নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“কলিমদ্দিকে আবার দেখা যায় ষোলই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাজারের চা স্টলে। তার সঙ্গীরা সবাই মুক্তি, সে-ই শুধু তার পুরনো সরকারি পোশাকে সকলের পরিচিত কলিমদ্দি দফাদার।”

কলিমুদ্দি দফাদার

“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”

কলিমুদ্দি দফাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল কি জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮


গত এক সপ্তাহে দেশি মিডিয়ার উত্তেজনা ডাকসু নির্বাচন। এবারে সব দলের প্রার্থীরা ছিল স্বীয় অবস্থান থেকে অন্যান্য; হুট করে বলে দেওয়া ছিল বেশ‌ কঠিন সে হবে ডাকসুর ভিপি? উমামা, সাদিক ছাত্রদল, বাগছাস+ সদ্য সোস্যাল মিডিয়া মাধ্যমে নজর কাড়া শামীম ছেলেটি সহ প্রায় সবাই ছিল হাই প্রোফাইল প্রার্থী। বাম দলের জিএস প্রার্থী মেঘ বল্লভ ও ছিল বেশ বাকপটু এবং সাবলীল।

তবে সন্দেহ হয় শিবিরের প্রার্থী সাদিক কাইয়ুম ডাকসুর ভিপি প্রার্থী হিসেবে দেখে! জামাতের কৌশলী রাজনীতির সম্পর্কে অবগত থাকলে ও প্রশ্ন জাগে? জামাত সাদিক কাইয়ুম এর মতো একজন প্রার্থীকে কেন প্রতিদ্বন্দ্বীতা মুলক একটি নির্বাচনে পাঠানোর ঝুঁকি নিবে? আল জাজিরা ও দেশের কিছু মিডিয়া,‌ সাংবাদিক সাদিক কাইয়ুম কে ৫ই আগষ্টের প্রধান মাষ্টারমাইন্ড হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছে। জামায়াতের প্রধানসারীর নেতৃবৃন্দ যেমন মিডিয়ার কাভারেজ পান না/ জনসাধারণ তেমন চিনে না;  সেখানে প্রায় নিশ্চিত হয়ে বলা যায় সাদিক আগামী ২০ বছর পর জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় কোন পদ হোল্ড করবে। ডাকসু হারা মানে সাদিক সহ গোটা জামায়াতের ইমেজ সংকট?  

এইখানে মুলত খেলছে শিবির আসল খেলা? বেষ্ট হেভিওয়েট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একচেটিয়া জয় দিয়ে শিবির মুলত বার্তা দিয়েছে; সাদিক কাইয়ুম সেরাদের ও সেরা!!! ডিউ এর মত শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপিঠের শিক্ষাথী সহ ঢাকা এখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে। আদতে একচেটিয়া রেজাল্ট দেখে মনে হচ্ছে সবই ছিল পুর্ব নির্ধারিত ও প্রার্থীদের ফুলিয়ে-ফাপিয়ে প্রতিদ্বন্ধিপূর্ন নির্বাচন দেখানোর কৌশল।

∆ডিউ একটা বড় সংখ্যার শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের। শিবির এদের বই,‌খাতা, টুপি, তাজবি, জায়নামাজ, হলে পানির ফিল্টার পড়াশোনা শেষে চাকুরী সহ নানাবিধ আশ্বাস দিয়ে পর্দার আড়ালে ভালোই খেলেছে।


অপরদিকে ছাত্রদলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের হট্টগোল, ভিসির সাথে অসংলগ্ন আচরন, পল্টনে যুবদলের রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত স্লোগানে দৃশ্যত পরিস্কার; ছাত্রদলের মধ্যে সমন্বয় এবং ডাকসুর মত একটি ছোট নির্বাচনের কোরডিনেশন, ফিল্ড রিসার্চ, শিক্ষাথীদের পাল্স বুঝে নিয়ন্ত্রণ নেওয়াসহ রাজনীতিতে তারা কতটা অপরিপক্ক।

∆জাতীয় নির্বাচনের পুর্বে বিএনপির সমর্থিত মিডিয়া সাংবাদিক, কলা-কৌশলীদের প্রধান ভুল হচ্ছে ডাকসু নির্বাচন কে ফলাও করে প্রচার করে মিডিয়াতে হাইলাইট করে, জামাতের ফাদা গর্তে পা দেওয়া।

আর এনসিপি নেতৃবৃন্দ যে রাজনৈতিক মাঠে নিছক শিশু এবং ৫ই আগষ্টের বিপ্লবের  সম্মুখসারীর পুতুল ডাকসু নির্বাচনে শিবির ও ছাত্রদলের আধিপত্য আবার সেটা প্রমাণ করলো। 

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফেলবে। জামায়াত পিআর থেকে সরে আসবে । ইউনুস সাহেব ফেয়ার ইলেকশন দিতে পারবেন বলে সবাই মনে করবে। :-B

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: শুধু শিরোনাম পড়ে মন্তব্য করলেন? :-B

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৮

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




ছাত্ররা জানতো যে, শিবির ভোট না পেলে, অনেকেই ইউনিভার্সিটিতে টিকে থাকতে পারবে না; শিবির তাদেরকে বের করে দিবে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:

আপনার ছেলে, নাতি-পুতিদের
ঢাবির হল দখলে কবে দেশে পাঠাচ্ছেন।
চেতনার রক্ত তো আবার টগবগ করে আপনার বংশে?

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৫

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



ছাত্রদলকে কিনেছে জামাত-শিবির।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনি দেখেছেন?
বিএনপি‌, ছাত্রদলের কি টাকার অভাব?

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আমার ছেলেপেলেরা যাবে না, আমাকে যেতে হবে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ৭১ সালের রাইফেল দিয়ে এখন আর যুদ্ধ হয় না।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: ছবিটি কি সত্যি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: হলে ও হতে পারে!
তারা নাকি পুর্বে ছাত্রলীগ ছিল। :P

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



১৯৭১ সালে কি কি রাইফেল ছিলো, আপনি জানার কথা নয়।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ১৯৭১, ১৯৪৫, ১৯১৪ কি যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার হয়েছে তার কোন টাই আমি জানি না।
জানি শুধু ২০২৫ এসে সেগুলো আপনার মতো অকেজো।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ডাকসু নির্বাচনে শিবির জয়ী হবে। এটা আগেই ঠিক করা ছিলো। শিবির না জিতলে অনেক গুলো লাশ পড়ে যেতো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৫

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের খালাদের গাঁজা সিন্ডিকেট কি এবার ভাংগবে তাহলে?

