নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধন্যবাদ সকলকে !

একজন অশিক্ষিত মানুষ

ধন্যবাদ সকলকে !

একজন অশিক্ষিত মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই ব্লগে আসল মুক্তিযোদ্ধা কি কেউ আছেন ?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯


এই ব্লগে আসল মুক্তিযোদ্ধা কি কেউ বেঁচে আছেন ? থাকলে দয়া করে দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য কিছু করুন । দেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক বছর কেটে গেছে,সেই সুবাদে অনেক মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে নেই বা থাকারো কথা নয় ।শুধু আমিই না,মোটামুটি আমরা সবাই কম বেশি জানি যে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে এখনো অনেক বিতর্ক রয়েগেছে ।আর এ বিতর্ক হয়ত সারা জীবনই থেকে যাবে বা চলবে, যতদিন বাংলাদেশের নতুন জেনারেশনেরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ভালো ধারনা ও আসল কথা না জানবে । তাই মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যে ঘোর বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে তা শুধু গুছে দিতে পারে একজন আসল মুক্তিযোদ্ধাই ।তাই বলছিলাম নাই শুধু আন্তরিক ভাবে অনুরোধ করছি,এই ব্লগে থাকা মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্লগার চাঁদগাজী,বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্লগার ডঃ এম এ আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্লগার আহমেদ জী এস,বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ব্লগার জুল ভার্ন, সহ আরো সন্মানি ব্লগার যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন,চাইলে তারা মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনাগুলো আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য লেখতে পারেন । আর এতে আমার মনে হয়,বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম সহ পুরো জাতি বেশ উপকিত হবে ।
তাই আবারো আন্তরিক অনুরোধ করবো সন্মানি ও শ্রদ্ধেয় ব্লগার আপনাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস লিখে আমাদের
সত্য জানতে এবং মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস জানতে সাহায্য করুন ।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: চারজন মুক্তি যোদ্ধার কথা আলোচনায় আছে,
তাতে আপনার কোন সন্দেহ আছে ???

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: ভাই এখানে সন্দেহের কথা আসছে কেন বুঝে আসছে না । আপনি মনে হয় আমার লেখার কারন বুঝতে পারেন নাই ।
তবুও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযুদ্ধ বাংগালী জাতির স্বাধীনতার যুদ্ধ, ইহা আমজনতার ভলনটিয়ার যুদ্ধ: মানে মানুষ স্বেচ্ছায় জাতির জন্য যুদ্ধ করেছেন, এখানে কোন বেতন, থাকার, খাবারের ব্যবস্হা ছিলো না, ইহার ব্যপ্তি ৯ মাস; বাংলাদেশে সরকারের হয়ে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন অস্ত্র, ট্রেনিং, ও ট্রেনিং'এর সময় যুদ্ধকালীন সৈনিকদের মতো ন্যুনতম খাবার দিয়েছে। ১১ সেক্টরে যুদ্ধ হয়েছে, ১ লাখ ২০ হাজারের মতো মানিষ ট্রেনিং পেয়েছেন দেশের বাহিরে; এঁরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন, ২২ হাজার প্রাণ দিয়েছেন, ১০ হাজারের বেশী আহত হয়েছেন। যুদ্ধের শুরুটা করেছিলেন ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট, আনসার, কিছু ছাত্র ও পুলিশ বাহিনী। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, গ্রামের কৃষকের ছেলেরা বিরাট সংখ্যায় যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। ছাত্রদের মাঝেও গ্রামের কৃষকের ছেলেরাই ছিলো বেশী; শহরের ছাত্ররা অসহযোগ আন্দোলনে থাকলেও, যুদ্ধে তেমন ছিলো না; শিক্ষিত ও সরকারী চাকুরেরা যুদ্ধ করেনি বললেই চলে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার বলতে ছিলো: তাজুদ্দিন সাহেব, উনার ছোট মন্ত্রীসভা, কয়েকজন কেরাণী ফেরাণী, রেডিওর লোকেরা, ১০/১৫ জন কুটনীতিবিদ ও ১ লাখ ২০ হাজার ভলনটিয়ার সৈন্যের বাহিনী। ৯ মাস যুদ্ধের পর, পাকী বাহিনী কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে। ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করে পশ্চিম সীমান্তে; তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত আমাদের তাজুদ্দিন সাহেবের সাথে চুক্তি করে, মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যৌথ-বাহিনী হয়ে, একযোগে পুর্ব সীমান্তে ঢুকে পড়ে। ১৬ই ডিসেম্বর পাকী বাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পন করে। বিজয় দিবসের ১ সপ্তাহের মাঝে, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়ে বাড়ী যাওয়ার আদেশ দেন তাজুদ্দিন সাহেব।

