| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৈয়দ কুতুব
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে — ঠিক যখন তারেক রহমান দেশে ফিরছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারেক রহমানের দেশে ফেরা কেবল বিএনপির জন্য নয়—দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্যই একটা জরুরি বিষয়, কারণ জটিল সময়ে দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা তিন দিক থেকেই শক্ত নেতৃত্ব প্রয়োজন।
সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভর-কেন্দ্রগুলো থেকে দ্রুত তাঁর দেশে ফেরার তাগিদ দেখে তিনিও একরকম ঝুঁকির মুখেই ডিসেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে মাতৃভূমিতে ফিরছেন। সঙ্গত কারণেই এই মুহূর্তটি ব্যাপক কৌতূহল ও ভরসার হওয়ার কথা। দক্ষিণপন্থীরা ঠিক এই মুহূর্তটিকে টার্গেট করেছে উত্তেজনা তৈরি করতে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটিকে যুদ্ধংদেহি করে তোলার জন্য এই সময়টিকে বেছে নেয়ার লক্ষ্য মূলত তারেক রহমানের দেশে ফেরার সামাজিক আবেদন কমানো। এই আয়োজনে ভারতের এখনকার শাসকদের দিক থেকেও বহু ধরনের লাভ আছে।
প্রথমত, বিজেপি-আরএসএস বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও রাজনীতিকে তার জন্য নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় ব্যাপক উম্মাদনা তৈরি করতে পারবে। সেটা ইতোমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত, এতে বাংলাদেশের চার পাশে নতুন করে সামরিক আয়োজনও বাড়াবে তারা। তৃতীয়ত, এর ফলে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সকল ভারতীয় রাজ্যে মুসলমান বিদ্বেষ নতুন উচ্চতায় উঠছে।
চতুর্থ, ‘নর্থ-ইস্ট ভাগ করে দেবো’, ‘দূতাবাসে ঢুকবো’ এরকম হুমকিগুলো আন্তর্জাতিক কূটনীতিতেও বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের ইদানিংকার ন্যারেটিভকে ন্যায্যতা দিচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে নয়াদিল্লীর জন্য বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের উপহারের যেন কোন শেষ নেই! আবার জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার পর জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে তারেক রহমানকে একচেটিয়া উচ্চ সামাজিক ভাবমূর্তিতে দেখতে চায় না নয়াদিল্লী। তাদের হয়ে সেই কাজটিও করে দিতে চলেছে এখানকার ফার-রাইটরা।
তবে, এটাও সত্য, বাংলাদেশের জনসমাজ বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজকের এই জায়গায় এসেছে। তাদের নীরব দৃঢ়তা নির্বাচনের রোডম্যাপকে বাস্তব করে তুলেছে। তাই ভারত-বিরোধিতার আড়ালে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উদীয়মান ছদ্ম-রাজনৈতিক-যুদ্ধের তাৎপর্যও নিশ্চয়ই তারা বুঝতে পারবে। সব মানুষকে তো সব সময়ের জন্য বার বার বোকা বানানো যায় না!
ভারতের বিরুদ্ধে স্নায়ু-লড়াইয়ের বড় হাতিয়ার হলো রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো, আর এসব প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নেই। আর সেটা বাস্তবায়নে – উৎসবমুখর নির্বাচন এবং জনসমর্থিত শক্ত নেতৃত্ব হলো প্রাথমিক পদক্ষেপ। কেবল শক্তিশালী জনপ্রতিনিধিরাই ভারতের হাত থেকে অপরাধীদের নিয়ে আসতে এবং বাকিসব ন্যায্য স্বার্থ আদায় করতে পারে।
লেখাটি সায়ের সাহেবের ফেইসবুক বুক পোস্ট হতে কপি করা। সবার আগে সব খবর পাবেন সায়ের সাহেবের কাছে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সায়ের সাহেবের অবস্থা দেখে মাহমুদুর রহমানের কথা মনে পড়ে যায়।
২|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১৩
মাথা পাগলা বলেছেন: এসব সিলভার কাপ কা বাচ্চারা দুইদিন আগেও ফকির ছিলো। আনডিসার্ভিং কিছু কামলা পাওয়ারে এসে এখন এগুলা বলে দেশ অস্থীতিশীল করছে। ভারত মনে হয় বছরে ৭০০~৮০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানী করে তার মধ্য ১০ বিলিয়নের মতো পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানী করে। ১০ বিলিয়ন লস খেলে তাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু ১০ বিলিয়নের পণ্য দূর দেশ থেকে আমদানীতে বাংলাদেশের অনেক খরচ বাড়বে।
দেড় বছরে এসব শা-মা*রা যা কামাইসে চালের দাম ৫০০ টাকা কেজি হলেও তাদের কোন সমস্যা নাই।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আল্লাহর দুনিয়ায় লীলাখেলা বুঝা দায়। আজকে যে পথের ফকির আগামীকাল সে বাদশাহ হইবার পারে। মানুষের উন্নতির দিকে কু নজর দিতে নাই।
৩|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৯
মাথা পাগলা বলেছেন: বাদশাহ হইলে দায়িত্ব বাড়ে। সেই দায়িত্বের কাজকর্মের সমালোচনা করলে সেটারে জবাবদিহিতা বলবেন, নাকি কু-নজর?
৪|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৩১
ক্লোন রাফা বলেছেন: সব দোষ শেখ হাসিনার। আপা আপনারা যা ভালো বুঝেন, চালিয়ে যান।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৩
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
ভারতকে নিয়ে শুধু শুধু অপ্রয়োজনীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর কোন প্রয়োজন দেখছি না।
সায়ের এখন তারেক রহমান কে বাটার আপ শুরু করেছে তবে আমার মনে হয় না তারেক রহমান এসে সরকার গঠন করে ও খুব স্বস্তিতে থাকবে? জামাত সাথে সমঝোতা না করলে প্রশাসন, আওয়ামীলীগ এবং জামাত তৃমুখী চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব না.......