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:


লেখক বলেছেন: আপনি দেখেছেন?
বিএনপি‌, ছাত্রদলের কি টাকার অভাব?

-রেহানা ও তার ছেলেমেদের টাকার অভাব ছিলো? এরশাদের কি টাকার অভাব ছিলো? আপনার ভাবনাচিন্তা সঠিক নয়।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনি অসংলগ্ন গার্বেজ উদাহরণ দিচ্ছেন।
শিবিরের একজন কর্মী আপনার থেকে ভালো রাজনীতি বুঝে।

৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: এতে অবাক হবার কিছু নাই।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: এদেশে বাম রাজনীতির ভবিষ্যত কি?
পশ্চিমের ভিসা পেলেই তারা আদর্শ পরিবর্তন করে কেন?

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল কি জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে? খুবই ভালোভাবে ফেলবে। এই ফলাফল হবে সূদূরপ্রসারী। জামায়াত যদি চালে কোন ভুল না করে, আর বিএনপি যদি না বদলায় তাহলে তাদের জাতীয় নির্বাচনের ভরাডুবি কেউ ঠেকাতে পারবে না। কাজেই এখন বিএনপি'র শুধু নিজেদের বদলালেই চলবে না, জামায়াতের ভুলের জন্যও অপেক্ষা করতে হবে। এই নির্বাচন থেকে বিএনপি'র একটা শিক্ষা নেয়া দরকার, কিন্তু আফসোস, তারা নিবে না। কারন তাদের কিছু সো-কল্ড বুদ্ধিজীবি আর অন্ধভক্তদের চাটুকারিতা। বিএনপির সমস্যা নিয়ে আমি বেশ কিছু লেখা লিখেছি, এখানে এবং আমার ফেবু পেইজে। আর লেখার ইচ্ছা ছিল না, তবে ভাবছি, সম্ভবতঃ আরেকটা লিখবো।

অপরদিকে ছাত্রদলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের হট্টগোল, ভিসির সাথে অসংলগ্ন আচরন, পল্টনে যুবদলের রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত স্লোগানে দৃশ্যত পরিস্কার; ছাত্রদলের মধ্যে সমন্বয় এবং ডাকসুর মত একটি ছোট নির্বাচনের কোরডিনেশন, ফিল্ড রিসার্চ, শিক্ষাথীদের পাল্স বুঝে নিয়ন্ত্রণ নেওয়াসহ রাজনীতিতে তারা কতটা অপরিপক্ক। এটা ভালো বলেছেন, তবে আরো কিছু আছে। সমস্যা হলো, ছাত্রদল এসব শিখেছে তাদের মূল দলের নেতাদের কাছে। দেশটা যে কারো তালুকদারী না, এটা তাদের বুঝতে হবে, নয়তো সাধারন ছাত্র-জনতা তাদের এইভাবেই বুঝিয়ে দিবে।

জাতীয় নির্বাচনের পুর্বে বিএনপির সমর্থিত মিডিয়া সাংবাদিক, কলা-কৌশলীদের প্রধান ভুল হচ্ছে ডাকসু নির্বাচন কে ফলাও করে প্রচার করে মিডিয়াতে হাইলাইট করে, জামাতের ফাদা গর্তে পা দেওয়া। এইটা ঠিক বলেন নাই বলেই আমার মতামত। :)

আর এনসিপি নেতৃবৃন্দ যে রাজনৈতিক মাঠে নিছক শিশু এবং ৫ই আগষ্টের বিপ্লবের সম্মুখসারীর পুতুল ডাকসু নির্বাচনে শিবির ও ছাত্রদলের আধিপত্য আবার সেটা প্রমাণ করলো। তাদেরকে আরো সময় দিতে হবে। এইটা আরেকটা বড় আলোচনার বিষয়বস্তু, এইটা এতো সংক্ষেপে বলা সম্ভব না।

ছাত্রদলের এই প্যাদানী খাওয়া অবধারিত ছিল, আমি জানতাম; তবে এই মাত্রায় খাবে, তা বুঝতে পারি নাই। এখন বুঝতে পারছি, আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি'র কি কি কাজ করতে হবে। করলে ভালো, না করলে নিজের োয়া নিজেদেরকেই চুলকাতে হবে!!!!! :-B

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: একটি বিষয়ের উপর আপনার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অসাধারণ। খুব সুন্দর ভাবে বস্তুনিষ্ঠু, গঠনমুলক, চমৎকার ভাবে ব্যাখ্যা করেন; নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দ্বিমত করার কোন সুযোগ থাকে না। দেশে চলমান বিদ্যমান অনেক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আপনার এমন মন্তব্য অথবা সম্ভব হলে পোষ্ট আশা করবো। আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি,‌ দুনিয়াতে প্রাপ্ত জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে চলমান অনেক বিষয়ের ব্যাখা করা সম্ভব; যা হয়তো আমার জ্ঞানের পরিধির ও বাইরে।

নির্বাচন নিয়ে প্রথম ব্যাখ্যার সবগুলো কথাই বাস্তব ভিত্তিক। কিন্তু আমার আশংকা এদেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ রাজনীতি অসচেতন ও কর্মহীন। টাকা দিয়ে কর্মী ভাড়া করে এদেশে আন্দোলন করা যায়, ভোট কিনা যায়। ইশরাকের মেয়র ইস্যু নিয়ে নগর ভবন অবরোধ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকরা বেশিরভাগ মানুষগুলো ছিল ভাড়াটে। গ্রাম অন্ধলে জামায়াতের কর্মী উপস্থিতি প্রচার একদম কম; এটা তাঁদের কৌশল নাকি বাস্তবতা কে জানে+ শহুরে শিক্ষিত,‌বুদ্ধিজীবী,‌ কালচারাল ব্যাক্তিতরা জামাত কে পছন্দ করে না।

ছাত্রদল এসব শিখেছে মূল দলের নেতাদের কাছে। আপনার বড় ভাই মির্জা আব্বাসের বক্তব্য শুনেছেন আজকে? =p~ ভাবতে অবাক লাগে; সে ১৬ বছর নির্যাতিত একজন‌ প্রবিন‌ রাজনীতিবিদ!

