নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সামনে মিথ্যা পরাজিত হবেই একদিন

িসজন

পরিবর্তন আমাদের সবার দরকার

িসজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাচ্চাদের হিন্দি শেখাতে ডোরেমন দায়ী না আমরা নিজেরাই দায়ী??? X(

৩১ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:২৮

বর্তমানের বহুল আলোচিত আর তার চেয়েও সমালোচিত কার্টুন Doraemon।একে কেউ বলে ডোরেমন কেউ ডোরিমন। দুটোই ভুল। এর সঠিক উচ্চারন ডোরাএমন। এটি দুটি জাপানী শব্দ ডোরা(সাহসী বিড়াল) এমন(পুরুষবাচক শব্দ)। জাপানী আর ইংলিশ দুই ভাষাতেই এর উচ্চারন ডোরাএমন। আবার আসি এর ইতিহাস আর অন্যান্য বিষয়ে।

ফুজিকো ফুজিও,জাপানের বিখ্যাত কমিক (জাপানী ভাসায় যাকে মাঙ্গা বলে) লেখক। ১৯৬৯ এর ডিসেম্বর এ একসাথে ৬টি ম্যাগাজিন এ এর প্রকাশনা শুরু হয়। এর মূল সিরিজে মত ১৩৪৪ টি গল্প আছে যাদের ৪৫টি ভলিউমে প্রকাশ করে Shogakukan আর এগুল রাখা আছে Takaoka Central Library,Toyama যা ফুজিকোর জন্মস্থান। এটি মূলত একটি শিক্ষামূলক কমিকস যাতে বড়দের সম্মান, সময়ের সদ্ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ রোধ এসবের শিক্ষা দেয়া হয়। ১৯৭৩ থেকে আরও দুইটি ম্যাগজিনে এর প্রকাশনা শুরু হয়। ১৯৭৩ এই প্রথম কমিকস থেকে আনিমেশন এ উঠে আসে এই সিরিজ, পড়ে ১৯৯৬ আর ২০০৫ এ নতুন করে আবার বানান হয়। এটি জাপানে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কার্টুন যেটি ৪টি বড় পুরুস্কার পেয়েছে। আর ২০০৮ এ জাপান পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ডোরেমনকে প্রথম “Anime Ambassador” হিসেবে নিয়োগ দেয়। ২০০২ সালে Time Asia ডোরেমনকে(যেহেতু এটাই প্রচলিত তাই এটাই লিখছি) এশিয়ান হিরোদের একজন নির্বাচিত করে। জাপানে ডোরেমন এর বেশ প্রভাব আছে। কেউ যখন বেশি খবরদারী করে তখন তাকে তারা জিয়ান বলে। আবার কেউ যখন অসম্ভব কাজ কে সম্ভব করে তাকে ডোরেমন এর সাথে তুলনা করা হয়। ডোরেমন এর লেখক যদিও এর কোন সমাপ্তি টানেননি(মারা যান) কিছু ম্যাগাজিন এর সমাপ্তি টেনেছে। তবে এর জনপ্রিয়তা জাপানসহ এর আস্পাসের দেশগুলোতে সবসময় আছে।এটা ছোট একটা ইতিহাস। এবার আসি এর কাহিনিতে।

এর মূল চরিত্র নোবিতা নোবি যে একজন অলস ছেলে আর তার অলসতার কারণে তাকে প্রতিদিন নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। পরীক্ষায় খারাপ করে খাতা লুকিয়ে ফেলে আরও অনেক বদমাইশি করে। তার দুই বন্ধু জিয়ান(যার নাম তাকেসি, তার বিশাল দেহের কারণে তাকে giant বলা হয় যার সংক্ষেপ রুপ Gian) আর সোনিও সব সময় তার পিছনে লেগে থাকে। আর নোবিতা ডোরেমনএর কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে করে থাকে কিন্তু সব সময় ডোরেমন এর দেয়া গেজেট এর অপব্যবহার করে। আর তার ফল ও সে, কখনো তার বন্ধু, পরিবারকেও ভোগ করতে হয়। ডোরেমনকে নোবিতার কাছে পাঠায় তার নাতি সেওয়াসি নোবি যাতে তার দাদার জীবন সহজ হয়। ডোরেমন একটি আধুনিক রোবট যে তার একটি পকেট থেকে অনেক কিছু বের করতে পারে, যাকে গেজেট বলা হয়েছে এই কমিক্সে। ডোরেমন নোবিতাকে সবসময় তার অলসতা, করমবিমুখতা বাদ দিয়ে কর্মঠ জীবন যাপন করতে বলে।

