নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্যা এডিটোরিয়ালঃ “প্রবাসের কান্না-পর্ব-১০,পূর্ব প্রকাশের পর” ১৭-০২-১৬
প্রবাসীরা দেশের মানুষকে আলো দিতে দিতে এক সময় নিভে যায়, হারিয়ে যায় চিরদিনের মত,
প্রবাসীর কষ্টের কথা বলতে গিয়ে অনেক কথা বলেছি কারন আমি দেশ বাসীকে আমাদের আত্মত্যাগের স্বরূপ পরিস্কা্র ভাবে তুলে ধরতে চাই। আমাদের দেশ প্রেমের সাথে কোন কিছুর তুলনা হয় না।আমরা দিনের পর দিন বাঁচা মরার লড়াই করে দেশকে উজ্জ্বল ভবিষ্যেতের দিকে নিয়ে যাচ্ছি কিন্তু দুর্ভাগা প্রবাসীদের এই প্রতিদান সরকার তো নাই নিজ পরিবারের কেউ ভূলেও করে মূল্যায়ন করে না।
প্রবাসীরা দেশের মানুষকে আলো দিতে দিতে এক সময় নিভে যায়, হারিয়ে যায় চিরদিনের মত, তাদের হিসাব কেউ রাখে না। আবহেলায় অনাদরে প্রান ঝরে যায় প্রবাসীদের।তার একটা হিসাব কিছুদিন আগে প্রথম আলো ব্লগে পড়েছিলাম। আপনাদের সুবিধার্তে তা সংযোজন করে দিলাম।
দেশে রেমিটেন্স (প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো অর্থ) প্রবাহ নাকি গত মে মাসে-২০১৫ সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এককভাবে কোনো মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৮৯ কোটি ৫ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে মে মাসে। ধারণা করা হচ্ছে, এ প্রবাহ অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরে রেমিটেন্সের পরিমাণ ৯০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। জীবনযাত্রা সচল রাখতে ডলারের এ প্রবাহ বাংলাদেশের জন্য বিরাট এক ভরসাস্থল। তাই শাসকদের জন্য এ ঘটনা খুবই স্বস্তিদায়ক। কিন্তু এ ডলারের বেদিমূলে প্রতিনিয়ত নিঃশব্দে কত প্রবাসী শ্রমিকের জীবন বলি হচ্ছে তার কি কোনো খোঁজ আছে? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এ সংখ্যাটা দুই-দশ নয়, এমনকি শতকের ঘরেও নয়, সহস্রের কোটা ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ, রেমিটেন্সের পরিমাণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রবাসী শ্রমিকের লাশের সংখ্যা।
প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্স নিয়ে যত উচ্ছ্বাস, বিদেশে যেনতেনভাবে শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারে যত তৎপরতা লক্ষ করা যায় – প্রবাসে তাদের কাজ ও জীবনের নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তা নিয়ে কি সরকার কি অন্য কারো সে অনুপাতে কোনো উদ্বেগ বা তৎপরতা আছে বলে মনে হয় না। যদি তাই হতো তাহলে গত কয়েক বছর ধরে এভাবে প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ত না।
গত ৫ বছরে বিদেশ-বিভূঁইয়ে নিহত প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা ৮ হাজারেরও বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত ৪ মাস ৯ দিনে ৯০৪ জন প্রবাসী শ্রমিকের লাশ দেশে পৌঁছেছে। শুধু মে মাসের প্রথম ৮ দিনেই এসেছে ৬৪ জনের লাশ, যার মধ্যে ৩২ জন নারী শ্রমিক। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৮ জন করে শ্রমিকের লাশ এসেছে। এই ৯০৪ জন শ্রমিকের মধ্যে ৩৯১ জন মৃত্যুবরণ করেছে হৃদরোগে (কার্ডিয়াক এ্যরেস্ট), কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জনের, ৬২ জন সড়ক দুর্ঘটনায়, বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় মারা গেছে ১১৫ জন। চলবে .........
এখানে আরো উল্লেখ করা দরকার যে শ্রমিক-মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। হৃদরোগে মৃত্যুবরণকারী ৩৯১ জনের ১১৯ জন মারা গেছে সৌদি আরবে, মালয়েশিয়ায় ৮২ জন, ৭২ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতে, ৩৫ জন কুয়েতে, ওমানে ১৬ জন, কাতারে ১০ জন, বাহরাইনে ১০ জন, সিঙ্গাপুরে ৭ জন এবং লেবাননে ২ জন। (ডেইলি স্টার, ১৩ মে ২০১৫) দৈনিক সমকালে ৮ মে ‘১৫ তারিখে প্রকাশিত হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে, তখন পর্যন্ত দেশে এসেছে ৮৮১ জন প্রবাসী শ্রমিকের লাশ। এদের ২৫৪ জন মারা গেছে সৌদি আরবে, মালয়েশিয়ায় ১৫৭ জন, দুবাই-তে ১০০ জন, কুয়েতে ৫৫ জন, ওমানে ৩৪ জন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২৭ জন, আবুধাবি-তে ২৪ জন, কাতারে ২১ জন, বাহরাইনে ১৭ জন, যুক্তরাজ্যে ১৬ জন, ইতালি-তে ১৫ জন, দ: আফ্রিকায় ১১ জন, লেবাননে ৬ জন, পাকিস্তানে ৬ জন, গ্রিসে ৫ জন এবং অন্যান্য দেশে ৫২ জন।চলবে .......
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২
প্রামানিক বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য জানা হলো। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: আপনার লিখায় প্রবাসীদের মনের কথা গুলোই বেরিয়ে এসেছে, যখন শুনি কোন প্রবাসী মারা গেছেন তখন খুব খারাপ লাগে। গত ৩ দিন আগে আবুধাবিতে একজন বাংলাদেশী প্রবাসী মারা গেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে