নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার মাঝেই খুঁজে ফিরি সুখ নামক সুক্ষ অনুভূতিগুলোকে।
কখনো
জলের তরলতা আমায় মনে করিয়ে দেয়
মধ্যরাতের বুকে আমার অবস্থান।
কখনো
কাগজের বুক চিরে সলতে সুতোয় গাথা কবিতার
কালি মুছে হয় প্রেম।
কখনো
নৈঃশব্দের নক্ষত্র দ্বীপেরা হাতছানি দিয়ে ডাকে
চিহ্নহীন আলোকবর্তিকার বেশে।
কখনো
রাত বিরেতের দমকা বাতাস
ফিরিয়ে নিয়ে চলে...
ঊষালগ্নের বছরগুলোতে যে শিশু মায়ের কোল হতে
নেমে এসেছিলো মাটিতে,
আজ সে যৌবনের মধ্যমায়
জন্ম দিতে প্রস্তুত নিজের প্রতিবিম্ব।
দুরত্ব তেমন নয়
হবে হয়ত কুড়ি কিংবা বাইশ,
সম্পর্কের লতাপাতার বেড়াজালে
একটি নিটোল যুবতীকে
মহাকাল সাজিয়ে নিচ্ছে
নতুন বোতলে পুরোনো...
হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর আগে কবি লিখলেন তার অমর কবিতা,
মেমসম মহিলা ডাক্তার তার কবিতায় হাত বুলিয়ে
এগিয়ে গেলেন
তারপর হইচই
হট্টগোল
শেষমেশ চিৎকার করে কে যেন বলতে লাগলেন
কবি তার কবিতার শেষ লাইন লেখেননি।
শুন্য খোলস...
একজন কবির মৃত্যুতে
ভারী বাতাসের এক মিনিট নীরবতা পালনের পর
শবের ঘ্রানখানি সরে যাবে দখিনায়,
শোকমাটির বুকে পুনরায় জন্ম নেবে এক কবিতার গাছ।
অতঃপর
হাসবে ঘাসেরা, হাসবে শুকনো ফুল,
ঘোর কেটে নাচবে তাহাদের গুল্মলতার দুল।
আমি চাইনা শব্দগুলো বন্দি থাকুক
তোমার বুকসেলফের জেলে,
সাজা পাবার জন্য জন্মায়নি এরা,
খোলা বাতাসে
মুড়ির কিংবা
বাদামের ঠোংগাতেই হোক না কেন-
তোমার হাজার দিনের অবহেলা পেরিয়ে
অন্তত একবার চোখে পড়ুক প্রেমিক যুগলের।
কিছু বিভৎস লালায় কদাকার জীবনযাপনের পর
দৃশ্যমান অনুগত্যের শেকলে হাপিয়ে ওঠা মানুষগুলো ঠিক করল-
তারা যোগ দেবেন লাশের মিছিলে।
অতঃপর তারা লাল রঙে বদলে দিল নদীর জল,
ফুলের সুবাস ভুলে সারাগায়ে মেখে নিল বারুদের...
বুনেরো,
প্রতি বছরই কাঠফাটা শুষ্কাক্ষীতার অবসানে
ধিরপায়ে শৌখিন প্রকৃতির সঙ্গী হয় জাগতিক বসন্ত।
হাসতে হাসতে আনন্দেরা লুটোপুটি খায় জলে-স্থলে,
ডাল ফেটে এক এক করে বেরিয়ে আসে সৌন্দর্যসম্ভোগের বিস্তির্ণ উপকরণ,
আমিও প্রখর অপেক্ষায় থাকি আপন বসন্ত...
সচ্ছ কাচের আবছা প্রতিবিম্বে
বাধা পড়েনা এপারওপার।
চোখ মেলে দেখ
দেখতে পাবে সূর্যদয় হতে সুর্যাস্তের ডানা ঝাপাটানো রৌদ্র কোলাহল।
যদি খুঁজে পেতে চাও ব্যক্তিগত অতীত,
লেপে দিও জীবনের একপাড়।
সে
টলমলো চোখের অশ্রু ছোবেনা
শোনাবেনা বেকে যাওয়া কাজলের...
