![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যক্তিগত কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ
1/মনিটর
2/ মাদারবোর্ড
3/ সিপিইউ
4/র্যাম
5/ এক্সপ্যানসন কার্ড
6/ পাওয়ার সাপ্লাই
7/ সিডি-রম ড্রাইভ
8/ হার্ড ডিস্ক
9/ কী-বোর্ড
10/ মাউস
একটি কম্পিউটারকে আমরা সাধারনত দুই ভাগে ভাগ করতে পারি যথা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার হল সেই সব অংশ যা দৃশ্যত এবং স্পর্শ করা যায় এবং যার কাঠামো আছে। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার হল কম্পিউটারের সেইসকল অংশ যেগুলো স্পর্শ করা যায়, দেখা যায় যেমন মনিটর, মাউস, কেসিং, মাদারবোর্ড, রম, সি.ডি, ডি.ভি.ডি. ইত্যাদি। কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রাংশ দিয়ে একটি পারসোনাল কম্পিউটার তৈরি হয়। তারপর এতে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা হয় এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইন্সটল করা হয়। একটি মনিটর সাধারণত ডিসপ্লে ডিভাইস, সার্কিট, আবরণ, এবং পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে গঠিত। কম্পিউটারের প্রধান আউটপুট ডিভাইস হিসাবেই বেশি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মনিটর বলতে বুঝি টেলিভিশনের মতো বড় আকৃতির যন্ত্রকে, কিন্তু প্রযুক্তিতে মনিটরের ধারণা অ্যারও ব্যাপক অর্থে ব্যবহার হয়। মনিটর হল সেই সরঞ্জাম যাতে সিস্টেমে চলমান প্রক্রিয়া সরাসরি দেখা যায়। মনিটর হল একটি বহুল ব্যবহৃত অউটপুট সরঞ্জাম যা ছাড়া বর্তমানে কম্পিউটার অপরাটিং অসম্ভব। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে মহাকাশ প্রযুক্তিতে মনিটর ব্যবহার হচ্ছে। অতিতে যখন মনিটর তৈরি করা হয় তখন তা ছিল আকার আকৃতিতে বিশাল তাতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হত। প্রথম দিকে সব মনিটরে ক্যাথোড রে টিউব ব্যবহার হত। টিউব এর বিপরীত পাশে ফসফরাসের প্রলেপ লাগানো থাকতো। যখন টিউব থেকে প্রচণ্ড গতিতে ইলেকট্রন টিউব থেকে বেরিয়ে এসে ফসফরাসে আঘাত করে তখন তা আলো বিকিরণ করে এবং এই আলো সামগ্রিক ভাবে বোধগম্য চিত্র ফুটিয়ে তোলে। টিউব থেকে ইলেকট্রন বেরিয়ে আসার হার প্রতি সেকেন্ডে ৫০ থেকে ৭০ বার।
টিউব মনিটরের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে বিকল্প খুঁজার প্রয়োজন হয়। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মনিটরের আকার আকৃতি পরিবর্তন হয়। ফ্লাট মনিটরের আবিষ্কার হয়। এই ফ্লাট মনিটরে চার্জ যুক্ত বিদ্যুৎ পরিবাহী তরল ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হয়। যখনই এই তরলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় তখন তা নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে আলোকে বাঁধা প্রদান করার মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর বিন্দুতে রূপান্তর করে এবং সামগ্রিক ভাবে চিত্রে পরিণত হয়। ঘড়ীতে এই মনিটর ব্যবহার করা হতো আর এখন বর্তমানে মোবাইল ফোনে এই মনিটরের বহুল ব্যবহার হয়।
মাদারবোর্ড হল ব্যাক্তিগত কম্পিউটারের মত জটিল ইলেকট্রনিক সিস্টেম এর মূল সার্কিট বোর্ড। মাদরবোর্ডকে কখনো কখনো মেইনবোর্ড বা সিস্টেম বোর্ড ও বলা হয়। তবে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে এটিকে লজিকবোর্ড বলা হয়। মাদারবোর্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করা হয়।
সাধারণ ডেস্কটপ কম্পিউটারে মাদারবোর্ডের সাথে মাইক্রোপ্রসেসর, প্রধান মেমরি এবং কম্পিউটারের অন্যান্য অপরিহার্য অংশযুক্ত থাকে। অন্যান্য অংশের মধ্যে আছে শব্দ ও ভিডিও নিয়ন্ত্রক, অতিরিক্ত তথ্যভান্ডার, বিভিন্ন প্লাগইন কার্ড যেমন ল্যান কার্ড ইত্যাদি। কিবোর্ড,মাউসসহ সব ইনপুট,আউটপুট যন্ত্রাংশও মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।
মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসুস, গিগাবাইট, ইন্টেল, ইসিএস ইত্যাদি। আসুস বর্তমানে পৃথিবীর সব চেয়ে বড় মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানি।