ডোরেমন এর সমালোচনার ২টি কারণ আছে। এক হল এটি হিন্দি ভাষায় প্রচারিত হয় আর দুই নোবিতার বদমাইশি গুলা বাচ্চারা অনুকরন করছে। ১ম কারনেই বেশি সমালোচনা হয়। কিন্তু এতে ডোরেমন বা বাচ্চাদের কতটা দোষ তা আগে দেখতে হবে। আগে টিভিতে অনেক কার্টুন হত বাংলায় ডাবিং করে। এখন সেভাবে আর হয় না, বলতে গেলে একদমি হয় না। BTV তে সিসিমপুর হয় কিন্তু মানুষ BTV বিমুখ বলে সে বিষয়ে তেমন জানেও না।। আর বাংলা চ্যানেলে যা হয় বেশিরভাগ তরুন প্রজন্মের প্রেম কাহিনিতে ভরা। এখন একটা বিজ্ঞাপন হবে তাতেও একটা প্রেমকাহিনি থাকবে, বিশেষ করে মোবাইল এর বিজ্ঞাপন এ। আর মেয়েদের যে পোশাক তা কবে বাঙ্গালীর সংস্কৃতিতে ছিল তা গবেষণার দাবি রাখে। বাচ্চাদের মনে হয় না এসবের একটাও আকর্ষণ করে। এখনকার বেশিরভাগ বাবা মা কাজ করেন ফলে রাতে সময় দিতে পারলেও দিনে পারেন না। তাই বাচ্চাদের সময় কাটানোর মাধ্যম টিভি বা কম্পিউটার। আর বাচ্চারা কার্টুন এর ভক্ত। স্যাটেলাইট এর কারণে তারা বিশ্বের নানা ভাষার চ্যানেল দেখতে পায়। আর যেহেতু বাংলার মতই হিন্দির উৎস সংস্কৃত ভাষা তাই দুটার শব্দ মতা মুত একই রকম। আর বাচ্চারা তাই হিন্দির প্রতি ঝুকে যাচ্ছে। যেহেতু নিজের ভাষার মতই আরেকটা ভাষা শুনছে তাই সেটাই শিখে যাচ্ছে। ইংলিশ বা অন্য ভাষা কিন্তু সে এতটা বুঝবে না যতটা সে হিন্দি বা উর্দু বুঝবে। তাই বাচ্চাদের দেশীয় ভাষায় বিনোদনের ব্যাবস্থা না করলে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে। শুধু বসে বসে হিন্দি চ্যানেলকে গালি গালাজ করে লাভ হবে না।

আর দ্বিতীয় কারণটা দুই দেশের সংস্কৃতির পার্থক্যের কারণে। জাপান আমাদের দেশ থেকে অনেক দূরে। তাদের সাথে আমাদের সংস্কৃতির বিস্তর ফারাক থাকাটাই স্বাভাবিক। আর আমাদের একটা স্বভাব মানুষের খারাপটা নেয়া। ১৯০ বছরে আমরা ব্রিটিশদের খারাপ গুলাই বেশি নিয়েছি। আর তাই ডোরেমন দেখে বাচ্চারা ডোরেমনের উপদেশের চেয়ে নোবিতা বা অন্যদের খারাপটাই নিচ্ছে বেশি। X(

আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান লেখক আছেন। তারা চাইলেই বাচ্চাদের জন্য গল্প, কমিকস লিখতে পারেন। এত গুলো টিভি চ্যানেল দিনে অন্তত এক ঘণ্টা বাচ্চাদের জন্য কার্টুন বা অন্য কিছু প্রচার করতে পারে। নিজেরা কার্টুন বানাতে না পারলে বিদেশি ভাল কার্টুন বাংলায় ডাবিং করতে পারে। ভারতীয় চ্যানেলগুলো যদি পারে আমরা পারব না কেন??? আমরা তো এততা পিছিয়ে নেই। মিনা কার্টুন এর নতুন পর্ব বানানো যেতে পারে, ২০০১ এ ইটিভি তে মন্টু মিয়ার অভিযান নামে একটা কার্টুন হত। নিজেদের বাঁচাতে, নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি বাঁচাতে নিজেদের এগিয়ে আস্তে হবে। শুধু ফেসবুক এ পেজ খুলে বা ব্লগ লিখে গালাগালি করে কিছু হবে না।