এইটা ঠিক বলেন নাই বলেই আমার মতামত। :) জ্বি! এইটা দৃষ্টিকটু কথা; কিন্তু ব্লগে যেহেতু জামাত-শিবির কোন মা-বাপ নাই‌; তাই একটু কটু কথা বললাম। :-P

সর্বশেষ, ব্লগে এনসিপির বিতর্কিত কিছু বিষয় নিয়ে ক্যাচাল,‌ তাঁদের বর্তমান অবস্থা, কার্যক্রম এবং ভবিষ্যতে নিয়ে ভাবছিলাম হয়তো বিস্তারিত কোন পোষ্ট নিয়ে আসবেন‌‌ আপনি। কিন্তু হাজির হইলেন "স্বৈরাচারের একাল-সেকাল নিয়া"। এনসিপি নিয়ে শুরুতে কিছুটা‌ আশাবাদী ছিলাম আমি; কিন্তু সে আশায় এখন গুঁড়ে বালি। বিশ্বাস করেন! দূর্নীতি, আর্থিক কেলেঙ্কারি এসব নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নাই তাঁদের নাই উপর। "cz we all have blood in hour hands" আমার যাষ্ট্র ওদের কোন কার্যক্রম দেখেই মনে ই হয় নাই; এদের দিয়ে পরিবর্তন বা নতুনত্ব আনা সম্ভব। একটা উদাহরণ দেই শুধু; প্রচলিত যত্ত তত্র, ওয়ালে পোষ্টার লাগানোর একটা সংস্কৃতি আছে এদেশে। এই সামান্য একটা বিষয় নিয়ে তারা নতুনত্ব বা ইনোভেটিভ কোন আইডিয়া নিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে নাই। তাঁদের জেলা শহর, তৃনমুল এমনটি ঢাকা শহরের প্রোগ্রামের পোষ্টার,‌ ব্যানার সেই প্রচলিত নিয়মেই। কোন দূতাবাস বা বড় কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট ছাড়া এনসিপি একক ভাবে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে কিনা আমি সন্দিহান?

১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটি বিষয়ের উপর আপনার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অসাধারণ। খুব সুন্দর ভাবে বস্তুনিষ্ঠু, গঠনমুলক, চমৎকার ভাবে ব্যাখ্যা করেন; নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দ্বিমত করার কোন সুযোগ থাকে না। হে হে হে..........এইগুলা বেশি বেশি বলছেন। আমি আসলে খুবই সাধারন একজন মানুষ, কাজেই আমার কথাগুলো সাধারন মানুষেরই মনের কথা। সেইজন্যই রিলেইট করা সহজ হয়, সহজে বোঝাও যায়। এই ব্লগের অনেকেরই শরীরে গোশত কম, মগজ বেশী। আমার ঠিক উল্টা, মানে আমার খুলির ভিতরে ছাড়া আর কোথাও মগজ নাই!!! :P

আমার আশংকা এদেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ রাজনীতি অসচেতন ও কর্মহীন। টাকা দিয়ে কর্মী ভাড়া করে এদেশে আন্দোলন করা যায়, ভোট কিনা যায়। আপনার এই কথাটা আংশিক সত্য, কারন অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। তবে এটা এমন একটা রাজনৈতিক সংস্কৃতি, যেটার পরিবর্তনে অনেক সময় বছরের পর বছরও লাগতে পারে। সাধারন মানুষের মন-মানসিকতায় যে কোনও পরিবর্তনের জন্য অনেকগুলো প্যারামিটার আছে। তার মধ্যে বেশীরভাগের প্রতিক্রিয়াই অন্য আরো অনেক ক্রিয়ার সাথে সামন্জস্যপূর্ণ অথবা নির্ভরশীল। বিষয়টার সাথে ডায়াবেটিক রোগীর ইনসুলিন+রিসিপটরের কার্যকারিতার মিল আছে। :)

মির্জা আব্বাসের বক্তব্য শুনেছি, তবে এই নির্লজ্জ ছাগলটাকে নিয়ে কিছু বলে সময় নষ্ট করতে চাই না। তারেকের মাথায় সামান্য ঘিলু থাকলে এদের পুষতো না।

গ্রাম অন্ধলে জামায়াতের কর্মী উপস্থিতি প্রচার একদম কম; এটা তাঁদের কৌশল নাকি বাস্তবতা কে জানে+ শহুরে শিক্ষিত,‌বুদ্ধিজীবী,‌ কালচারাল ব্যাক্তিতরা জামাত কে পছন্দ করে না। এইখানে তাদের যেমন কাজ করার অনেক সুযোগ আছে, তেমনি ভুল করারও অনেক সম্ভাবনা আছে। তাদের জাতীয় রাজনীতির জন্য এটা একটা বড় নিয়ামক। দেখা যাক।

ব্লগে এনসিপির বিতর্কিত কিছু বিষয় নিয়ে ক্যাচাল,‌ তাঁদের বর্তমান অবস্থা, কার্যক্রম এবং ভবিষ্যতে নিয়ে ভাবছিলাম হয়তো বিস্তারিত কোন পোষ্ট নিয়ে আসবেন‌‌ আপনি। এনসিপি নিয়ে আমার শুরু থেকেই অনেক অবজার্ভেশান আছে। তারা অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে নাই, সেটা যেমন ঠিক; তেমনি বর্তমানের বাস্তবতায় তারা ''বেস্ট অফ দ্য ওয়ার্স্ট'' এটাও ঠিক। আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় রাতারাতি কোন পরিবর্তন আশা করা অথবা তাদের কাছ থেকে স্বল্পমেয়াদে উল্লেখযোগ্য কিছু আশা করারও কোন ন্যয্যতা নাই। তাদেরকে আরো পরিপক্ক হওয়ার জন্য সময় দিতে হবে; আর তাদেরও পরিপক্কতা অর্জনের জন্য উদ্যোগী হতে হবে। আমি দুইটারই অভাব দেখছি। সমস্যা হলো, এসব নিয়ে আলোচনা অল্প কথায় সারলে মিসকমিউনেশানের ভালো সুযোগ থাকে, আবার অন্যদিকে বিস্তারিত আলোচনা করারই বা সময় কই? অনেক কিছু নিয়ে লিখতে ইচ্ছা করে। অনেক বিষয়ই মাথায় খোচায়, যন্ত্রণা দেয়; তবে বিভিন্ন কারনে শেষতক কিছু লেখা আর হয়ে উঠে না। বিভিন্ন কারনেই ব্লগে লেখার ব্যাপারেও আগ্রহ অনেক কমে গিয়েছে। স্যরি!!!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৬

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আইচ্ছা! আপনে যেহেতু শরমিন্দা হোন, তাই প্রশংসা না করে সরাসরি বলি :P

