![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঝিনাইদহঃ
দারিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে জীবীকার সন্ধানে মিলন মিয়া (৩২) পানি সরবরাহ প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ নিয়ে যান যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়ায়। সেখানে কর্মরত অবস্থায় বুধবার ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় নিহত হন তিনি। আর এই ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতেই চুরমার হয়ে যায় মিলনের স্বপ্ন। মিলন মিয়ার বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার কানবিল গ্রামে হলেও তিনি ছোট বেলা থেকে নানা বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাবলা মাথাভাঙ্গা গ্রামে সৎ পিতা ফজেল মিয়ার কাছে বড় হন। তার পিতার নাম মৃত সদর উদ্দীন এবং মাতার নাম রোকেয়া বেগম। মিলা ওরফে ঝিলিক নামে মিলনের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মিলনের সৎ পিতা ফজেল মিয়া জানান, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে চার লাখ টাকা খরচ করে মিলনকে লিবিয়ায় পাঠায়। এই টাকা মিলনের শ্বশুর ও তিনি বহন করেন। তিনি আরো জানান, বুধবার দুপুরে মিলনের এক সহকর্মীর কাছ থেকে মিলনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হন তার পরিবার। বৃহস্পতিবার মিলনের লাশ উদ্ধার করে ত্রিপলির একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে লিবিয়া থেকে মিলনের এক বন্ধু তার বাড়িতে ফোন করে জানায়। মিলনের একমাত্র বোন রেশমা খাতুন ও সৎ ভাই রিপন মিয়া ভাইয়ের লাশটি ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান। মিলনের মা রোকেয়া বেগম ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই নির্বাক। তিনি ছেলেকে হারিয়ে হতবিহবল। যাকেই কাছে পাচ্ছেন তাকে জড়িয়ে ধরে তিনি মিলনের খবর জানতে চাচ্ছেন। মিলনের মামাতো ভাই আব্দুল মালেক জানান, মিলন ছিল শান্ত প্রকৃতির। তার সঙ্গে কারো কোন বিবাদ ছিল না। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত হেসেন জানান, তিনি মিলন নামে মহেশপুরের এক ছেলের মৃত্যুর খবর মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছে বলে জানান। তবে এ ব্যাপারে সরকারী ভাবে কোন তথ্য তাদের কাছে এখনো আসেনি। এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তার মিলনের লাম ফেরত চেয়ে বৃহস্পতিবার যশোর কর্মসংস্থান অফিসে নিহতর পরিবার আবেদন করেছে।
©somewhere in net ltd.