নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগলা রাজু

http://www.facebook.com/fazlurrahaman.raju

পাগলা রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম অনুসারে কেউ নাস্তিক বা আস্তিক নয়

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৭

ইসলামের অবিশ্বাসীরা কাফের হতে পারে নাস্তিক হতে পারেনা। তেমনি ইসলামের অনুসারীরাও মুমিন হতে পারেন কিন্তু আস্তিক হতে পারে না। তৎসম শব্দ আস্তিক-নাস্তিক বেদবেদান্ত, উপনিষদ দর্শনের সাথে যায় কিন্তু ইসলাম দর্শনের সাথে যায় না।



আস্তিক শব্দটি এসেছে ভারতীয় ধর্ম গ্রন্থ বেদ থেকে। ধর্মগ্রন্থ বেদ অনুসারে আস্তিক শব্দের অর্থ বিশ্বাসী। বেদের ধর্মে বিশ্বাস আছে যাদের তাদেরকে বেদ অনুসারে আস্তিক বলা হয়। নাস্তিক শব্দটি আস্তিক শব্দের বিপরীত শব্দ।



যারা বেদে বিশ্বাসী এবং মূর্তি পূজা করে তাদেরকেই বলা হয় আস্তিক। যুগের পরিক্রমায় এই আস্তিকতা এবং বেদ বিশ্বাসের প্রমাণ মেলে মূর্তি পূজায়। অর্থাৎ যারা বেদে বিশ্বাস করে এবং একই বিশ্বাসে মূর্তি পূজা করে তারাই আস্তিক। ঠিক এরই বিপরীতে যারা বেদে বিশ্বাস করে না তাদেরকে বেদে নাস্তিক বলা হয়েছে। এছাড়া যারা বেদে বিশ্বাস করে অথচ মূর্তি পূজায় বিশ্বাস করে না, তাদেরকেও নাস্তিক বলা হয়। এমন জাতি বা গোষ্টী আছে যারা বেদে বিশ্বাস করে না কিন্তু পরকাল বা পরজন্মে বিশ্বাস করে তারাও নাস্তিক। এই ধারণা অনুসারে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরাও হয়ত নাস্তিক। বেদ অনুসারে মাধ্যমিক, যোগাচার, সৌত্রান্তিক, বৈভাষিক, দিগম্বররা নাস্তিক। কারণ তারা বেদে বিশ্বাসী ছিলেন না। এছাড়া মূর্তি পূজায় বিশ্বাসী না হওয়ায় চার্বাকদেরকে নাস্তিক বলা হয়।



যেহেতু বেদে যারা মূর্তি পূজায় বিশ্বাসী না তাদেরকে নাস্তিক বলা হয়। সেহেতু বেদ অনুসারে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা সবাই নাস্তিক। কেননা ইসলাম ধর্মের মূল আকীদা হল নিরাকার আল্লাহ’র উপর বিশ্বাস। যারা আল্লাহ’র উপর বিশ্বাস এনেছেন কিন্তু মূর্তি পূজা করেন না বেদ অনুসারে তারা নাস্তিক।



ইসলামে অবিশ্বাসীদের কোনভাবেই সংস্কৃত ভাষার দুহিতা বাংলা শব্দ নাস্তিক দিয়ে বোঝানো সম্ভব না। আমরা ইসলাম এবং আল্লাহ’র উপর অবিশ্বাসীদের কাফের বা মুরতাদ বলতে পারি। কোন ভাবেই নাস্তিক বলতে পারি না।