তেমনি বর্তমানের বাস্তবতায় তারা ''বেস্ট অফ দ্য ওয়ার্স্ট'' এটাও ঠিক। আমার বাপজান‌ ছোট বেলায় শাসন করতে গেলে রাগে একটা প্রবাদ বাক্য কইতো সবসময় যে- "কচু গাছ কাটতে কাটতে নাকি মানুষ ডাকাত হয়" :D এনসিপি নেতৃবৃন্দরা এখন সেই কচুগাছ ই কাটতেছে। সময়ের সাথে সাথে তারা পরিবর্তন আনে নাকি ডাকাত হয় সেইটা এখন দেখার বিষয়। B:-)

আচ্ছা! বাংলাদেশে একদম সাধারণ ও গুনগত কিছুটা পরিবর্তন আনতে কোনটা বেশি জরুরি বলে আপনার মনে হয়? এনসিপির রাজনীতি নাকি ডক্টর ইউনুস কয়েক বছর ক্ষমতায় থেকে দেশে স্থিতিশীলতা আনা? আপনার কি একবার ও মনে হয় নাই; ৫ তারিখে পর এদেশে রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে অনৈক্য এবং ইউনুসের দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকার প্রতিবন্ধকতা গুলো এনসিপির তৈরি করা? ইন্টেরিম তথা ইউনুস সরকার ৭০% বিতর্কিত এনসিপি কে অন্যায় সুযোগ-সুবিধা, প্রটেকশন আর অন্যায় আবদার মিটাতে।

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে''বেস্ট অফ দ্য ওয়ার্স্ট'' যদি বলতে হয় তার কিছুটা করছে জামাত‌ আর শামীম হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের বিতর্কিত একটি অধ্যায় আছে; সেই জন্যই অনেক জামায়াত নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চায় না বলে ধারনা। সাথে রাজাকার ট্যাগ আর টিকেট কেটে কখন কে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয় সেই শংকা তো আছেই। =p~
আর ঐই যে বললাম গ্রাম, তৃনমুল আর সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জামাতের দুর্বলতা থাকায় স্বয়ং অনেক জামাত সমর্থক তাঁদের নিয়ে কথা বলার কনফিডেন্স পায় না। :((

আর জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দারের কথা তো না বললেই না! আপনি চিনেন কিনা জানি না? আওয়ামী ঘরানার দুষ্টু নেতৃত্ব কে বের করে দিয়ে তিনি ও বেশ পজেটিভ একটা শুরু করেছেন। উনার যুক্তিযুক্ত আলোচনার কিন্তু কাউন্টার দেওয়ার সুযোগ কম। এমন একটা প্রজ্ঞাবান, মেধাবীর সংসদে থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।

বিভিন্ন কারনেই ব্লগে লেখার ব্যাপারেও আগ্রহ অনেক কমে গিয়েছে। কমে গেছে হয়তো; ব্লগে আওয়ামী সমর্থিত দুষ্টু নিক গুলোর সংখ্যা বেশি। ব্লগে আপনার লেখা ও মতামত যেহেতু গুরুত্ব বহন করে; তারা চেষ্টা করে গেরিলা ওয়ার ফেয়ার মাধ্যামে তাঁদের আক্রমণাত্মক মন্তব্য আপনাকে জব্দ করতে। =p~ অপ্রত্যাশিত বাজে মন্তব্য অনেক সময় সাময়িক মন খারাপের কারন হয়।‌

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:১৬

এম এ কাশেম বলেছেন: পাগল ছাগলে ভরে গেছে ব্লগ। এরা যা খুশি তাহা লিখে বা কমেন্ট করে।
ডাকসুতে শিবির জয় পেয়েছে - তাতেই কি একটা হা-হুতাশ!
বুঝি না এই সব পাগল গাছে ধরে না মাটিতে জন্মায় নাকি ভারত থেকে আমদানিকৃত: পাগলের প্রলাপগুলো আরেকবার পড়ুন:
১।ছাত্ররা জানতো যে, শিবির ভোট না পেলে, অনেকেই ইউনিভার্সিটিতে টিকে থাকতে পারবে না; শিবির তাদেরকে বের করে দিবে।
২। ছাত্রদলকে কিনেছে জামাত-শিবির।
৩। ডাকসু নির্বাচনে শিবির জয়ী হবে। এটা আগেই ঠিক করা ছিলো। শিবির না জিতলে অনেক গুলো লাশ পড়ে যেতো।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:০২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনি যাকে নিয়ে কথা বলছেন তিনি বাংলা ইতিহাসের সেরা ব্লগার।
দ্যা ওয়ান‌ এন্ড অনলি গ্রেট ধ....
সামু থাকবে না কিন্তু ওনার নাম থাকবে।

১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামাতে জিতে গেলে অবাক হবার কিছু থাকবে না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: দেখা যাক! কি হয়।‌

১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এককথায় বলবো কিছু প্রভাব পড়বেই।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আমার ও তাই মনে হয়! নির্বাচনে জামাত ভাল করবে তবে,
তা সরকার গঠন করার মত পর্যাপ্ত সিট‌ পাবে না।

১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নতুন বলেছেন: জেলা পর্যায়ে তাদের জনপ্রিয় নেতা নাই। বেশির ভাগ শহরের জামাত প্রার্থীদের পরিচিত কম।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: এই জন্যই তারা জোটবদ্ধ আর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে।‌

১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ∆ডিউ একটা বড় সংখ্যার শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের।
.....................................................................................................
কিন্ত তারা তো অশিক্ষিত নয় ।
সব দলেরই ক্ষমতার মসনদে আসা উচিৎ
তাহলে অর্ন্তনিহিত ক্ষমতা কি ,
থলের বিড়াল কালো না সাদা , জানতে সুবিধা হবে সবার ।
....................................................................................................
সব দলের নির্বাচনে আসা উচিৎ,
তাহলে সত্যিকারের চিত্রটা প্রকাশ হবে , জনতা কি চায় ???

