![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের বাগিচা পায়ে দলে হালের অবার্চীন, মুখোশের অন্তরালে তারা মরুয়তে দীন
এক দিন পরে সজল পাগলের খোজ পাওয়া গেলো চিলমারি বন্দরের পাশে বাসন্তি গ্রামে। পাগলের বড় বোনের বিয়ে হয়েছে এই গ্রামের এক জেলের সাথে। সেখানেই উঠেছে পাগল।
আজমলের টিমের সদস্য আলিম সন্ধায় সজল পাগলের খবর নিয়ে হাজির হলো বালাসি ঘাটে। আলিম রুদ্রের চাচাতো ভাই। টিমের আরেক সদস্য রুদ্রের মামতো ভাই হাসান সজল পাগলের সাথে আছে। রুদ্ররা পৌছানোর আগে পাগল যদি স্থান পরিবর্তন করে তাহলে ঘাটের সবচেয়ে কাছের সিগারেটের দোকানে মেসেজ ছেড়ে যাবে হাসান। রাতটা পার করার জন্য ও হয়তো বন্দরে একটা ব্যবস্থা করে নিবে।
রুদ্র সন্ধায় যখন সজল পাগলের খবরটা পেলো তখন চিলমারি যাওয়ার কোন উপায় ছিলো না। বালাসি থেকে চিলমারি নৌরুটে যাত্রিবাহি মাত্র দুটি নৌকা চলে। একটা সকালে আর একটা দুপুরের পরে। জলদস্যুদের ভয়ে বিকালের পরে এই রুটে কোন নৌকা চলে না। তাই নৌকা ভাড়া করেও এখন আর যাওয়া সম্ভব নয়। সড়ক পথেও এখন চিলমারি পৌছানো যাবে না। কারন সড়ক পথে কোন ভাবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট পর্যন্ত যাওয়া যাবে। তারপর বিশাল ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিতে হবে নৌকায়। সন্ধার পরে হরিপুর ঘাটেও নৌকা চলে না। তাই সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় নেই।
রাতটা অনেক বড় মনে হলো রুদ্রের কাছে। পুরো রাত ছটফট করে কাটালো। চন্দ্রকে উদ্ধারের জন্য বিন্দুমাত্র সময়ও নষ্ট করতে রাজি নয় ও। কিন্তু রাতটা ওকে সত্যিই আটকিয়ে দিলো। ছটফট করে কোন মতে রাতটা পার করে খুব ভোরে রওনা হলো বাসন্তি গ্রামের উদ্দেশ্যে। বালাসি থেকে নদি পথে গেলে অনেক দেরি হবে। তাই একটা মোটর সাইকেলে চড়ে আলিম আর আবুলকে সাথে নিয়ে সড়ক পথে রওনা হলো রুদ্র। হরিপুর ঘাটের প্রথম নৌকাটা ধরতে হবে ওকে। রওনা দেয়ার সময় তাহের ব্যাপারির বাড়িতে রেখে দেয়া ফকিরের ঝোলার মতো একটা ময়লা কাপড়ের ব্যাগ কাধে ঝুলিয়ে নিলো ও, এটা আজমল এক দিন দিয়ে গেছে। ঝোলার ভিতরে ছেড়া তালি দেয়া ময়লা একটা প্যান্ট আর পাঞ্জাবি আছে। আর আছে ছোরা, ছোট টর্চসহ মেকআপের প্রয়োজনিয় কিছু জিনিস। প্রথমে ওদেরকে যেতে হবে গাইবান্ধা শহরে। তারপর শহরের উত্তর দিকের ব্রিজ রোড দিয়ে দারিয়াপুর বাজার, সীচা, চন্ডিপুর হয়ে ওদেরকে যেতে হবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাটে। হরিপুর ঘাট থেকে নৌকায় ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিলেই কুড়িগ্রামের চিলমারি বন্দর।
মটর সাইকেলে উঠেই রুদ্র ওর পরবর্তি পদক্ষেপ বর্ননা করে শোনালো আলিম এবং আবুলকে। হরিপুর ঘাটের কাছাকাছি কোন নির্জন ঝোপঝাড়ের কাছে নেমে যাবে রুদ্র। আলিম আর আবুল মটর সাইকেল নিয়ে ঘাটে গিয়ে ওর জন্য অপেক্ষা করবে। ঝোপের ভিতরে ঢুকে রুদ্র ফকিরের ছদ্মবেশ নিয়ে ঘাটে যাবে। তারপর ওরা এক সাথেই ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে চিলমারি বন্দরে নামবে। আলিম দুর থেকে রুদ্রকে সজল পাগলের বোনের বাড়ি দেখিয়ে দিবে। তারপর ওদের কাজ শেষ। হাসনকে সাথে নিয়ে ওরা বাড়ি ফিরে যাবে। আবুল আপাততো রুদ্রদের বাড়িতেই থাকবে। সময় হলে ওকে ডেকে নিবে রুদ্র। আর রুদ্র ফকিরের