নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছােটবেলার সেই উদাসীনতার জন্য আমার বাবা কখনো \"জীবনে বড় কিছু হতে পারবো\" সে সপ্ন দেখেন নাই। এর জন্য অবশ্য জীবনে কখনোই আফসোস করি নাই , আর এখন আল্লাহর রহমতে আমি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যয়ন রত অাছি।

মাসুদ_খান

ছোট থেকে উদাসীন ভাবে বেড়ে উঠেছি যা আমাকে অনেক বার ভাবুক,কবি,মুডি,অহংকারী,আন-সোসাল,একরোখা ইত্যাদি নানা রকম উপাধীতে ভূসীত করেছে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তন হয় অনেক কিছু আমিও এর ব্যতিক্রম রইলাম না । মজার বিষয় হল আমার এই উদাসীনতা পরিবর্তিত হল সচেতনতায়, যার দরুন অন্যের উদাসীনতা দেখলে তা পরিবর্তনের বৃথা চেষ্ঠায় লিপ্ত থাকি। প্রযুক্তি চর্চা করা খু্বই পছন্দ করি কিন্তু প্রযুক্তির ব্যাড টাইম স্পেন্ড আমাকে প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে যেতে প্রায়ই বাধা প্রদান করে। আমি ট্রাভেল করতে খুবই পছন্দ করি কিন্তু এখন ট্রাভেল করার জন্য টাকার চেয়ে সময়ের অভাবটা খুবই অনুভব করি। মুভি দেখা, হেবি সাউন্ডে গান শোন আর ক্রিকেট খেলা দেখার হবি ছিল অনেক দিনের কিন্তু নিষ্ঠুর সময় তা ক্রমশে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। জীবনে পড়াশােনা কোন দ্নিই ভাল লাগে নি ,( ইভেন গল্পের বই ও ) আর কোন দিন এই পড়াশোনাকে মনে হয় না ভালোলাগাতে পারবো । এই সব ব্যাসিক কথার বাইরে আর কিছুু লেখা ঠিক হবে না ( পারসোনাল বলে কিছু জমিয়ে রাখতে হবে তো!!!! )। আজ এই পর্যন্তই, এই ব্লগে আমার বিরক্তিকর পোস্ট গুলোর জন্য সবার কাছে ক্ষামা চেয়ে নিচ্ছি।

মাসুদ_খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকাল বাংলা ভাষার ব্যবহারে যথেষ্ট বিকৃতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু কেন??

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

বাংলা ভাষার ব্যবহারে বিকৃতি আজ চোখে পড়ার মতো এবং এ নিয়ে আমরা বেশ উদ্বিগ্নও বটে । কিন্তু এই উদ্বিগ্ন আবার শুধু ফ্রেব্রুয়ারী মাস উপলক্ষে নয় তো??? যা হােক এখন এই বিকৃতি গুলো যেমন শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে হচ্ছে ঠিক তেমনি আবার বানানের ক্ষেত্রেও তা লক্ষ্য করা যায়। এটাকে অনেকে আধুনিকতার অংশ হিসেবে দেখেন। এভাবে এই বিকৃতি হতে থাকলে আমরা আমাদের ভাষার ঐতিয্যকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবো কি??

একটু ফ্লাশ ব্যাকে ফিরে দেখি কেন এই ভাষার বিকৃতি ।। কয়কে শাে বছর পূর্বে আমাদের দেশে সাধু ভাষা প্রচলিত ছিল। আমরা নিজেরাই বাংলা ব্যকারণের জটিলতা বাদ দিতে গিয়ে চলিত ভাষায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। আর আমরা খুব ভাল করেই জানি চলিত ভাষার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট হলো তা ক্রমে ক্রমে বিকৃতি হতে থাকবে। তা হলে কেন আমরা এখন বিকৃতি নিয়ে এতাে চিন্তিত হচ্ছি !!!!! আমরাই তো আমাদের ভাষাকে বিকৃতি করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। তাহলে আবার সেই ভাষার বিকৃতি নিয়ে কেন জানি আবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি ??? ব্যপারটা কেমন যেন হাস্যকর হয়ে দাড়াচ্ছে। তারপরও দিন দিন যেভাবে ভাষার কুরুচি পূর্ন বিকৃতি ঘটছে তা সত্যিই উদ্বিগ্ন হবার মতই। আসুন আমরা সবাই মিলে শুদ্ধ , সুন্দর এবং শ্রুতিমধুর বাংলা ভাষায় ব্যবহারে সচেষ্ট হই। যে দেশ শুধুমাত্র ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে আন্দোলন করলো। যে দেশে শুধু নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশ নিলো, আসুন আমরা সেই ভাষাকে আবারও সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে আবারও একটি সংগ্রামে অংশ গ্রহন করি। "শুদ্ধ,সুন্দর,শ্রুতিমধুর বাংলা ভাষা ছাড়া আর একটি কথাও বলবো না" আধুনিকতার নামে আমাদের ভাষাকে আর বিকৃতি হতে দেব না। আমরা নিজে এই ভাষা রক্ষার সংগ্রাম অংশ গ্রহণ করব এবং অন্যকে শুদ্ধ,সুন্দর,শ্রুতিমধুর বাংলা ভাষার জন্য উৎসাহিত করব।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: বাড়ী < বারী, জরিনা<জেরিন, জাকির<জ্যাক, সবই লীলা

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৭

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: একশ বছর আগের ভাষা আর এখনকার ভাষার লেখনি উচ্চারণে অনেক বদল এসেছে আরো একশ বছর পরে আরো বদলে যাবে । তাই আজ যেটা বিকৃত মনে হচ্ছে তখন স্বাভাবিক মনে হবে ।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

মাসুদ_খান বলেছেন: এখন বাজে ভাবে কথা বলা-টা একটা ফ্যাশান হয়ে গেছে । এটাই সমস্যা । স্বাভাবিক বিকৃতি-তো হতেই পরে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.