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: কিন্ত তারা তো অশিক্ষিত নয় ।
সব দলেরই ক্ষমতার মসনদে আসা উচিৎ

রাজনীতি ও মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে; ধনী-গরিব কোন‌ বৈষম্য না। নিম্নবিত্ত দিয়ে বলতে চেয়েছি তাঁদের
অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে কম্প্রোমাইজ করা। দরিদ্র পরিবার‌ থেকে আসা ডিউর অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন দলের পদ-পদবী পাবার পর অর্থনৈতিক অবস্থার আমুর পরিবর্তন হয়েছে। ছাত্রলীগের সিদ্দিকী নাজমুল, সোহাগ ভিপি নুরু এনসিপির বন্দর বন্ধু হান্নান।

১৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৩

মাথা পাগলা বলেছেন: আমার মনে হয়েছে বর্তমান ডাকসু বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক বড় একটা মুভমেণ্টের আভাস দিয়েছে। আমি তো ভেবেছিলাম তারেক জিয়ার সাথে লন্ডনে মার্কিনদের বৈঠকে সমস্ত চুক্তি হয়েছে এবং সামনে বিএনপি ক্ষমতায় আসছে। এখন তো মনে হচ্ছে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সবই অনিশ্চিত। সত্যি কথা বলতে লীগ-বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে গন্য করা হলেও তারা পুরোন ধ্যান-ধারনা নিয়ে বসে আছে। যুগের সাথে চিন্তা-ভাবনার চেঞ্জ আসেনি। হারার পর কিছু বিএনপি নেতাদের মেরিটলেস বয়ানও শুনলাম!

আমার ধারনা শিবির ছাত্রদের প্রবলেম সলভ করা বা কিভাবে করা যায় সেটা মাঠ পর্যায়ে নেমে কথা বলে করেছে। শুনলাম জামায়াত ইসলামের একটা সংস্থা আছে যার নাম CZM (যাকাতের টাকায় পরিচালিত) - প্রতি বছর ৮ হাজার স্টুডেন্টকে নাকি স্কলারশিপ দেয়। আর অন্যদিকে মনে বিএনপি বিরিয়ানি-চিপসের প্যাকেট দিয়ে সাহায্য করেছে। আর যারা জামাত-শিবিরকে সমর্থন করে না, তাদের শিবিরের এই অর্জনকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।

ছোট উদাহরনঃ নাম মনে ছিলো না তাই, ভারতের লাস্ট নির্বাচনে গুগল সার্চ কোট করলাম "In the 2024 elections Irani lost to Congress Loyalist Kishore Lal Sharma in Amethi by a margin of 1,67,196 votes." এই কিশোর লাল কে মিডিয়ার কেউ জানতো না, ইলেকশনের পর জানতে পেরেছে।

সেরা ব্লগারের কে আমি জানি না, নাম বলে দিন। "ধ..." দিয়ে তো অনেক কিছুই হয়।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আমার মনে হয়েছে বর্তমান ডাকসু বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক বড় একটা মুভমেণ্টের আভাস দিয়েছে। সময়ের সাথে সাথে মানুষের জ্ঞান-ধ্যান,‌ সামাজিক সচেতনতা,‌ বিদ্যা-‌বুদ্ধি, গনতান্ত্রিক চর্চা উন্নত হবে এটাই স্বাভাবিক। আমেরিকানরা ৩০০ বছর ধরে গনতন্ত্র চর্চা করছে, বৃটিশরা তার চেয়ে একটু বেশি। তাঁদের জ্ঞান-ধ্যান আমাদের থেকে বেশি।‌ তৃতীয় বিশ্বের দেশের মত আমরা ও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অল্প অল্প করে এগুচ্ছি।

তারা পুরোন ধ্যান-ধারনা নিয়ে বসে আছে। তাঁদের ধ্যান জ্ঞান সবই ঠিক আছে‌। সমস্যা হচ্ছে দলের আর্থিক কাঠামো নিয়ে। তারা দল চালায় ব্যবসায়ীদের থেকে ডোনেশন, নমিনেশন বেইচা, চান্দাবাজি কইরা। এর একটা বিরুপ প্রভাব জনসাধারণ এর উপর পড়ে। বড় দলগুলোর অংগ সংগঠনগুলো ও একটা ভাইটাল ফোর্স হিসেবে কাজ করে। কালকে রাজনীতিতে অংগ-সংগঠন নিসিদ্ধ হলে কত মানুষের চেতনা আর জাতীয়তাবাদের আদর্শের বাড়োটা বাজবে কে জানে? :-P

জামাতের ফাইনান্সিয়াল ইনস্টিটিউট অনেক শক্ত। ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান জামাতিরা চালায়। এইসব স্কলারসিপ তাঁদের কাছে দুধ-ভাত। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি বিস্তারিত অবগত নই।

আমার ধারনা শিবির ছাত্রদের প্রবলেম সলভ করা জামাত শিবির কিছুটা যাচাই-বাছাই করে কর্মী রিক্রুট যতদূর জানি। এর ভালো-খারাপ দুইটাই আছে। যেমন সীমিত কর্মীদের যত্রতত্র অপরাধের মাত্রা কম এবং দলীয় আনুগত্য বেশি অপরপক্ষে অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই এর ফলে জনসম্পৃক্ততা লোকবল কম।

ভারতীয় কংগ্রেস অনেক বড় একটি রাজনৈতিক পার্টি, উপমহাদেশের অনেক ইতিহাস তারা বহন করে। একটানা কয়েক যুগ ক্ষমতায় ছিল। কংগ্রেস নিজেই একটি ব্র্যান্ড; সেই দলের কেউ নির্বাচন জিততে মিডিয়া পরিচিতির প্রয়োজন আছে কি? যদি ও ভারতীয়দের দেশপ্রেম ও গনতন্ত্রের চর্চা আমাদের থেকে বেশ ভাল। তাই বলে কংগ্রেসের সাথে জামাতের তুলনা চলে না ; তবে বিএনপির অনেক হাই প্রোফাইল নেতা নির্বাচনে মারা খাবে বলে মনে হয়।

"ধ..." দিয়ে তো অনেক কিছুই হয়। 'ধ'... দিয়ে যেইটা প্রথম আপনার মাথায় আসবে ওইটাই.... :-P
বিশ্লেষণ মুলক, সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এনসিপি এখনও রাজনৈতিক দল হিসাবে শিশু অবস্থায় আছে। আমার মতে তাদের নিয়ে এখনও ক্রিটিকাল মন্তব্য করার সময় আসে নাই। তবে তারা যেহেতু আসমান থেকে পড়ে নাই, এই দেশের আলোছায়ায়, সংস্কৃতিতে বড় হয়েছে; কাজেই তাদের মধ্যে দেশীয় রীতির ধারাবাহিকতাজনিত ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকবেই। ভুল থেকে তারা কি শিক্ষা নেয়, সেটাই দেখার বিষয়। আমাদের আরো ধৈর্য ধরতে হবে তাদের ব্যাপারে।