মুক্তিযোদ্ধরা বাড়ী ফেরেন, কারো বাড়ী ছিলো না, পাকীরা লিষ্ট করে পুড়িয়ে দিয়েছিলো। ২/৪ সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট বর্ডারে ও কেন্টনমেন্টে ফিরে; ৮০/৮৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা পোড়া বাড়ীতে বসে আংগুল চুষতে লাগলো, আর তাজুদ্দিন সাহেব ও শেখ সাহেব বড় বড় চাকুরী করতে লেগে গেলেন; মুক্তিযোদ্ধা কারা, দেশ কারা স্বাধীন করলেন, উনারা মনে হয় ভুলে গিয়েছিলেন, নিজের চাকুরী নিয়েই খুশীতে দিন যাপন করতে লাগলেন।

জামাতের নেতৃত্বে ৫৫ হাজার অথর্ব, গার্বেজ বাংগালী রাজাকার, আল বদর নাম নিয়ে পাকীদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলো; এরা পাকীদের চেয়েও অনেক ভয়ংকর জল্লাদ ছিলো; জামাতের ছাত্র গ্রুপের নাম ছিলো ইসলামী ছাত্র সংঘ, এরা রাজাকার, আলবদর হয়ে পাকিদেরকে প্রতি গ্রামে, প্রতি ঘরে নিয়ে গেছে।

এই হলো ইতিহাস। মনে রাখতে পারবেন তো? খাঁটী দুধের ছানা খাবেন, মেমোরীতে নতুন ২/৪ গিগাবাইট যোগ হবে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০১

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ চাচাজান এরকম একটা সুন্দর এবং গঠনমূলক কমেন্টের জন্য ।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



১১ সেক্টরে যুদ্ধ হয়েছে, ১ লাখ ২০ হাজারের মতো *মানুষ ট্রেনিং পেয়েছেন দেশের বাহিরে;

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: একজন অশিক্ষিত মানুষ,




শিরোনামেই গন্ডগোল। মুক্তিযোদ্ধাদের আসল আর নকল নেই। নকল যারা তারা নিজেরাই মুক্তিযোদ্ধাদের নকল করেছে।
জেনে রাখুন মুক্তিযোদ্ধা একটিই মাত্র সিম্বল। দেশকে মুক্ত করে দেশের কাছে যারা কোন কিছুই প্রত্যাশা করেনি কখনও।

উপরে শ্রদ্ধেয় ব্লগার চাঁদগাজীমুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রেক্ষাপট বাস্তবিকতার সাথে বলেছেন, তাতে কোনও নকল নেই। মুক্তিযুদ্ধ কেবলমাত্র ৭১ থেকে শুরু হয়নি। মুক্তির পাল তোলা হয়েছে আরো আগে থেকে। ৬৯ থেকে সে পালে জোরসে হাওয়া লেগেছে। ৭১য়ে মুক্তির নাও ঘাটে ভিড়েছে।
মুক্তিযুদ্ধকে জানতে, বুঝতে হলে, স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট ও তার পেছনের উপাদানগুলোও জানতে হবে। কোনও একক মুক্তিযোদ্ধা আপনাকে সব ছবি এঁকে দিতে পারবেননা। বলতে পারবেননা, মুক্তিযুদ্ধ এমন কিম্বা অমন। আপনাকে এ সংক্রান্ত বই পড়তে হবে। সব পড়ে বুঝতে হবে মুক্তিযুদ্ধ কি, কেমন, কেন। নতুন প্রজন্মকে এসবের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। বাদশা আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীর এটা জানলেই মুঘল ইতিহাস জানা হয়না। ইতিহাস পড়তে হবে।