তেমনি আমরা ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কোন ভাবেই আস্তিক বলতে পারিনা। শ্রী হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ অনুসারে আস্তিক একজন মুনির নাম। এই শব্দকোষের আস্তিক নিয়ে গল্পটি এমন- “আস্তিক জনৈক মুনি। ইঁহার পিতার নাম জরৎকারু। বাসুকির ভগিনী জরৎকারু(মনসাদেবী) ইঁহার জননী। কথিত আছে যে, জরৎকারু(অর্থাৎ মনসাদেবী) স্বামীর নিকট পুত্র প্রার্থনা করিলে জরৎকারু মুনি “অস্তি”(অর্থাৎআমার ঔরসে তোমার গর্ভসঞ্চার হইয়াছে) বলিয়া চলিয়া যান। সেই হেতু ইঁহার নাম ‘আস্তিক’। অর্জুন তনয় মহারাজ পরীক্ষিত ব্রক্ষশাপে তক্ষক দংশনে মৃত্যু হওয়ায়, তৎপুত্র জনমেজয় সর্পযজ্ঞ করিয়া নাগকূল নির্মূল করিতে আরম্ভ করিলে, সর্পরাজ বাসুকি নিজ ভগিনীর দ্বারা আস্তিককে সমুদয় জ্ঞাপন করান। আস্তিক যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হইয়া জনমেজয়কে সন্তুষ্ট করিয়া যজ্ঞ হতে বিরত করেন। অতঃপর জনমেজয় অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিলে, আস্তিক বিলক্ষণ সাহায্য করিয়াছিলেন।”



আমরা এই আস্তিক শব্দের এই অর্থটি ব্যবহার করি না। প্রচলিত অর্থও যদি আমরা গ্রহণ করি তবে কোন ভাবেই ইসলাম ধর্মের বিশ্বাসীকে আস্তিক এবং অবিশ্বাসীদের নাস্তিক বলতে পারি না।















মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

আকাবাকা বলেছেন: বরিশালের হাজার হাজার ওলামায়ে কেরাম বেঁচে থাকতে কোনো নাস্তিক মুরতাদকে বরিশালের মাটিতে পা রাখতে দেয়া হবে না
- মুফতী ফয়জুল করীম
বরিশালে নাস্তিক ব্লগার ও শাহবাগীদের প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর শাখা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর রয়েল রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি জনধিকৃত নাস্তিক-মুরতাদরা গণজাগরণ মঞ্চের নামে শাহবাগের আদলে বরিশালে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বরিশালের হাজার হাজার ওলামায়ে কেরাম বেঁচে থাকতে কোনো নাস্তিক মুরতাদকে বরিশালের মাটিতে পা রাখতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে লাগাতার হরতাল, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নাস্তিকদের প্রতিরোধ করব।”
... তিনি বলেন, “এই সরকার নাস্তিক মুরতাদদের রক্ষা করে ইসলামকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। নির্বাচনী ইশতেহারে ইসলাম রক্ষার কথা বলে এখন একের পর এক ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ করে যাচ্ছে। সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস তুলে নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ নাস্তিক ব্লগারদের পক্ষ নিয়ে ওলামায়ে কেরামদের হয়রানি করা হচ্ছে। নাস্তিক ব্লগার রাজীবের বাড়ি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাকে ‘শহীদ’ বলে ইসলামকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছেন। সরকারের এসব কর্মকাণ্ড ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না।”
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, “বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ফেসবুকে মন্তব্য করায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে মামলা দেয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কোনো তদন্ত কমিটি গঠনের প্রয়োজন হলো না। অথচ ব্লগারদের অপকর্ম চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠনের নামে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য একজন আইটি এক্সপার্টের সামান্য সময়ই যথেষ্ট। সেখানে সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি ডিপ ফ্রিজে পাঠানোর চক্রান্ত।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নাস্তিক ব্লগারদের ধর্মবিদ্ধেষী ঔদ্ধত্যপূর্ণ লেখালেখির প্রতিবোদে সারা দেশের আলেম সমাজ প্রতিবাদের ঝড় তুললেও সরকার নাস্তিক সেসব কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার তো দূরের কথা বিতর্কিত ব্লগগুলো এখন পর্যন্ত বন্ধ করেনি। সরকারের এ ধরনের আচরণ থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে সরকার তাদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা জাকারিয়া হামিদী, ঝালকাঠি জেলা সভাপতি নওমুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম, বরিশাল মহানগর শাখার সহপ্রচার সম্পাদক শেখ শামসুল আলম, উপদেষ্টা মাওলানা রুহুল আমিন খান ও সৈয়দ মো. নাসির আহমেদ কাওসার প্রমুখ।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

এম. মাসুদ আলম. বলেছেন: +++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.