আচ্ছা! বাংলাদেশে একদম সাধারণ ও গুনগত কিছুটা পরিবর্তন আনতে কোনটা বেশি জরুরি বলে আপনার মনে হয়? এনসিপির রাজনীতি নাকি ডক্টর ইউনুস কয়েক বছর ক্ষমতায় থেকে দেশে স্থিতিশীলতা আনা? ডক্টর ইউনুসের কয়েক বছর ক্ষমতায় থেকে দেশে স্থিতিশীলতা আনা জরুরী। তবে কিছু ধান্ধাবাজ আর গাধা উপদেষ্টা বাদ দিয়ে। তাছাড়া ড. ইউনুসকে আরো প্রোএকটিভ হতে হবে।

আপনার কি একবার ও মনে হয় নাই; ৫ তারিখে পর এদেশে রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে অনৈক্য এবং ইউনুসের দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকার প্রতিবন্ধকতা গুলো এনসিপির তৈরি করা? এর জন্য দায়ী বিএনপি। আমার ব্লগের আর ফেবু পেইজের বেশকিছু লেখায় আমি বিষয়টা ব্যাখ্যা করেছি। তাই আর বিস্তারিত বললাম না।

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ''বেস্ট অফ দ্য ওয়ার্স্ট'' জামায়াত‌ও.......এটা ঠিক আছে, তবে ক্ষমতায় যেতে হলে তাদের বেশ কিছু বিষয় জাতির সামনে পরিস্কার করা দরকার। নয়তো তাদের আগামীর পথচলা কঠিন হবে। বেশ কিছু রিফর্ম সাপেক্ষে এনসিপিও ''বেস্ট অফ দ্য ওয়ার্স্ট'' হওয়ার দাবীদার। আর শামীম হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ভারতের দালাল, আওয়ামী লীগের বি-টিম। তাদের ব্যাপারে আমার এটাই চুড়ান্ত স্ট্যান্ড। শামীম হায়দার একা সংসদে যেতে পারে, তবে দল হিসাবে তাদের কোন সুযোগ নাই।

আপনি আমাকে কতোদিন ধরে ব্লগে দেখছেন জানি না, তবে আমার ট্রেন্ড দেখলে বুঝবেন আওয়ামী সমর্থিত বা যে কোনও আবাল নিককেই আমি গণায় ধরি না। তাদের আবালীয় মন্তব্য আমার কোন সাময়িক মন খারাপের কারনও হয় না, বিরক্ত হই; মেজাজ খারাপ হয়।‌ ব্লগে লেখার ব্যাপারে আমার অনাগ্রহের কারণ ভিন্ন। তারপরেও মাঝে-মধ্যে লিখবো, তবে আগের মতো আর হবে না। বরং দিনে দিনে কমতির দিকেই যাবে হয়তো!!!! :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: এনসিপি এখনও রাজনৈতিক দল হিসাবে শিশু অবস্থায় আছে। আচ্ছা! সময় আর ভবিষ্যৎ রাজনীতি বলে দিবে এনসিপির কোন‌ পথে হাঁটে; তাঁদের কে আর আমি না‌ খাটাই। তবে আমার কিছু জিজ্ঞাসা আছে অন্য বিষয়ে? চাইলে আপনি বিস্তারিত এই বিষয়ে একটি পোষ্ট লিখতে পারেন অথবা এখানে সুত্র আকারে এখানে ও উওর দিতে পারেন। যেমন:

আর শামীম হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ভারতের দালাল, উওর দিতে পারেন। ভারতের হিন্দুবাদী দের মত হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের ভোটব্যাঙ্কের মত এদেশে ভারত বিরোধিতা কে আমার এমন একটি ইস্যূ মনে হয়। এদেশে সকল সরকার কম বা বেশি ভারতের আগ্রাবহ ছিল। ইন্টেরিম কিন্তু এখনো ভারতে‌ ইলিশ পাঠাচ্ছে বরং আগের চেয়ে আরো বেশিই ইলিশ যাচ্ছে। ভারতের সাথে যে অসম চুক্তির কথা বলা হচ্ছিল তার কোন একটি ও কিন্তু প্রকাশ বা বাতিল করা হয় নী, চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশের যদি কোন বাধ্যবাধকতা বা নীতিমালা ও থাকে এমন‌ কিছু সরকার থেকে বলা হয়নি। নাহিদ তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর আগ্রাসী সম্প্রচারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া নি? বিএনপি বা কেন‌ বাবর কে মিডিয়া বা লাইমলাইটে আসতে দিচ্ছে না কে? এগুলি আদতে কি বার্তা দেয়?

এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ভারত একচেটিয়া চুক্তিগুলো বাতিল করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চাইছে‌। যেমন ভিসা বন্ধ,‌ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ইত্যাদি। বাংলাদেশে কি এখন পর্যন্ত ডিফেন্সিভ লাইনে আছে। আদতে আমার মনে হয় কি, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান,‌ দুর্বল অর্থনীতি, জ্বালানি নিরাপত্তা বিবেচনায় ভারতের বিরুদ্ধে যাওয়ার কোন অবস্থা নেই। এজন্য এদেশের সকল সরকার ই কম বা বেশি ভারতীয় আগ্রাবহ বা তাদের কে ক্ষ্যাপতে চায় না।

সর্বোপরি, আমাদের কোন‌ নির্বাচিত সরকার থেকেই ভারত কখনো একচেটিয়া বা এক পাক্ষিক কোন‌ চুক্তি চাপিয়ে দিতে পারে নাই। পার্লামেন্টে মেন্ডেট পাওয়া সরকারের দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলো বার গেইন করার সুযোগ থাকে। হাসিনা‌ যেহেতু তিনবার পর অবৈধভাবে ক্ষমতায় ছিল ভারতকে মইদে; তাই তারা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা ও এক পাক্ষিক চুক্তি গুলি চাপিয়ে দিতে পেরেছে।

ভারত যদি প্রতিবেশী হিসেবে ভাল কোন দেশ নয়; তবে সীমান্ত হত্যা, পানির ন্যায্য পাওনা, ভারতে পণ্য রপ্তানি ও দেশীয় চ্যানেল সম্প্রচার, এইসব কুটনৈতিক সমস্যা! আমাদের দুর্বল কুটনীতি, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিভাজন ও ঐক্য; দুর্বল গনতন্ত্রের উপস্থিতি ও অর্থনীতির জন্যে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা যাচ্ছে না।

২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:০৬

কাঁউটাল বলেছেন: ছাত্রদল স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে গিয়েছিল। এই বেকুবরা নিজেরাও ডুববে সবাইকে নিয়ে ডুববে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আর সারাদেশে বিএনপির চাঁদাবাজি সহ বেপোরোয়া কর্মকাণ্ডের বলির পাঁঠা ডাকসুর বিএনপির সমর্থিত প্যানেল। ওদের জিএস প্রার্থী ছেলেটি ছিল বেশ দাপুটে যোগ্য ও বাকপটু।