ব্লগের মুক্তিযোদ্ধারা কেবলমাত্র তাঁর নিজস্ব ঘটনাগুলোই বলতে পারবেন। সারা বাংলাদেশের সত্যাসত্য বলতে পারবেন না। তবে দেশের সর্বত্রই মোটামুটি একই রকমের ছবি, আঘাত আর প্রত্যাঘাতের। কোনও একটি ঘটনা থেকেই আপনি হয়তো বুঝতে পারবেন সে সময়কালের মুক্তিকামী মানুষের পালস (নাড়ীর স্পন্দন)। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পুরো পৃষ্ঠা জুড়েই ছড়িয়ে আছে এই পালস। চাঁদগাজীর মন্তব্যে সে পালস পরিষ্কার।

আশা করি আপনি বিষয়টির তাৎপর্য বুঝতে পেরেছেন।

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: যাক আপনার প্রস্তাবনায় ওস্তাদরা সারা দিচ্ছে দেখি । :)

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: এই প্রথম চাঁদগাজী আংকেলের একটা মন্তব্য ভালো লাগলো।

আপনি যদি অশিক্ষিত মানুষ হন তাহলে ব্লগে পোস্ট করছেন কেন? আগে ব্লগারদের কাছ থেকে শিখুন। শিক্ষা অর্জন করুন। তারপর লিখুন। ক্ষোভে নয় ভাই, নিজেকে এত ছোট্টভাবা ঠিক না, তাই বললাম। শুভ রাত্রি। ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধা সম্পর্কে শ্রদ্ধেয় মুক্তিযুদ্ধা আহমেদ জী এস এর বক্তব্য প্রনিধান যোগ্য ।
মুক্তি যুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন সবেমাত্র স্কূলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে পা দিয়েছি।
এর মাঝেই শুরু হয়ে যায় দেশে স্বাধিনার জন্য সংগ্রাম। তারপর শুরু হয়ে যায়
দেশের দুর্গম অঞ্চলে অবস্থান করে মুক্তির জন্য লড়াই। যোগাযোগের সম্বল পায়ে হেটে
গোপনে কিংবা জীবনের ঝুকি নিয়ে দুরবর্তী কোন স্থানের নিদৃষ্ট কোন উৎস হতে সংবাদ আদান প্রদান । আর সংবাদ শুনার অন্যতম সম্বল ছিল মাত্র ২/৪ ব্যাটারীর রেডিও। স্বাধীন বাংলা বেতারের খবর শুনা । নীজের অবস্থান ছাড়া এবং কমান্ডারের আদেশ নির্দেশ শুনা ছাড়া সারা দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিন্ডলে বাংলা দেশের মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে কি কি ঘটে চলেছে তা সঠিকভাবে সে সময়ে সবেমাত্র স্কুলের গন্ডি পার হওয়া একজন মুক্তি যোদ্ধার পক্ষে কতটুকু জানা ও বলা সম্ভব তা আপনিই বলেন ।সে সময়ে নীজের অবস্থানে ও চার পাশে যা ঘটেছে তাই কেবল বলা সম্ভব ।

তবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী আমদের শ্রদ্ধেয় বড় ভাইয়েরা, অনেক উচ্চ শিক্ষিত জ্ঞানীগুণী ও সেসময়কার শ্রদ্ধেয় সেকটর কমান্ডারগন খুব সুন্দর করে লিখে গিয়েছেন । যেমন সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম লিখেছেন লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে । এখানে দেখতে পাবেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইয়ের বিশাল তালিকা
এসমস্ত গ্রন্থে মুক্তি যুদ্ধের অনেক গল্প ও ইতিহাস উঠে এসেছে। আশা করি সেগুলি পাঠে আপনার তৃপ্তি আরো বেশীই হবে।
আমাদের মত কম জানা লোকজনদের লেখায় মুক্তি যুদ্ধের সার্বিক কাহিনী কতটুকুইবা উঠে আসবে ।মুক্তিযোদ্ধা ব্লগার চাঁদগাজী ও আহমেদ জী এস সুন্দর করে তুলে ধরেছেন একজন মুক্তিযুদ্ধার পক্ষে মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস কতটুকু লেখা সম্ভব ।

যাহোক আমাদের এখনকার প্রজন্মের শিক্ষিত ও অশিক্ষিত অনেকেই জানেন যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র যুদ্ধ , যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি গেরিলাযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে।২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ ও ই.পি.আরকে হত্যা করে এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙালিদের তৎকালীন জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান ও চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা এম. এ. হান্নান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করেন।

তবে এ প্রসঙ্গে একটি কথা জনাতে চাই ২৬ শে মার্চ সকালে ঢাকার অদুরে ( বর্তমান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উজেলা) শ্রীপুর অয়ারলেস সেন্টার হতে পাওয়া ইংরেজীতে লেখা একটি টেলিগ্রাফিক বার্তা আমাদের হাতে আসে । যার প্রথম লাইনটি ছিল To-day Bangladesh is a sovereign and independent state. বার্তাটিতে আরো অনেক কথার শেষে লেখা ছিল Joy Bangla.

এই বার্তা বঙ্গবন্ধু নিজে লিখে কাউকে আগেই দিয়ে গিয়েছিলেন কি না, কিংবা গ্রেপ্তারের আগে টেলিফোনে কাউকে মুখে ডিকটেশন দিয়েছিলেন কি না, দিলে কাকে কাকে দিয়েছিলেন এবং তাঁদের কী নির্দেশ দিয়েছিলেন কিংবা কোথায় কাদের সেই বার্তা পাঠাতে বলেছিলেন– এ ধরনের কোন প্রশ্ন আমাদের মনে সে সময় আসেনি। স্থানীয় আওয়ামী নেতারা সে বার্তাটির সাইক্লোস্টাইল কপি করে আমাদের হাতে দিয়ে বলেছিলেন এটা সকলের আছে বিলি করে পাঠ করে শুনানোর জন্য । আমি নীজে এই কাজ করেছি, সেই হতেই আমার মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন শুরু । তার পরে প্রতিরোধ সংগ্রাম , রাজেন্ত্রপুর ইপিআর ক্যাম্প হতে অস্র হাতে বের হয়ে আসা সৈনিকদের হাতে ছোট্ট প্রশিক্ষন , পাকবাহনীকে প্রতিরোধ, দুর হতে পাক বাহিণীর মর্টারের আঘাতে অনেকের ক্ষত বিক্ষত হওয়া, কত ঘটনা কত সংগ্রাম কত রক্তজড়া কাহিনী , সব একে একে সময় সুযোগে বলব । এ প্রজন্মের জন্য লিখে যাব মুক্তি যুদ্ধের কিছু টুকরো টুকরো কথা ।

