![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর সারাদেশে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত পঞ্চাশ জন নিহত হয়েছে। সাঈদীর ফাঁসির রায় বানচাল করার জন্যে ধর্মরক্ষার নামে কর্মী ও সমর্থকদের সহিংসতায় লিপ্ত করেছে জামায়াত-শিবির। জামায়াত শিবিরের আক্রমনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল পুলিশ, হিন্দু সম্প্রদায় ও আওয়ামীলীগের কর্মী-সমর্থক।
জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা দেশের নানা স্থানে টহল পুলিশের উপর আক্রমন, পুলিশের চলাচল অবরোধসহ অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া, পুলিশ সদস্যদের অপহরণের মত পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। সংঘাতে লিপ্ত হলে, সারা দেশেই পুলিশ শতশত রাউন্ড গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। এছাড়া গ্রেফতার হয়েছে জামায়াত-শিবিরের শতাধিক কর্মী। নাটোর-পাবনা মহাসড়কে লালপুর উপজেলায় শিবিরের কর্মীরা টহল পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সাঈদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে অরাজকতা সৃষ্টির আরেক পদ্ধতি ছিল- দেশের রেল যোগাযোগ নষ্ট করে দেয়া। রায় ঘোষণার পরপরই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, ফেনী ও লালমনিরহাটে রেল লাইনে আগুন দেয়া, ফিসপ্লেট ও স্লিপার খুলে ফেলা হয়েছে। লাইনচ্যুত হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘনার মুখে পড়েছে আন্তনগর ট্রেন মহানগর গোধূলী। এসব ঘটনার পেছনে জামায়াতে ইসলামীর জড়িত থাকার কথা বলেছেন, পুলিশ ও রেল কর্মকর্তারা। ফেসবুকে জামায়াত-শিবিরপন্থীদের পেইজ হিসাবে পরিচিত ‘বাঁশের কেল্লা’য় ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে রেললাইন তুলে ফেলাসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে।
ফাঁসির রায় ঘোষণার পর বিচার প্রকৃয়াকে ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেয় দলটি। তবে তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাঈদীর বিচার করা হলেও দলটি বারবার অভিযোগ থেকে সরে গিয়ে সরকাকে ধর্মবিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্ঠা করেছে।
সাঈদীর বিরুদ্ধে করা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সাঈদীর ফাঁসির রায় হয়। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী বলেন, আমার বাবা ইসলামের পথে মানুষকে দাওয়াত দিতেন। ইসলামের পথে মানুষকে দাওয়াত দেয়াই আমার বাবার অপরাধ। তাই তার বিরুদ্ধে এই রায় দেয়া হয়েছে।
সাঈদীর রায় ঘোষণার পরপরই সংঘাতে লিপ্ত হয় জামায়াতের কর্মীরা। সংঘাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছে চারজন পুলিশ, দুজন সরকার সমর্থক সংগঠনের কর্মী। সংঘাতে জামায়াত-শিবির নানা নির্মম পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। এরমধ্যে ছিল ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা, পিটিয়ে হত্যা, নানা স্থানে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ঘরে গিয়ে আক্রমন করা।
সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল একাত্তরে খুন, ধর্ষণ, লুন্ঠন, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা। কিন্তু সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগকে ভূল প্রমাণিত করার মত কোন যুক্তিতর্ক জনগণের সামনে হাজির করেনি দলটি। বিচার বিরোধীতা করার রাজনৈতিক অস্ত্র ছিল সরকারকে ধর্মবিরোধী বলা। কৌশলের অংশ হিসেবেই চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নি-সংযোগের করেছে জামায়াত-শিবির। হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলাকে সাম্প্রদায়িকতা আখ্যা দিয়েছে সম্মিলিত পূজা উদযাপন পরিষদ। তারা সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।
উৎস: http://www.sat-din
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
গধযনঁন বলেছেন: পুলিশ রাজিবের খুনীদের গ্রেফতার করেছে! অভিনন্দন!!
আফসোস এরা এক বছরেও সাগর-রুনী'র হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারলো না, আমিনুলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারলো না, ইলিয়াস আলীকে উদ্ধার করতে পারলো না, চৌধুরী আলমকে উদ্ধার করতে পারলো না। ছবি দিয়ে সনাক্ত করিয়ে দেবার পরও বিশ্বজিতের খুনীদের গ্রেফতার করতে পারলো না। বড় আফসোস!