নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার মাঝেই খুঁজে ফিরি সুখ নামক সুক্ষ অনুভূতিগুলোকে।
কিছু ছোট ছোট কবিতা
কিছু হৃদয় স্পর্শক্ষম চিরকুট
এলোমেলো আঁকাবুকি, কাটাছেড়া
জমে জমে আস্তাকুড় হয় দিনকাল।
গ্রীস্মের এক একটা দুপুর
কথা ছিল যাবে নষ্টদের দখলে-
কথা ছিল জ্বলে যাবার,
ছাই হয়ে উড়ে যাবার
যেখানে স্নায়ুদের ঘর্ষনেও আগুন জলে,
আলো...
দোতলার বাম পাশে
তিন বেড রুমের পরতে পরতে
তোর আমার কিছু সপ্নদের বসবাস ছিল,
শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত চকচকে ঘরগুলো
তৃষিত প্রানে ছড়িয়ে দিত উদ্বেগরহিত আনন্দ,
এলোমেলোভাবে তোর ছড়ানো ছেটানো কাপড়গুলোর
ভাজ করাতে মিলত সত্যের উপলব্ধি হতে উৎপন্ন
গভীর...
১ লা ফাল্গুনের বাসন্তি-বিদিশায় সবাই যখন মত্ত
আমার চৌহদ্দি জুড়ে
কোন রঙীন ফুলের দেখা নেই,
কোকিলের আনাগোনা নেই
শুধু ঠোটের কার্নিশে আটকে আছে সচ্ছ হাসি।
জানালা গলে যেইনা মুখ বাড়িয়েছি
স্নানভেজা অষ্টাদশী বেলা ভাবীর বাসন্তি শাড়ি
ছুঁয়ে...
গন্তব্য আলাদা আলাদা এমন সব মানুষদের ভিড়ে
আমি ঊঠে বসেছি
চাকার গতির সাথে সাথেই সবাই ছুটে চলছে
সামনের ভদ্রলোক
খুব ভাল করে ছাটা চুল, দেখে মনে হয় ভদ্রপাড়ার বাবু
ক্লান্তির ছাপ নেই
তবুও ঘুমুচ্ছেন
অথচ তিনি চলছেন...
মনের নদীটার পাশ ঘেঁসে কত-শতবার হেটে গেছি
তুমি, আমি, আমরা
ঝাপাতে পারিনি জলে অথচ সাঁতারে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানটুকু আমাদের দখলেই ছিল।
পাঁচটি কার্তিকের খড়খড়ে রোদের পর
আবার যখন আমরা মুখোমুখি হবো
তুমি,আম আমরা,
হীরের নাকফুলের...
আষাঢ়ের এ প্রভাতে
কবি যখন এ কবিতা লিখছেন,
ছাতি-ছিদ্র ভেদ করে দুর্বল দানারূপে রমণীর
শরীর চুমে যাচ্ছে বৃষ্টিবিন্দু।
হোক কবিতায় কিংবা রমণীর উষ্ণতায়,
ঢলেপড়ার বদভ্যাসটা বৃষ্টির আর গেলোনা।
মেঘলা মহুয়ার সতেজতা রমণীর ভাললাগা হতে পারে,
তথাপী দুশ্চরিত্র...
অবাধ বাতাসের মত শেষ যেবার তুই এলি-
আমি খুব আশা করেছিলাম কিছু ভালবাসা চেয়ে নেব তোর কাছ থেকে,
বলব ভেবেছি না বলা কিছু কথা।
সর্বনাশ নিশ্চিত জেনেও ছোট একটা ডিঙ্গি নিয়ে ভাসতে চাচ্ছিলাম...
আগুন লেগেছে ভাই
লেগেছে আগুন-
এই যে মশায়
এবার ঘুম থেকে যাগুন,
চারিদিকে চিৎকার
আর হইচই-
আঁতকে উঠে বলি
কই ভাই কই?
