নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল ব্লগ

মোহাম্মাদ জু্য়েল রশিদ

মোহাম্মাদ জু্য়েল রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজেকে ভালবাসুন আত্মসম্মান বাড়বে।

২০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:১০

নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন অনেকেই। আর নিজের প্রতি আস্থা হারানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আত্মসম্মানও কমে যায়। ফলস্বরূপ আজ নিজেকে ভালো লাগলেও কাল হয়তো নিজেকেই নিজের আর ভালো লাগবে না। তবে আত্মসম্মান বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে আপনার নিজের পাশাপাশি আশপাশের মানুষেরও কিছু আচার-আচরণ বা মন্তব্য কিংবা দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাব বিস্তার করে।

নিজেকে ভালবাসবেন এটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু কাজের চাপে, রোগ-শোক কিংবা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে নিজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে যেতে পারেন সহজেই। নিজের প্রতি আস্থা বা বিশ্বাস হারিয়ে অনেকেই বলেন, আমি ভালো না, আমি কখনো সফল হব না, কিংবা কেউ আমাকে পছন্দ করে না। ইত্যাদি ইত্যাদি

নিজের প্রতি এ ধরণের নেতিবাচক মনোভাব এক সময় আপানার পাশাপাশি চারপাশের মানুষের কিংবা আপনার চারপাশের মানুষের মতো আপনিও বিশ্বাস করতে শুরু করবেন। আর এ কারণে একটা সময় হয়তো আপনার মনোবল কমে যাবে, নিজের প্রতি সম্মানও হারাবেন তখন।

কিন্তু ভাঙ্গাগড়ার মধ্য দিয়েই তো আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিকূলতা ভেঙে এগিয়ে যেতে হলে আপনার আত্মসম্মানবোধ থাকতে হবে। আর এই আত্মসম্মান অটুট রাখতে আপনাকে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। পাঠকদের জন্য সেগুলো তুলে ধরা হলো...
কথা বলুন নিজের সঙ্গে : মানুষ নিজেই তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু এবং সমালোচক হতে পারে। আর তাই নিজের জন্য প্রেরণামূলক, উদ্দীপনামূলক কথা বলুন ইতিবাচক মন্তব্য করুন। নিজেকে বলুন আপনি সুন্দর, স্মার্ট, বুদ্ধিমান। নিজের কাজের প্রশংসা করুন। ইতিবাচক মনোভঙ্গি দিয়ে আপানার নেতিবাচক বিষয়গুলোকে দুর্বল করে দিন। এভাবে নিজে থেকে নিজেই শক্তি পেলে ধীরেধীরে আপনার জীবনে আসবে পরিবর্তন।

নিজের প্রতি যত্ন নিন :
শরীর ভালো থাকলে মন ভালো থাকে। মন ভালো রাখতে গেলে আপনাকে নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার, এড়িয়ে চলতে হবে ফাস্টফুড বা জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার। নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে দিবে মানসিক শক্তি আর সুস্থতা। সময় বের করে তাই নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করুন।

স্মৃতির আয়নায় দেখুন সাফল্য :
এখন আপনার সময় ভালো যাচ্ছে না, যেখানে হাত দিচ্ছেন ইতিবাচক ফল পাচ্ছেন না। শান্ত থাকুন। পেছনে কোনো সাফল্য থাকলে তা স্মৃতির আয়নায় দেখুন। সে সময় আপনি কোন পরিস্থিতিতে কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা কীভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন তা খুজে দেখুন। পেছনের সফলতার স্মৃতিচারণ জোগাবে উৎসাহ, সেই সঙ্গে বর্তমানে পরিস্থিতি মোকাবেলার পথ ও বাতলে দেবে।

যা ভালো লাগে তা করুন :
হয়তো আপনি ছবি আঁকতে, গান শুনতে, বই পড়তে, ফাঁকা মাঠ বা রাস্তায় কিংবা পার্কে হাঁটতে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পছন্দ করেন। আপনি যে কাজগুলো পছন্দ করেন তার একটি তালিকা করুন। প্রতিদিন এগুলোর একটি বা দুটির চর্চা করুন। দেখবেন আপনার ভালো লাগবে। কখনো যদি খুব কষ্ট হয়, চিৎকার করতে ইচ্ছে হবে, তবে তাই করুন।

ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই বসতঘর :
এপার্টমেন্ট, বাড়ি, ছোট বা বড় যেমন জায়গাইতে আপনি থাকুন না কেন তা যেন আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়। কেননা সারাদিনের কাজ শেষে প্রশান্তির জায়গা আপনার ঘর। ঘরের পরিবেশ এমন রাখার চেষ্টা করুন যেন তা আপনাকে শান্তি আর প্রশান্তিতে ভরিয়ে তোলে। ঘর যেন সত্যিই ঘর হয়, সে ঘর যেন আপনাকে টানতে থাকে।

ছোট ছোট লক্ষ্য :
ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জলে মহাদেশ-সাগর যেমন তৈরি হয়, তেমনি আপনার ছোট ছোট সাফল্য আপনাকে পোঁছে দেবে চূড়ান্ত সাফল্যের দোরগোড়ায়। প্রথমে বড় কোনো পরিকল্পনা হাতে না নিয়ে ছোট ছোট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে হাত পাকিয়ে নিন, তারপর বড় কোনো কিছুতে হাত দিন। ছোট ছোট পরিকল্পনায় সফলতা আপনাকে বড় কিছু করতে সাহস জোগাবে।

ব্যর্থতায় লুকায়িত সাফল্য :
ইংরেজিতে একটা কথা আছে, Failure is the pillar of success. কোনো লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাই বলে কি হাত গুতিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকবেন ! তাহলে কি সমাধান আসবে ? আবার পরিকল্পনা আঁটুন, শনাক্ত করুন প্রথম চেষ্টায় আপনার ব্যর্থতা কোথায় ছিল। পরবর্তী চেষ্টায় পূর্ববর্তী পদ্ধতিতে আনতে পারেন পরিবর্তন।

দক্ষতা বাড়াতে নতুন কিছু শিখুন :
নতুন কোনো কাজে বা বিষয় শিখুন। এতে আর্থিক কোনো লাভ না থাকলেও তা আপনার দক্ষতা হিসেবে কাজ করবে, আপনার ভেতরে আলাদা একটি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করবে। তথ্য জানার মধ্যে থাকতে হবে। আপনার কর্মজীবন বা শিক্ষাজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে পড়াশুনা করুন।

নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, অন্যের সঙ্গে না :
আপনি নিজেই আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী। কখনোই নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না। আপনাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো কোনো কিছু অন্যের মধ্যে খুজে পেলে আপনি আঘাত পাবেন, আপনার মনোকষ্ট বাড়বে। অন্যের সাফল্যে নজর না দিয়ে নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করুন। গতকালকের আপনাকে আজকের আপনি ছাড়িয়ে যাবেন- এ মনোভাব নিয়ে এগোতে থাকুন।

নিজেকে ক্ষমা করুন :
আমরা সবাই ভুল করি। মানুষ মাত্রই ভুল করবে। ভুল না করলে শেখা যায় না। ভুলকে শেখার সুযোগ মনে করুন। নিজেকে ক্ষমা করে দেওয়ার মানসিকতা আপনার আত্মসম্মান বাড়াবে, কমাবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.