চৈত্রের শেষ রোদের স্পষ্ট সাক্ষর রেখে
আলোর ক্ষয়ে
হারিয়ে গেছে কাবেরীরা। নগরীয় রাত্রিতে জোছনা গেছে মেঘের বাড়ি,
লগ্নের প্রতাপে অন্যসব দিনের মতন
গৃহস্বামীরর খরখরে নাকডাকার গুঞ্জন
শান্ত করে গেছে চঞ্চল প্রকৃতি। মেরুনিশিথের ধুলোরাও বোঝেনি
নিস্তব্ধ আধারে
কখন...
ভাজ দেখেছি
ভাজ খুলেছি
ডুবেছি ভাজের বুকে। প্রথম খোলা বই-
মহুয়া মাতাল ঘ্রাণ,
প্রথম কৈশোর-
ছলছলে আবৃত প্রান। প্রথম মাইনে-
এক খামে জীবনের গান,
প্রথম চিঠি-
থরে থরে সাজানো অভিমান। প্রথম প্রেম -
আঁটসাঁট রুদ্বশ্বাসের দিন,
প্রথম নারী-
যাতে সমগ্র যৌবন...
(১)
আমার জাগা রাত্রিগুলো
কিংবা দিনের কল্পধুলো
তাতে, ছাই পড়েছে ছাই,
শপথ করে বলতে পারি
শুভ্রবসনা অবুঝ নারী
কোথাও তুমি নাই।
(২)
খুব মনে আছে ঠিক রোদ্দুর পাছে
মেঘ বৃষ্টির খেলা,
জল ভ্রমনের পরেই তোমার শুন্য ঘরেই
আমার বৃষ্টি বেলা।
(৩)
শ্রাবনের ডাকে...
দুরত্ব বোঝার জন্য এখানে ফেলেছি পায়ের ছাপ
অবশেষে দেখা হয়ে গেল তাদের সাথে।
দৃষ্টি দুরত্ব
মন দুরত্ব
ছোঁয়া দুরত্ব
অশ্রু দুরত্ব
ভুল দুরত্ব,
ছায়া দুরত্ব দর্শনের পর
তুমি দুরত্বকে সরলরেখা ধরে কাছে টানতেই
আমি হারালাম প্রেম,
বর্ষা হারালো কদম
কবি হারালো...
প্রভাত প্রাতে ঘাসের বুকে রাঙা চরণ দুখানি মেলে যখন রৌদ্র পোহাস
সে ছবিখানা চোখে করে দুলতে দুলতে কাজে যায় বাশার আলী, দুধওয়ালা, রদ্দিবেচা কিশোর,
বাদ যায়না রাস্তার ওপাশের দোকানদার ইদ্রিসও।
তাদের নিশ্বাস ভারী...
যদি ঘোরলাগা আঁধার হতাম-
দুরের টিমটিমে আলোকে, কাছে পাবার প্রবল টান থাকতো,
যদি আঁধফালি চাঁদ হতাম-
পুর্ণিমার জন্য অপেক্ষা থাকতো,
যদি গোলাপের বনের একমাত্র গোলাপ হতাম-
আরো একটি গোলাপের আকাঙ্ক্ষা থাকতো,
যদি হতাম ক্যারাবীয় দুর্দান্ত নাবিক-
একদিন...
পথের নেশায় বুদ সম্মুখে অমানিশা
খুঁজে চলি নিত্য আপন পথের দিশা,
ভুলচুক পেরিয়ে যে পথে যাই
প্রাতঃ হতে সান্ধ্য পথেই পথ হারাই।
আলোআধাঁরীর খেলায় যখন রাত্রি মাতে
কখনো ইচ্ছে, কখনো হেলায় নতজানু হই তাতে,
তবু এ...
©somewhere in net ltd.