:|

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৩৪

একলাহুতুম বলেছেন: দায়ী সেইসব বেয়াক্কেল বাবা-মা যারা তাদের সন্তানদের ডোরিমনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বা পরিচয় হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। অনেক বাবা-মাকে দেখেছি বইমেলা থেকে ডোরিমন কিনে সন্তানদের দিচ্ছেন।

৩১ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৪৯

িসজন বলেছেন: আচ্ছা বই গুলা কি বাংলায় লেখা?? বাংলায় হলে তাও ভাল যে বাংলায় পড়বে

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

আনিসুজ্জামান রাসেল বলেছেন: +++

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

ইকরাম উল্যাহ বলেছেন: ভাবার বিষয়

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:১৮

স্বাধীনতার বার্তা বলেছেন: আর যেহেতু বাংলার মতই হিন্দির উৎস সংস্কৃত ভাষা তাই দুটার শব্দ মতা মুত একই রকম। আর বাচ্চারা তাই হিন্দির প্রতি ঝুকে যাচ্ছে। যেহেতু নিজের ভাষার মতই আরেকটা ভাষা শুনছে তাই সেটাই শিখে যাচ্ছে। ইংলিশ বা অন্য ভাষা কিন্তু সে এতটা বুঝবে না যতটা সে হিন্দি বা উর্দু বুঝবে। তাই বাচ্চাদের দেশীয় ভাষায় বিনোদনের ব্যাবস্থা না করলে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে। শুধু বসে বসে হিন্দি চ্যানেলকে গালি গালাজ করে লাভ হবে না।
+++

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৩০

দ্যা বারব্যারিয়ান বলেছেন: ভালো লেখা। ডরিমনের উপর যেসব বাবা-মা নিজের সন্তানদের নিশ্চিন্তে আজ ছেড়ে দিচ্ছে, যখন তারা এর ফলাফল ভোগ করা শুরু করবে, তখন আর কিছু করার থাকবে না।

আমাদের সরকারের উচিত, অনতিবিলম্বে ইণ্ডিয়ান চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিয়ে এদেশে তাদের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধ করার ব্যবস্থা করা।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪

কাজী তানভীর আহমেদ বলেছেন: ভালো লাগলো ডোরেমন এর আদ্যপান্ত জেনে।
ডোরেমন দেখার কারনে আরেকটি সমস্যা হচ্ছে , তা হলো একটি পরিবারে যাদের একটি মাত্র টেলিভিশন তারা সকল ধরনের টিভি বিনোদন আর চলতি ঘটনাবলী বা সংবাদ থেকে দুরে থেকে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছেন।
খারাপ লাগে সমস্যা জর্জরিত এই দেশের মানুষের সাংস্কৃতিকে রক্ষা করতে কত বেগ পেতে হচ্ছে, এত গুলো টিভি চ্যানেল আজ দেশে অথচ কেউ এগিয়ে না এসে প্রায় প্রতিটি টক শো গুলো তে তথাকথিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মনস্তবিদগন, সমাজ সচেতন গোষ্ঠীর নেতারা আলোচনা করে যাচ্ছেন, যাদের কেউ কেউ সফল মিডিয়া ব্যবসায়ী। তারা যদি টক শো গুলোতে যা বলেন তার প্রতিফলন নিজেই ঘটাতে পারেন সমাজে তাহলে এই সমস্যার সহজ সমাধান হয় । ভালো ভালো বাঙলা শিশুতোষ অনুষ্ঠান বেশী বেশী সম্প্রচার হলেই এটি রোধ করা সম্ভব । আর সবথেকে ভালো হয় ডোরেমন কার্টুন টি কে অবিলম্বে বাঙলায় ডাবিং করে প্রচার করলে।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৩৪

সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: সুন্দর পোস্ট । ফেসবুকে দেখেছি কয়েকজন ডোরেমনকে বাংলাতে রূপান্তর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
এক্ষেত্রে কোন টিভি চ্যানেল এগিয়ে আসলে সম্ভবত খুব দ্রুত ডোরেমন কে বাংলায় করা যেত ।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৩৪

ইনকগনিটো বলেছেন: কার্টুন খারাপ জিনিস না। বাচ্চাদের মনের খোরাক। সুস্থ বিনোদন। অন্তত হিন্দি অসুস্থ টিভি সিরিয়াল এর চেয়ে হাজার গুন ভালো। আমি ছোটবেলার কথা বলি, আমি ছোটবেলায় প্রচুর কার্টুন নেটওয়ার্ক দেখতাম। এখন বড় হয়ে ভাবতে ভালো লাগছে, যে আমার বিনোদন মাধ্যম গুলো সুন্দর ছিল। শিশু সুলভই ছিলো। ইঁচড়ে পাকা হয়ে উঠি নি।

লেখকের সাথে একমত ভাষার ক্ষেত্রে। বাংলায় এসব জনপ্রিয় কার্টুন গুলো ডাবিং করার ক্ষেত্রে আমার মনে হয় বেশ ভালোভাবেই দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ। আমরা শুধু গাছের ফলটাই চাই, গাছের যত্ন নেইনা। বাচ্চাদের দিকে অবশ্যই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টি দিতে হয়। তাদেরও মন আছে। নরম মন। মনটাকে ভালো করে গড়ে তুলতে হয়। হয় কার্টুন ইংলিশে দেখুক, ইংলিশ শিখবে। নাহয় বাংলায় দেখুক, তাতে সচেতনতা তৈরি হবে। হিন্দি শিখে কি লাভ?

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৪৬

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: বাংলা চ্যানেলগুলাতে তো প্রেমকাহিনী আছেই সেই সাথে আছে ধান্দাবাজির প্রদর্শনী......খারাপ কিছু শিখতে মানুষের তো খুব একটা বেশি সময় লাগে না.........

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১২

জিললুর রহমান বলেছেন: মায়েদের এত সময় কই? মার্কেট, পার্লার, স্টারপ্লাস এই সব নিয়েই তো মায়েরা ব্যস্ত।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৫

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: সহমত

১২| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৯:৫৮

শিবলী১২৩ বলেছেন: হিন্দি ছ্যাচরামি সিরিয়াল অথবা সিনেমাগুলোর চাইতে ডোরেমন অনেক ভালো পাই। যেখানে প্রায় ৬২ টা দেশে এই কার্টুন অনুবাদ করে দেখানো হচ্ছে, সেখানে আমাদের দেশে যে তা করা হয় না, সেটা আমাদেরই দোষ।

কাজেই আমাদের বাচ্চারা যে কার্টুন থেকে বিনোদোন খুজতে ডীজনী চ্যানেলের শরনাপন্ন হবে সেটাই স্বাভাবিক।আমি ডোরেমনের বিশাল ভক্ত এবং এই কার্টুন সিরিজ নিয়ে সমালোচনা করা যায় এমন কিছুই আমি খুজে পাই নি।

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:৪০

নিঃসঙ্গ নির্বাসন বলেছেন: স্বাধীনতার বার্তা বলেছেন: আর যেহেতু বাংলার মতই হিন্দির উৎস সংস্কৃত ভাষা তাই দুটার শব্দ মতা মুত একই রকম। আর বাচ্চারা তাই হিন্দির প্রতি ঝুকে যাচ্ছে। যেহেতু নিজের ভাষার মতই আরেকটা ভাষা শুনছে তাই সেটাই শিখে যাচ্ছে। ইংলিশ বা অন্য ভাষা কিন্তু সে এতটা বুঝবে না যতটা সে হিন্দি বা উর্দু বুঝবে। তাই বাচ্চাদের দেশীয় ভাষায় বিনোদনের ব্যাবস্থা না করলে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে। শুধু বসে বসে হিন্দি চ্যানেলকে গালি গালাজ করে লাভ হবে না।
+++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.