখন প্রতিটি এলাকায় এলাকায় নতুন করে সামন্ত তন্ত্র স্থাপন করছি। এবং সুযোগ থাকছে শুধু মাত্র, সেই এলিট আর গোত্রবদ্ধ জনগোষ্ঠীর জন্যে।
আজ আমাদের রাষ্ট্রকে সমাজকে নতুন ভাবে সাজাতে হবে। এবং সবার আগে হাত দিতে হবে এডুকেশানে।
লাস্ট একটা কথা বলে শেষ করি, গত কাল এইছ এস সি পরিক্ষার রেজাল্টে জিপিএ ফাইভ কম পাওয়াতে, হঠাত দেখলাম, সরকারের সমালোচনা। কি অদ্ভুত, এতো দিন আমরা গন জিপিএ ফাইভ দেয়ার জন্যে সরকারের সমালোচনা করেছি, আর এখন রেজাল্ট খারাপ হওয়ার জন্যে সমালোচনা করছি।
আমাদের বুঝতে হবে, কয় জন জিপিএ ফাইভ তৈরি হচ্ছে তা দিয়ে একটা শিক্ষা ব্যবস্থার সার্থকতা নয়, কয় জন সুন্দর পিচাই তৈরি করতে পারছে, তা দিয়ে একটা শিক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য আর ব্যর্থতা নির্ধারিত হয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৪

কলাবাগান১ বলেছেন: "কয় জন জিপিএ ফাইভ তৈরি হচ্ছে তা দিয়ে একটা শিক্ষা ব্যবস্থার সার্থকতা নয়, কয় জন সুন্দর পিচাই তৈরি করতে পারছে, তা দিয়ে একটা শিক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য আর ব্যর্থতা নির্ধারিত হয়।"
সহমত

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

গোধুলী রঙ বলেছেন: আপনার প্রত্যাবর্তন এবং ভাবনা দুটোই অনেক ভালো লেগেছে, শুভ কামনা আপনার জন্য।

এবার গন জিপিএ ফাইভ পাইনি এটা সত্যি, তার একটা কারন যদি আমি বলি এবার আর আগের মতন গনহারে প্রশ্ন আউট হয়নি, তাহলে কি খুব ভুল কিছু বলেছি বলে ধরে নেওয়া যাবে? এটা সরকারে সফলতা বলতে আমি দ্বিধান্বিত নই। তবে শিক্ষা পদ্ধতির বা এডুকেশন সিস্টেমের সামগ্রিক যে হাল তাতে কি আশান্বিত হবার কোন কারন আছে?

১। খুবই নিনম্মানের শিক্ষকরা প্রাইমারীতে নিয়োগ পায় সাথে আছে নিন্মমানের পদ্ধতি, বেতনস্কেল আর ম্যানেজমেন্ট।

২। মাধ্যমিকের আর উচ্চ মাধ্যমিকের অবস্থাও একই, সাথে ফালতু প্রশ্ন, নিন্মমানের পরীক্ষক, দূর্নীতি গ্রস্থ বোর্ড, বিষফোড়া হিসেবে আছে কোচিং আর শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানোর মানস।

৩। ভার্সিটিতে কোন গবেষনা নাই, কোয়ালিটি এডুকেশন নাই। আমি ঢাবির যেই সাবজেক্টে ২০০৬ এ পড়ছি তার সিলেবাস ১৯৯৫/৯৮ এ তৈরী। শিক্ষকরা দিন রাত প্রাইভেট ভার্সিটিতে দৌড়ায়।

আমরা পরিবেশ, পদ্ধতি, সাপোর্ট, মেন্টর কোনটাই শিক্ষার্থীদের দিতে পারছি না। তাহলে কোথা থেকে তৈরী হবে আমাদের সত্য নাদেলা আর সুন্দর পিচাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.