ছদ্মবেশে সজল পাগলকে অনুসরন করবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ি হরিপুর এবং চিলমারি বন্দর নৌরুটের সকালের প্রথম যাত্রিবাহি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চেপে আলিম এবং আবুলকে নিয়ে চিলমারি বন্দরে নামলো ফকিরের ছদ্মবেশি রুদ্র। আলিম মটর সাইকেলটি একটা চায়ের দোকানে রেখে আবুলকে নিয়ে হেটে চললো বাসন্তি গ্রামের দিকে। অনেকটা দুর থেকে রুদ্র ওদেরকে বাসন্তি গ্রাম পর্যন্ত অনুসরন করলো।
চিলমারির রমনা ইউনিয়নের বাসন্তী গ্রাম আসলে জেলে পাড়া। ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের পর জেলে পাড়া নামের পরিবর্তে এলাকাটি বাসন্তি গ্রাম নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এই গ্রামটির বাকপ্রতিবন্ধী এক জেলে কন্যার নাম বাসন্তি। ৭৪ এর মার্চে সারা দেশে যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ শুরু হয় সেটা শুরুই হয় বৃহত্তর রংপুর থেকে। আর শেষ হয় একই বছরের ডিসেম্বরে। এই দুর্ভিক্ষে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে চাল কেনার জন্য বহু মানুষ পড়নের একমাত্র কাপড়ও বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়। বিক্রি করতে বাধ্য হয় নিজের অবুঝ সন্তানকেও। সন্তানদের মুখে ভাত তুলে দিতে না পারায় অনেক মাবাবা আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছিলেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে এই দুর্ভিক্ষে ৫০ লাখ মহিলা ছিলো নগ্ন দেহে। পরিধেয় বস্ত্র বিক্রি করে তারা চাল কিনে খেয়েছে। বেসরকারি হিসেবে সারা দেশে এই দুর্ভিক্ষে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রান হারায় দশ লাখ মানুষ কিন্তু সরকারি হিসেবে সেটা মাত্র সাতাশ হাজার। দুর্ভিক্ষের সময় জেলে পাড়ার ক্ষুধার জ্বালায় জর্জরিত কঙ্কালসার জেলে কন্যা বাসন্তি কাপড়ের অভাবে মাছ ধরার জাল পড়ে লজ্জা নিবারনের চেষ্টা করেন। জাল পরিহিত বাসন্তি একদিন কলা গাছের ভেলায় উঠে ক্ষুধা নিবারনের জন্য কলা গাছের থোর সংগ্রহ করছিলেন। আর বাসন্তীর কাকাতো বোন ছিন্ন বস্ত্র পরিহিত শ্রীমতি দূর্গতি রাণী বাশ হাতে ভেলার অন্য প্রান্তে বসে ভেলা নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। এমন সময় তাদের ছবি তোলেন এক ফটোগ্রাফার। ছবিটি দৈনিক ইত্তেফাকে ১০ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হলে দেশ-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। বাসন্তীর জাল জড়ানো ছবি সারা বিশ্বে রাতারাতি ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের বিমুর্ত প্রতিক হয়ে ওঠে। পরে অনেকেই অবশ্য অভিযোগ করেছিলেন, বাসন্তির সেই ছবিটি ছিলো সাজানো নাটক। তবে সাজানো নাটক হলেও ছবিটি প্রকাশের সাথে সাথেই কিংবদন্তী হয়ে উঠে বাসন্তী। সেই সাথে বাসন্তির নামে পরিচিত হয়ে ওঠে জেলে পাড়া।
বাসন্তি গ্রামে ঢোকার মুখে একটি মুদি দোকান। মুদি দোকানে বসে সিগারেট ফুকছে হাসান। তার মানে সজল পাগল এখনো ওর বোনের বাড়িতেই আছে। আলিম এবং আবুলের পিছু ধাওয়া করে ফকিরের ছদ্মবেশি রুদ্রও মুদি দোকানে এসে হাজির হলো। হাসান রুদ্রকে চিনতে পারলো না। রুদ্রের পড়নে ছেড়া আর তালি দেয়া কালো রংয়ের একটা মলিন প্যান্ট। গায়ে তালি দেয়া পাঞ্জাবি। মুখে দাড়িগোফ। কাধে কাপড়ের ঝোলা। একটু কুজো হয়ে আছে। রুদ্রের বয়স এক লাফে যেন চল্লিশ পেরিয়ে গেছে।