একটি মাদারবোর্ড কখোন কখোন বিকল্পভাবে মেইন-বোর্ড, সিস্টেম বোর্ড, বেসবোর্ড, প্ল্যানার বোর্ড বা লজিক বোর্ড নামেও পরিচিত,এটি প্রধান প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড কে একটি সাধারণ উদ্দেশ্য ছোট কম্পিউটার চালনায় এবং অন্যান্য বিস্তারযোগ্য সিস্টেম পাওয়া যায়। এটা গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক উপাদান এর মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে যেমন সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট এবং স্মৃতি হিসেবে একটি সিস্টেমে এবং অন্যান্য যন্ত্রানুষঙ্গ সংযোগকারীদেরকে যোগাযোগ রক্ষার সংযোগ প্রদান করে। একটি ব্যাকপ্লেন থেকে ভিন্ন, একটি মাদারবোর্ডে সাধারণত কেন্দ্রীয় প্রসেসর, চিপসেট ইনপুট,আউটপুট এবং মেমরি কন্ট্রোলার, ইন্টারফেস সংযোগকারী এবং সাধারণ উদ্দেশ্য ব্যবহারের জন্য অন্যান্য ইন্টিগ্রেটেড উপাদান সাব-সিস্টেমে রয়েছে।মাদারবোর্ড বিশেষভাবে সম্প্রসারণ ক্ষমতা সঙ্গে একটি পিসিবি বোঝায় এবং হিসাবে নাম প্রস্তাব দেয়া হয়। এই বোর্ড প্রায়ই উল্লেখ করা হয় এটি সংযুক্ত সব উপাদান যা প্রায়ই যন্ত্রানুষঙ্গ ইন্টারফেস কার্ড এবং কন্যাকার্ড অন্তর্ভুক্ত মা হিসাবে। সাউন্ড কার্ড, ভিডিও কার্ড, নেটওয়ার্ক কার্ড, হার্ড ড্রাইভ, বা স্থায়ী স্টোরেজ যন্ত্রঃ টিভি টিউনার কার্ড, অতিরিক্ত USB বা ফায়ারওয়্যার স্লট এবং অন্যান্য কাস্টম উপাদান বিভিন্ন প্রদান।
আর একইভাবে মেইনবোর্ড লেজার প্রিন্টার, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন এবং অন্যান্য এমবেডেড সিস্টেম সীমিত এর সম্প্রসারণ ক্ষমতা দিয়ে বোর্ড নিয়ন্ত্রণ হিসাবে এবং একটি একক বোর্ডের সঙ্গে ডিভাইসের কোন অতিরিক্ত প্রসারণও বা সামর্থ্যও প্রয়োগ করা হয়।
কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম পরিচিত
কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম হলো একটি সিস্টেম সফটওয়্যার যা কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার ও কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্যে সাধারণ সেবা সরবরাহ করে। অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার এবং ব্যহারকারীদের ইনপুট নেয় ও বিভিন্ন টাস্ক এবং কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম সম্পদগুলি বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা করে ব্যবহারকারী এবং অন্যান্য প্রোগ্রামকে সেবা প্রদান করে। মেমরি বণ্টন ও নিয়ন্ত্রণ, সিস্টেম অণুরোধগুলির অগ্রাধিকার নির্ণয়, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ, কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এবং ফাইল সিস্টেম ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেমের কাজ। উইন্ডোজ, উবুন্টু, আইওএস, ক্রোম ওএস, ম্যাক ওএস ও অ্যানড্রয়েড প্রচলিত কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলি চালাবার জন্য পরিবেশ তৈরি করে। ব্যবহারকারীর কাছে অপারেটিং সিস্টেমের সবচেয়ে দৃশ্যমান রূপ হল কম্পিউটারের ব্যবহারকারী ইন্টারফেস।
সিপিইউ সর্বাধিক দক্ষভাবে ব্যবহার করার জন্য আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে বহুপ্রোগ্রামিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এতে মেমরিতে একসাথে একাধিক জব থাকতে পারে তার ফলে সবসময়ই কোন না কোন জব প্রস্তুত থাকে যা সিপিইউ-কে দিয়ে করিয়ে নেয়া যায়। বহুপ্রোগ্রামিং ব্যবস্থার একটি সম্প্রসারিত রূপ হল সময়-শেয়ারকারী ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় সিপিইউ-এর শিডিউলিং অ্যালগোরিদমগুলি খুব দ্রুত এক জব থেকে আরেক জবে সুইচ করে, ফলে মনে হয় সবগুলো জব একসাথে চলছে।তদরূপ ব্যবহারকারীর প্রোগ্রামগুলো যাতে কম্পিউটারের কাজে ব্যাঘাত করতে না পারে, সেজন্য হার্ডওয়্যার দুই মোডে চলে: কার্নেল মোড ও ব্যবহারকারী মোড। I/O নির্দেশ ও হল্টিং নির্দেশগুলোসহ অন্যান্য প্রিভিলেজপ্রাপ্ত নির্দেশগুলো শুধু কার্নেল মোডে চলতে পারে। মেমরির যেখানে অপারেটিং সিস্টেম রাখা থাকে, সে এলাকাটাকেও ব্যবহারকারীর হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে হয়, যাতে ব্যবহারকারী এর কোন পরিবর্তন করতে না পারেন। অসীমসংখ্যক লুপ যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য টাইমার ব্যবহার করা হয়। এই ব্যবস্থাগুলিই (দ্বৈত মোড, প্রিভিলেজপ্রাপ্ত নির্দেশ, মেমরি সুরক্ষা, টাইমার দিয়ে ইন্টেরাপ্ট) অপারেটিং সিস্টেমের সঠিকভাবে চলার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
