নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিকমাত কিতাবকে মানসুখ করে

১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:১৮



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

* রাসূল (সা.)পূর্ণাঙ্গ দ্বীন শিক্ষা দিয়েছেন কিতাব ও হিকমাতের মাধ্যমে। কিতাব মানসুখ হওয়ার কথা থাকলেও হিকমাত মানসুখ হওয়ার কথা নাই।হিকমাতকে অধীক কল্যাণ (খাইর) বলা হয়েছে। আর হিকমাত দিয়েই আল্লাহর পথে ডাকতে বলা হয়েছে। হিকমাতে অধীক কল্যাণ (খাইর) থাকায় হিকমাত কিতাবকে মানসুখ করবে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০১। আর তাদের মধ্যে কিছু লোক বলে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালে কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করুন।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

* হিকমাত দু’ প্রকার। ১। ইহকালিন কল্যাণের (খাইর) হিকমাত ২। পরকালিন কল্যাণের (খাইর) হিকমাত।ইহকালিন কল্যাণের (খাইর) হিকমাত হলো ইহকালিন কল্যাণের জ্ঞান-বিজ্ঞান। পরকালিন কল্যাণের হিকমাত হলো ফিকাহ। ডাক্তার যদি হার্টের রোগীকে গরু ও খাসির গোস্ত খেতে নিষেধ করেন তাহলে কিতাব দিয়ে বলা যাবে না যে আল্লাহ যে গোস্ত খাওয়া হালাল করেছেন আপনি তা’ খেতে নিষেধ করার কে? এখানে কিতাব মানসুখ হয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত হিকমাত বহাল হবে। মহীলা সার্টেন্ট না থাকলে পুরুষ সার্জেন্ট দিয়ে মহীলার সার্জারী এবং পুরুষ সার্জেন্ট না থাকলে মহীলা সার্জেন্ট দিয়ে পুরুষের সার্জারী করা যাবে। এক্ষেত্রে পর্দা সংক্রান্ত কিতাবের বিধান মানসুখ হবে।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।

সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।

সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী (র.) বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।

* যে কেহ কোন কিছুকে ফিকাহ বলে দিলেই সেটা ফিকাহ হবে না। কোন কিছু ফিকাহ হতে আমিরের অনুমোদন লাগবে। সবচেয়ে পরাক্রান্ত খলিফা আমির হারুনুর রশিদ পরিশোধীত হানাফী ফিকাহ অনুমোদন করেছেন। রাসূলের (সা.) হাদিস অনুযায়ী শুদ্ধ যুগ সাহাবী, তাবেঈ ও তাবে তাবেঈ যুগ।আমির হারুনুর রশিদ তাবে তাবেঈ ছিলেন। তাঁর পরের যুগ থেকে তাঁর হুকুম মানসুখ করার ক্ষমতা মানসুখ। কারণ রাসূল (সা.) তাদের কথা বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন। হানাফী ফিকাহ ছাড়া আমির অনুমোদীত আর কোন ফিকাহ না থাকায় আমির অনুমোদীত হানাফী ফিকাহ ছাড়া আর কোন কিছুকে ফিকাহ মানার কোন সুযোগ নাই। হানাফী ফিকাহেরও যে অংশ আমির হারুনুর রশিদ অনুমোদীত নয় তা ফিকাহ নয়।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* আমির অনুমোদীত হানাফী ফিকাহের গরমিল আয়াত মানসুখ এবং হাদিস বাতিল। এমনকি ইহকালিন কল্যাণের হিকমতের মুমিন জ্ঞানীদের সর্ববৃহৎ দলের হিকমাতের গরমিল কিতাব মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে। সুতরাং কিতাব ও হাদিস দিয়ে মুমিন ডাক্তারদের সর্ববৃহৎ দলের হিকমাতের বিরোধীতা করা যাবে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:০১

নতুন বলেছেন: বতর্মানে মানুষের জ্ঞানের লেভেল সবোচ্চ স্থরে আছে এবং প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছে। তাই মানুষ এখন আর জ্ঞানের জন্য কোন ধর্মীয় কিতাবের কাছে যায় না।

কোন কিছু জানতে মানুষ গুগুল করে, চ্যাটজিপিটির কাছে জিঙ্গাসা করে। গবেষকেরা নতুন নতুন থিউরি নিয়ে আসছে সবার সামনে।

বর্তমানের দুনিয়ার সব ধর্মের কিতাবই অচল।

১১ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীনদের ধর্মের গুরুত্ব নাই। তবে ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করে না।

২| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১

যামিনী সুধা বলেছেন:


পড়াচ্ছেন কম্প্যুটার, পোষ্ট লেখেন বেদুইনদের রূপকথা নিয়ে? বেতন তো দেয় সরকার। চাকুরি ঠিক আছে তো?

১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:০৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি যে বিষয়ে লিখি সে বিষয়ে আপনার জ্ঞান নেহায়েত কম।

৩| ১৪ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।

১৪ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ওয়ালাইকুমুস সালাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.