![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
●বউয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে, বউয়ের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে যুগে যুগে স্বামীরা কতো কী যে করেছেন, তাজমহল বানিয়েছেন! বউয়ের স্মৃতি অমলিন করে রাখতে কেউ পত্রিকা প্রকাশ করেছেন বউয়ের নামে, এরকম উদহারণ ঢাকা ছাড়া আর কোনো দেশের পত্রিকার ইতিহাসে পাওয়া যায় না।
ঢাকা থেকে তখনকার পাকিস্তান আমলে প্রকাশিত আলোচ্য পত্রিকাটির নাম ছিল 'দিলরুবা'। এ সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন প্রয়াত দিলরুবার স্বামী, ঢাকা সেন্ট্রাল ল' কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আবদুল কাদির। স্বামী-স্ত্রীর প্রেম-ভালোবাসার মতো মহত্তম অনুভূতি থেকে বউয়ের নামে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, দিলরুবার মালিকও সংবাদিক, লেখককে সম্মানী, বা টাকা পয়সা দেয়ার বেলায় ঠকিয়েছেন! অনেককে তিনি টাকা দেননি। এ বিষয়ে বাংলা একাডেমি থেকে ২০০৪ সালে প্রকাশিত শ্রদ্ধেয় ড. ইসরাইল খানের লেখা 'বাংলা সাময়িকপত্র: পাকিস্তান পর্ব' বইয়ের ১৯৯ থেকে ২১০ পৃষ্ঠায় নানা তথ্য আছে। দিলরুবা'র মালিক যেখানে সাংবাদিক, লেখকদের ঠকাতে পারেন, সেখানে এদেশের কয়েক মালিক (সবাই নন) কী করবেন, সেটা খুব সহজেই অনুমান করা যায়!
ধর্ম বলে, কারো পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে নাকি পরকালে রক্ষা পাওয়া যাবে না। ধর্মের নিয়মটা সত্য হলে পরকালে বেহেশতে ঢুকবার আগে এদেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের মালিককে ফেরেশতারা নিশ্চয়ই আটকাবেন! তাঁদেরকে তখন সাংবাদিক, কর্মচারীর বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য 'বাধ্য' করবেন! আপাতত পরকালবিষয়ক চিন্তাতেই অনেকের স্বস্তি!
বি.দ্র.- দিলরুবা'র কাছে বাংলা সাহিত্যর ঋণ অবশ্যই স্বীকার করছি।
হা.শা.
যায়যায়দিন,
ঢাকা।
ফেসবুক- http://www.facebook.com/hasan.shantonu.7 ●
©somewhere in net ltd.