নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Run for mankind...

মোবারক হোসেন রুবেল

অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দা্উ দাউ দাউ করে জ্বলুক। অন্নগুলো কেড়ে নাও ক্ষুধার জালা বুঝুক।

মোবারক হোসেন রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফারাবীর পিছনে কে?

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৪

পরিচিত এক ফ্লেক্সী দোকানে গিয়ে বললাম, ভাই আমার রবি নাম্বারে ফ্লেক্সী মারেন। নাম্বার দিলাম, তিনি খাতায় উঠালেন। নাম্বার শেষে ডানপাশে নিজ দ্বায়িত্বে লিখলেন ২১ টাকা। যদিও আমি টাকার পরিমাণটা এখনো বলি নাই। কেন ২১ টাকা লিখলেন তা জানতে চাইলে তিনি বললেন, না মানে আপনি তো রবি নাম্বারে ফ্লেক্সী নিলেই ২১ টাকা রিচার্জ করেন। তাই...



ফারাবীর কথা মনে আছে? আমাদের মনে নাই কিন্তু দোকানদার ভদ্রলোকের ঠিকই মনে আছে। ফারাবী এখন কোথায়? আসিফ জামিন পেল, শুভ জামিন পেল, রাসেল জামিন পেল কিন্তু ফারাবী?



ফারাবী ছেলেটা যতটুকু জানি একটা মানষিক ভারসাম্যহীন মেলিনজোনিক রোগী ছিল। তাকে তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এক বা একাধিক ব্যক্তি বা সংগঠন প্ররোচিত করছে তা এক প্রকার সুনিশ্চিত। তার অবচেতনতার কয়েকটি নমুনা দেখা যাক।



নমুনা-০১

সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়েদের প্রেমের প্রস্তাব দিতো একই টাইমে একই ড্রাফ্ট। কোন পাগল/অবুঝ ছাড়া কি এ কাজ কেউ করতে পারে?



নমুনা-০২

সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছে মান সম্মান বিষর্জন দিয়ে ২১ টাকা চেয়ে ফ্লেক্সী চাইতো। আমার মনে হয় কোন স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন কোন লোক এই কাজটি করতে পারেনা।



নমুনা-০৩

সে অপরিচিত নাম্বার থেকে মিসকল দিতো। ডিবি পুলিশের ভয় দেখালেই বলত ভাই ভাই ভাই ভাই আমি ফারাবী। আর মিসকল দেব না। অবুঝ বাচ্চারা প্রধানতো এই কাজটা করে।



তবে এই ফারাবিটা হঠাত করে একজন ইমামকে হত্যার হুমকী দেবার মতো সাহস পায় কি করে? তা অবশ্য প্রশ্ন সাপেক্ষ।



এজন্য একটা ঘটনা বলা যায়, বিভিন্ন এথিষ্ট গ্রুপে ফারাবীর সাথে যখন তর্কবিতর্ক করতাম তখন প্রায় সময়েই ফারাবীকে দেখতাম একটা বিষয় সমাপ্ত না করেই সে আত্মসমর্পণ করত। ব্যাপারটি জানতে চাইলে সে নিজেই বলেছিল আপনিও যদি আমাকে ২১ টাকার ফ্লেক্সী দেন তবে আপনার কোন পোষ্টে গিয়েও আর আপনাকে জ্বালাতন করব না।



এ থেকে বুঝা যায় ফারাবী একমাত্র টাকার জন্যই অনলাইনে যুদ্ধ শুরু করেছিল। আমার ধারণায় কেউ হয়তো ফারাবীকে টাকার লোভ দেখিয়ে ইমামকে হত্যার হুমকীও দিয়েছিল। এটা অবশ্য সবার জানা যে, ফারাবী আর্থিকভাবে ততটুকু প্রতিষ্টিত ছিলনা।



চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান এর ছাত্র ফারাবীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতটুকু অনিশ্চিত তা ভেবে মাঝে মধ্যে খুব কষ্ট হয়। তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাকে প্ররোচনাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।



জয় হোক মুক্তচিন্তার। জয় হোক মানবতার। জয় হোক তোমার আমার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৭

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: একরাশ দীর্ঘ নিশাস ছাড়া আর কিছু নেই। একটা শিক্ষিত ছেলে কিভাবে কাদের ফাদে আটকাল, বুঝতেই পারছি না।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

লিংকন১১৫ বলেছেন: কিচ্ছু বলার নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.