নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার মাঝেই খুঁজে ফিরি সুখ নামক সুক্ষ অনুভূতিগুলোকে।
এখানেই একচিলতে আকাশে সঞ্জিবনীর অন্বেষণ
এখানেই দিগন্তের এপার ওপার ঘিঞ্জি প্রেমের পুর্ণতা
এখানেই বজ্রদাহনেও সমস্বরে গান গায় চলচঞ্চলা রুপসীরা
এখানেই অযোগ্যের অবগাহনেও উদগীর্ণ হয় প্রেম
এখানেই পুষ্পিত তৃনদলে সমাহিত হয় অবরুদ্ব যৌবন
এখানেই শতছিদ্র ক্রোধের...
যখন খন্ডিত আকাশের কান্নায়
তিলে তিলে ভাল হতে থাকে অভিসারিকা জীর্ণ বসুধার মন,
আঁধারের মায়াবলে জর্জরিত শোষিত চাঁদ সেসময়
চুপচাপ দিয়ে চলে মুক্তির স্লোগান।
কালো কাপড়ের আড়ালে ক্ষীণাঙ্গ চাঁদ আয়োজন করে একটি নিঁখাদ প্রতিবাদ...
ইচ্ছে হলেই ঝাপ দিতে পারতাম শব্দজলে,
জাত সাঁতারুর মত সাঁতরে পার হয়ে যেতাম
জীবনানন্দ হতে বুদ্ধদেব বসুর উত্তরতিরিশ পর্যন্ত।
ইচ্ছের এখন ঢের বয়স হয়েছে,
সুইমিং কস্টিউমটাও ঢিলে হয় আজকাল।
তীর ধরে হেটে হেটে বাড়ি ফিরি
অভ্যাসবশত...
আজ একটি প্রাপ্তবয়স্ক ভালবাসার মৃত্যু হতে পারে,
আমার কিছু ফুল প্রয়োজন সমাধিতে দেবার জন্য।
আমি প্রতারক নই।
আদ্রতায় ফেলে রাখা প্রেমপত্রের ভুড়
ডায়রিতে চুপসানো শুকনো পাঁপড়ি
যুগলবন্দী আলোকচিত্র
আদুরে চাদরের ম্রিয়মাণ আবদার,
কিছু লাল বেগুনি মুহুর্ত-
বদলে যাওয়া...
বৃষ্টির আলিঙ্গনে আজ এখানে আগুন নেই,
লুটে গেছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী
মুছে দেবার আশ্বাসে বোকা জল
অজান্তেই স্পষ্ট করে গেছে পোঁড়া ক্ষত।
বাতাসের আগমনে আজ এখানে ধুলো নেই,
মিশে গেছে মৃত্তিকার মন্ডপে,
অজান্তেই শুকিয়ে গেছে বৃষ্টিচুম্বনে জেগে...
এপাশ ফিরে শোও
দেখ চারপাশে সব কামুক ধোঁয়া
যাচ্ছে সময় চুমি,
সুদীর্ঘ রাত একলা একা
কেমনে রবে তুমি?
এপাশ ফিরে শোও
দেখ প্রনয় রাতের ঘামকুমারীরা
আহুতি চেয়ে ফোঁটে,
হৃদয় হতে ব্যকুলতা নেমে
ঠিক তোমাতেই লোটে।
এপাশ ফিরে শোও,
কয়েকটা পাতা উলটে...
আজ দ্বি-প্রহর হতে মধ্যিরাত অবধি
শ-খানেক অঙ্গভূষণে সাজাবো অনুভূতিদের,
কিছু কিছু অনুতাপের আস্তরণে ফুরোবো
অবাধ্য সম্পর্কের টানাপোড়ন।
মাঝখানে কিছু সময় পেরুবো
বাস্তবতার ছদ্মবেশী বুনন কর্ম শোধনে,
যেখানে সমবেত কণ্ঠস্বর আমাকে নামিয়ে দিতে চাইবে সফেদ ডোবানালায়।
সংগ্রামী...
অথচ
একটা সময় আমি ছিলাম শান্ত নদীর মতন,
বুকজুড়ে ঠান্ডা কোমল স্রোত স্বাধীনভাবে
বিচরণ করতো বৌদিদের শিরদাঁড়ায়,
বিশ্বাস, ভক্তি, ভালবাসা, রাগ, জেদ, আগুন, অহংকার, ধ্বংস, সৃষ্টি, উল্লাস, এসবে কবিতা হত রোজ
বোসপাড়ার কালো...
আজ যা আমার প্রিয়
একসময় তাই ছিল তোমার।
নিজস্ব ভাললাগাগুলো আজ সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়ে
কারাবন্দী চোরকুঠুরিতে।
সেই প্রথম যেদিন হাটুজলে নেমে পদ্মফুল হাতে নিয়ে বলেছিলে ভালবাসি
সে থেকেই পদ্ম আমার...
ভারাক্রান্ত আকাশটাকে নীল হারাতে দেখি বারংবার,
আমি জানি,
আকাশ কখনো অন্ধ নয়।
নিষ্প্রভ এ প্রানে আলোর তৃষ্ণা
হাটুগেড়ে পড়ে থাকে কৃষ্ণপক্ষে,
গন্তব্য ভেবে আবিরের ভৈরবী মালঞ্চ-
দুর্বোধ্য ত্রাসের কবলে পড়ে শেষ অবধি
বিচ্ছেদের দখলেই থাকে,
অবশেষে পণ করে...
যেখানে তুমি আমি অভ্যস্ত কদাকার জীবনযাপনে
যেখানে গাড়ো আগুনে পুড়ে যাওয়া খোলস শরীরেও আমরা যৌনতা খুঁজি,
যেখানে সর্বভূক লালসার উত্তাপে হয় চেতনার আবাদ
যেখানে পৈচাশিক আনন্দের পরিমানে ঘাটতি মানেই
নতুন একটি দেহ
নতুন একটি লাশ,
এমন...
তোমার দুটি চোখে আজ তীব্র হাহাকার কেন?
বেশ কদিন আগেও দেখেছি
অমৃতের স্বীকৃতি ছিল সমস্ত পদে,
কল্যাণময় অসীমের মায়ায়
অমর কাব্যে তোমার দিকবিদিক ছোটা,
তবু আহা! সেকি শান্ত চোখ!
অবিশ্রান্ত জাগরণ দিবসের পর
নিস্তব্ধ নিশিতেও তোমার চোখ...
কল্পনার সেইসব দিনরাত্রির পর
একদিন সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয়ের মাঝামাঝিতে
উত্তরাধিকার সূত্রে জেগে উঠল প্রেম,
সদ্যফোঁটা ফুলের মতন
মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠল পানপাত্র
আমি অগ্রসর হলাম।
উল্লাস সাথী করা এ নিরুদ্দেশ যাত্রায়
কৌতূহল বশত আঙুল ডুবিয়ে
একফোঁটা...
তোমাদের এই শহরের প্রতিটি শব্দই উত্তপ্ত
এরা খুব সহজেই নির্বিকার জ্বলে,
অদক্ষ মস্তিষ্কে ঘোরপাকের পর।
ব্যক্তিগত বলপয়েন্টের মাথায় এসে ক্লান্ত হয়ে ফিরে যায় সময়ের গহ্বরে অনেকেই,
জেনেশুনে কেইবা আগুনে ঝাঁপাতে চায়?
তোমাদের এই লোকালয়ে
প্রতিদিন কতশত...
©somewhere in net ltd.