নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বংকিরার মানুষ

আসিফ ইকবাল কাজল

গনমাধ্যমকর্মী

আসিফ ইকবাল কাজল › বিস্তারিত পোস্টঃ

উনারা কেও কথা রাখেন নি !!!!!

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

আর দ্বন্দ সংঘাত করবেন না আওয়ামী লীগের দুই নেতা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোলাকুলি করেন। পুলিশ ও বিশিষ্ট জনদের উপস্থিতিতে একে অপরের মুখে মুষ্টি তুলে দিয়ে সৌহার্দ্যরে নজীর স্থপান করেন। দুই নেতার ভাতৃত্ব প্রতিম আচরণ দেখে দীর্ঘদিন সমাজিক দলে বিভক্ত গ্রামবাসিরা করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। কিন্তু বছর না ঘুরতেই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই নেতার সমর্থকরা আবারো স্বমুর্তি ধারণ করেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শিকদার ও তার প্রতিপক্ষ আরেক আওয়ামী লীগ নেতা এড আব্দুল মালেকের সমর্তকদের বিবাদ থামাতে ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর টিকারী বাজারে ঝিনাইদহের তৎকালীন পুলিশ সুপার রেজাউল করিম ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধূরী এক ব্যতিক্রম ধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। দুই নেতার হাজারো সমর্থক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আর দ্বন্দ সংঘাত সৃষ্টি করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোলাকুলি করে একে অপরের মিষ্টি মুখ করান। কিন্তু জনপ্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের “কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো” পক্তির মতো তেত্রিশ বছর তো দুরের কথা বছর পার না হতেই দুই নেতার সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আবারো অশান্ত হয়ে উঠেছে সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়ন। গতকাল টিকারী ও কুশোবাড়িয়া বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শিকদার ও তার প্রতিপক্ষ এড আব্দুল মালেকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শিকদারের ১০/১৫ জন সমর্থক আহত হন। এছাড়া ৭/৮টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল শিকদার চেয়ারম্যান আমিতো ঝিনাইদহে থাকি। গ্রামে কে কি করছে তা আমার অজানা। তিনি আরো জানান, প্রতিপক্ষরা আমার গ্রুপের রাজ্জাক, ইসমাইল, আলতাফ ও মিঠুসহ ১০/১২ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। বিবাদ আর করবেন না এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও কেন সংঘর্ষ হলো প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমার লোকজনকেই মারধর করা হয়েছে। এদিকে শহিদ শিকদারের প্রতিপক্ষ আরেক আওয়ামী লীগ নেতা এড আব্দুল মালেক জানান, আমি ১০ দিন ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী। এলাকার খবর কিছুই জানি না। দুই নেতার দ্বন্দ মেটাতে সমন্বয়কের ভুমিকা পালনকারী ঝিনাইদহ সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বর্তমান লোহাগড়ার ওসি ইকবাল বাহার বলেন, পুলিশ জনগনের সেবক হিসেবে আমরা এলাকার শান্তি বজায় রাখতে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এরপরও যদি তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হন তাহলে আমাদের কি করার আছে? তিনি আরো জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নে প্রায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সামাজিদ দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হতো। ফলে পুলিশকে অধিকাংশ সময় এ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হতো। ফলে গত বছরের ২৫ অক্টোবর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করে দুই নেতাকে এক মঞ্চে তুলে সম্প্রীতির নজীর গড়ে দেন। কিন্তু আয়োজক পুলিশ কর্মকর্তারা ঝিনাইদহ থেকে বদলী হওয়ার পরপরই দুই নেতা আবারো দ্বন্দে জড়িয়ে নিজেদের করা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.