নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো আলোর পথে...

নতুন-আলো

আলো আসবেই

নতুন-আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবাহের ক্ষেত্রে কুফু প্রসংগ

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮



ইসলামী শরীয়াত স্বয়ং মুসলমানদের কাছেও এরূপ দাবি করে যে, সম্পর্ক সেই নারী ও পুরুষের মধ্যে স্থাপিত হোক যাদের মধ্যে সার্বিক দিকের বিচারে প্রেম-ভালোবাসার পরিবেশ গড়ে ওঠার আশা করা যায়। যেখানে এরূপ আশা করা যায় না, সেখানে আত্মীয়তা করা ‘মাকরূহ’। এ কারণেই নবী স. বিবাহের পূর্বে পাত্রী দেখে নেয়ার আদেশ (অথবা অন্তত পরামর্শ) দিয়েছেন।

“তোমাদের মধ্যে কেউ যখন কোন নারীকে বিবাহের পয়গাম পাঠায় তখন যতদূর সম্ভব তাকে দেখে নেয়া উচিত যে, তার মধ্যে এমন কোন গুণ আছে কি ন যা তাকে বিবাহ করার জন্য আকৃষ্ট করে”।

এজন্যই বিবাহের ব্যাপারে শরীয়াত ‘কুফু’র বা সমপর্যায়ভুক্ত হওয়ার প্রতি দৃষ্টি রাখা উত্তম মনে করে এবং অসম পর্যায়ের বিবাহকে উপযুক্ত মনে করে না। যে নারী ও পুরুষ নিজেদের নৈতিকতায়, ধর্মানুরাগে, পারিবারিক রীতি-নীতিতে, সামাজিক মর্যাদা ও জীবনযাত্রায় পরস্পর সমপর্যায়ের অথবা প্রায় কাছাকাছি- তাদের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সম্পর্ক গড়ে ওঠার খুবই আশা করা যায়। তাদের পরস্পরের বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে এও আশা করা যেতে পারে যে, তাদের উভয়ের পরিবারও এ ধরনের আত্মীয়তার ফলে পরস্পর একাত্ম হতে থাকবে। পক্ষান্তরে যাদের মধ্যে এ সমতা বর্তমান নেই তাদের ব্যাপারে খুবই আশংকা রয়েছে যে, তাদের পারিবারিক জীবনে এবং আন্তরিক ও মানকি সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরস্পর একাত্ম হতে পারবে না। স্বামী-স্ত্রী যদিও একাত্ম হয়ে যায় তবুও তাদের উভয়ের পরিবারের একাত্ম হয়ে যওয়ার খুব কমই আশা করা যায়। ইসলামী শরীয়তে ‘কুফু’র ক্ষেত্রে এটাই হচ্ছে মূল বিবেচ্য বিষয়।

উপরে উল্লিখিত উদাহরণ থেকে একথাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, নৈতিক নির্মলতা ও সতীত্ব সংরক্ষণের পর দ্বিতীয় বস্তু, যা ইসলামী দাম্পত্য বিধানের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য, তা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ভালোবাসা ও হৃদ্যতা। যে পর্যন্ত তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে এগুলো বিদ্যমান থাকার আশা করা যায়, ইসলামী বিধান তাদের এ বৈবাহিক সম্পর্ককে যথাযথভাবে হেফাযত করার জন্য পুর্ণ শক্তি ব্যয় করে। কিন্তু যখন এ প্রেম ও ভালোবাসা অবশিষ্ট থাকে না এবং তার পরিবর্তে আন্তরিক শূণ্যতা, পাষাণ মনোবৃত্তি, বিদ্বেষ, মনুষ্যত্বহীনতা, উপেক্ষা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়, তখন দাম্পত্য বন্ধনকে খুলে ফেলার দিকেই আইন ঝুঁকে পড়ে। এ সূক্ষ্ম বিষয়টি হৃদয়ঙ্গম করা প্রয়োজন। কেননা যারা এ সূক্ষ্ম বিষয়টিকে উপেক্ষা করে ইসলামী আইনের মূলনীতিগুলোতে এর অংশ ও শাখা-প্রশাখা স্থাপন করে তারা পদে পদে এত মারাত্মক ক্রটি করে যে, এতে আইনের মূল উদ্দেশ্যই বিলুপ্ত হয়ে যায়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৬

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৮

নতুন-আলো বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক, শুভ রাত্রি

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিবাহ কোনো আণন্দময় কিছু না।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

নতুন-আলো বলেছেন: একেক জনের অনুভূতি একেক রকম.........
কারো কাছে মহা আনন্দের

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সহমত। আলোচনা ভালো লেগেছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

নতুন-আলো বলেছেন: ধন্যবাদ জুনায়েদ ভাই..........
আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪২

আরোগ্য বলেছেন: কিভাবে যে আপনার পোস্ট গুলো চোখ এড়িয়ে গেল। খুব সুন্দর একটা বিষয়ে লিখেছেন। বেশ ভাল লাগলো।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০

নতুন-আলো বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য, আমার লেখা খুঁজে খুঁজে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা বোধ করছি। আপনার লেখা শীগ্রই পাবো বলে আশা ব্যক্ত করছি।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই সালাম রইল,
চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে লিখেছে। অনেক নতুন কিছু পড়ে জানলাম।
ইসলামে দৃস্টিতে বিবাহকে কিভাবে দেখা হয় সেটা আমি তোমার স্ত্রী, তোমার অনুপমা সঙ্গী! Click This Link দেখানো চেস্টা করেছি, পড়ে আসার জন্য অনুরোধ রইল!
আমাদের দেশে বিবাহের নামে নারী পুরুষরা যা করে বেড়ায় সেটা ১০০ ভাগ শরীয়তের পরিপন্থি। ধর্ম নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নাই। এই সব বিষয়ে কথা বলতে গেলে আপনি হবেন হয় জংগি না হয় ক্ষ্যাত।

আরও এই সব বিষয় নিয়ে লেখার অনুরোধ রেখে গেলাম।
আল্লাহ আপনার উপর রহমত বর্ষন করুন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

নতুন-আলো বলেছেন: প্রিয় ভাই, আপনার লেখার আমি একজন গুণমুগ্ধ পাঠক। বেশির ভাগ সময় মোবাইল থেকে লেখা পড়া বলে মন্তব্য করা হয় না। আমি আপনার এই লেখাটিও খুব খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছি, কয়েকবার পড়েছি। খুব ভালো লেগেছে।

ইনশাআল্লাহ, আপনার মন্তব্য পেয়ে লেখার প্রেরণা পেলাম। আল্লাহ চাইলে খুব শীগ্রই পোস্ট দেব। আপনার উপর শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক

আপনি ঠিক বলেছেন, মাঝে মাঝে আমাকেও এমন ট্যাগ লাগাই অনেকে। আমি পরোয়া করি না। সত্য বলতে কারো কটু কথাকে গায়ে মাখা চলে না। দোয়া করবেন

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: আল্লাহর রাস্তায় চলার জন্য একমাত্র আল্লাহকে ভয় করবেন। ব্লগে আপনার লেখার বিরোধিতা করার লোক অনেক বেশি হবে। ভয় পাবেন না। নিশ্চয় আল্লাহ তার প্রিয় বান্দার সাথেই থাকেন।
যতটুকু পারি আমার সামর্থ্য নিয়ে আপনার পাশেই থাকবো, ইনসাল্লাহ।
আপনার জন্য আমার মন থেকে দোয়া রইল।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

নতুন-আলো বলেছেন:




মাশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।
আপনার কথায় আল্লাহ তায়ালা মনে সাহস বাড়িয়ে দিলো।
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.