তবে অমরা লিখি বা না লিখি দেশে মুক্তি যুদ্ধের উপরে এখন যে লিটারেচার আছে তাতে এদেশের এ প্রজন্মের সকল শিক্ষিত লোকেই জানেন যে পাকবাহিনীর পরিকল্পিত গণহত্যার মুখে সারা দেশে শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধযুদ্ধ; জীবন বাঁচাতে কয়েক হাজার আওয়ামী লীগের নেতারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর কব্জা থেকে স্বাধীন করতে কয়েক মাসের মধ্যে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। শুধু ভারতের ট্রেনিংক্যাম্প হতে প্রশিক্ষন প্রাপ্তরাই নয়, দেশের ভিতরেও গড়ে উঠে দুর্ধর্স গেরিলা বাহনী যেমন ময়মনসিংহের মেজর আফসার বাহিনী , টাঙ্গাইলে কাদের বাহিনী । গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে সারাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে নুন্যতম অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পতন অনিবার্য হয়ে ওঠলে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে পর্যদুস্ত ও হতোদ্যম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান আত্মসমর্পণের দলীল সই করে। এর মাধ্যমে নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান হয়। আমরা পুর্ণ বিজয় অর্জন করি । কিন্তু এই নয় মাসে ত্রিশ লক্ষ বাংগালী শহীদ হয়েছেন , কয়েক লক্ষ মা বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন ,আর পুরাদেশটাই বিপর্যস্ত হয়েছে পাকবাহিনী ও তাদের এ দশীয় দোসরদের হাতে ।

একজন মুক্তি যুদ্ধার যুদ্ধের জয়ের ইতিহাস মিশে যায় দেশের তাবত মুক্তিকামী জনতার বিজয় রথের সাথে । এ জয়ের কৃতি ও আনন্দ মুক্তিকামী স্বাধিনতা কামী সকলের । বিভিন্ন অবস্থানে থেকে মুক্তি যুদ্ধে বিভিন্ন পর্যায়ে অংশগ্রনকারী সকলের প্রতি রইল স্বশ্রদ্ধ ছালাম ও কৃতজ্ঞতা। তবে যদি প্রশ্নবিদ্য কথাটি বাদ দিয়ে সকল জীবিত মুক্তি যুদ্ধাদের প্রতি আপনার চাওয়াটি হত তাহলে ভাল লাগত । তার পরেও ব্লগ বলে কথা!! যাহোক, কামনা করি শুধু জিবীত মুক্তি যুদ্ধাই নন, যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছেন, অংশ গ্রহন করেছেন তারা সকলেই লিখুন মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে। তাহলেই সমৃদ্ধ হবে আমাদের মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস।

শুভেচ্ছা রইল ।

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আশা করি আপনার উত্তর পেয়েছেন।

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার স্বাস্হ্য মায়েস্হ্য ঠিক আছে তো?

১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




“একজন অশিক্ষিত মানুষ” আপনি কি বেঁচে আছেন?
পোষ্ট দিয়ে গুম হয়ে গেছেন।
আমরা কি হাসপতাল টাসপাতাল খোঁজ খবর নিবো নাকি থানায় জিডি করবো?
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চাইলে পাবলিক লাইব্রেরী যান “মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র ১৫ খন্ড” পড়ুন নিজ দায়িত্বে, সেখানে সব লেখা আছে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা শহর সহ প্রতিটি থানায় একটি করে পাবলিক লাইব্রেরী আছে। সাধরণত থানা নির্বাহী অফিসারের অফিসের পাশেই থাকে সরকারি পাবলিক লাইব্রেরী।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: নাহ! আঙ্কেল ঘুমটুম হই নাই,একটু ব্যস্ত আছি । তবে আমার উত্তরগুলো দেখা এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানা । আর সেটা
জানতেছি । আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । আর আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য আন্তরিক ভাবে দু:খিত ।

১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪১

নতুন বলেছেন: উপরের দুই মুক্তিযোদ্ধার বলা কাহিনিই আসলে আমাদের দেশের স্বাধিনতার যুদ্ধের সারাংশ।

একটা স্বাধিন দেশের মানুষ যদি একমত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতো তবে আমাদের অবস্থা আরো ভালো হতো। কিন্তু শুরুতেই যারা স্বাধিনতা বিরোধীতা করেছেন তারা এবং দূনিতিবাজদের জন্য দেশটা মাথা তুলে দাড়াতে পারেনাই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: খুবই ভালো এবং যুক্তিবাদি কথা বলেছেন ভাইয়া ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.