প্রসেস বা জব হল অপারেটিং সিস্টেমের কাজের মৌলিক একক। প্রসেস ব্যবস্থাপনা বলতে প্রসেস সৃষ্টি করা, প্রসেস মুছে দেয়া, প্রসেসগুলো কীভাবে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং সময় মিলিয়ে চলতে পারে, তার মেকানিজমগুলো প্রদান করা, ইত্যাদিকে বোঝায়। মেমরি ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে অপারেটিং সিস্টেম মেমরির কোন অংশ কে ব্যবহার করছে, তার হিসাব রাখে। অপারেটিং সিস্টেম ডাইনামিকভাবে মেমরি এলাকা খালি করতে পারে ও বণ্টন করতে পারে। অপারেটিং সিস্টেম স্টোরেজ ব্যবস্থাগুলোরও দেখাশোনা করে। এই সংক্রান্ত কাজের মধ্যে আছে ফাইল এবং ডিরেক্টরি উপস্থাপনের জন্য ফাইল সিস্টেম প্রদান করা, গণ-স্টোরেজ ব্যবস্থাগুলোর জায়গা ব্যবস্থাপনা করা।একই ভাবে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারী এবং নিজেকে রক্ষা করার জন্যও কাজ করে। দুইটি ধারণা এক্ষেত্রে উল্লেখ্য সুরক্ষা/প্রোটেকশন এবং নিরাপত্তা/সিকিউরিটি। কম্পিউটারের সম্পদ কীভাবে বিভিন্ন প্রসেস বা ব্যবহারকারী অ্যাক্সেস করবেন, অপারেটিং সিস্টেমের প্রোটেকশন মেকানিজমগুলো তা নিয়ন্ত্রণ করে। আর সিকিউরিটি পদক্ষেপগুলো কম্পিউটারকে বাইরের বা ভেতরের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
বিতরণকৃত ব্যবস্থাগুলিতে ব্যবহারকারীরা ভৌগলিকভাবে ছড়ানো কিন্তু কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত একাধিক হোস্টের সম্পদ শেয়ার করতে পারেন। এই সেবা ক্লায়েন্ট-সার্ভার কিংবা পিয়ার-টু-পিয়ার যেকোনভাবে দেওয়া যেতে পারে। গুচ্ছ বা ক্লাস্টার ব্যবস্থায় একাধিক যন্ত্র শেয়ারকৃত স্টোরেজে রাখা উপাত্তের উপর গণনামূলক কাজ চালাতে পারে। এবং ক্লাস্টারের এক বা একাধিক যন্ত্র ফেল করলেও গণনা অব্যাহত থাকতে পারে।এছাড়াও আরও কয়েক ধরনের কম্পিউটার ব্যবস্থা আছে যেগুলো বিশেষ ধরনের কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। এমবেডেড পরিবেশ, যেমন ক্রেতাদের ব্যবহৃত যন্ত্রসমূহ, যানবাহন, রোবট, ইত্যাদিতে রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেমে সুসংজ্ঞায়িত এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। ওই সময়সীমার ভেতরে প্রসেসিং সমাপ্ত করতেই হয়, নয়তো সিস্টেম অকার্যকর গণ্য করা হয়। মাল্টিমিডিয়া ব্যবস্থায় মাল্টিমিডিয়া উপাত্ত সরবরাহ-সংক্রান্ত কাজের পরিমাণ বেশি। কীভাবে অডিও, ভিডিও এবং সিংক্রোনাইজড অডিও-ভিডিও ধারা দেখানো এবং চালানো হবে, তার জন্য এতে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমে কিছু বিশেষ চাহিদা পূর্ণ করা হয়। ইদানিং ইন্টারনেট ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রভাবে আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে ওয়েব ব্রাউজার, নেটওয়ার্কিং ও যোগাযোগ সফটওয়্যার অপরিহার্য ফিচার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এতক্ষন ধৈয্য ধরে সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ। সাথে থাকুন আগামি পর্বে আমরা সফটওয়্যার এবং উইনডোস সম্পর্কে
বিস্তারিত জানবো।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫
বাংলার মেলা বলেছেন: আপনি নিজে অশিক্ষিত বলে কি সবাইকেও তাই মনে করেন?
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শ্রমসাধ্য পোস্ট। অনেক কিছু জানা হলো।
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অনেক কিছু লেখা ভালো লাগলো।
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল লেখা।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪২
বিষন্ন পথিক বলেছেন: পড়লাম, জানলাম অনেক কিছু, ভাল্লাগ্লো