নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার মাঝেই খুঁজে ফিরি সুখ নামক সুক্ষ অনুভূতিগুলোকে।
ভালবাসার এ পাশটায় এসো
এখানে তোমার ছায়ায় ছিল
আমার বসবাস।
এখানে ডানপিটে সুখ
তোমার নামে ছড়িয়ে যেত
গ্রাম হতে গ্রামে
শহর হতে শহরে।
ভালবাসার এ পাশটায় আর একবার এসো।
একফোঁটা ভালবাসা অবশিষ্ট থাকতেও
হারতে চাইনি।
একটা নির্লজ্জ সুখ,
অভিমান থেকে আমায় প্রেমিক বানায়-
সময়ে চেনার চেষ্টা করি নিজেকে
মাঝে মাঝে তোমাকেও।
শুধু এটুকু বুঝি
আমি স্বার্থপর।
অতপর আশায় থাকি,
একজোড়া শালিক মিলিত হবে
পুনঃ পুনঃ।
যাচ্ছ?
তবে যাও।
এলোমেলো পদধুলো,
ছড়ানো ছেটানো স্পর্শগুলো,
তোমার আমার যৌথ স্বপ্ন
এসবের কি হবে?
রাগ করলে?
থাক তাহলে
পিছু ডাকবো না
জানি জলের পতন দেখতে
একবার হলেও ফিরে তাকাবে।
জেনো ওটাই হবে আমার
ভালবাসার সাতকাহন।
আমি সে পথ চিনি,
দারিদ্র্যতার চুর্ণ যেখানে অনুশীলন করে
পক্ষপাতিত্বের।
আমি নির্দ্বিধায় ধারণ করতে পারি ধুমলবর্ণ-
আগ্নেয়গিরির চড়চড় শব্দকে ভাবতে পারি
সদ্য ভোরের কাকের ডাকসম।
মুহুর্তেই বের হয়ে আসতে পারি
জটপাকানো কেন্দ্রীভূত চুড়ান্ত বৃত্তপথ হতে,
ভৎসনাপ্রাপ্ত বাক্সবন্দী আলজিভ...
(এক)
ঘুমে বা শুদ্ব জাগরণে
আমায় পড়বেই তোর মনে
পিপাসা কমবেনা,
পারলে সখি মুক্ত থাকিস-
আমার নামের গল্প ঢাকিস
বাড়বেনা তোর দেনা।
(দুই)
তোর প্রতিটি রাতের ঘুমেই
চক্ষু হতে ললাট চুমেই
কেটে যায় নিশি মোর,
শেষ রাতেরা লুকিয়ে গেলে
বারান্দাতে আলো এলে
সুবাস...
তুমি চলে যাবার দিন
সাথে করে নিয়ে গেছো
রনজনকার্যের সবগুলো উপকরণ।
আমি তখনো নিশ্চিত নই আমি কি হারিয়েছি,
বিস্ময়সুচক অব্যয় তখনো ভাজরত
মনের সিন্ধুকে।
প্রঞ্চনাময়ী রুপে
রঙ নিঃসরণের যে খেলা তুমি খেলেছ,
আমি মুগ্ধচোখে দেখেছি
প্রহেলিকা ভেবে।
হৃদয় হতে নিংড়ে...
রোজ রাতে
বুলফাইটের রিংমাস্টারদের
হাতের লাল,
হেটে হেটে
উঠে আসে আমার ছাইরঙা ঠোটযুগলে।
তোমাদের মতন ভদ্রলোকের দেয়া
কচকচে কিংবা নেতানো কিছু কাগজের যাদু-
মুহুর্তেই আমায় বনলতা সেন হতে
বদলে দেয় সানি লেওনে।
স্তব্ধ রাতের যে সময়ে তোমার শেকড়েরা
রাত্রি সাজায়...
