নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধন্যবাদ সকলকে !

একজন অশিক্ষিত মানুষ

ধন্যবাদ সকলকে !

একজন অশিক্ষিত মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিনামূল্যে বই বিতরনেও এখনো কেন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা পিঁছিয়ে ?

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪২


এটা সত্য আগের তুলনায় এখনকার মানুষ যেমন অনেক চালাক তেমন আবার অনেক বোকা ও।আমরা যখন লেখাপড়া করতাম,সেই আমাদের সময় প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পযন্ত ছেলে এবং মেয়ে উভয় পক্ষদের বিনামূল্যে বই দেয়া হত সরকারপক্ষ থেকে,আর স্কুলের বেতনতো ফ্রী ছিল। এখন আরো কত বেশি সুযোগ দিচ্ছে,এখন প্রথম শ্রেণী হতে ৮ম বা ১০ম শ্রেণী পযন্ত ছেলে মেয়েদের বিনামূল্যে সরকার থেকে বই দেয়া হয়।আমাদের সময় গরিবদের লেখাপড়ার সমস্যা শুরু হত যখন আমরা ক্লাস ফাইভ পাশ করে সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় পার হয়ে হাইস্কুলে ভর্তি হতাম । যখন আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উত্তিন্ন হতাম তখন কি আনন্দই না লাগত। আমাদের কাছে
তখন হাই স্কুলে যাওয়া মানেই আমাদের কাছে মাধ্যমিক কলেজ মনে হত ।বিশেষ করে ছেলেমেয়েদের এক শ্রেণীকক্ষে বসতে দেয়ার জন্য
হয়ত এমনটা মনে হত। প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পযন্ত ছেলে মেয়েদের আলেদা আলেদা কক্ষে বসানো হত। যাই হোক সেটা লেখার
প্রসঙ্গ না। লেখার মূল প্রসঙ্গে ফেরা যাক,বিষয় হল আগে যখন আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে স্কুলে ভর্তি হতাম বা লেখা পড়া শুরু করতাম তখন আমাদের নিজেদের বই খাতা কেনা লাগত বা পরিবার থেকে কিনে দেয়া হত।আর তখনকার সময় একজন ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীর বই কিনতে প্রায় ১০০০ থেকে ১৫০০টাকা লাগত।অবশ্য আরেকটা সুযোগ ছিল বই থেকে কিছু খরচ কমানোর সেটা হল পুরনো বই বেচা কেনা।
পুরনো বই কিনলে দেখা যেত ৩০০ থেকে ৫০০টাকায় সমস্যা সমাধান হয়ে যেত আবার নিজের বই গুলো অন্যের কাছেও বিক্রি করা যেত।যা এখন নতুন বইয়ের ক্ষেত্রে মোটেও লাগেনা।আর তখন আরেকটা ব্যাপার ছিল স্কুলে ভর্তি হতে আমাদের লাগত মাত্র ৩৭০ থেকে ৩৯০ যা এখন যেয়ে দাঁড়িয়েছে একজন ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীর ক্ষেত্রে সর্ব নিম্ন ৫০০০ থেকে শুরু করে ২০,০০০ টাকা পযন্ত আর ইংলিশ মিডিয়ামে হলেতো কথা নাই প্রায় ৩০,০০০ ৩৫,০০০হাজার টাকার মত লাগে।

আমাদের সময় মাসিক স্কুল ফি বা বেতন ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা আর বছরে তিনবার পরীক্ষা হত সেই ক্ষেত্রে স্কুলের বেতন সমপরিমান পরীক্ষার ফি দেয়া লাগত যেমন মাসিক বেতন ৬০টাকা হলে বছরে তিনবার ৬০ X ৩ = ১৮০ টাকা লাগত।আর এখন বই ফ্রি হলেও স্কুল ভর্তি প্রায় ৫০০০টাকা অন্যদিকে স্কুলের মাসিক ফি বা বেতন দেয়া লাগে ৭০০থেকে ১০০০টাকা । তাছাড়াও ৫ম বা অষ্টম শ্রেণীতে ওঠার পর বাধ্যটামূলক কোচিং প্রতি মাসে ১০০০টাকা থেকে ১৫০০টাকা দিতে হয় স্কুল টিচারদের ।একদিন স্কুলে না গেলে ৫০টাকা জরিমানা দিতে হয়।যা আমাদের সময় ছিল মাত্র ১টাকা।