২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি তো মনে হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। এমন সব প্রশ্ন করেন, যার উত্তর এককথায় দেয়া যায় না। বড় বড় মন্তব্য টাইপ করা আমার জন্য বেশ কষ্টের। একজন বিশিষ্ট অলস মানুষকে এভাবে কষ্ট দেয়া কি ঠিক? B-)

কোন বিষয়ে বিস্তারিত পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছা আপাততঃ নাই। আগেই বলেছি, ব্লগে এসব বোঝার মতো মানুষ এখন কমই আছে। সবাই কিছু প্রি-ডিটারমিনড কনসেপ্ট নিয়ে বসে আছে। আউট অফ দ্য বক্স চিন্তা করার মতো মেধাবী ব্লগার হাতে গোণা কয়েকজন!!! এই রকম পরিবেশে কোন বিষয় নিয়ে কনসট্রাক্টিভ আলোচনা সম্ভব না। বিষয়টা দুঃখজনক!!!! :(

যাই হোক, প্রসঙ্গে আসি..........যতোটা সম্ভব সংক্ষেপে।

এদেশে সকল সরকার কম বা বেশি ভারতের আগ্রাবহ ছিল। কথাটা সম্পূর্ণ ঠিক না। প্রেসিডেন্ট জিয়ার সময়ে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের ঘটনা জানেন নিশ্চয়ই। তাছাড়া খালেদা জিয়ার সরকারও আজ্ঞাবহ ছিল না। ইউনুসও আজ্ঞাবহ না। ক্ষুদ্র দেশের পাশে বড় দেশ......বিশেষ করে ভারতের মতো নীচু মানসিকতাসম্পন্ন দেশ থাকলে অনেক কিছুর ব্যাপারে চেক এন্ড ব্যালেন্স করে চলতে হয়, তাতে মানুষ খানিকটা বিভ্রান্ত হয় বৈকি। তবে ঐতিহ্যগতভাবেই আওয়ামী লীগ আর বামেরা ভারতের আজ্ঞাবহ। আওয়ামী লীগ যেইভাবে পশ্চাদ্দেশের কাপড় খুলে দিয়েছিল, তা নজিরবিহীন। এখন প্রতিটা সরকারের ভারত বিষয়ক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করা তো সম্ভব না। এটা অনেক লম্বা আলোচনা। আপনাকে এটা নিয়ে স্টাডি করতে হবে। আমার পক্ষে টাইপ করে এতো বিশাল আলোচনা করা মোটামুটি অসম্ভব ব্যাপার।

নাহিদ তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর আগ্রাসী সম্প্রচারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া নি নাহিদ নেয় নাই, মাহফুজও নিচ্ছে না। কেন? এর পিছনের সংক্ষিপ্ত কারনগুলো হলো, গত ১৬ বছরে গড়ে ওঠা আওয়ামী তথা ভারতপ্রেমী প্রশাসন, বিএনপির ভারতের কোলে চড়ে বসা আর ইউনুস সরকারের কিছুটা ''ধরি মাছ, না ছুই পানি'' নীতি। কারন উপদেষ্টাদের বিএনপিপন্থিরা ইউনুসকে বোঝাচ্ছে, বড় ঝামেলায় না জড়িয়ে আমাদের একটা নির্বাচন দিয়ে সরে যাওয়া উচিত। ইউনুস এখন এটা মেনে নিয়েই এগুচ্ছে।

বিএনপি বা কেন‌ বাবর কে মিডিয়া বা লাইমলাইটে আসতে দিচ্ছে না? কারন ভারত বাবরকে পছন্দ করে না। তবে ইদানীং বাবরের কিছু এক্টিভিটি দেখা যাচ্ছে। দেখা যাক, পানি কোনদিকে গড়ায়। ইউনিভার্সিটিগুলোর নির্বাচন ফলাফল থেকে তারেক যদি কোন শিক্ষা নেয় তো ভালো!!!

আদতে আমার মনে হয় কি, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান,‌ দুর্বল অর্থনীতি, জ্বালানি নিরাপত্তা বিবেচনায় ভারতের বিরুদ্ধে যাওয়ার কোন অবস্থা নেই। আপনার এই ধারনাই বাংলাদেশের জনগনের একটা অংশ ধারন করে, যেটা একটা ভুল ধারনা। এটা ভেবেই হাল ছেড়ে দেয়। আপনি বরং বাংলাদেশের একটা SWOT analysis করেন। আশাকরি খানিকটা পরিস্কার হতে পারবেন।

আপনাকে একটা টিপ দেই। পলিটিক্স বুঝতে হলে, আর সঠিক পলিটিকাল এনালিসিস করতে হলে আপনাকে লাইফ স্টাইল অসুখের চরিত্র বুঝতে হবে। অসুখ মোটাদাগে দুই ধরনের। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুখ (যেমন এইডসম কোভিড ইত্যাদি) আর লাইফ স্টাইল অসুখ (হৃদরোগ, ডায়াবিটিস ইত্যাদি)।

ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুখ সিম্পল। ওই নির্দিষ্ট ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া শরীরে ঢুকলে অসুখটা হবে। এই অসুখ বুঝে পলিটিকাল এনালিসিস করতে গেলে আপনি বুঝবেন, নাহিদ যেহেতু উপদেষ্টা থাকাকালীন ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করে নাই, কাজেই সে ভারতের স্বার্থ দেখছে। খুব সহজ, তাই না!!!!