নীলকমল শহরের দেয়াল ঘেঁষে
ঝিঙার বাগানের চারপাশটাতেই আমার সোনালী অতীত জ্বলজ্বল করে।
ওখানেই আমার সুখ পাখিটার জন্ম ছিল,
সুখতারকা তারই সাথে বেনীর গাটেই জোট বেধেই আমার আঙিনাতে পা রাখেন।
সে তারার আলোতেই
পথ ফিরে পেয়েছে...
জলগুলো সব
করে কলরব
ঝিলের দুপাশ বেয়ে-
স্রোতের পিছু
একপাশে কিছু
কচুরি আসছে ধেয়ে।
রোদেরা চলে
লুকোছাপা তলে
ঘাসফড়িং এর পরে-
বালকের দল
করে সোরগোল
দু একটা মাছ ধরে।
দাড়খানি টানি
মাঝি গলাখানি
কাঁপায়ে তুলিছে সুর,
নাইয়োরি চলে
ছাপ্পর তলে
যোজন যোজন দুর।
সন্ধে হলে
আধার ঢলে
ঝিঝি জ্বলজ্বল করে-
সব...
বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে
চোখের সামনে ভেসে ওঠে একের পর এক
চলমান জলপ্রপাত।
বেড়ে চলে সপ্নের পরিমান
একটি-
দুটি
কখনো অগনিত হারে।
সংগৃহীত বীজ ফেলে যাই যাযাবরের যাত্রাপথে,
মরিচিকা পুঁজি করে বুক বাধি আশায়।
এপথ ধরে হেটে যাওয়া
কোন পথিকের ফেলা
একফোঁটা জলের...
একটি নারীর চোখের কথা বলছি,
সরোবর হতে ভেসে আসা তার পদ্মনীল চোখজোড়া
চোখ পড়তেই
আমি চিত্রকর হয়েছিলাম।
যতটুকু মনে আছে-
নীলাভ সে চোখ
কাঁপছিল বাসনাময় বাতাসে,
নীলাভ সে চোখের
পাশঘেষা নগ্নতাখানি ঢাকা ছিল কাজলের প্রলেপে,
নীলাভ সে চোখ ঘিরে...
যে আকাশে সাঁঝবেলাতে তোমার আমার দীর্ঘশ্বাস একত্রিত হয় বারংবার,
যে আকাশের বুক আন্দোলিত হয় শেষ বিকেলের পাখিদের নিড়ে ফেরার কলতানে ,
যে আকাশ প্রতিসাঁঝে নদীর বুকে আঁকে নিজের প্রতিচ্ছবি,
যে আকাশের এককোনে তোমার...
বাইরে থেকে দেখো আমায়-
আনন্দিত হবে,
অথবা জমা হবে সীমাহীন ক্রোধ।
ভেতরবাড়ি দেখো-
পথ হারাবে,
এখানেই তুমি সম্পুর্ন আগন্তুক।
সবুজের পথে, ধূপছায়া রথে-
একপা দুপা এগোই।
মাটির বুকে পরম সুখে-
দাঁড়িয়ে আছে সেগই।
একটু দূরে মধুর সুরে-
বাজে পোড়া বাশি?
সিঁদুর সাঁঝে, গোধূলী মাঝে-
লাজুক রাঙ্গা হাসি।
ঐত সেথায়, প্রদীপ যেথায়-
জোছনাতে হার মানে।
একফালি চাঁদ, আলোকিত রাত-
মনের বাসনা...
এ আমার কাঁচের হৃদয়
সচ্ছতা যাকে নগ্নতায় ডোবায়
চাইলেই তুমি দেখতে পারো
এপাশ কিংবা ওপাশ
অথবা
আমাকে ভেদ করে আমার আমিকে।
সচ্ছতা আমার ভাললাগা নয়
কাম্যও ছিল না কোনকালেই-
আমি চাই সচ্ছতা পরিণত হোক ভারী প্রলেপে
অনেকাংশে আয়নার মতন,
যেখানে...
©somewhere in net ltd.