ধরফর করে বসে
দেখি জানালায়-
নড়বড়ে টিনশেড
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে সেথায়।
সিঁড়ি বেয়ে ছাদে যাই
দেখি ধোঁয়া নাই-
আগুন লেগেছে কই
সেটা জানতে চাই?
ঘর...
আমি আয়নার সখ্যতা প্রত্যাখ্যান করে মুখ দেখি ঘোলা জলে।
আক্ষেপ বলে শব্দটি আমার খুব অচেনা-
দেবতাদের সান্যিধ্যে আমি বেমানান বটে
পুজারী সেতো ছোবেই না অলক্ষুণে ভেবে,
দেবতা চাইনি
পুজারীও না।
আমি চেয়েছি বিশাল সমুদ্রের মাঝে একটুকরো...
জরায়ু হতে ছিটকে পড়া
ভিন্ন ভিন্ন মানুষগুলো এ শহরে
দল বেধে ছুটতে থাকে শৃঙ্খলিত হাতকড়ার চাবির খোঁজে।
যোজন যোজন দুরের প্রকৃতিপথ ছাড়িয়ে
কিছু মানুষ বসতি জমায় ব্যস্ত শহুরে আত্বায়।
যদিও কোন পথে সুর্য অস্তনমিত হয়...
এক প্রহরের ঘুমে
সুখ সপ্ন চুমে
সঙ্গী হবে শীত-
দুই প্রহরের পর
আমার নিরব ঘর
গাইবে রাত্রিগীত।
তিন প্রহরের দ্বারে
স্পষ্ট ঘুমের ভারে
হারিয়ে যাবে পথ-
চার প্রহরের দেশে
ফিরবে আঁখি শেষে।
চড়ে ঘুম ভাঙ্গানির রথ।
মধ্যবিত্তের রক্ত প্রশ্নের নেশায় বুদ থাকে,
সবাই বলে
ওপরতলার দিকে চোখ তুলে তাকাতে নেই
জল ঢেলে দিতে পারে যখন তখন
অল্পসল্প সাঁতার জানা থাকলেও এ জল নাকি বিষাদে ডোবায়
মধ্যবিত্তের রক্ত প্রশ্নের নেশায় বুদ থাকে,
নির্গুণ...
গতরাতে কবিদের আস্তানায় ঢুঁ মেরেছিলাম,
অধুনা ভেজা ভেজা কবিতার পরোটা-
চেলাই মদের সনেটের সাথে
ফুঁ দিয়ে দিয়ে গোগ্রাসে গিলেছি গোটা চারেক নাট্যকবিতা।
অধুনা প্রেমের কবিতায় ভরিয়ে নিয়েছি প্লেট,
ঘিয়ে ভাজা মচমচে ছড়া আর পোঁড়া প্রপঞ্চের...
তোর ব্লাউজের চওড়া কিনার
স্পর্ধা বাড়িয়েছে বারংবার।
ইচ্ছে হতো দর্জি হয়ে ওপর থেকেই মেপে দেই অবাধ্য যৌবন।
পাশাপাশি দুটি বৃত্ত দেখার শখ বহু বছরের,
অধীর আগ্রহে তাকিয়ে থেকেছি,
অপেক্ষা করেছি, ভেবেছি
রক্তে জোয়ার এলে আপনাআপনি খুলে...
টিমটিমে কৃত্রিম তারার মতন
জোঁনাকিরা আলো দেয় সাঁঝে
খোপার বাধনের ব্যকুলতা থাকে
এখনো বকুল মাঝে।
মেঘগুলো ছুটোছুটি করে সময়ে অসময়ে,
সাদা, ধুসর, কালো হয় ক্ষণেই
এখনো সেসব লাল ফুলেরা
ভেজে-কৃষ্ণচূড়ার বনেই।
কবিতার বইগুলো সেলফে ঝিমোয়
ধুলোমাখা অপেক্ষায়- কষ্টে দুচোখ...
©somewhere in net ltd.