দোকানি জানে এরা বাসন্তিকে দেখতে এসেছে। মাঝে মাঝেই কেউ না কেউ বাসন্তিকে দেখতে আসে। আর রুদ্র এসেছে ভিক্ষে করতে। দোকানি রুদ্রকে একটা পাচ পয়সা ভিক্ষে দিলো। বাসন্তি বাড়িতে নেই। রোজকার মতো আজো সকালে খড়ি কুড়াতে গেছে। সামি পরিত্যাক্তা বাসন্তি বড় ভাইয়ের কাছে থাকে। ১৯৭০ সালের শেষের দিকে বাসন্তীর পরিবারের লোকজন তাকে একই গ্রামের বাবুরামের সাথে বিয়ে দেয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে সামি বাবুরাম বাকপ্রতিবন্ধি স্ত্রী বাসন্তিকে ছেড়ে একই এলাকার সাইব রানি নামের এক বয়স্ক মহিলাকে নিয়ে প্রেমের টানে ভারতের সুখচরে চলে যায়। আর ফিরে আসে নি। ভাগ্যবিড়ম্বিত বাসন্তিদের ভাগ্য ৭৪ এর দুর্ভিক্ষে যেমন ছিলো আজো তেমনি আছে, একটুও বদলায় নি।
কিছুক্ষন পরে এক পাগলকে উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টি নিয়ে দোকানের দিকে হেলেদুলে হেটে আসতে দেখা গেলো। আজমলের দেয়া বর্ননার সাথে হুবহু মিল আছে পাগলের। রুদ্রের মতই লম্বা, তবে বেশ কিছুটা রোগা। চুলগুলো বেশ বড়, উস্কোখুস্কো। মলিন পোশাক। প্যান্টের বাম পায়ের নিচে অনেকটা ছেড়া। গলায় বেশ কয়েকটা তাবিজ। দোকানে থামলো না পাগল। হেলেদুলে ওদের পাশ দিয়ে চলে গেলো চিলমারি বন্দরের দিকে। রুদ্র আলিমের দিকে তাকাতেই আলিম ছোট্ট করে মাথা হেলে জানিয়ে দিলো এটাই সজল পাগল। হাসান একটা কাঠের বেঞ্চিতে বসে ছিলো। উঠে দাড়িয়ে দোকানিকে বললো- নাহ্! বাসন্তিকে আজ আর দেখা হলো না। ওনার আসতে মনে হয় আরো বেশি দেরি হবে। আমার একটা কাজ আছে, অন্যদিন আসবো।
হাসানেরা সজল পাগলকে অনুসরন করতে লাগলো। একটু পরে রুদ্র হাসানদেরকে অনুসরন করা শুরু করলো। ওদেরকে অনুসরন করে আবার চিলমারি বন্দরের ঘাটে চলে এলো রুদ্র। আলিম ওর কাছে এসে অন্যদিকে তাকিয়ে চাপা স্বরে বললো- পাগল নৌকায় উঠেছে।
নৌকার দিকে তাকিয়ে রুদ্র বললো- তোমরা হরিপুর ঘাট হয়ে বাড়ি চলে যাও।
সুর্য মাথার উপরে পশ্চিম দিকে একটু হেলে পড়েছে। নদি থেকে তাজা বাতাস ভেসে আসলেও গরম কম নয়। টিকিট কেটে রুদ্রও নৌকায় উঠলো। ইঞ্জিন চালিত বিশাল নৌকা। আর কয়েক জন যাত্রি উঠলেই নৌকা ছেড়ে দিবে। নৌকা যাবে সোজা বালাসি ঘাটে। সজল পাগল নৌকার এক পাশে বসে ফ্যালফ্যাল করে লোকদের দেখছে আর মুখ দিয়ে মাঝে মধ্যে গোঙ্গানির মতো অদ্ভুত আওয়াজ করছে। সজল পাগলের প্রতিটি নড়াচড়া খুব মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করছে রুদ্র। ও বুঝে গেছে কালো বাদুর এতোটাই কৌশলি যে, কোন কাজেই ক্লু রাখে নি। তাই এখন এক মাত্র উপায়ই হচ্ছে চরাঞ্চলের লোকদের তিক্ষ পর্যবেক্ষন করে তাদের খুজে বেড় করা। আর রুদ্র সেটা অনেক আগেই করা শুরু করেছে। এখন জানা দরকার সজল পাগলের সাথে বিশেষ কেউ বিশেষ ভাবে যোগাযোগ করে কিনা? আর এটা পাগলের কাছাকাছি থেকে লক্ষ করার জন্যই রুদ্র ফকিরের ছদ্মবেশ নিয়েছে। পাগলের প্রতিটি পদক্ষেপই ওর ভালো করে জানা দরকার।
রুদ্র ভেবেছিলো, সজল পাগলকে বালাসি ঘাটে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য কৌশলের আশ্রয় নিতে হবে। কিন্তু সজল পাগল নিজেই আজ নিজ ইচ্ছায় বালাসি ঘাটে ফিরছে। এ তো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি!
