![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ থেকে তুরস্কের দুরত্ব কয়েক হাজার মাইল। তুরস্কের জনতা হয়ত কখনোই হুমায়ুন আজাদের নামই শোনেননি। নাম না জানলেও হুমায়ুন আজাদের দেখানো পথেই প্রতিবাদ জানালো তুরস্কের প্রেমিক-প্রেমিকারা। তুরস্কের প্রতিবাদী জনতার প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে হুমায়ুন আজাদের ‘প্রকাশ্যে চুম্বন’ http://www.notun-din.com/?p=2935 তত্ত্বটি।
হুমায়ুন আজাদ ‘সামরিক আইন ভাঙ্গার পাঁচ রকম পদ্ধতি’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘একটি প্রকাশ্য চুম্বনে আমরা খান খান ক’রে ভেঙ্গে দিতে পারি হাজার বছর বয়স্ক বাঙলার সামরিক আইন ও বিধান।’
জনতার অধিকার দমনে সব সময়ই খড়গ হস্ত সামরিক শাসকগণ। সেই সামরিক শাসকদের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করার সাহস কেবল মাত্র তরুণ রক্তই দেখাতে পারে। বাংলাদেশ যখন সামরিক শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রকম্পিত, তখনই হুমায়ুন আজাদ লিখেছিলেন কবিতাটি। সেই আন্দোলনে এই কবিতার কোন বিশেষ ভূমিকা ছিল কিনা তা জানা নেই, কিন্তু ২০১৩ সালে এসে বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার মাইল দুরের একটি দেশের তরুণ-তরুণীরা প্রয়োগ করলেন, প্রকাশ্যে চুম্বন তত্ত্বটির।
তুরস্ক সরকার দেশটিতে প্রকাশ্যে প্রণয় বন্ধে বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকার দেশটির রেল স্টেশন এবং পার্কে প্রেমিক-প্রেমিকাদের প্রবেশে নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। প্রেমকে বন্ধে পার্ক ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটির তরুন-তরুণীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের কর্মসূচী ছিল অভিনব। তাঁরা উন্মুক্ত স্থানে সিগারেট ও বিয়ার পান করে এবং প্রেমিক-প্রেমিকারা চুম্বনাবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করেছেন। আন্দোলনে পুলিশের হামলা-মারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের আন্দোলন জারি রেখেছে তরুণরা। তরুণদের আন্দোলনে ভীত সরকারের প্রধান ঘোষণা করেছে পার্কটি ভেঙ্গে ফেলা হবে না।
সম্ভবত, তুরস্কের জনতা নিজেদের প্রয়োজনেই চুম্বন ত্ত্বটি আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু তারা জানেন না আজ থেকে ২৬ বছর একজন বাঙ্গালী কবি এই তত্ত্বটি দিয়েছেন। এবং তাঁর নাম হুমায়ুন আজাদ।
২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
বাহ ঐ খানে থাকলে অন্যের প্রেমিকাকে ফ্রি চুম্বন খাওয়া যাইতোওও
৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
মিতক্ষরা বলেছেন: তুরষ্কের শতকরা ষাট ভাগ নারী হিজাব করে। অথচ সংখ্যাগুরুর অধিকার সেখানে উপেক্ষিত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭
সত্য কথা বলি বলেছেন: লম্পটের সাথে লম্পটদের কাজের মিল খুজে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছেন নাকি !