আগের খরচঃ
প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পযন্তঃ
স্কুলে ভর্তি ফিঃ ৩৭০ থেকে ৩৯০
স্কুলে মাসিক বেতনঃ ৫০ থেকে ৮০ টাকা
পরীক্ষা ফি তিন বারে যা লাগতঃ ৫০ টাকা হলে তিনবারে মোট ১৫০টাকা লাগত।
বই খরচঃ প্রায় ১০০০টাকা থেকে ১৫০০ লাগত।

আর এখন যা লাগেঃ
প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পযন্তঃ
স্কুলে ভর্তি ফিঃ ৫০০০ থেকে ৩০,০০০ বা ক্ষেত্র বিশেষ ৩৫,০০০টাকা লাগে।
স্কুলে মাসিক বেতনঃ ৬৫০ থেকে শুরু করে ১৫০০ ক্ষেত্র বিশেষ আরো অনেক বেশিও লাগতে পারে।
পরীক্ষা ফি তিন বারে যা লাগেঃ ৬৫০ থেকে শুরু করে মাসিক বেতন অনুযায়ী যা আসে তা দিতে হয় দুইবার বা তিনবার।
বই খরচঃ ফ্রী =p~
এবার নিশ্চয় আমাদের কারো বুঝতে বাকি নেই যে আসলে বই ফ্রি হলেও এখনো কেন আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা পিঁছিয়ে আছে ?

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এখন কার খরচ দেখে আমি বিমোহিত,বিচলিত,লাঞ্ছিত,বঞ্চিত কষ্টিত এবং অর্জিত।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: বই ফ্রি হলে কি হবে ভাই। ডালের মজা পানিতে এরকম অবস্থা হল আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় । স্কুল ভর্তি আর বেতন আকাশ ছঁই ছুঁই।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৭

নয়া পাঠক বলেছেন: খালি বই ফ্রি দিলেই হইব, আরো যে সকল মৌলিক অধিকার রয়েছে তা তো পুরণ না হলে কি শিক্ষাব্যবস্থা আগাবে? তদুপরি কিছু শিক্ষক নামের কলংকগুলোকে আগে সঠিকভাবে শিক্ষিত করে তুলতে হবে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১২

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: বইয়ের থেকে এখন বেশি টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন দেশের এক শ্রেণীর টিচার সাহেবেরা। আর এ কারনেই দেশের শিক্ষার বেহাল দশা।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



শিক্ষা ব্যবস্থার বহুমুখী সমস্যার একটা খন্ডিত চিত্র উঠে এসেছে আপনার লেখায়। কোচিং ফি, সেশন ফিসহ নানান ফি -এর ঘেরাটোপে আজও আটকে আছে দীন হীন অভাবী মানুষের সন্তানদের পড়ালেখার স্বপ্ন।

সচেতন সকল মহলের দূরদর্শী পদক্ষেপে দূর হোক শিক্ষিত জাতি গঠনের সকল অন্তরায়।

ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে লেখায়।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৫

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: শুধু মাত্র খরচের জন্য অনেক মেধাবীরা আজ লেখা পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগল বিষয়টি।

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: কথা সত্য বলছেন ভাই।

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

রাজীব নুর বলেছেন: দেখি দীপুমনি অবস্থার উন্নতি করতে পারে কিনা।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩১

হাবিব বলেছেন: একদম সত্য কথা

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৫

সূচরিতা সেন বলেছেন: সত্যকথা বলছেন দাদা

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২১

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: তাছাড়া টাকার অংকে এই পাঠ্য বইয়ের খরচই বা কত হত!

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৫১

মামুন ইসলাম বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য আমাদের আরো ভালো ভালো উদ্ধেগ নিতে হবে । চমৎকার লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

নাইম রাজ বলেছেন: সব বিষয় ভালো ভালো পদক্ষেপ নেয়া হোক এটাই কাম্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.