একটু পরে নৌকা ছাড়লো। সামনে শুধু পানি আর পানি। উন্মত্ত ব্রহ্মপুত্রের সামনে যেনো কোন কুল নেই। বড় বড় ঢেউ নৌকার গায়ে আছড়ে পড়ছে। ঢেউয়ের আঘাতে প্রচন্ড ভাবে দুলে উঠছে নৌকা। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে এই বুঝি নৌকা ডুবলো। কতো নৌকা ব্রহ্মপুত্রের বুকে তলিয়ে গেছে তার হিসেব নেই। মাঝে মধ্যেই নৌকা ডোবার খবর পাওয়া যায়। বহু মানুষ ডুবে মরেছে এই রাক্ষসি নদির বুকে। অনেকের লাশটা পর্যন্তও পাওয়া যায় নি।
সন্ধার একটু আগে ভালো ভাবেই নৌকা বালাসি ঘাটে ভিড়লো। পাগলের পিছু পিছু নৌকা থেকে নেমে এলো রুদ্র। পাগল এদিক ওদিক ঘুরতে লাগলো। পাগলকে কেউ তেমনভাবে লক্ষই করলো না। এক বার ওর বাবা সামনে পড়লো। বাবাকে গুঙ্গিয়ে কি যেন বলার চেষ্টা করলো ও। কিন্তু ওর বাবা সেটা না শোনার ভান করে চলে গেলো, যেন ছেলেকে দেখেই নি। রুদ্র পাগলকে অনুসরন করতে করতে এবার ভিক্ষে করতে শুরু করলো। কেউ কেউ পাচ পয়সা বা দশ পয়সা দিলো। তবে অনেকেই দেয়া তো দুরের কথা বরং তাড়িয়ে দিলো। রাতে এক হোটেল মালিক ওকে ভাত খেতে দিলো। একই হোটেলে আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে রুদ্রও খেয়ে নিলো। রাত গভির হলে ঘাটের একটা কাঠের বেঞ্চিতে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লো সজল পাগল। পাগলকে দেখা যায় এমন একটা দুরত্ব রেখে রুদ্রও একটা দোকানের সামনে পাকা মেঝেতে কাধের ঝোলাটাকে মাথার নিচে দিয়ে শুয়ে পড়লো।
সজল পাগল যখন বালাসি ঘাটে নামে তখন থেকেই আরো তিন জন ওকে লক্ষ করা শুরু করেছিলো। এরা স্পেশাল টিমের তিন সদস্য ফাহিম, আবির এবং আতিক। ফাহিম নিয়েছে পাগলের ছদ্মবেশ, আবির ভিক্ষুকের আর আতিক হকারের। গভির রাতে পাগল আর রুদ্রকে মাঝে রেখে দুর থেকে একটা বেষ্টনি তৈরি করে ওরাও ঘুমিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিলো। দুই জন ঘুমালো, এক জন জেগে থাকলো। রাতে কেউ ঘুম থেকে জেগে উঠলে সে জেগে থেকে আরেক জনকে ঘুমানোর সুযোগ দিলো। কারো সাথে কারো কথা হলো না কিন্তু এভাবেই রাত এক সময় শেষ হয়ে গেলো। আবার লোক জনের কর্মব্যস্ততা এবং চিতকার চেচামেচিতে মুখরিত হয়ে উঠলো বালাসি ঘাট।
দুই দিন পর গভির রাতে স্পেশাল টিমের তিন জনই পকেটে একটা করে চিরকুট পেলো। চিরকুটে লেখা আছে, প্লান-এ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত হও।
চলবে.....
চন্দ্র উপন্যাসের ভুমিকা ও পর্ব সমুহের সুচিপত্র
ফেসবুকে চন্দ্র উপন্যাসের পেজ
©somewhere in net ltd.