![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দা্উ দাউ দাউ করে জ্বলুক। অন্নগুলো কেড়ে নাও ক্ষুধার জালা বুঝুক।
মানুষের অপ্রশস্ত অন্তরের আয়ত্ব কত?
গণু মোদী সান্ধ্যকালীন উপাসনা সমাধা করিয়া জপমালা হস্তে উপাসনামন্দির সম্মুখে পদচারণা করিয়া ভগদেবের নাম জপ করিতেছেন। তৎসময়ে একজন ফকীর জাতীয় বৃদ্ধা প্রথানুসারে অভিবাধন করিয়া সম্মখে দন্ডায়মান হইলেন।
বৃদ্ধার মলিন বেশ, শত গ্রন্হিযুক্ত পিরহান, মলিন বস্ত্রে শিরাবৃত, হস্তে তাহার পার ভাংগা পিতলের থালা।
আমার কিণ্চিৎ দূরে দন্ডায়মান হইয়া জপমালায় জপোব্যস্ত গণু মোদীর সামনে তাঁহার পিতলের থালাখানা ধরিলেন। প্রথম ভাগের বালকের ন্যায় আমি তাহা প্রত্যক্ষণ করিতেছি।
গণু মোদীর পবিত্র জপমালায় ব্যাঘাত ঘটাইয়া বৃদ্ধা যে পাপটুকু করিয়াছেন ইহার জন্য বৃদ্ধার পরকালে কি শাস্তি হইতে পারে তাহা নিয়ে না ভাবিয়া বরং ভাবিতেছে এবং দেখিবার অপেক্ষা করিতেছি যে ইহকালে গনু মোদী ঐ বৃদ্ধাকে কতটুকু শাস্তি দেন।
ভাবনায় গণু মোদীকে নিয়ে যতটুকু ‘কু’ ছিল তিনি ইহার কিঞ্চিত দূরত্বে অবস্থান করিতেছেন।
গণু মোদী ‘সু’ মানুষ। তিনি বৃদ্ধাকে থাপ্পরও দিলেন না আবার ধমকও দিলেন না। আস্তে করিয়া বৃদ্ধার সম্মুখ থেকে ক্ষমা গ্রহণ পূর্বক দু’কদম পশ্চাতে গিয়া এক প্রকার চম্পট মারিলেন।
পল্টি খাইয়া বৃদ্ধা পূর্বেকার ন্যায় তাঁহার পিতলের থালাটুকু আমার পানে ধরিয়া কহিলেন, বাজান..
‘বাজান’ কথাটির মানে আমার অবোধগম্য নয়।
অপেক্ষমান হস্তমোবারক আস্তিনের পকেট হইতে অবসরগ্রহণপূর্বক বৃদ্ধার থালা পর্যন্ত পৌছাইলাম। টুং করিয়া একটি শব্দ হইলো।
বৃদ্ধা তাঁহার হস্তযুগল ঊর্ধ্বাকাশে উঠাইয়া কিছু বলিতে চাহিলে আমার দক্ষিণ হস্তের চারি অংগুলির কৃপায় বৃদ্ধার হস্তদ্বয়কে বাধা দিয়া কহিলাম, “থাক দরকার নাই, বাইচ্চা থাকেন”
অর্ধপদহীন আগন্তুক বৃদ্ধা অ্যামিবয়েড চলনের ন্যায় হামাগুড়ি দিতে দিতে আমার চক্ষুর অগোচর হইলেন। তখনো সেইখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জপমালায় ব্যস্ত ছিলেন গণু মোদী।
আমি অবুঝ বালকের ন্যায় গণু মোদীর বদন পানে তাকিয়ে রইলাম। পান খাওয়া ঠোটযুগল তখনো বিড় বিড় করিয়া ঈশ্বরের নাম জপ করিতেছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩২
ঢাকাবাসী বলেছেন: ওই ভাষায় লিখতে হলে আরো পড়াশুনা করুন।