অপরদিকে লাইফ স্টাইল অসুখ কমপ্লিকেটেড। এই অসুখের জন্য একটা ফ্যাক্টর না, অনেকগুলো ফ্যাক্টর একসাথে কাজ করে। কাজেই এই অসুখ বুঝে পলিটিকাল এনালিসিস করতে গেলে আপনি বুঝবেন, নাহিদের উপদেষ্টা থাকাকালীন ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ না করার পিছনের কারনগুলো কি কি হতে পারে। এই ব্যাখ্যা আমি আপনাকে দিতে পারি, তবে সেটা আপনার পোষ্টের চেয়ে বড় হবে। আর এর জন্য ইতিহাস, পারিপার্শ্বিকতা আর বাস্তবতা বোঝাটা জরুরী।

আমি চেষ্টা করলাম আমার মতো ব্যাখ্যা করতে। আরো বহু ব্যাখ্যা আছে। সব যদি আমি বলি, তাহলে আপনার কাজ কি? চোখ-কান খোলা রাখলে, বিবেককে বন্ধক না রাখলে, ট্যাগিং আর দালালী না করলে নিরপেক্ষভাবে আপনি যে কোনও পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে পারবেন। এই জন্য তথ্য দরকার আর তার সঠিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দরকার। এর পরেও যদি আপনি আমার কথা না বুঝে থাকেন, তাহলে আমার ব্যর্থতা। সেক্ষেত্রে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। B-)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: তাছাড়া খালেদা জিয়ার সরকারও আজ্ঞাবহ ছিল না। ইউনুসও আজ্ঞাবহ না। খালেদা জিয়ার দুই শাসনামলে নির্বাচিত সরকার ছিল।‌ দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলোতে বাকবিতন্ডা লড়াই করার আরো সুযোগ ছিল। তারপরে ও আমার মনে হয়, ভারতের সন্তুষ্টি রক্ষায় তারা ও অনেক বিষয়াদি বাংলাদেশের স্বার্থ ছাড় দিয়েছে। ভারতের যে বড় কনসার্ন বাংলাদেশ সামরিক ভাবে শক্তিশালী হোক, বিএনপির দুইটি আমলে তিন বাহিনীর তেমন আধুনিকায়ন করা হয়নি। বরং দেখা যায় হাসিনা তার প্রথম টার্ম মিগ-২৯ সহ বিএনএস বংগবন্ধু (কোরিয়ান ডেইগু ক্লাস ফ্রিগেট) কিনে। দ্বিতীয় টার্ম ভারতীয় আজ্ঞাবহ থাকা অবস্থায় চায়না থেকে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্রয় করে। বিএনপির আমির খসরু মাহমুদের দিল্লিতে অমিত শাহয়ের সাথে সাক্ষাৎ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এর একটি ছবি দেখেছেন কিনা জানি না? সর্বোপরি জামাতের আমির একটি রাজনৈতিক বক্তব্য বলেছেন "আমরা ভারতের সমর্থক চাই" আমাকে ভাবায় এদেশে ভারত বিরোধিতা কি ভোট ব্যাংক?


নাহিদ নেয় নাই, মাহফুজও নিচ্ছে না। কেন? এর পিছনের সংক্ষিপ্ত কারনগুলো হলো, গত ১৬ বছরে গড়ে ওঠা আওয়ামী তথা ভারতপ্রেমী প্রশাসন, একটা জ্বলজেন্ত বিপ্লব, ১৬০০ তাজা রক্তের বিনিময়ে প্রাপ্ত চেয়ারে বসে নাহিদ/মাহফুজের ও উপদেষ্টা, সচিব, আমলাদের এই এক্সকিউজটা কি মেনে নেওয়ার মত? হাসিনার সময় যদি এমন হতো,  তাহলে কি আমরা মেনে নিতাম? টাকার বিনিময়ে কোন পক্ষ, কোন‌ দলটি  হাসিনার সচিব, ডিসি, এসপিদের পুর্ন বাসন সহ ট্রান্সফার বানিজ্য করলো? কারা ঘন ঘন‌ সচিবালয়ে যেত???  নাহিদ-মাহফুজরা পারে নাই; কারন‌ তাঁদের দলের ই একটা অংশ‌ টাকার বিনিময়ে হাসিনার সময়ে সচিবদের পুর্নবাসন করেছে।

আপনার এই ধারনাই বাংলাদেশের জনগনের একটা অংশ ধারন করে, যেটা একটা ভুল ধারনা। এমনটা আমার  আগে মনে হতো না; কিন্তু এখন তাই মনে হয়। হাসিনার করা গোপন চুক্তিগুলো যখন দেখি এখনো গোপন, আগের চেয়ে আরো কয়েকগুণ বেশি ইলিশ যখন শুনি এখন ভারতে যায়, নতুন করে ভারতীয় রেলের ইঞ্জিন কিনার চুক্তি হয়, ঢাকার সহিত কোন আলোচনা ব্যাথিত এক পাক্ষিক ভারত চুক্তিগুলো বাতিল করে, তখন আসলে কম-বেশি সকল দল আর সরকার ই এদেশে ভারতীয় আজ্ঞাবহ আর বেক টেবিলে ভারত যে এদেশে উপর অনেক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।


https://youtube.com/shorts/mPeKUY0qAj8?si=OIYatm6rC8-7pFbm এই ভিডিও টা সেদিন চোখে পড়ে; সবকিছু আবার নতুন করে ভাবতে শিখায়? ইরানের শাহদের সম্পর্কে এতদিন জেনে এসেছি প্রো আমেরিকান, আমেরিকার দালাল ইত্যাদি। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্ব ব্যবস্থায় কি একটি রাষ্ট্রের উপর অন্য রাষ্ট্রের কতৃত্ব ফলানো বা কলোনিয়াল যুগের মত লুটপাট করা সম্ভব? হাসিনা প্রো ইন্ডিয়ান, ভারতীয় সেবাদাসী কোন সন্দেহ নাই; কিন্তু দেশ বিক্রি করে দিয়েছে; দেশের সব খনিজ সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে এইসব একটু বেশি বেশি মনে হয় এখন। আমি এখনো বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার
সুরক্ষা আর সমর্থন এর জন্যে হয়তো ভারত একপাক্ষিক কিছু চুক্তি করতে পারে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সকল সমস্যা (পানি, সীমান্ত হত্যা ইত্যাদি) কুটনৈতিক ভাবে সমাধান করা সম্ভব‌। বাংলাদেশে শক্তিশালী গনতন্ত্র, সচ্ছ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পালাবদল, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শিক্ষা ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এবং অর্থনৈতিক বিকাশ ভারতের কে মোকাবেলার সেরা অস্ত্র।

যাক ভাবছি অনেক বড় হবে তাই সরাসরি জিজ্ঞাসা গুলোতে আলোকপাত করলাম। আমার স্বল্প জ্ঞান যতটুকু বুঝার ক্ষমতা ছিলো সেটাই আপনার নিকট ব্যাখা করলাম। ওই যে আগে বলছি, নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার যুক্তির সাথে বিতর্ক করার তেমন কোন সুযোগ থাকে না। তাই আপনার কাছেই বিস্তারিত এইটা ওইটা জ্ঞিগাসা‌। :-B এরপর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ মুলক ব্যাখ্যা চাই। এদেশে ভারতীয় আগ্রাসন ও এর প্রতিকার বিস্তারিত।

২২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: রেজা শাহ
লিংকটি এখানে দিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.