নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধন্যবাদ সকলকে !

একজন অশিক্ষিত মানুষ

ধন্যবাদ সকলকে !

একজন অশিক্ষিত মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশু বা কিশোর অপরাধকে যে ভাবে ঠেকানো সম্ভব বা নির্মূল করা সম্ভব

০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৪


দিন দিন কিন্তু বাংলাদেশের কিশোর অপরাধের প্রবণতা বেড়েই চলছে ।এর সমাধানের একটা পথ আমাদের বের করতে হবে,নয়তবা
একটা সময় এই কিশোর অপরাধ খুব ভয়ংকর রূপ নিবে ।পরিবার,সমাজিক কাঠামোর দ্রুত পরিবর্তন এছাড়াও শহর এবং আমাদের
আশেপাশে নানা রকম ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ এবং বিরাজমান নৈরাজ্য ও হতাশা কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির প্রধান কারন।তাছাড়াও আমরা ধরে নিতে পারি বিভিন্ন অপসংস্কৃতির বাঁধ ভাঙা জোয়ারও এর জন্য অনেক ক্ষেত্র বিশেষ দায়ী।বিশেষ করে যখন আমাদের সমাজের কিশোর
দের ১৪ থেকে ১৫ কি ১৬ বছর বয়সে পা দেন,তখন থেকেই তাদের চলার পথে নানান ধরণের গতিপথ রদবদল হতে থাকে।তাই
এই সময়টা প্রতিটা কিশোর বা কিশোরিদের জন্য বেশ ভয়াবহ ঝুকিপূর্ণ ।১৪ থেকে ১৮ এর মাঝামাঝি বয়সের প্রতৎা ছেলেমেয়েদের সামনে থাকে নানা রঙ বেরঙের আশা আর জীবন জগৎ সম্পর্কে থাকে অনেক কৌতূহল। অনেক সময় প্রতিকূল পরিবেশের কারণে আশাভঙ্গের বেদনায় হতাশার হাত ধরে নৈরাশ্যের অন্ধকারে পতিত হয় তারা এবং জীবন জরিয়ে যায় বিভিন্ন ক্রাইম বা অপরাধের সাথে। এ আর একটি কিশোর অপরাধ দেশ এবং জাতির জন্য বয়ে আনে সার্বিক কল্যাণে প্রতিবন্ধকতা ও সৃষ্টি করে নানান ধরণের সমস্যা।

আমাদের বাংলাদেশের শিশু কিশোররা সাধারনত যে অপরাধটি বেশি করে থাকেন সেটা হল চুরি,পকেটমার,বিনা কারণে না জেনে
না বুঝে মানুষের দোকানপাট,বাড়িঘরে এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনে হরতাল অবরধে গাড়ি ভাংচুর বা হমলা ও মেয়েদের বিরক্ত
বা মেয়েদের সামনে নানান বাজে বাজে ভাষায় কথা ও নানান ধরনের নেশা দ্রব্য সেবন করেন। আর এই অপরাধগুলো ধীরে ধিরে
তাদের আরো বড় বড় অপরাদের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। যেমন একটা সময় তারা দল বেঁধে ডাকাতি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে
জোরপূর্বক চাঁদাও আদায় করে থাকেন ।আর একটা সময় এমনও হয় দেখা যায় যে এই ধরনের বখাটেদের জন্য অনেক মেধাবি ভালো
ছাত্রীদের লেখা পড়াও বন্ধ হয়ে যায় ।

তাই সমাজের সকলকে কিশোর অপরাদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে । প্রতিটা কিশোর কিশোরিদের অপরাধ প্রবণতার দিকে
যদি আমরা মাতা,পিতা,বয়োজ্যেষ্ঠরা বা পরিবারের অভিভাবকরা একটু সচেতন হই তাহলে এই কিশোর অপরাধ অনেকাংশে কমিয়ে
আনা সম্ভব হবে ।বিশেষ করে আমাদের সামাজিক জীবনের দিক দিয়ে সমাজ ও পরিবারের সকলের আমাদের সন্তানদের ভালোভাবর বেড়ে
ওঠার জন্য একটা সুস্থ মানসিক বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।প্রতিটা শিশু কিশোরদের চলাফেরা গতিপথের দিকে সকলের
ভালোভাবে নজর রাখতে হবে ।বড়দের সকল শিশু কিশোরদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে ।তবে অনেক গবেষনায় দেখা
যায় আমাদের দেশের শিশু কিশোরদের অপরাধ প্রবণতার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে পরিবারের দারিদ্রতা।আর সেজন্য সরকার এবং বিভিন্ন প্রাইভেট কম্পানি থেকে বা উদ্ধকে দরিদ্র পরিবারের অভিভাবকদের জন্য কর্ম সংস্থার ব্যবস্থা করতে হবে।আর এর জন্য সরকাের
পাশাপাশি প্রতিটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠাগুলোকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

আর যে সকল শিশুরা ভিবিন্ন কর্মসংস্থার সাথে জড়িত তাদের জন্য সেই সকল প্রতিষ্ঠানের বাধতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
এতে করে একদিকে শিশুরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবেন অন্যদিকে তারা শিক্ষার প্রভাবে সুস্থ ও সুন্দর একটা জীবন যাপনের প্রতি
আগ্রহী হবেন এবং বিভিন্ন ধরণের অপারাধমূলক কাজ থেকেও দূরে থাকবেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চুরি সহ ধর্ষণ, হত্যা, সাইবার ক্রাইমে কাঁচা বদমাশ। একমাত্র জেল এদের জন্য উপযুক্ত বিচার।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে বাপ মা জন্ম দিয়েই খালাস।
এরপর সন্তানের আর কোনো খোঁজ খবর রাখে না।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ছেলে মেয়ে খারাপ হলে অবশ্যই সমস্ত দায়ভার বাপ মায়ের উপর বর্তায়।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৯

নতুন বলেছেন: সচেতন বাবা মায়ের সন্তান কখনোই খারাপ হয় না।

বাবা মা যদি সন্তানকে ভালো ভাবে গড়ে তোলে তবে ছেলে খারাপ হয় না।

সন্তানের ভবিষ্যতের ভিক্তিটা বাবা মা ই গড়ে তোলে, গাথুনী ভালো না হয়ে সন্তানও ভালো হয় না।

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ১:০২

কানিজ রিনা বলেছেন: সবচেয়ে নিম্ন স্তরের সমাজ যেমন বস্তী,
আর সবচেয়ে উচ্চ স্তরের সমাজের ছেলে
মেয়ে কিশোর কিশোরী যুবক যুবতী বেশী
বখে যায়। নিম্ন স্তরের অর্থাৎ যাদের নুন
আনতে পানতা ফুরায়, আর উচ্চ স্তর
হোল উচ্চ বিলাসিতায় যারা বেড়ে উঠে।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো পোষ্ট করেছেন।

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৩

(লাইলাবানু) বলেছেন: সচেতনমূলক ভালো একটা লেখা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.